ফেলিওর

ফেলিওর

অবীন পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে বাবাকে বুঝিয়ে বলছিল কি কি লিখেছে । সব শুনে বিভান কি সব হিসেব করে বলল – এভাবে এই অথবা বাদ দিয়ে ওই দাগে আবার লিখলে আরো বেশি নম্বর পেতে ।
ব্যাস বিভান গেল দমে । হলে বসে যে ডিশিশন নিল তা ফেলিওর ।

রেজাল্ট এল ক্লাসে ফার্স্ট । মা খুব শিক্ষিত । বলল – নম্বরটাই বড় কথা নয় । কিভাবে আরো ভাল হয় দেখতে হবে ।
বিভান আরো বড় হল । একটা কাজ জুটিয়ে নিল । সেখানে বড় দায়িত্ব । ডিসিশন নিতেই হয় । তাতে সাফল্যটুকু সবাই ভাগ করে নেয় । কিন্তু ফেলিওর পুরোটাই বিভানের ঘাড়ে এসে পড়ে । তাতে পুরো সিস্টেমে কিন্তু উদ্যমের অভাব নেই । এগিয়েও চলেছে ।
সংসারী বিভান যা ডিসিশন নেয় বা পরামর্শ দেয় তাতে সংসারে প্রত্যক্ষ ফল মেলে কিংবা মেলে না । বিভান কোন কৃতিত্ব আশা করে না শুধু সুন্দর চলা সংসারে সবার মত সুখ শান্তি আশা করে ।

তাতেও মাঝে মাঝে অসুখ অশান্তি বাসা বাঁধলে নিজের ফেলিওর ভাবনা খুব মনে পড়ে যায় ।
কত রকমভাবে কত বাঁচা । চিত্র বিচিত্র ।

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত