এক ফোঁটা সুখ

এক ফোঁটা সুখ

চৈত্র প্রায় যাই যাই করছে। আর ক’দিন পরেই পয়লা বৈশাখ। এ সময় ধরিত্রীর বেশ এক প্রস্ত কেনাকাটা থাকে। বাবার জন্য একটা হাফ পাঞ্জাবি, মায়ের জন্য গরমে পরার মতো হালকা ফুলকা শাড়ি, বোনের মেয়েটার জন্য জামা। এদিকে নিখিলের ভাইয়ের ছেলেটার জন্য টিশার্ট। জায়ের জন্য শাড়ি। আসন্ন গ্রীষ্মের জন্য সে এক সাজ সাজ রব। নিজের জন্য নাইটি আর শাড়ি। নিখিলের জন্য গোটা কতক হাফ পাঞ্জাবি। এগুলো পরে বাজার করতে যাবে, ক্লাবে যাবে। গ্রীষ্ম যেমন আসার আগেই গাছ ভরে ফল পাকুড়ের আয়োজন করে, ধরিত্রী ঠিক তেমন করে জামা-কাপড়ে তৈরি থাকে।

এ সময় প্রতিদিন নিয়ম করে নিখিলকে রাত্রিবেলা নতুন কেনা জিনিসগুলো দেখতে হয়। সেইসঙ্গে বলতে হয়, ‘খুব সস্তায় পেয়েছ!’ জিনিসগুলো দেখাতে দেখাতে ধরিত্রী নিখিলের মুখের আলো আঁধার খোঁজার চেষ্টা করে। ভাষা পড়ে। তাই নিখিলকে বোঝা না-বোঝার বাইরে গিয়ে বলতেই হবে, ‘দারুণ! লাভ করেছ!’

ধরিত্রী কোনও কিছুতেই ঠকে না। ঠকতে সে জানে না। নিখিল মাঝেসাঝে বলার চেষ্টা করেছে, ‘হ্যাঁ গো এতখানি রাস্তা গাড়ির তেল পুড়িয়ে ড্রাইভারকে ঘণ্টা গুনে টাকা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে?’

ধরিত্রীর সোজাসাপটা হিসেব, ‘রোজ তো যাচ্ছি না, যেদিন মিমির পড়া থাকে, ওকে দিয়ে কী করব, যাই একটু গড়িয়াহাটে—।’

ঠিক কথা। নিখিল চুপ করে যায়। হিসেব পাক্কা! বরং উলটে ধরিত্রী বলে, ‘শোনো তোমার আর দু’ হাজারের নোট নিয়ে বাজারের দোকানে দোকানে দৌড়তে হবে না। পেট্রল পাম্পে একহাজার টাকার তেল নিয়েছি। আর তিনটে দু’ হাজারের নোট ভাঙিয়ে এনেছি।’

নিখিল চমৎকৃত হয়। বাহ্‌!

ধরিত্রী গলা ঠেলে তোলে, ‘আমি পরিষ্কার বলেছি, দেখুন দাদা টাকা না খুচরো করে দিলে তেল নেব না। তবে লোকটা ভালো।’ ধরিত্রীর কাছে সবাই ভালো! ওর এই গুণটা আমার খুব ভালো লাগে। সত্যি সত্যি আমার কাছে যারা বেশ সমস্যাসংকুল, ওর কাছে তারাই কেমন গলে জল!

তবে মাঝে সাঝে কোনও কিছু জিনিস কিনে নিয়ে এসে ও বোঝে ডাহা ঠকে গেছে। তখন সে জিনিস নয় টাকাকে তুচ্ছ করে। ঠোঁট বেঁকিয়ে বলে, ‘ছাড়ো তো দেড়শো টাকার কোনও দাম আছে, একটু লাল-ফোঁড় কে দেখতে যাচ্ছে বাবা? তুমি তো আর এ পাঞ্জাবি পরে তবলা বাজাতে যাচ্ছ না, যাবে তো ক্লাবে।’

নিখিল সায় দেয়।

নিখিল এ এলাকার নাম করা তবলিয়া। যে-কোনও অনুষ্ঠানে নতুন পুরনো সব গায়ক-গায়িকার সঙ্গেই সে বোল ফুটিয়েছে। তবে সে শখের তবলিয়া। তবলাকে সেভাবে পেশা করেনি, করলে খুবই নাম করত বলে এলাকার লোকের বিশ্বাস। কোনও এক ফাংশানে, কোনও এক বিখ্যাত তবলিয়া নাকি কবে নিখিলের পিঠ চাপড়ে বলেছিল, ‘বাহ্‌!’ কবে বলেছিল, কে বলেছিল, নিখিল জানে না। এলাকার লোকে বলে। নিখিল মিটিমিটি হাসে।
ব্যাংক চাকুরে নিখিল দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে সারা শীতকালভর এ প্যান্ডেলে ও প্যান্ডেলে বাজিয়ে চলে। মাঝে কিছুদিন ফাঁকা, তারপরই এসো হে বৈশাখ—নিখিলের ডাক আসে।

