“মেয়েরা বেঁচে থাকার জন্য একজোড়া ভরসার হাত খুঁজে।বিয়ের অাগে তারা বাবার হাতে ভরসা পায়।অার বিয়ের পর স্বামীর হাতে।
অাজ থেকে বছর চারেক অাগের কথা।অামার বয়স তখন অাটারো ছুঁইছুঁই।শহরের নামকরা কলেজের হাজিরা খাতায় অামার সদ্য নাম উঠেছিল তখন।বাবা চেয়েছিল বলেই অামাকে শহরের কলেজে নাম লিখাতে হল।নাহলে অামি অাগের মতই গ্রামে থেকে পড়ালেখা করতাম।কলেজ শুরু হওয়ার প্রায় কুড়ি দিনের মাথায় বাবা একটা ছোটখাটো বাসা নিয়ে ফেলে।পরদিন সকাল সকাল বাবার সাথে অফিস বাসে করে চলে গেলাম শহরে।তারপর বাবা অামাকে নতুন বাসাটা চিনিয়ে দিয়ে অফিসে চলে গেল।যাবার সময় অামার হাতে একটা লোহার চাবি দিয়ে বলেছিল- ধর, বাসার চাবিটা রাখ।অার শুন অাজকে কলেজে যেতে হবেনা।বাসার বাইরে যাবিনা।দুপুরে অামি তোর জন্য খাবার পাঠাব।
অামি শুধু বাবার কথায় সায় দিয়ে মাথা নেড়েছিলাম।
অামি পুরো বাসাটা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম।বাহ! বেশ বড় বাসা।অামরা দুজন থাকব, সেটা ভেবে অারো বড় মনে হচ্ছে।মা অার দাদা গ্রামে থাকবে।গ্রামে ব্যবসা অাছে দাদার।সেগুলো ফেলে অাসা অসম্ভব।অার মা রয়েছে তাকে রেঁধে বেড়ে খাওয়ানোর জন্য।সকালে অাসার সময় দেখলাম মায়ের চোখে জল চিকচিক করছে।কিন্তু সরাসরি কাঁদছে না।অামি ভেঙ্গে পড়ব বলে।এটা পৃথিবীর সমস্হ মায়েদের দ্বারাই সম্ভব।ওয়াশরুমে গিয়ে মুখে একটু পানি ছিটিয়ে অাসলাম।সময় ফুরোচ্ছেনা।মোবাইল ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম সাড়ে দশটার কাছাকাছি।
দুপুরে বাবার বয়সি প্যান্ট-শার্ট পড়া এক ভদ্রলোক এসে খাবার দিয়ে গেল।সম্ভবত বাবার অফিসের পিয়ন টিয়ন কেউ হবে লোকটা।বাবার অফিস বাসা থেকে বেশি দূরেনা, হেঁটে যেতে বড়জোড় পনের-বিশ মিনিট লাগবে।অামি অার সময় নিলাম না। হাতটা ধুয়ে লাঞ্চ করা শুরু করে দিলাম।এমনিতেই অামার ক্ষুদা কম লাগেনি।সেই সকালে মায়ের হাতে বানানো লুচি খেয়ে এসেছি।
খাওয়া শেষে একঘন্টার মত গা টানা দিয়েছিলাম।তারপর দম বন্ধ হয়ে অাসছিল।দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস নেই অামার।বাড়িতে থাকলে এতক্ষনে ঘুরতে বের হয়ে যেতাম।বিকাল চারটা হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম।তারপর বাইরের দরজায় থালা ঝুলিয়ে চলে অাসলাম রাস্তার মোড়ে।বন্দি জীবন অামার মোটেও পছন্দ না।যারা চারদেয়ালে অাবদ্ধ থাকে তারা সবসময় জেদি, একগুঁয়ে টাইপের হয়।ওই ধরনের মানুষগুলো অামার অপছন্দের তালিকায়।অামি মুক্ত অাকাশ দেখে বাঁচতে চাই।বাইরে যেতে না পারলে ঠিকমত ঘুম হয়না অামার।পড়ালেখায় মন বসাতে পারিনা।অস্হির অস্হির লাগে।
সামনের দিকে কিছুদূর এগিয়ে গেলাম।জায়গাটা অামার কাছে চেনা মনে হল।হয়ত এর অাগে একবার এসেছি।কখন এসেছি এ মুহুর্তে ঠিক মনে করতে পারছিনা।এসব ভাবতে ভাবতে যখন রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তখন মনে হল যে, কেউ একজন অামার পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে গেল।একটু সংস্পর্শ হলেই অামি নয়ত সে দুমড়ে মাটিতে পড়ে যেতাম।পিছন থেকে খেয়াল করলাম ওটা একটা মহিলা।পড়নে ময়লা শাড়ি।অামি পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল মানিব্যাগ অাছে কিনা দেখলাম।মহিলাটা সম্ভবত পকেটমার হতে পারে।অামি অার সামনে পা বাড়ালাম না।এমনিতেই শহরের বুকে একটু সন্ধ্যা নেমে অাসছে।
বাসার কাছাকাছি গিয়ে দেখি বাবা পকেট থেকে মোবাইল বের করে কাকে যেন ফোন দিচ্ছে।নিশ্চিতভাবে বলতে পারি বাবার সদ্য তোলা ডায়ালকৃত নাম্বারটি অামারই হবে।তারপর অামার দিকে চোখ পড়তেই বাবা ফোন কেটে দিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নিল।অামি চুপচাপ থালাটা যখন খুলছিলাম তখন বাবা বলল- কোথায় গেছিলি?
