এক দেশে এক রাজা ছিল। রাজার ছিল এক হাজার বিঘা জমি এবং একটি টিয়া পাখি ছিল। টিয়া পাখিটি কথা বলতো। জমির ধান দিয়ে অনেক টাকা হতো রাজার।
একদিন রাজা সাত বছর বেরাতে যাবে। তাই তার টিয়া পাখিকে রাজা বানিয়ে দিলো তাদের রাজা। এবং রাজা সাত বছর বেরাতে গেলো। টিয়া পাখি ছয় বছর ঠিক ভাবেই চলালো। যেই বছর রাজা আসবে সেই বছর সে তাদের সেনাপতিদের বললো সব গুলো ধানে আগুন লেগে দিতে। সেনাপতিরা টিয়া পাখিকে বললো আপনি কি বলতেছেন বোকার মতো। টিয়া পাখি বললো আমি রাজা নয়। আমি যা বলতেছি তাই করো। সেনাপতিরা গিয়ে সব গুলো ধানে আগুন ধরে দিলো। এবং খর গুলো ছাই হলো এবং ধান গুলো পট পট করে খই ফুটলো। এবং কোথা থেকে যি এক ঝাক কাক এসে খই খাই আর হাগে।
দশ দিন ধরে যখন খাওয়া শেষ হলো তখন টিয়া পাখি সেনাপতিদের বললো যাও। গোলা ভরে ছাই আর কাকের গু গুলো তোলো। সেনাপতি তার হুকুমে সেটাই করলো। পরের দিন তাদের রাজা আসবে।
পরের দিন রাজা আসার সাথে সাথে সেনাপতিরা বললো রাজা মশাই আপনার টিয়া পাখি সরবোনাস করে ফেলেছে। রাজা বললো কি করেছে টিয়া পাখি। তারা তখন সব ঘটনা খুলে বললো। তখন রাজা বললো ধরে নিয়ে এসো টিয়া পাখিকে। তখন সেনাপতিরা নিয়ে আসলো পাখিকে এবং রাজা এক টানে পাখিকে গলা ছিরে দুই টুকরো করে। এবং রাজা বললো সব গুলো ছাই বাহির করো। তারা বাহির করার সাথে সাথে সোনার দলা পরে। সবাই দেখে অবাক। রাজা বললো ধানের চেয়েতো সোনারই দাম বেশি। আর তখন থেকে রাজার আর সুখ হয়না। রাজা তার আগের টিয়া পাখি চায় আর কাঁদে।