এগুলো সব শখের। আনন্দের। ভালোবাসার। নিখিলের এই শখ নিয়ে ধরিত্রী কখনও টানা-হেঁচড়া করে না। বরং সে এসো নব নব রূপের মতো নিখিলকে সে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে।

রাস্তায় বেরুলেই নিখিলকে এত লোক ডাকে, ডেকে ডেকে কথা বলে—ধরিত্রীর এটা খুব ভালো লাগে। তবে ভালো লাগে বলে সে গা ভাসিয়ে দেয় না। তার কান খুব তীক্ষ্ণ, তার চোখ খুব স্বচ্ছ। একটু এতোল বেতোল দেখলেই সে আড়াল থেকে লাগাম টেনে ধরে। মিমির বয়েসি মেয়েগুলো বা তাদের মা-বাবা যখন এসে নিখিলকে বাজানোর জন্য বলে ধরিত্রী তাতে একদমই আপত্তি করে না। কিন্তু আধদামড়ি কেউ স্টেজে উঠে প্যাঁ প্যাঁ করবে, আর নিখিল তার জন্যে জান কবুল করে বাজিয়ে যাবে, এটা ধরিত্রী হতে দেবে না। তার পরিষ্কার কথা—দেখো ওদের কিছু হবে না। ওরা সব ঢলানে মেয়েমানুষ! গান বাজনা সাধনার জিনিস, যার তার সঙ্গে এটা শেয়ার কোরো না।

নিখিল বোঝে ধরিত্রীর আপত্তি, সে-ও ঠিক কায়দা করে কাটিয়ে দেয়। কী দরকার অহেতুক গোলমালে! সংসারে শান্ত থেকে শান্তি রাখতে হয়।

ধরিত্রীর এই ‘যার তার’ শব্দটা মারাত্মক। এই শব্দটার তল এখনও পর্যন্ত নিখিল পায়নি। নিখিল সারা বছরে দু’ দশবার মদ্যপান করে। প্রতিবারই ধরিত্রী তাকে বলে—যার তার সঙ্গে বসে গেলেই হল? ধরিত্রী মদ নিয়ে কোনও আপত্তি করেনি, করেছে ‘যার তার’ নিয়ে।

অবশ্য এই ‘যার তার’ ব্যাপারটা অনেকদিন আগে থেকেই নিখিল নাকি ঘটিয়ে বসে আছে। ‘যার তার’ সঙ্গে প্রেম করে।

প্রথম যেটা ঘটে সেটা বেশ সুন্দর গানের গলার একটি মেয়ে। তার নাম মৌসুমী। মৌসুমী তখন এলাকা দখল করে সন্ধ্যা-কণ্ঠী হয়েছে। সব আসরে সুন্দর করে সেজে চুলে বেল জুঁয়ের মালা দিয়ে মঞ্চ আলো করছে। ঠিক সেই সময় নিখিলের সঙ্গে তার প্রেম। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, গায়িকার সঙ্গে তবলিয়ার, মাস্টারের সঙ্গে ছাত্রীর, ডাক্তারের সঙ্গে নার্সের প্রেম হতেই পারে। এখানে যার তার কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু ধরিত্রী বিয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অসংখ্যবার শুনিয়েছে, যার তার সঙ্গে প্রেম করলেই হল?

নিখিল বুঝতে পারে না—এখানে ‘যার তার’টা কে? মৌসুমী, না নিখিল?

নিখিলের সেই প্রেমটা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। টেকেনি কারণ, মৌসুমীর খুব উচ্চাশা। সে নিখিলকে ছেড়ে একটা বড় ডাল ধরেছিল। মৌসুমীর এই ব্যাপারটায় নিখিলের প্রথমে খুব রাগ হয়েছিল, তারপর নিজেকে বুঝ দিয়ে বলেছিল—এটাই স্বাভাবিক।
এই সময়টা নিখিল বিরহী তবলিয়া!

