বান্ধবী যখন বউ

বান্ধবী যখন বউ

দোস্ত তোকে একটা সিরিয়াস কথা বলার জন্য ডেকেছি(রিয়া) হুম..আমিও সেজন্যই এসেছি(আমি) তাহলে বলি হ্যা বল কথাটা সিরিয়াস ভাবে নিবি..ঠিক আছে? হুম বল দোস্ত আমাকে বিয়ে করতে পারবি? এই তোর সিরিয়াস কথা? হ্যা..দোস্ত বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে তো সমস্যা কি?বিয়ে করে নে ধুরর..ছেলেটাকে চিনিনা জানিনা তাকে বিয়ে করবো? হ্যা..কয়েকদিন ঘোরাফেরা করবি।তারপর চেনা জানা হয়ে যাবেনারে দোস্ত..এত কম সময়ে চেনা জানা হয় না।

তোকে তো আমি ৪বছর ধরে চিনি।তাছাড়া তুই ছাড়া আমি কোনো ছেলের সাথে মিশিনা..আর অন্য কাউকে বিয়ে করলে তোর সাথে মিশতে পারবোনা..তুইতো জানিস তোকে ছাড়া আমি এক মূহুর্ত থাকতে পারিনা..তাই বলছি আমরা বিয়ে করি ফেলি দোস্ত এটা সম্ভব না..এখন বিয়ে করে তোকে বাড়ি নিয়ে গেলে বাবা বাড়ি থেকে বের করে দিবে কেনো? বাবা ভীষন রাগি আর মা? মা খুব ভালো মা কিচ্ছু বলবেনা তাহলে সমস্যা নাই..চল বিয়ে করে ফেলি? সমস্যা আছে..বাড়ি থেকে বের করে দিলে থাকবি কোথায়? আরে বাবাকে আমি ঠিক ম্যানেজ করতে পারবো সত্যি পারবি? হুম..চল কোথায়? বিয়ে করবিনা আমাকে? হ্যা..কিন্তু আজকেই? হ্যা দোস্ত..ছেলেপক্ষ আমাকে আজকে সন্ধায় আংটি পরাতে আসবে। ওহ..আচ্ছা তোর বাসা থেকে মেনে নিবে আমাদের বিয়ে? আরে বিয়েটা হয়ে গেলে..না মেনে নিয়ে লাভ আছে? না তাহলে চল যাই হুম..দোস্ত আমার আমার কিন্তু ভয় লাগছে ধুর কাপুরুষ..আমি আছিনা? ওই আমি কাপুরুষ না হু এজধ্যইতো ভয় পাচ্ছিস।

বাবা খুব রাগিতো..যদি না মেনে নেয়? বললাম আমি বুঝাবো বাবাকে..চলতো আচ্ছা চল অতঃপর রিয়াকে বিয়ে করে বাসার দিকে রওনা দিলাম..পরিচয় দিই এখন_আমি চয়ন।আর অরশা হলো আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড বর্তমানে বৌ।আমাদের পরিচয় অনার্স ১ম বর্ষ থেকে।এখন আমরা অনার্স শেষ বর্ষে পড়ি। যাহোক আমাদের বাড়িতে এসে পৌছালাম..দরজার সামনে দাড়িয়ে আছি কিন্তু কলিংবেল বাজাতে সাহস পাচ্ছিনা..তার পরও কলিংবেলে চাপ দিলাম।মা এসে দরজা খুলে দিলো কিরে রিফাত এত তাড়াতাড়ি চলে আসলি যে?আর মেয়েটা কে?(মা) মা আমি আপনার বৌমা..আসলে মা আমার বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে তাই আমরা বিয়েটা করেছি(অরশা) আচ্ছা ঠিক আছে..রিফাত বৌমাকে নিয়ে রুমে যা।

আচ্ছা..বাবা বাড়ি আছে? না..একটু পর ফিরবে তুমি বাবাকে একটু বুঝিয়ো তোর বাবাও চাচ্ছিলো ঘরে বৌমা আনার কথা..তুইতো বলার আগেই বৌমা ঘরে আনলি হুম আচ্ছা মা তোমার নাম কি? জ্বী মা,আমার নাম রিয়া আচ্ছা মা তুমি রিফাতের সাথে ওর রুমে যাও আচ্ছা অতঃপর রিয়াকে নিয়ে আমার রুমে আসলাম..সবাই নিশ্চয় ভাবছেন আমার মা এত সহজে বিয়েটা মেনে নিলো?আসলে মা খুব সহজ সরল..আর আমাকে খুব ভালোবাসে তাই আমার কোনো কাজে মা বাধা দেয় না..কিন্তু বাবা রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

