নন্দনকাননের যিনি পুরোধা তিনি হচ্ছেন নন্দিতা।অথচ বাসার ভিতর ঢুকে বসে আছি ঘন্টাখানেক,তার কোন খবরই নেই।প্রিয় বন্ধু সমুদ্রকে জিজ্ঞেস করতেই হু হু করে হেসে উঠল।এমন করে হেসে উঠল কেন,বুঝতে পারলাম না।
-নন্দিতাকে দেখতে চাও,সে তুমি পাবে না।
-কেন?
-সবাই তাকে দেখতে পায় না।
আমার বেশ কৌতুহল হল।মুচকি হেসে বললাম-দেখতে পায় না কেন?
-দেখতে হলে যে তার প্রতি গভীর ভালবাসা থাকতে হয়।
-ভাই,আমি তোমার কথা কিছু বুঝতে পারছি না।
-চোখ বন্ধ কর।
-কেন?
-আরে করই না।
আমি চোখ বন্ধ করলাম।
-মনে মনে ভাব,একজন মেয়েকে তুমি প্রচন্ড ভালবাস।তুমি আর মেয়েটা বসে আছ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বৃক্ষ মনমোহনীর ছায়ায়।প্রচন্ড বাতাস বইছে।মেয়েটার চুল মাঝে মাঝে তোমার উপর আচড়ে পড়ছে।কি পড়ছে?
-হু।
-এবার মেয়েটার নাম বলতো কী?
-নন্দিতা।
-এ কোথায় থাকে?
-নন্দনকাননে।কিন্তু তুমি যাকে ভালবাস সেইতো নন্দিতা।থাকে নন্দনকাননে।এই কি সেই মেয়ে?
সমুদ্র হেসে বলে-না।
-তাহলে?
-প্রত্যেক পুরুষের জীবনে একজন খুব চমৎকার মেয়ে কল্পনায় মিশে থাকে।সেই মেয়ে তার হৃদয়ের যেখানে থাকে তার নাম নন্দনকানন।
-কিছু বুঝতে পারছি না।
সমুদ্র হু হু করে হেসে উঠে।