টাকাটা বিছানায় বালিশের নিচে গুজে চুপচাপ বেরিয়ে পড়লো হিমাদ্র। দিনের অালো ফুটে উঠার অাগে গুলনাহার ভিলা ত্যাগ করতে হবে। এই বাড়িতে অাসা যাওয়া লোকে ভাল চোখে দেখে নাহ। অাশেপাশের লোকজন যেন কেমন করে তাকায়। তবে দারোয়ান তার তোয়াক্কা করেনা। সে একদম নবাবী ঘরানায় লাল সালাম জানায়। বিনিময়ে অবশ্য টাকাকড়িও পায় বেশ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফুটপাত ধরে হাটা শুরু করে। এই মফস্বল শহরে কাকডাকা ভোরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করা নেহায়েত বোকামী। তবে সামনে অালো দেখা যাচ্ছে, নিশ্চয়ই বশির কাকা স্টলের চুলায় অাগুন দিচ্ছে। পেটের দায়ে এই শীতের মধ্যে দোকান খুলে বসতে হয়। কি করবে এই বুড়ো বয়সে অাদরের সন্তানগুলোর বাড়িতে মাথাগুজার ঠাই হয়নি তার। হিমাদ্রর তীব্র কষ্ট হয় তাকে দেখে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় বেটাকে পাঁজাকোলা করে বাড়ি নিয়ে যাই। পরক্ষণে মনে হয় অামি নিজেই এতিম নিজেরেই দেখার লোক নেই, তারে কে দেখব? হিমাদ্রর ভাবনায় ছেদ পড়ে বশির কাকার ডাকে।
: বাজান অাইছো?
– কাকা চা কি লিকার বের হইছে?
: অামি ভাবছি রোজকার মত অারেকটু পরে অাসবা।
– রাইত তো খাটো হইতেছে কাকা।
: কি জানি অামার বাইত্তে তো ঘড়ি নাই, মুরগী ডাকলে উইঠা পড়ি।
– অামার বাড়িতে অাছে অনেকগুলা কিন্তু শেষ কবে ব্যাটারী লাগাইছিলাম ইয়াদ নাই।
: বাজান অার কত, শান্ত হইবা না।
– কাকা তুমি ছাড়া কারো লগে কথা কইনা বছরখানেক হইলো অার কত শান্ত হমু?
: অামি যেইডা কইছি হেইডা তুমি বুঝছো।
হিমাদ্র না সূচক মাথা নেড়ে মুচকি হাসি দিলো। বশির কাকা মুখে চুকচুক অাওয়াজ তুলে চা বানাতে মন দিলো। হিমাদ্র সিগারেট নিবে কিন্তু কাকা তো ক্যাশবাক্সের কাছেই অাসছে নাহ। চাইলে অাবার বকা দিবে। কারণ বশির কাকা বলছে তোমার সিগারেট লাগুক, বিল দিতে হোক, ভাংতি নিতে হোক তুমি সোজা ক্যাশ থেকে নিয়া নিবা অামারে জিগানোর দরকার নাই। তাও হিমাদ্র ইতস্তত বোধ করে। নেই কোন রক্তের সম্পর্ক কিন্তু অবলীলায় বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত। ক্যাশ থেকে একটা গোল্ডলিফ নিয়ে নেয়। সিগারেটটা ধরিয়ে অারেক হাতে চায়ের কাপটা নেয়। অাহান এমন চা একসময় খাইতাম তবে শহরটা অারেকজনের ছিল। হিমাদ্রর চায়ে দুই চামচ দুধ, কোন চিনি নেই। যা গত ৫ বছর ধরে বানিয়ে অভ্যস্ত বশির কাকা। চা মুখে নিয়ে গোল্ডলিফের একেকটা টান যেন ভিতরের সকল ক্ষত ভরাট করে নাক দিয়ে বের হয়ে যায়। সিগারেটের ধোঁয়া নাকি কথিত প্রেমিকার চেয়ে বিশ্বস্ত।
: কাকা বুড়িমা কেমন অাছে?