সে আমি হেব্বি ভয় পায় বাবাকে দোস্ত কি ভাবিস? নারে কিছুনা তুই বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসি দোস্ত তোর বিছানাটা হেব্বি নরম..ঘুমাতে খুব আরাম হবে..কিন্তু দোস্ত রুমের জিনিসপত্রগুলো বড্ড অগোছালো ব্যাচেলর ছেলেদের রুম এমনি হয় ওই ছোড়া তুইতো এখন বিবাহিত -হ্যা কিন্তু তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি ব্যাচেলর ছিলাম তাইনা? হুম..সমস্যা নাই এখন থেকে আমি গুছিয়ে রাখবো লাভ নাই..ও আবার সব অগোছালো করে ফেলবে(বাইরে থেকে মা বললো) সমস্যা নাই মা..এখন থেকে রুম অগোছালো করলে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবো হ্যা মা ওকে একটু মানুষ বানিয়ো ঠিক আছে মা..ওই বিছানাতে ৪টা কোলবালিশ কেনো? ৪টা চারপাশে নিয়ে ঘুমাই..যখন যেইটা ইচ্ছা হয়।সেইটা নিয়ে ঘুমাই এখন আর একটাও কোলবালিশ থাকবেনা তাহলে আমি কি জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো? আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবি অসম্ভব..আমি তোকে কখনো স্পর্শ করিনি।আর তুই বলছিস জড়িয়ে ধরতে? হ্যা..সমস্যা কোথায়?

লজ্জা লাগে আইছে আমার লজ্জাবতী বর..নিজের বউকে জড়িয়ে ধরতে লজ্জা পায়।দাড়া তোর লজ্জাকে বিদায় করছি বলেই রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো..আমার দেহের ভিতর অজানা একটা শিহরন বয়ে যাচ্ছে।কোনোদিন কোনো মেয়েকে স্পর্শ করিনি..আর রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরেছে..একটু অসস্থি লাগছে তাই রিয়াকে সরিয়ে দিলাম কি লজ্জাবতি..লজ্জা আছে না গেছে? জানিনা থাক তুই ফ্রেশ হয়ে আসি মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছিলোনা..তাই চলে আসলাম ফ্রেশ হতে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম..রুমের দূশ্যটা পুরাই চেজ্ঞ। খুব সুন্দর করে রুমটা গুছিয়েছে যাহোক দুপুরে বাবা বাসায় ফিরলো..বাবাকে দেখে আমা গা,হাত,পা ঠান্ডা হয়ে গেলো নাবাবের বেটা নাকি বিয়ে করে বৌকে বাসায় এনেছেন?(বাবা) জ্বি বাবা তা বৌমা কোথায়?তাকে ডাকো।

জ্বি তারপর রিয়াকে ডেকে আনালাম।রিয়া বাবা গিয়ে সালাম করলো এই তুমি সবুজের মেয়ে রিয়া না?(বাবা) জ্বি..আপনি বাবার বন্ধু জয় আংকেল? হুম..তুমি এই গাধাকে বিয়ে করেছো?তা আমাদের জানালেই পারতে গাধাকে ভালোবাসো।তাহলে আমরাই অনুষ্ঠান করে তোমাদের বিয়ে দিতাম? আসলে আংকেল বাবা হঠাৎ করেই আমার বিয়ে ঠিক ঠিক করেছে..তাই আমরা বিয়ে করে নিয়েছি কোনো সমস্যা নেই..আমরা অনুষ্ঠান করে আবার তোমাদের বিয়ে দেবো..তোমরা রুমে যাও ঠিক আছে আংকেল কি আংকেল?বাবা বলবা।

আচ্ছা বাবা গাধাটা এতদিনে একটা ভালো কাজ করেছে(বাবা আমার পিঠ চাপড়ে কথাটি বলে চলে গেলো) তারপর রিয়াকে নিয়ে রুমে চলে আসলাম রুমে এসেই রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোট আমার ঠোটে মিশিয়ে নিলো..কিছক্ষন থাকার পর ছাড়লো রিয়া এইটা কি করলি? কোনো বুঝিসনা?

হুম এটা কেনো করলি বরকে একটু ভালবাসলাম রিয়া তুই কি সত্যি আমাকে ভালোবাসিস? হ্যা রে..গাধা।তোকে কতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।কিন্তু তুই বুঝতেই চেষ্টা করিসনি।এমনকি তোকে কোনোদিন স্পর্শ পর্যন্ত করতে দিস নাই।আমি তোর সততার প্রেমে পড়ে গেছিরে রিফাত তাই?এখন কি করতে হবে আমাকে? আমাকে ভালোবাসতে হবে ওকে..উম্মাহহহহহহহ অতঃপর উম্মা নামের চুম্মা খেলাম হি হি হি..

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত