প্রত্যেক টা মানুষের কিছু দায়বদ্ধতা, কিছু সীমাবদ্ধতা এসব নিয়ে জন্মায় হয়ত, আমি শাম্মি। আমি ছোট থেকেই একরোখা, আমার একটাই সমস্যা, আমি জোর দিয়ে বা চাপ দিয়ে কাজ করাটা পছন্দ করি না,,আমার স্বামীর দেহটা নিথর হয়ে পড়ে আছে, এইতো আমার সামনে,, আমি মেরেছি,, ও ইদানীং বড্ড জেদী হয়ে গেছে, বাচ্চা নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে,, আমি তো আগেই বলেছি জোর করা আমি পছন্দ করি না,আমাদের বিয়ের প্রথম দিন বলেছি,ও তাও আমাকে জোর করল,আমিও তাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম, ওর ভালোবাসা আমাকে সব ভুলিয়ে দিয়েছিল,,কিন্তু সে আবার ভুল টা করল।
কাউকে এখনও বলিনি,,আমি আমার বাবা কেও খুন করেছি,আমার মাও জানে না,, তিনি জানেন শুধু, পা পিছলে বাবা পড়ে যায়,,কিন্তু আমি যে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছি,তিনি জানেন,আমরা ছাদে খেলতে গেছিলাম,,আমার মা যেমন কষ্ট পেয়েছিলেন, তবে এটা ভেবে ও শান্ত ছিলেন,,আমি ও তো পড়ে যেতে পারতাম, আমি বেচে আছি। কে এতিম হতে চায়?কিন্তু কি করব? বাবা আমাকে পড়ালেখার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন খুব,,আমি তো আগেই বলেছি,আমি জোর করা পছন্দ করি না।এর পর থেকে কেউ আমাকে জোর করতে নি কোন কাজে।বাবাকে মিস করতাম,তিনি যদি জোর না করতেন, আজ বেচে যেতেন।
আমার স্বামী এমনি তে লোকটা ভালো ছিল,কিন্তু এখন ভাবছি, লাশ টা কি করব? কোথায় রাখব? কেউ ভাববে না তো কেন মেরেছি, সবাই বলবে খুনি বউ।মাথায় এক বুদ্ধি এল,, রাতে মা বাবারা ঘুমিয়ে গেলে,বাগানে পুতে দিয়ে আসব,,কিন্তু এখন কি করি,,ওরে টেনে বাথরুম এ নিয়ে যাই,, চাপাতি দিয়ে মাথাটা কাটি।তার পর শরীরের চামড়া তুলে ফেলি,অনেক সময় লাগছে,, একটু পরেই ওর মা ডাকছে , না গেলে আবার অন্য কিছু ভাববে।আমি তার হাত পায়ের রাগ গুলা কেটে দেই, যেন রক্ত সব বের হয়,,আমি ড্রেস চেন্স করে যাই,,
-“বৌমা,আমার ছেলে কখন আসবে? ”
-“মা, ও শুনলাম, কোথায় একটা গেছে,ফিরতে রাত হবে।একটু আগে ফোন করে ছিল।”
-“জান,বৌমা,আমার কেমন একটা লাগছে”
-“কিছু হবে না মা,ও ফিরে আসবে”
আবার আমি রুমে যাই ব্লিচ নিয়ে,, বাথরুম এ গিয়ে ব্লিচ ছিটিয়ে দেই,,, আর ঐদিকে সব রক্ত ও শেষ হল,,আমি আলাদা,আলাদা ভাবে হাত পা, শরীর কেটে,, বড় বস্তায় ভরি,ওর জন্য একটু খারাপ লাগছে, কিন্তু নিজেকে তো বাচানো লাগব,,বিকেলের দিকে মা বাবা রা একটু বাহিরে ঘুরতে গেলে,, আমি বাগানে গিয়ে চারটা গর্ত করি,, আর আলাদা আলাদা বস্তা পুতি,, শেষ বস্তা পুতার সময়, প্রায় ধরা পরে গেছিলাম, মা বাবা রা চলে এসেছেন।
-“বৌমা, ওখানে কি কর?”
-“মা, কয়েক টা গাছ লাগাচ্ছি ”
-“তা, বেশ বেশ,আমরা ও তোমার সাথে একটু পানি দেই,?।”
-“দেন”
এতোক্ষনে পোতা শেষ।তার উপর একটা গাছ রোপন করে দিলাম,আর তাতে, তার মা বাবা পানি দিচ্ছে।দৃশ্যটা মনোরম লাগছিল।
আমি রুমে যাই, আর পরে বাথরুমে যাই, এটা দেখার জন্য কোন চিন্হ আছে কি না?
বাথরুম এর এক কোনায়, তার বাহুর একটা অংশ পড়ে আছে।কি ভুল টা করলাম, আমি কি করি? ভাবতেই বুদ্ধি আসল,, কাবাব বানিয়ে দেখি,, গ্রিল ও করতে পারি,,এটাকে নিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে ভালো মত মশলা মাখিয়ে, কাবাব বানাতে শুরু করলাম,,
আবার মা বলল,-“ছেলেটা কখন আসবে?
-“এইতো, মা, এসে যাবে, ওর জন্য কাবাব করছি,ও বলছে এসে কাবাব খাবে।”
সন্ধ্যায়, মা বাবাকে কাবাব টা নিয়ে দেই,
আরো বলি, “আপনার ছেলের জন্য রেখে দিছি,আপনারা খেয়ে নিন”
প্রথমে একটা না করায় পড়ে খাচ্ছে, আর বলছে, “এটা কিসের মাংস?”
-“ও বাবা,বলতেই ভুলে গেছি,এটা দুম্বার,গত পরশু আপনার ছেলে এনে দিয়েছিল,কিছু পরিমাণ মাংস”
তারা জানতেও পারল না তাদের ছেলের শরীরের মাংস তারাই খাচ্ছে, আর আমি মনে মনে পৈশাচিক হাসি হাসছি।আর মনে মনে বলছি, সে তো আবার আপনাদের পেটে চলে গেল,আর আসবে না ফিরে।