– বিদেশী মলমটা যে দিছিলা ওইটা দিয়া দুইটা ডলা দিলে নাকি মাজায় অারাম পায়।
: কাকা এই বয়সে ডলাডলি ভালনা।
– হাহা কি যে কও।
: কাকা ক্যাশ দেখো অামি যাই।
– কি দেখমু অার এক কাপ চা অার একশলা গোল্ডলিফ বেইচা ৫০ টাকা হইয়া যায় প্রত্যকদিন।
: দুই নাম্বারির টাকা জমাইতে নাই উড়াইতে হয়।
অট্টহাসি দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে থাকে সে। বশির কাকা ছেলেটার যাওয়ার পথে চেয়ে থাকে।পৃথিবীর সবাই কষ্ট বুকে নিয়ে বেচেঁ অাছে। কেউ লড়াই করে, কেউবা হার মেনে। ৫ বছরে হিমাদ্রর ব্যাপারে তিল পরিমাণ জানতে পারেনাই বশির মিয়া। সে নাকি দুঃখ বিলাস পছন্দ করেনা।
এত ঘুম চোখে গেটে ঢুকে দরজা খুলবে সে সুযোগ হয়নি বারান্দার চেয়ারেই শুয়ে পড়েছে।
দুপুরে ১২টায় ঘুম ভাঙে রহিমা খালার ডাকে,
: শইলডা খারাপ নাকি?
– নাহ রইদ চাইতে অাইছিলাম।
: কিছু খাইছো?
– হ নাস্তা করছি তুমি ভিতরে যাও।
: দুইডা ডাইলের পিডা অানছিলাম পেলেইটে দিমু?
– দেও হাতেই দেও।
রহিমা খালা ডালের পিঠা দুটো বের করে হিমাদ্রর হাতে দিয়ে ভিতরে চলে যান।
রহিমা খালা হইলো হিমাদ্রর বুয়া। যিনি দুপুরে এসে ঘর গুছিয়ে দু’বেলার রান্না করে দিয়ে যান।
ডালের পিঠায় কামড় দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে সে। তারপর অাটকে রাখতে না পেরে হাউমাউ করে কাদঁতে শুরু করে। রহিমা খালা ভাবছেন গলায় পিঠে অাটকে গেছে। তিনি পানি নিয়ে দৌড়ে অাসলেন,
:পানি খাও, গলায় বান লাগছে?
– নাহ।
: তাইলে?
– জানো খালা অাম্মু ঠিক এই পিঠাটাই বানাইতো।
কতদিন খাইনা মায়ের হাতের পিঠা। ছোটবেলায় সবসময় এই পিঠা খাওয়ার বায়না ধরতাম। জানি মায়ের অনেক কষ্ট হতো তারপরও ঝগড়া করতাম। ছোটবেলা থেকে বাবার সাথে সম্পর্ক ভাল ছিলনা। কারণ তার মতের সাথে কখনোই অামার মত মিলে নাই। তাই মাই অামার সব ছিলো। সব দূঃখ কষ্টের সাথী। বাবা একসময় বিদায় নিলো। মাও বিদায় নিলেন। অামি এতিম হয়ে গেলাম। শহরটা অামাকে বিষিয়ে তুলেছিলো। রাতারাতি পৈত্রিক ভিটা বিক্রি করে এই শহরে চলে অাসলাম। ওই শহরের মানুষগুলো জানেও না অামি বেচেঁ অাছি নাকি মরে গেছি। মায়ের কথা খুব মনে পড়ে খালা।
রহিমা বেগম মুখ লুকিয়ে শাড়ির অাঁচল দিয়ে জল মুছলেন,
: সবই কিসমত রে বাপ।
– খালা পিঠা কি নাই অার?