গানে-সুরে, বাঁশিতে, তারের বাজনায় বিরহ ফুটিয়ে তোলা যায়। ঢোল তবলায় বিরহ বোঝানো যায় না। তাই কেউ বোঝেনি নিখিল তবলার বোলে কেঁদেছে। তবে রেগে দু’দুবার সে স্টেজে তবলা ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। মৌসুমীও ফেঁসে গিয়েছিল, বড় ডালে কাঁটা ছিল, সে বোঝেনি। শেষমেশ সে গান-টান ছেড়ে দিয়ে একটা প্রাইমারি স্কুল মাস্টারকে বিয়ে করেছে। এটা জেনে মৌসুমীর জন্য খুব কষ্ট হয়েছিল। বার বার তার মনে হত—প্রতিভার মৃত্যু!
সে আবারও প্রেম পড়ে বন্ধুর বোনের। সে অত গান তবলা বোঝে না। সে নাচ বোঝে। নিখিল বাজাত—সে নাচত। তার ডাক নাম ছিল নূপুর! নূপুর নিখিলকে দেখেছিল—নিখিল কেমন স্টেজের ভুবন আলো করে। নূপুরের খুব ইচ্ছে ছিল স্টেজে পারফর্ম করবে। কিন্তু তার ব্যবসায়ী বাবার পরিষ্কার কথা, বাড়িতে তবলচি রেখেছি, একদিনের জায়গায় তিনদিন আসতে বলব, যত খুশি ধেই ধেই করো, স্টেজে উঠে জোয়ান মদ্দদের সামনে নাচন কোঁদন চলবে না।

নিখিল একবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নূপুরের বাবাকে বোঝাতে গিয়েছিল। একেই বলে প্রেম! নূপুরের বাবা বুঝেছিল—গতিক সুবিধের নয়! এই ব্যাটাই তার মেয়েকে ফুসলাচ্ছে! স্টেজের দিকে টানছে। মেয়েটাকে বাইরের লোকের সিটি খাওয়াবে! মেয়ের নাচ দেখে কেউ সিটি দেবে—এ সহ্য করা যাবে না।

তিনি নিখিলকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়ালেন! বললেন, তুমি তবলচি নয়, ব্যাঙাচি! ব্যাঙাচির ডানা গজাচ্ছে!
সে সময় নিখিলকে অনেকে আড়ালে ব্যাঙাচি বলে ডাকত। কিন্তু সেই ব্যাঙাচি যে সত্যি সত্যি ব্যাংকে চাকরি জুটিয়ে ফেলবে এটা কেউ স্বপ্নে ভাবেনি। ব্যাঙাচি থেকে নিখিল ব্যাংক হল!

মৌসুমীর কাছে খবর যেতে—সে হা হুতাশ করেছিল—নিখিল বড্ড ভালো ছিল। ও পাশে থাকলে আমার গান মান দুটোই হত।
নূপুরের ব্যবসায়ী বাবার কাছে খবর যেতে, তিনি গম্ভীর হয়েছিলেন। পুরো ঘটনাটা লোকাল। তাই সবকিছু সবাই জানত।

এই পর্বে এন্ট্রি নিল ধরিত্রী। প্রেমপর্বে কোনওদিন ট্যাঁ ফোঁ করেনি। চুপচাপই ছিল। কিন্তু ফুলশয্যার রাতেই সে নিখিলকে শুনিয়ে দিয়েছে। আমি থার্ড হ্যান্ড বর পেয়েছি, মৌসুমীদির কাছ থেকে তোমার পুরো রিপোর্ট কার্ড নিয়ে তবে প্রেম করেছি। আর নূপুর সাহার বাবা যে তোমাকে ব্যাঙাচি বলেছে সেকথাও আমি জানি।
সে রাতেই নিখিলের তবলা ধরিত্রী ফাঁসিয়ে ঘরে ঢুকেছে। ঘরে ঢোকেনি রাজত্ব করছে। বার দুয়েক মৌসুমীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হলে, ধরিত্রী তাকে দিদি বলে ডেকে তার বরের খোঁজখবর দিয়ে, তার খোঁজখবর নিয়ে এসে নিখিলকে দিয়েছে। ইদানীং নূপুরের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে, নূপুরের খোঁজখবর নিয়েছে। ভালো আছে। স্বামী-পুত্র নিয়ে সুখে ঘরকন্না করছে।

নিখিলরাও ভালো আছে। আর আলাদা করে বললে, নিখিল আছে। ভালোই আছে। খারাপ কিছু না। ধরিত্রী বেশ যত্নে রেখেছে। এই বয়েসে এসে নিখিল আরও যেন খোলতাই হয়েছে। রঙবেরঙের পাঞ্জাবি পরে যখন তবলায় চাঁটি মারে, ধরিত্রী কচি কন্যেটি হয়ে ভেতর ভেতর মূর্ছা যায়। স্টেজ থেকে নামার পর অনেকে যখন বলে, নিখিলদা আপনি এক্কেবারের আগের মতোই আছেন। নিখিল তখন দু’ হাতের চার চার আট আঙুলের ওপর দু’ দুটো বুড়ো আঙুল ঘষে। কোথায় তাল কেটে গেল হিসেব করে। স্টেজে ওঠার আগে প্রতিটি গায়ক গায়িকাকে নিখিল শর্ত দিয়ে রাখে, গানের এক ফাঁকে নিখিল সোলো করবে। একাই স্টেজ ফাটাবে। একাই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড দখল নেবে। নইলে সে কেন বাজাবে?

