শরীফ গ্রামে বাস করে। সে কোনো সময় ঢাকার শহর যায়নি। তার অনেক ইচ্ছা সে ঢাকা যাবে। ঢাকা না জানি কতইনা সুন্দর। শরীফের মামা ঢাকায় বসবাস করে। শরীফ তার মামার কাছে আবদার করলো,,, মামা আমি ঢাকা যাবো। আমার ঢাকা যাওয়াএ অনেক ইচ্ছা। আরো অনেক কিছু…….
শরিফের কথায় শরীফের মামা রাজি হলো। তার মামা বললো কবে আসবা তারিখ ঠিক করতে। তো শরীফ একটি নির্ধারিত তারিখ ঠিক করলো। শরীফেরতো আনন্দের আর শেষ নেই,,, শরীফ ঢাকা যাবে। ঠিক নির্ধারিত তারিখে শরীফ ঢাকা এসে পৌঁছে। তার মামার বাসায়। এখন তার মামা তাকে আগামিকাল পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাবে। শরীফ আর শরীফের মামা এবং তার মামার দুই-তিনজন বন্ধু নিয়ে ঘুরতে বাহির হলো। এবং তারা পার্কে পৌঁছালো। তারা সবাই বিভিন্ন জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখছে……
তারা সবাই অনেক আনন্দ করতেছে। শরীফের মামা এবং মামার বন্ধুরা মিলে কোনো এক বিষয় নিয়ে কথা বলতেছে। এদিকে একা একা ঘুরে ঘুরে দেখছে। হঠাৎ দেখত্তেছে যে, একটি সুন্দরী মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে মিস্টি হাসছে এবং বাই বাই বলে হাত টাটা দিয়ে চলে গেছে। এদিকে শরীফতো এক নজরে তাকিয়ে রয়েছে,,,,
এখন তার মামারা সবাই চলে যাবে। তাকে তার মামা ডাক দিয়ে এনে সবাই একসাথে চলে এসেছে বাসায়। এদিকেতো শরীফ ঐ মেয়েটির কথা ভাবতে থাকে। এ কি দেখেছি আমি। শরীফ মেয়েটিকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে শরীফ অন্য এক জগতে চলে গেছে। মেয়েটির এমন দেখে তার রাত্রের ঘুমও আসেনা। শরীফ মনে মনে ভাবে আর কি লাগে তাকে পাইলে। এমন করতে তিন-চারদিন যাওয়ার পর সে তার মামার কাছে বলে বাহির হয়। মামা আমি একটু আসি। সে আসলে ঐ পার্কে মেয়েটিকে খুঁজতে যায়। কিন্তু পার্কে মেয়েটিকে পায়নি। এমন করে চার পাঁচদিন যেতে থাকে একদিনও দেখা পায় না। এবার ষষ্ঠ দিনে গিয়ে দেখতে পায় মেয়েটিকে। শরীফ মেয়েটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো আমার দিকে তাকাইয়া ঐ দিন এমন হাসছো কেন?
মেয়ে : কবে হাসছি? কে আপনি?
শরীফ : আরে ঐ যে দিন আগে ঘুরতে আসছিলা এই পার্কে। তখন আমাকে বাই বাই বলে চলে গেলা তুমি!
(আসলে মেয়েটি হাসছিলো এবং বাই বাই বলছিলো তার ব্রয়ফ্রেন্ডকে)
মেয়ে : এইসব আবল তাবল কি বলছোত। যা এখান থেকে ফকিন্নির বাচ্ছা কোথাকার। পাম মারতে এসেছো?
(ছিল্লাইয়া বলেছে)
শরীফ : নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে…
এখন মেয়েটির ছিল্লানি শুনে তার বয়ফ্রেন্ড এসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে?
মেয়ে : এই শয়তানটা আমাকে আবল তাবল কি বলছে………..
বয়ফ্রেন্ড : এই পোলা তোর বাসা কোথায়? এখানে কি করস। আরো অনেক অনেক বকাবকি দিয়ে শরীফের কানে একটা চটকানা দিয়ে শরীফেকে ধাক্কা দিয়ে তারিয়ে দিলো।
শরীফ বুঝতে পারলো যে আমার ঢাকার শহর আসার ইচ্ছা পুরাইছে। শরীফ কাঁদতে কাঁদতে বাসায় চলে গেলো।