: আম্মু মেয়েটাকে দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছে। কি ছিল আর কি হল।
: থাক এটা আবার বাসায় তোর নানুর সামনে বলিস না। তাহলে উনি আরও বেশি টেনশন করবে।
নিঝুম বাসে আর কোনো কথা বলেনি।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে পড়ারর টেবিলে বসে।কিন্তূ কিছুতেই মন বসছে না।মনের ভিতর এক্টাই কথা ইসস যদি মেয়েটাকে সব বাধা ফেলে আমার কাছে এনে রাখতে পারতাম।আবার উঠে যায় ওর আপুর রুমে।
: আপুরে তুইতো দেখিস নাই।কি সুন্দর বাচ্চা এতোদিনে কত বড় হওয়ার কথা আর এখন আরো বেশি শুকিয়ে গেল।দেখতে পুরা বস্তির অপুষ্টিতে ভোগা বাচ্চাদের মতো।এখন এক্টুও মায়া লাগে না।
: তুই কি ভুলে গেছিস একদিন যে উনি বলেছিল।”আন্টি একদিন বিকালে আমি ঘুমিয়ে গেছি জেগে মুমুকে খুজতেছি পরে দেখি ও মেঝেতে ঘুমিয়ে আছে।”উনি যখন হাসতে হাসতে কথাটা বলছিল আমার রাগ হচ্ছিল।একটা ১ বছরের বাচ্চা ১-২ ঘণ্টা ঠাণ্ডা মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকলে কি ও সুস্থ থাকবে।আর ঠিক ওর ঠাণ্ডা লেগে টান উঠে গিয়েছিল।
: আমার ভাল।লাগছে না।
নিঝুম চলে আসে আবার। চলতে পিরতে নিঝুম যখন রাস্তার অসহায় শিশুদের দেখে মনে মনে আল্লাহরর কাছে এক্টাই দোয়া করে তাদের যেন ভাল অবস্থা দেয়।এ ছাড়া আর কি করার আছে।
নিঝুম: আচ্ছা আমি, আমিওতো অবহেলায় মানুষ হয়েছি।সব ছিল কিন্তু ভালবাসা জিনিসটা ছিল।থাকলে কিওরা একটা নবজাতক শিশুকে এবাবে ময়লা,,,,থাক আর মনে করতে চাই না।হয়ত নিজের অবহেলা নিজের চোখে দেখিনি তাই এতটা খারাপ লাগে না।কিন্তু আজ কাছের, আপনজন একটা বাচ্চাকে অবহেলায় দেখে কিছুতেই স হ্য হচ্ছে না। কিন্তু এখনতো সব অবহেলা এই চোখ দিয়ে দেখেই যাচ্ছি। কই এখনত কষ্টও লাগে না।নিজেকে নিজের মত করে সাজানোর চেষ্টা করি।কারও কাছথেকে কিছু পাওয়ার আশা মুছে ফেলেছি। অবহেলায় যার জন্ম,অবহেলায় যার বেড়ে উঠা,তার আবার ভালবাসা পাওয়ার আাকাক্ষা থাকে?? কখন যে সেই শব্দটা ভুলে যায় সে হয়তো নিজেও জানে না।
বই সামনে নিঝুম চিন্তায় ডুবে গেল।চিন্তার জগত থেকে বের হয়ে আবারও মনে পরল চারপাশে এর চেয়েও খারাপ খারাপ ঘটনা গুল।বাবা মায়ের বিচ্ছেদ এর পর জন্ম নেওয়া শিশুকে জন্মের পরই মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়াই শিশুর মৃত্যু।
আরো অনেক অনেক ঘটনা।না নিঝুমএর এগুলা বলার সাহস নেই।বাচ্চাদের প্রতি ও এমনিতেই দুর্বল।
নিঝুম : আচ্ছা সমাজটা এমন কেন??পৃথিবির সব বাচ্চারাই কিউট।কিন্তু এই কিউটরা যখন অযত্নে, অবহেলায়য় বড় হয় সহ্য করা যায়।বাবা মায়ের বিচ্ছেদ এর অভিশাপ কেন এই অবুঝ শিশুরা বহন করবে। যে বয়সে মায়ের স্নেহে,বাবার আদরে ডুবে থাকার কথা সেই বয়সে কেন সে অন্নের ধারে ধারে ঘুরবে, ভালবাসার বদলে সবার বাজে বাজে কথা শুনবে।হুম অই অবুঝ শিশুটি আজ হয়তো কিছুই বুঝে না।কিন্তু একদিন হয়ত আমার মতই সে সব বুঝে নিয়ে জিবনের হিসাব মেলাবে।হাহাহা এই হিসাব কখনই মিলবে না।
আসলে আমরা বিয়ের পর অল্প সময়ে অনেক কিছু চাই,কিন্তু বেশি সময় নিয়ে একজন আরেক জনকে বুঝতেই চাই না।
আর ফলাফল : ডিভোর্স।
ফলাফল ভোগকারী : অবুঝ শিশুরা।