তাই স্টেজ ছাড়ার পর কেউ যখন বলে—‘একদম আগের মতো আছেন!’ নিখিল তখন তার হাতের আঙুল, দু হাতের তালুকে আদর করে। তালে বোলে ভাসে!
ধরিত্রী ঠিক এ কথাটা বোঝে না। দুম করে বলে বসে—পাঞ্জাবিটা আমিই পছন্দ করে কিনে দিয়েছি।
নিখিল চোখ বন্ধ করে—কানে পর্দায়, হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানিতে তাল ঠোকে!
বাড়ি ফিরে ধরিত্রী আয়নার সামনে দাঁড়ায়— সে যেন নিখিলের থেকে বড্ড বেশি বুড়িয়ে গেছে। তার সংসারের এত কাজ—নিখিল তো স্টেজে ওঠে। তবু ফেসবুকে যেসব ছবি পোস্ট করে—লাইক তো কম আসে না। ইদানীং ধরিত্রী ফেসবুকে মৌসুমীকে খোঁজে, নূপুরকে খোঁজে— কে কেমন হল দেখবে!
সেদিন রাতে ধরিত্রীর উচ্ছ্বাসে ভরা গলা— দেখো দেখো। কী দেখবে নিখিল? ধরিত্রীর বাবার জন্য কেনা হাফ পাঞ্জাবি, নাকি মায়ের জন্য গরমের হালকা ফুলকা শাড়ি? অথবা বোনের মেয়েটার ফুল ফুল কুল কুল জামা, না নিখিলের ভাইয়ের ছেলেটার হি-ম্যান টিশার্ট?
কী দেখবে নিখিল?

নিখিল ভেতরে ব্যাজার বাইরে শান্ত থেকে বলে—দেখাও!
ধরিত্রী মোবাইল নিয়ে এগিয়ে আসে, বলে দেখো, তোমার প্রেম দেখো। নিখিল দেখে, মোবাইলের স্ক্রিনে চেনা চেনা একটা মুখ। শীর্ণ, ভগ্ন, জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত একটা মেয়ে। মৌসুমী! নিখিল তাকে ঠিক চিনেছে। ভাঙা গাল, বসা চোখ।

ধরিত্রী ঠোঁট বেঁকায়—ইস কী অবস্থা হয়েছে গো? হবে না—! ধরিত্রী লম্বা একটা টান দেয়।
নিখিল ছবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সে আর দেখতে চায় না। সে চুপ করে বসে মন দিয়ে ধরিত্রীকে দেখে। ধরিত্রীর মুখে এলইডির সাদা আলো যেন ঠিকরে উঠেছে। কী সুখ!
—যার তার সঙ্গে ছিঃ ছিঃ! ধরিত্রীর ঠোঁটে কী সুখ উপছে পড়ে!

তারপর নিজের জন্য কেনা শাড়িগুলো একটার পর একটা গায়ে ফেলে ধরিত্রী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গুনগুন করে গান করে। আজ তার বড় সুখ। সে ঠকেনি। সে অনেক অনেক লাভ করেছে। নিখিল স্থির চোখে ধরিত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকে।

অবোধ মেয়েমানুষ আমি তোমাকে যেমন বুঝি না, তেমন তুমি কি আমাকে বোঝো? আমি পারি, তোমার সব শাড়ি এখুনি দুমড়ে মুচড়ে দিতে। এখুনি ওই শাড়িগুলো সব সব তুমি গায়ে ফেলে ফেলে ঠকে যেতে। একটাও তোমাকে মানাত না। এখুনি সব শাড়ি বিচ্ছিরি হয়ে যেত। আমি যদি এখন তোমার হাতের মোবাইলটা এক মুহূর্তের জন্য নিয়ে নূপুর নয়, নূপুরের ভালো নামের জয়শ্রীকে প্রোফাইলটা খুলে ধরতাম তোমার মুখের সামনে— তুমি দেখতে আমার সেই নূপুর কেমন রূপে লাবণ্যে ভরপুর হয়ে জয়শ্রী সেজে ডগমগ করছে! ঝলসে যাচ্ছে! চমক দিচ্ছে!

না, নিখিল তা করবে না। ধরিত্রীর এইটুকু সুখ সে কেন কেড়ে নেবে? ধরিত্রীকে তো সে ভালোবাসে। এবং সব ভালোবাসাই তো তার, এক একটা সময়ের মাইল ফলক হয়ে, কোনওটাই ফেলনা নয়!

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত