নেতা এলেন। অনেক অপেক্ষার পরে। নেতা গাড়ি থেকে নামলেন। ধীরে ধীরে হেঁটে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। দুপাশে দাঁড়ানো মেয়েরা ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে দিচ্ছে। সাদা পায়জামা পাঞ্জাবি পরা নেতার উপর ফুলের পাঁপড়ির বৃষ্টি পড়ছে। “স্বাগতম, স্বাগতম, হে মহান অতিথি।”
নেতার মুখে হাসি। নেতার চারপাশে ছোট ছোট অনেক নেতা। তাদের গায়েও ফুলের পাঁপড়ি গিয়ে পড়েছে। তারা খুব সাবধানে হাঁটছেন যেন মাথার চুলে ও গায়ে আটকে থাকা পাঁপড়িগুলো পড়ে না যায়। তাদের মুখেও হাসি। আমাদের সবার মুখে হাসি। এমনকি কলেজের রাগী স্যারও হাসি দিয়ে আছেন। স্যারকে কখনো হাসতে দেখিনি। তিনি হেসে হেসে কথা বলছেন। আমরা পাশের জনকে কুনি মেরে বলছি, দ্যাখ দ্যাখ রাগী স্যার যে ক্যামনে হাসে, দ্যাখ।
নবীণ বরণ অনুষ্ঠান। সারাদিন হবে অনুষ্ঠানটি। আমরা কয়েক দিন ধরে অনেক পরিশ্রম করে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। আমরা খুব বুদ্ধি করে একের পর এক অনুষ্ঠান সাজিয়েছি। আনন্দই আনন্দ।
নেতা দেরিতে এলেন বলে সাজানো অনুষ্ঠান এলোমেলো হয়ে গেলো। আলোচনার পর শুরু হলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সময় কম বলে সবাইকে সময় দেয়া সম্ভব না। একটা হাহাকার পড়ে গেলো।
নেতা জানেন না তিনি অনুষ্ঠানে দেরিতে গেলে কতটা সমস্যা আর কষ্ট হয়।
নেতা হাসিমুখে চলে গেলেন। এলোমেলো কষ্টগুলো যায়নি।