আকাশ স্কুলে যেতে চাইত না বলে খুব মার খেত । প্রায়ই মেরে মেরে স্কুলে পাঠাত । বাবা কাকা ভেবেছিল স্কুলে যেতে যেতে অভ্যাস হয়ে যাবে তখন একদিন নিজেই যাবে । কেন যেতে চাইত না প্রথমে দু একবার জিজ্ঞেস করলে আকাশ ঠিক উত্তর দিতে পারে নাই । পরে এ ব্যাপারটা আর গুরুত্ব পেত না । স্কুলে আর সেভাবে গেলই না ।
একটু বড় হয়ে এদিক ওদিক চলে যেত । কখনও বা দু একদিন পরে বাড়ি ফিরেছে । কোথায় ছিলি কি করছিস কাদের সঙ্গে মিশছিস এ সব প্রশ্ন দু একবার করলেও আকাশ ঠিক বেঠিক ঘুরিয়ে জবাব দিত । তাই এ ব্যাপারটা আর গুরুত্ব পেত না । কেউ জিজ্ঞেস করে নি ভেবে দেখে নি – কেন আকাশ বাড়ি ছেড়ে যায় ?
গাড়ি চালানো শিখে আকাশ এদিক ওদিক চলে যায় । বেশ নেশা ভাঙও শিখেছে । মা বাবা টের পায় । তাই দাদার আগেই বিয়ে দিয়ে দেয় । মনে হয়ে তারপর থেকে আকাশ সুখেই ছিল ।
সংসারী আকাশ আবারও স্রোতে । ছেলে মেয়ে হল । আর মদের ডোজ বাড়ল । বউকে মারধর । কারনে অকারনে থাকে বেশির ভাগ বাইরে । সংসার চালায় বউটা ।
আমার সঙ্গে দেখা । বললাম – এত মদ খাস কেন ?
আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়েছিল আকাশ । নেশার ঘোরেই বলল – কেউ জানতে চায় নি কেন খাই ? কেন স্কুলে যেতে চাইতাম না ? কেন ঘরে থাকতে চাইতাম না ? কেন নেশায় জড়িয়ে যাচ্ছি কেউ জানতে চায় নি ? তুমি আজ জেনে কি করবে? তার চেয়ে দু পেগ মেরে দাও তুমিও ঠিক উত্তর পেয়ে যাবে ?
আমি আর কথা বাড়াই নি ।