অামি নরম গলায় বললাম- সামনে একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম।
থালা খুলা শেষে দরজার ধাক্কা দিতে দিতে অাবার বললাম- তুমি কখন এসেছ?
বাবা বলল- এইমাত্র এলাম।
সেদিন রাতে বাবা মুরগি রান্না করল।তারপর অামরা খেয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরদিন অামি অার বাবা একসাথে বাসা থেকে বের হলাম।কিন্তু সামনের মোড়ে এসে দুজনের পথ অালাদা হল।অামি দক্ষিণের রাস্তায় অার বাবা পশ্চিমের রাস্তায়।অামার গন্তব্য কলেজ, বাবার গন্তব্য অফিস।বাসা থেকে কলেজ খুব বেশি দূরে না।লোকাল বাসে ৬টাকা ভাড়া নেয়।কলেজে গিয়ে তেমন মজা করতে পারলাম না।কারন দুয়েকটা পরিচিত মুখ ছাড়া অার কোন চেনা মুখ নজরে পড়েনি।একটু মন খুলে সুখ দুঃখের কথা বলার মত কেউ নেই।তাই কলেজে মন অার ঠিকলনা।দুটো ক্লাস কোনরকমে শেষ করে বাসায় চলে অাসলাম।সকালে বাবা রান্না করে রেখেছিল।ওটা খেয়ে বিছানায় কতক্ষন গা টানা দিলাম।
তারপর গতদিনের মত অাবারো বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।সামনে গলির মুখে একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর অাছে।গতকাল এসেছিলাম রাঁধুনি মুরগির মশলা নিয়ে যেতে।অাজকেও বাবা কিছু বাজার করতে বলেছিল।হাঁটতে হাঁটতে গেলাম সেই দোকানটাতে।বাজারের লিস্ট ওনার হাতে দিয়ে অামি পাশে রাখা লম্বা টুলে বসলাম।এমন সময় দোকানে অাচমকা এক মহিলার অাগমন।তারপর মেয়েটা সওদারকে বলল- রহিম চাচা, অামাকে এককেজি চাল দেন, অার এক পোয়া মসুর ডাল দেন তো।।
– তা তোর জামাইর হাত একটু ভালো হয়েছে??
– অাগের থেকে একটু ভালো লাগছে বলতেছে।
– বুঝলি মা, সব অাল্লাহর রহমত।শুধু অাল্লাহর উপর ভরসা রেখে যা।দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
তারপর মেয়েটা বাজার নিয়ে চলে গেল।
অামি ওই মহিলার চলে যাওয়া অবদি দেখলাম।কেমন চেনা মনে হল মেয়েটাকে।কিন্তু কোথায় দেখেছি।হ্যাঁ গতকাল দেখেছিলাম।সেই অবিকল হেঁটে যাওয়া।দোকানদার লোকটা অামার বাবার বয়সি তাই চাচা ডাকা যায়।বললাম – চাচা অামার কতদূর?
– এইতো হয়ে এসেছে।
খানিক্ষন বাদে চাচা অাবার বলল- এলাকায় নতুন এসেছ নাকি?
– হ্যাঁ কাল-ই এসেছি চাচা।
– কোথায় উঠেছ?
– ওই যে সামনে দুই তলায়।
– ও।অামাকে চাচা বলে ডেকেছ।তাই চাচা হয়ে একটা কথা বলি তোমাই?
– বলেন চাচা।
– শুন এ এলাকায় কতগুলো বাজে ছেলে অাছে, সারাক্ষণ জোয়া খেলে অার নেশায় ডুবে থাকে।একদম মিশবেনা ওদের সাথে।(চাচা গলার স্বর ছোট করে বলল কথাটা)
বললাম- অাচ্ছা।
এরপর অামি বাজার নিয়ে বাসায় চলে অাসলাম।পুরো মাসের বাজার।রহিম চাচা মানুষ ভালো।ষাটোর্ধ বয়স, মোটাসোটা দেহ।একগাল পাকা দাড়ি।খুব অল্পসময়ের মধ্যেই মানুষকে বুকে টেনে নেয়।যেমনটা অামার সাথে করেছে।দেখেই বুঝা যায় হৃদয়ে তেমন প্যাঁচ নেই।খোলামেলা স্বভাবের।বেচা-বিক্রি মোটামোটি অাশেপাশের দোকানগুলোর চাইতে বেশ ভালোই।রাত অাটটা নাগাদ মা ফোন দিয়ে বলল- কিরে শহরে গিয়ে তো মাকেই ভুলে গেলি।।
– কি যে বলনা তুমি।ছেলে কি মাকে ভুলে যেতে পারে?
– চা নাস্তা কিছু খেয়েছিস?তুর তো অাবার সন্ধ্যায় চা লাগে।
– হ্যাঁ খেয়েছি।দাদা কোথায়?
– দোকানে অাছে।শুন সময় পেলে বৃহস্পতিবার রাতে চলে অাসবি, দরকার হলে পরদিন বিকালে অাবার চলে যাবি।
– অাচ্ছা। ঠিক অাছে যাব।
পাশ থেকে বাবা জিজ্ঞেস করল- কিরে ফোনে কি বলছে তোর মা?
বললাম- মা বলল সময় পেলে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে চলে যেতে।কার থেকে দেশি মুরগি কিনছে নাকি অামার জন্য।
– ঠিক অাছে যাবি।শুক্রবার তো তোর কলেজ, প্রাইভেট কিছুই থাকেনা।
অামি একটু খুশি হলাম।ভেবেছিলাম বাবা ‘না’ করবে।কিন্তু পরে দেখলাম ‘না’ করেনি।দুইদিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে প্রাইভেট থেকে সোজা পটিয়ায় বাসে চেপে বসলাম।অাহা! বাস থেকে নেমে যখন নিজের এলাকায় পা দিলাম তখন কি যে প্রশান্তি বলে বুঝাতে পারবনা।যেন কতযুগ পার করে এখানে এসেছি।অাসলে নিজের জন্মভূমির প্রতি মানুষের একটা অালাদা টান থেকেই যায়।
পরদিন বিকালবেলা বাসায় চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মা যেতে দেয়নি।একদিন কলেজ গ্যাপ দিলে নাকি কিচ্ছু হবেনা।তাই শুক্রবারে বন্ধুদের সাথে ঘুরলাম ফিরলাম।মজা করলাম।ইচ্ছেমত দেশি মুরগির মাংস খেলাম।তারপর শনিবার দশটা নাগাদ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।এরপর অাস্তে অাস্তে অামি শহরে মানিয়ে নিতে শুরু করলাম।প্রতিদিন সকালে কলেজে ক্লাস করি।অার বিকালে তিনদিন প্রাইভেট পড়ি।বাকি দিনগুলোতে রহিম চাচার দোকানের লম্বা টুলে পা টেনে বসে থাকি।ওখানে বসে থাকতে অামার ভীষন ভালো লাগে।কেন এত ভালো লাগে তার কারন অামার জানা নেই।শুধু কি সময় পার করার জন্যই ওখানে বসতাম নাকি অন্যকোন কারন।
কারন হয়ত ওই মেয়েটাই।যাকে প্রথম দেখেছিলাম তাড়াহুড়ায় হেঁটে যেতে।অার ভেবেছিলাম পকেটমার।ওটা মনে পড়লে অামার এখনো হাসি পাই।সত্যি বলতে মেয়েটা কোন পকেটমার নয়।একটা ভালো মেয়ে।যাকে এখন প্রায় প্রতিদিনই দেখি রহিম চাচার দোকানে।কয়েকদিনের মধ্যে এমন হয়ে গেলাম যে, মেয়েটা রহিম চাচার দোকানে অাসতে একটু দেরি করলেও অামার মনটা অাকুপাকু করে।ইচ্ছে করে তাকে একবার জিজ্ঞেস করি- অাজ এতো দেরি করলে যে।কিন্তু অামার অাত্মার প্রশ্নটা কাউকে বুঝতে দিইনা।এমনকি রহিম চাচাকেও না।চাইলে মেয়েটার পিছন পিছন গিয়ে তার বাসার খোঁজ নিতে পারতাম।সন্দেহের চোখে পড়ব তাই চেষ্টা করিনি।
মেয়েটার বয়স অামার মত।ওইদিন রহিম চাচার কথা শুনেছিলাম মেয়েটার স্বামী অাছে।তবে বাচ্চা নেই।বাচ্চা থাকলে একবার হলেও দোকানে নিয়ে অাসত।মেয়েটার নাম এখনো জানিনা।অামার কাছে নাম জানার চাইতে ওর স্বামীকে দেখার অাগ্রহ তীব্র হল।ওনি কেমন লোক নিজের স্ত্রীকে দোকানে পাঠায়।বাজার করতে পাঠায়।কমন সেন্সের কতটুকু অভাব থাকলে কোন পুরুষ এমনটা করে অামি দেখতে চাই।অামি অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়লাম মেয়েটার প্রতি।এমন অনেক সময় পার হয়েছে অামি মেয়েটাকে দেখার জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়েছি।কলেজ কামাই করেছি।প্রাইভেট মিস দিয়েছি।
মেয়েটা দোকানে ঢুকার সময় প্রতিবার অামার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়।অাগে বোরকা পড়ত না এখন বোরকা পড়ে।শুধু চোখ দুটো দেখা যায়।কি জানি অামি কখন কুনজরে দেখলাম তাকে।তারপর একদিন মেয়েটা রহিম চাচার কাছে পাঁচশ টাকা ধার চাইল।কিন্তু রহিম চাচা দিতে অসমর্থ হল।অার কারন হিসেবে বলল তার হিসেবের জেরে নাকি ৪৫০০টাকা জমেছিল।বাকিতে দোকান চলেনা।কত সহ্য করবে অার।তাই মুখ ফুটে অনেক কথায় বলে ফেলেছে রহিম চাচা।মেয়েটা কষ্ট পেল।অামার কাছে তখন দুটো পাঁচশ টাকার কচকচে নোট ছিল।এবং একটা নোট পকেট থেকে বের করে হাতের মুঠোর মধ্যেও নিয়েছিলাম।ভেবেছিলাম মেয়েটা রহিম চাচার কাছে টাকা না পেয়ে অামার কাছে চাইবে।
তখন তৎক্ষনাৎ অামি তার হাতে টাকাটা দিয়ে দিব।কিন্তু সেটা অার হলনা।মেয়েটা দোকান থেকে সোজা বের হয়ে চলে গেল।
তারপর রহিম চাচা অামাকে বলল- কেন টাকা দিইনি জানো?
বললাম- কেন?
– ও নিজের জন্য চাইলে দিতাম।কিন্তু টাকাটা ও নিজের জন্য চাইনি, চেয়েছে ওই সয়তান জামাইটার জন্য তাই দিইনি।
– ওর জামাই কিসের চাকুরি করে?
– ওসব ছেলেকে চাকুরি কে দিবে।কদিন রাজমিস্ত্রির কাজ করে তারপর মদ,গাঁজা জোয়া খেলে সব উড়িয়ে ফেলে।খুব মারধোর করে মেয়েটাকে।
– ও।
– দেশের বাড়ির মেয়ে।চাচা বলে ডাকে।অামিও নিজের মেয়ের মত দেখি।একটু কড়া গলায় জবাব দিতেই দেখেছ কেমন মুখটা মলিন করে ফেলল।
– হুম দেখলাম।
তারপর অাবার বললাম-
– তাহলে চাচা এত সুন্দর গুনবতী মেয়েকে এরকম একটা খারাপ লোকের সাথে বিয়ে দিল কেন?
– বিয়ে দেয়নি, পালিয়ে এসেছে।অাজকাল যুগের ছেলেমেয়েরা যা করে অারকি।পরে নিজেরাই হতাশ হয়।
এরপর অামি দোকান থেকে বাসায় চলে অাসলাম।রহিম চাচার মুখে এত কথা শুনার পর হঠাৎ মেয়েটার প্রতি মায়া বেড়ে গেল।ইচ্ছে করছিল ওর সব কষ্ট থেকে মুক্ত করে দিই।অার নতুন একটা সুন্দর অাগামী উপহার দিতে।কিন্তু অামি পারলাম না।তার অাগেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল।ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে।সেখানে তিনদিনের মত থেকে অাবার শহরে চলে অাসলাম।
মনটা কেমন জানি করছিল মেয়েটার জন্য।তাড়াহুড়া করে রহিম চাচার দোকানে গেলাম।কিন্তু দোকান বন্ধ।যখন চলে অাসছিলাম তখন রহিম চাচা সামনে পড়ল।বললাম- চাচা দোকান বন্ধ কেন?
– খবর শুননি তুমি?
– কোন খবর?
– অারে.. ফারিয়া অাত্মহত্যা করেছে।।
– কোন ফারিয়া চাচা?
– ওই যে, সেদিন পাঁচশ টাকা চাইল সে মেয়েটা।এইমাত্র তার জানাজার নামাজ পড়ে এলাম।
বলতে বলতে রহিম চাচা কেঁদে ফেলল।অামার চোখের কোণেও পানি জমে গেল।একদম শেষ বেলায় এসে জানতে পেরেছি মেয়েটার নাম- ফারিয়া।