গ্রামের ভায়রাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হাটের ভিড়ে দাঁড়িয়ে পরিচিত কাউকে খুঁজছিলেন এক ভদ্রলোক। হঠাৎ উদয় হলো সুন্দর চেহারার এক যুবক। লম্বা সালাম দিয়ে এমন আপন ভঙ্গিতে সে কথা বলতে লাগলো, যেন অনেক দিনের চেনা।
ভদ্রলোক কিছুটা বিব্রত হয়েই জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে বাপু? তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না। সে বললো, চিনলেন না খালু? আমি তো আপনার ভাগ্নে। আপনি আমার খালু হন। ভদ্রলোক ভাবলেন, ভায়রার গ্রাম যেহেতু, হবে বোধহয় ভাগ্নে-টাগ্নে।
এর মধ্যে ছেলেটি বললো, আমি থাকতে আপনি কেন কষ্ট করে ছাতা ধরছেন খালু? আমাকে দিন, আমি ধরছি। ভদ্রলোক ভাবলেন, আহা! ছেলেটা বড় ভালো! মুরুব্বীদের খেদমত করতে জানে! সরল মনে ছাতাটা দিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখেন, ছেলেটি নেই। অনেকক্ষণ দাঁড়ালেন। তা-ও দেখা নেই। এখন খুঁজবেন যে, সে উপায়ও তো নেই। নামধাম কিছু জিজ্ঞেস করেন নি। শেষমেশ হাটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে চেঁচাতে লাগলেন, আমি কার খালু রে! আমি কার খালু রে! কিন্তু ভাগ্নে পরিচয়ের সেই প্রতারক তো ততক্ষণে পগার পার!