গরিবের কষ্ট

গরিবের কষ্ট

আমাদের সমাজে অনেক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে। কেউবা ধনী,কেউবা মধ্যবিত্ত আর কেউবা নিত্তান্তই গরিব।এই রকম।অনেক শ্রেনীর মানুষ নিয়েই গড়ে ওঠে সমাজ। যাই হোক আসল কথায় আসি এই গল্পটা মুলত নিত্তান্তই গরিব মানুষের প্রতি ধনী মানুষের অত্যাচার, নিপিড়ন ও ধনী গরিবের বৈষম্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সমাজের ধনী মানুষ গুলো গরীব মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। তারা মনে করে গরিব মানুষ হলো অমানুষ পুশু। তারা সবসমায় গরিব মানুষকে হেয়ো চোখে দেখে। গরিবদের অপমান করা তাদের একটা শখ। তারা সবসমায় গরীব মানুষকে শাসিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাত গরিব মানুষ কখনো মাথা তুলে দারাতে না পারে।

গরিব মানুষ দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে কাজ করে। যখন তারা ধনী মানুষের বাড়িতে কাজ করতে যায়। তখন ধনী মানুষের মাথায় অনেক বুদ্ধি আসে যে আজ তাদের অপমান করার একটা সুজোগ এলো। সারাদিন কষ্ট করে কাজ করেও তাদের মন ভরাতে পারে না। একটু কাজের ভুল হলেই অনেক অপমানের শিকার হতে হয়।

সকাল থেকে কষ্ট করে গায়ের ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে দুপুরের নাস্তা খেতে ধনীদের বাড়িতে তখন তাদের মনে অন্য রকম একটা ক্ষোভ আসে যে এসেছে গলা ভর্তি ভাত খেতে। বাড়িতে মাছ মাংস রান্না হলেও কাজের মানুষের পাতে জোটে ডাল আর ভাত। তবু গরিব মানুষ ডাল ভাত খেয়েই আবার কাজে লেগে পরে।

কারন তারা যে গরিব তাদের কষ্ট সহ্য করে কাজ করে সংসার চালাতে হয়। তাদের ওপর ভরসা করেই থাকে তাদের ছেলে মেয়ে যে আজ পেট ভরে ডাল ভাত খেতে পারব। সেজন্য গরীব মানুষ মুখ বুঝে সব কষ্ট সহ্য করে কাজ করে।

রোধের দিনে কাজ করার সমায় অনেক কষ্ট হয় সেজন্য আরামের প্রয়জন হয়, কিন্তু সেই আরাম ধনী ব্যাক্তি সহ্য করতে পারে না। তারা রাগ হয়ে বলে টাকা নেওয়ার সমায় তো কোন দম আরাম বোঝো না। কোন আরাম হবে না অনেক কাজ পড়ে আছে যাও কাজ করো। তখন গরিব মানুষ কিছু না বলেই রোধের মাঝে কাজ করতে থাকে।

সকাল থেকে গরুর মত খাটিয়ে সন্ধা বেলা বলে যাও বাড়ি যাও কাজ তো হলোই না। সারাদিন কাজ করেও তাদের মন ভরাতে পারেনা গরিব মানুষ। কষ্ট করে কাজ শেষে ক্লান্ত শরিল নিয়ে বাড়ি ফিরে গোসল করেই টাকা নিতে যায়।

আমাদের পবিত্র কোরঅান শরিফে বর্নীত আছে যে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার আগেই কাজের মানুষকে তার ন্যায্য মুল্য দিতে হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে সেই কথা মানে না কাজ শেষে টাকা সেই রাতে নিতে হয়।

টাকা নেওয়ার সমায় অনেক কথা শুনতে। গরিব মানুষ সব কষ্ট সহ্য করে টাকা নিয়ে বাজারে গিয়ে খরচ করে তাদের ছেলে মেয়েদের মুখে খাবার তুলে দেয়।

গরিব মানুষের প্রতিটা দিন এভাবেই কাটে। ধনীদের অত্যাচার মেনে নিতে হয়। কারন তারা কাজ না করলে তাদের ছেলে মেয়েদের মুখে ভাত তুলে দিতে পারবে না।

কিন্তু আমাদের উচিত ধনী গরিবের সব ভেদাভেদ ভুলে তাদের মানুষ বলে গন্য করা। কারন তারাও মানুষ তাদের ও জীবন বলে কিছু আছে। তাদের ও ইচ্ছে হয় এক বেলা মাছ মাংস খেতে। কিন্তু আমরা তাদের হেয়ো চোখে দেখি। তাদের অপমান অত্যাচার করে থাকি।

যেদিন এরকম অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হবে সেদিন আমরা সুন্দর একটা সমাজ পাবো। তাহলেই মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরী হবে

সমাপ্ত…

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত