টি শার্ট টা গায়ে দিয়ে প্রতিদিনের মতো আজো বেড়িয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে ।ছোট একটা টিউশনি করি ।
উদ্দশ্য ছাত্রীর বাড়ি যাওয়া তবে খুব একটা দুরে না ছাত্রীর বাড়ি টা ।।
,
রিক্সায় যেতে পাঁচ টাকা লাগে ।কিন্তু মানিব্যাগের স্বার্স্থ্য টা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ।।
,
ডাইরিয়া হলে একটা মানুষ যেমন শুকিয়ে দুর্বল হয়ে যায় তেমনি মানিব্যাগ টাও তাই হয়েছে ।ভাবছি ছোট একটা স্যালাইন দিতে হবে মানিব্যাগের ।
এতে স্বার্স্থ্য যদি মানিব্যাগের ঠিক হয় ।।
,
লম্বা পায়ে হাঁটা শুরু করে দিলাম ।একা একা হেঁটে যাওয়ার ভেতর আলাদা একটা আনন্দ অনুভব করা যায় ।।
,
অনেক কিছু চিন্তা করা যায় ।অসম্ভব কিছু সম্ভব করার শক্তি ও পাওয়া যায় কিন্তু সেটা শুধু চিন্তার মাঝেই প্রযোজ্য ।বাহিরে সেটার মূল্য শূন্য ।।
,
যত সব অদ্ভুদ চিন্তা ভাবনা করতে করতে পৌছে গেলাম ছাত্রীর বাড়ি ।
কলিং বেল চাপ দিতেই মিম হাসি মুখে দরজা খুলে দিল ।আজ অনেকটা সুন্দর লাগছে মিম কে ।
,
সব কিছুর পিছনে কিছু কারন থাকে ।হাসির কারন টা ঠিক বুঝতে পারছি না ।মানুষ কারন ছাড়া কখনো হাসতে পারে না ।।
,
নিশ্চয় হাসির পিছনে কোন কারন আছে ।কিন্তু কারন খুঁজে বের করার জন্য আমার বিন্দু মাত্র তাড়া নেই ।
সময় হলে এমনিতেই কারন টা বের হয়ে আসবে ।।
,
পড়ানোর মধ্যে হঠাত্ করে মিম কথা বলতে শুরু করলোঃ
__ভাইয়া, একটা কথা বলি !!
,
ভাইয়া !! আগে তো আমাকে স্যার বলে ডাকতো কিন্তু আজ ভাইয়া বলছে চিন্তার বিষয় ভাবতে লাগলাম ।।
,
তবুও মাথা টা নেড়ে কথা বলার সন্মতি দিলাম ।
__ভাইয়া আপনি পড়াতে আসলে আপনার তো কখনো ফোন আসে না !!
,
__কেন ! তোমাকে পড়াতে আসলে কি ফোন আসতে হবে ! পাল্টা আমি একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম ।।
,
__না , মানে ভাইয়া আগে যে স্যার আমাকে পড়াতে আসতো , তার মাঝে মাঝে ফোন আসতো ।
কিন্তু আপনার তো ফোন আসে না তাই আরকি জানতে চাইলাম !!
,
__ও…..! তুমি স্যার বলা থেকে ভাইয়া বলে ডাকা শুরু করলে কবে থেকে মিম !!
,
__আসলে “ভাইয়া” স্যার শব্দ টি অনেক বৃদ্ধ মনে হয় আমার কাছে ।আর আপনি তো বৃদ্ধ ও না ।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে আপনাকে ভাইয়া বলে ডাকবো ।কথাটা বলে আলতো একটা হাসি দিল মিম ।।
,
কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না ।অনেক টা চুপ হয়েই বসে আছি ।এমতো অবস্থায় মিম আবার বলতে শুরু করলোঃ
__আচ্ছা ভাইয়া রাতে আপনার ফোন অফ থাকে কেন ??
না তখন আর চুপ থাকতে পারিনি আমি ।একটু রাগের স্বরেই বললামঃ
__তুমি রাতে ঘুমাও নাকি কার ফোন অফ না অন সেটা দেখ ! কোনটা !!
মাথাটা একটু নিচু করেই বলতে থাকলোঃ
__না মানে রাতে একটু অংকে সমস্যা হয়েছিল ।ভেবে ছিলাম ফোন দিয়ে একটু সমাধান করে নেই ।তাই ফোন দিয়ে ছিলাম ।।
,
ধপ করে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটা দিলাম মিমের রুম থেকে ।মেয়েটা বাহানা শিখেছে ভালই ।এড়িয়ে যেতে পারে যেকোন বিষয় থেকে ।।
,
হাসির কারন টা খুঁজে বের করতে পেরেছি ।কিন্তু হাসির কারন টা আমি হয়ে থাকতে চাই ।।
,
রনির দোকান থেকে দুই টাকা বাকি রেখে চার টাকা দিয়ে একটা সিগারেট কিনেছি ।নদীর পাড়ে এসে দাঁড়িয়েছি অনেক ক্ষন ।
সিগারেটের সাদা ধোঁয়া উড়িয়ে দিয়েছি নীল অকাশে ।।
,
ভেবেছি টিউশনি টা ছেড়ে দেব ।কারন টা একটু ভিন্ন ।বেশি কেয়ার পছন্দ না আমার ।
যে ছেলে দুই টাকা বাকি রেখে চার টাকা দিয়ে সিগারেট কিনে ।তার জন্য এতো কিছু বরাদ্দ হলে চলে না ।।
,
কিছু কিছু সময় ভুলে যাই আমি সামন্য একজন পথিক ।
যাদের কাজ হচ্ছে চলার পথে দুর থেকে কিছু দেখা কাছে গিয়ে স্পর্স না করা, শুধুই দেখে যাওয়া ।