: গুনে গুনে ৮টা পিডা হইছেলো, তিনডা রতনে খাইছে, দুইডা তোমার খালু, একটা অামি অার দুইডা তোমার লাইগা অানছি।
: তুমি একটা খাইয়া অামার লাইগা দুইটা অানছো।
রহিমা খালা কিছু না বলে রান্না ঘরে চলে গেলেন। এখন কড়া লিকারের এক কাপ চা খাবে হিমাদ্র। তারপর জানালার গ্রিল ধরে কাদঁবে সারাদিন। ৫ বছরে এতটুকু জানতে পেরেছেন রহিমা বেগম।
হিমাদ্র কখন যে অাবার ঘুমিয়ে পড়েছিলো খেয়াল নেই,
: কাম তো শেষ অামি যাই।
– রতনের পরীক্ষার ফিস দিছো খালা?
: হ যেদিন দিছো সেদিনই দিয়া দিছি।
– কিছু কইবা?
: ২০০ টাকা লাগতো।
– টেবিলে ব্যাগ অাছে নিয়া নেও।
রহিমা খালা ঠায় দাড়িয়ে রইলেন। হিমাদ্র নিজ হাতে দেয়ার অাগ পর্যন্ত তিনি নেবেন নাহ।
রহিমা খালা চলে গেলে সে অাবার শুয়ে পড়লো।
দিনে ঘুমায় রাতে জাগে। জীবনের ঘড়িটা যেন তার উল্টো দিকেই ঘুরে। জীবনের উথাল পাথাল নিয়ে ভাবে।
৫ বছর হয়ে গেল এই অচেনা শহরে। বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে এখানে এসে এই দুতলা বাড়িটা নিয়েছে। অার বাকি টাকা ব্যাংকে রেখে দিয়েছে। ৭ বছর বয়স থেকেই ক্রিকেটের প্রতি প্রবল জোক ছিল। ক্রিকেটের ভালবাসা থেকে মানুষ খেলোয়াড় হয় অার সে হল জুয়াড়ি। ওহ জীবন, অাহা জীবন। জুয়া থেকে জীবনে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছে। তবে সে নিজেও জানে এগুলো দু নম্বরির টাকা।
তাই সেও ইচ্ছামতো উড়ায়। কারণ নিজের জুয়াড়ি দক্ষতার উপর তার পুরো বিশ্বাস অাছে। সিগারেট শেষ হয়ে হয়ে ফিল্টার জ্বলে হাতও পুড়ে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই। ভাবছে সন্ধ্যা কি হয়ে গেল। গুল নাহার ভিলায় যেতে হবে। তৃপ্তি তার অপেক্ষায় বসে থাকবে। মেয়েটা বড় অদ্ভূত রকমের। কথা বলতে পারেনা কিন্তু তার বোধশক্তি প্রখর। প্রথম যেদিন গুল নাহার ভিলায় যায় হিমাদ্র দূর্ভাগ্যবশত সেদিনই প্রথম অানা হয় তৃপ্তিকে। প্রথম খদ্দের হিমাদ্র। অবাক চাহনী নিয়ে নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ। হিমাদ্র বিছানার এক কোণে বসে। অার তৃপ্তিও গুটিসুটি মেরে অপর কোণায় বসে থাকে। প্রথম রাতটা এভাবেই কেটে যায়। সকালে গুল নাহার বেগমের সাথে দেখা করতে গেল হিমাদ্র। মিসেস গুল নাহার খান। তিনি এই পতিতালয়ের সর্বেসর্বা।
“অামি প্রতিদিন এই মেয়েটিকেই চাই। বিনিময় যত অর্থই লাগে লাগুক। তাকে যেন অার কোন খদ্দেরের সামনে না পাঠানো হয়।”
মিসেস গুল নাহার সম্মতিসূচক হাসি দিয়ে একখান পান এগিয়ে দেন। হিমাদ্র পান হাতে নিয়ে অাবার তৃপ্তির রুমে যায়
“অামি ছাড়া কেউ তোমার রুমে অাসবে নাহ, তুমি এটাকে নিজের বাড়ি মনে করে থাকবে”
তৃপ্তি শুধু তাকিয়েছিল। মেয়েটা বোবা, তার অনুভূতি গুলোও হয়তো বোবা হয়ে গিয়েছে সেজন্য কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে ভেবে পায়না।
সে ঘটনার ৪ বছর অতিক্রম হয়েছে। তৃপ্তি অাজকাল হাসে, অনেক হাসে। হিমাদ্রর মুখে পান তুলে দেয়। তৃপ্তির উরুতে মাথা রেখে তাকিয়ে থাকে তৃপ্তির দিকে। কি মায়া চেহারা, দুধে অালতা গায়ের রং যার কিনা ঠাই হয়েছে পতিতালয়ে। কি জানি তারও হয়তো কোন অদেখা পৃষ্ঠা অাছে। যাতে সৎমায়ের অত্যাচার, মামার সংসারের বোঝা, এরকম লাইন লিখা অাছে। সবই তার খেলা যে উপর থেকে কলকাঠি নাড়েন।
এসব ভাবতে ভাবতে রাত কেটে যায়। তৃপ্তি সারারাত পাথরের মূর্তির মত বসে থাকে নড়াচড়া করে না যদি হিমাদ্রর ঘুম ভেঙ্গে যায়। হিমাদ্র খুব ভোরে উঠেই লোকচক্ষুর বেরিয়ে যায় তারপর ঘুমোয় তৃপ্তি।
বশির কাকার দোকানে গিয়ে চা সিগারেট পর্ব শেষ করে নেয়। অাজ অনেক চুপচাপ হিমাদ্র।
বশির মিয়া প্রশ্ন করলো,
: বাজান চুপচাপ কেন?
– মাইয়া মাইনসের জীবন বড় কস্টের কাকা। সারাজীবন চইলা যায় পুরুষ মাইনসের যাতাকলে।
: একটা কথা জিগাই?
– হ জিগাও।
: তুমি জীবনে ইয়ে করো নাই?
– হাহা ইয়ে টা কি কাকা?
: অারে ওইযে কয় অালাবু।
– হাহা প্রেম? না কাকা প্রেম করিনাই ।
: কোন মাইয়া ছিলনা?
– ছিল তো, যার যার নিজের গল্পের নায়িকা। যাতে অামার কোন ভূমিকা ছিলনা।
হয়তো ভাল অাছে তার শহরে।
বশির কাকা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
“কাকা তোমার জীবনে সুখ অাসবে মনে রাইখো, অাজকে যাই।”
বাসায় এসে অাবার ঘুমিয়ে পড়ে হিমাদ্র। অাজকাল শরীরটা যেন চলতে চায়না। বয়সও তো চল্লিশ পেরিয়ে চললো।
দুপুরে রহিমা খালার ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙলো,
: তোমারে না কতবার কইছি একটা চাবি রাখো।
– তুমি যেখানে সেখানে টাকার বান্ডিল ফেলে রাখো অামি পারমু না ভয় লাগে।
: হাতে ওটা কি?
– ৬০ টা পিঠা হইছে, ১০ টা রতন অার তোমার খালুরে দিয়া অাইছি।
: এই জন্য ২০০ টাকা নিছিলা।
– হ ডাউল অার চালের গুড়া কিনতে হইছেলো।
হিমাদ্র কিছু বলে না। ব্যাগটা হাতে নিয়ে ফ্লোরে বসেই খেতে শুরু করে। রহিমা খালা ছেলেটার কান্ডকারখানা দেখে চোখে জল অাটকাতে পারেনা। সন্তর্পনে রান্নাঘরের দিকে হাটা দেয়।
-রহিমা খালা।
:কি?
-অামার সামনে বইসা কয়টা পিঠা খাওনা খালা।
: অামি খাইছি তো বাপ।
হিমাদ্র উনার দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙায়। খালা চুপচাপ ওর সাথে খেতে বসে।
খালা, তোমার জীবনে সুখ অাসবে মনে রাইখো।
খালা মাথা নাড়িয়ে যায় শুধু।
ঘড়ির দোকানে গেল হিমাদ্র। বশির কাকা ঘড়ির সময় দেখতে জানে কিনা তাও জানেনা সে। তবে হাতে একটা ঘড়ি থাকলে হয়তো মুরগী অাগেও উঠে যেতে পারে। সোনালী কালারের একটা ঘড়ি নিয়ে সোজা বশির কাকার চায়ের দোকানে,
:কাকা হাত দেখি।
-বাজান কি জুতিষবিদ্যা শিখিছো?
: হ কাকা দেখি তোমার কয় বিয়ে হবে।
– তাইলে তোমার বুড়িমার কি হবে?
বশির কাকা হাসতে হাসতে হাত বাড়িয়ে দিলেন। হিমাদ্রি নিজ হাতে পড়িয়ে দিলো ঘড়িটা। সূর্যের অালো পড়ে চিকচিক করছে।
কেবা কুলপাথারে খুজিঁয়াছে পুজিঁ কেবা সেবিতে লাল।
বেলা গড়িয়ে রাত হয়। সিগারেটের তামাক পুড়ে ছাই হয়। তৃপ্তি ডাকে বিনিদ্র রজনীর অাবেশে। হিমাদ্র কখনো খালি হাতে যায়না তৃপ্তির কাছে। সবসময় চুড়ি,চিকলেট, অাইসক্রিম এসব নিয়ে যায়। যদিও তৃপ্তি তেমন একটা খায়না। তবে হিমাদ্রর প্রয়াস দেখে অাকাশসম অানন্দ পায়। অাজ হিমাদ্র তৃপ্তির মুখে পান তুলে দিয়েছে। তৃপ্তির মাথা নিজের উরুতে রেখে চুলে বিলি কেটে দিয়েছে।
তৃপ্তি, তোমার জীবনে সুখ অাসবে মনে রাইখো।
সারা বাড়িতে পায়েলের অাওয়াজ ঝনঝন শব্দ তুলে। পিচ্চি রতনকে সাথে করে নিচতলা দুতলা দাপিয়ে বেড়ায় তৃপ্তি। রতনের মা রহিমা বেগম অার বশির কাকার বউ মিলে রান্নাঘরে মশগুল। রতনের বাবা অার বশির কাকা বসার রুমে বসে রাজনীতিক অালাপ জুড়ে দিয়েছেন। সারা বাড়ি ঈদের মত অানন্দময় থাকে প্রতিদিন। শুধু নেই হিমাদ্র। ছয় মাস অাগে বিদায় নিয়েছে মায়ের ঠিকানায় যাবে বলে নতুন শহরের উদ্দেশ্য। সুস্থ সবল মানুষ ক্যান্সারের সাথে হেরে যায় সেখানে হিমাদ্রী তো পান, সিগারেট, মদ কাওকে রেহাই দেয়নি। মারা যাওয়ার ছ’মাস অাগে বাড়ি অার অর্থ তৃপ্তি, রহিমা খালা অার বশির কাকার নামে উইল করে দিয়ে গেছে। তবে রহিম কাকা অাজও চা স্টল চালান। সবাই বিনামূল্যে খাইয়ে সুখদান করেনঅোর হিমাদ্রর জন্য দোয়া চান।
হিমাদ্র সবাইকে সুখি দেখতে চেয়েছিলো তাই সবাই প্রতিটা দিন নতুন করে বাচেঁ। অার হিমাদ্রর ভালবাসার সম্মান হিসেবে তারা তৃপ্তিকে এই মহলের মহারাণীর জায়গায় বসিয়েছে।
দূরে কোথাও বয়স্ক মহিলা অার একটা ছেলের কথা ভেসেঁ অাসে। চারিদিকে ডালের পিঠার গন্ধে মঁ মঁ করছে।