তোর কী মাথা খারাপ হয়ে গেছে বিভু? ভিডিও কলিং এর ওপার থেকে দিদি প্রায় ধমকে উঠল। এতটুকু একটা বাচ্চা, তাও মা-হারা… তাকে বলছিস বোর্ডিং-এ পাঠাবি?
না না, ব্যাড ডিসিশন। দিদির কথায় সায় দিলেন জামাইবাবু, এইসময় ওর বাড়ির লোকজনের সাপোর্ট দরকার। তোমার সাপোর্ট দরকার মেনলি। ভালোবাসা দরকার। আর সেখানে তুমি…
বিভাস জবাব দিলেন না। কথাটা তুললে প্রতিক্রিয়াগুলো যে এরকমই আসবে, আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলেন। তবু বলেছিলেন। হাজার হোক, দিদি, আর সেই সূত্রে জামাইবাবু – এই দু-জন ছাড়া কাছের বলতে আর তেমন কেউ নেই তাঁর। বাবা-মা গত হয়েছেন অনেক আগে। আর শ্যামলীও তো…
শ্যামলী। হাজারটা পায়রা একসাথে উড়ে গেলে যেমন খালি খালি লাগে, বিভাসের বুকের ভেতরটা তেমন করে উঠল আবার। ঠিক আড়াই মাস হলো। প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার। পেট ব্যথা ভেবে কাটিয়ে কাটিয়ে শেষে থার্ড স্টেজে ধরা পড়েছিল। চেন্নাই, ক্যান্সার স্পেশালিটি হাসপাতাল, এইমস… বাঁচানো যায়নি। ক্ষয়ে যাওয়া নিথর শরীরটা যখন ট্রলিতে চেপে বেরিয়ে এসেছিল, কেমন একটা অদ্ভুত ওষুধ আর চামড়া মেশানো গন্ধ পেয়েছিলেন বিভাস। বমি পেয়েছিল। প্রায় টলতে টলতে হাসপাতাল করিডরে একটা স্টিলের চেয়ারে বসে পড়েছিলেন। আর ভাবছিলেন, ভালো জিনিস বেশিদিন থাকে না।
অথচ এই কথাটা শ্যামলী মানতেই চাইত না। বলত, কেন, তোমার লেখাগুলো…? ওগুলো তো থেকে যাবে।
বিভাস হাসতেন। বিয়ের পরেও শ্যামলী তাঁর গুণমুগ্ধ পাঠিকাই রয়ে গেল।
কত বছর যেন হলো? বিভাস সিলিং এর দিকে চেয়ে হিসেব করলেন। সাত। সাত বছর। বিভাস তখন উঠতি লেখক, অল্পস্বল্প নাম ছড়াচ্ছে। লেখা বেরোচ্ছে কাগজে কাগজে। এমনই সময়, এক ধুলোমাখা বইমেলায় তাঁর প্রথম অটোগ্রাফ দেওয়া। তাঁরই বইয়ের প্রথম পাতায়। অটোগ্রাফ-শিকারী এক শ্যামলা মেয়ে। গালের টোল, ডাগর চোখ আর মেঘলা চুল… মাথায় যে-কথাটা ঘোরাফেরা করছিল সেটাই বইয়ের পাতায় লিখে দিয়েছিলেন বিভাস – ‘আমার সেই পাঠিকাকে, যাকে ঠিক কবির প্রেমিকাদের মতো দেখতে…’
লেখাটা পড়ে একটা লজ্জা আর ভালোলাগা মেশানো রঙ খেলে গিয়েছিল শ্যামলীর গালে। বইমেলার হাজার ওয়াটের আলোগুলোর চেয়েও সে-রঙ চোখে বেশি ঘোর লাগায়।
তারপর খুব বেশিদিন সময় লাগেনি। বইমেলা, বইপাড়া, শহরের অলিগলি… একসাথে হাঁটা অনেকটা। পাঠিকা থেকে প্রেমিকা খুব সাবলীলভাবেই হয়ে উঠেছিল শ্যামলী। বিভাস তখন তিরিশ, জনপ্রিয় রোমান্টিক গল্প-উপন্যাস-কবিতা লিখলেও প্রেমের খোঁয়ারির বয়স তাঁর কেটে যাওয়ার কথা। অথচ শ্যামলী সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছিল। বিভাসের লেখার কাগজগুলো আবার অনেকদিন বাদে ভরে উঠছিল ভেতর থেকে উঠে আসা প্রেমের গল্পে আর কবিতায়।
বিয়েটাও এক সময় হয়ে গেছিল নির্বিঘ্নেই। দুই বাড়িরই কেউ আপত্তি করেনি। দিদি বরং খুশিই হয়েছিল, উদাসী ভাইটার সংসারে মতি ফিরেছে দেখে। তারপর পিউ হলো, সে-ও চার পেরিয়েছে। একা হাতে ছোট্ট বাড়িটুকু আর আপনভোলা বিভাসকে সামলে রেখেছিল শ্যামলী। নিজের চাকরি, পিউয়ের যত্ন নেওয়া, বাড়ির কাজ, হিসেব, সবকিছু সামলেও বিভাসের জন্য ঠিক সময় বার করত। বিভাস বলতেন, দশভুজা। শ্যামলী মজা করে বলত, বউয়ের অছিলায় চাকরাণী চাইছ জানলে বিয়ে করতাম না। কিন্তু ঠিক নিজে থেকেই গুছিয়ে রাখত বিভাসের অগোছালো পড়ার টেবিল, বইপত্রের পাহাড়। একা হাতে সামলাত বিভাসের খামখেয়ালগুলো। আর বিভাসের প্রতিটি লেখা খুঁটিয়ে পড়ত। লেখা দুর্বল লাগলে সমালোচনা করতেও ছাড়ত না। মাঝে মাঝে গল্পটা কী করে আরও ভালো করা যায়, সে পরামর্শও দিত।
কমপ্লিট। শ্যামলীর দিকে চেয়ে বিভাসবাবু যত না মুখে, তার চেয়ে বেশি মনে মনে বলতেন, ইউ মেক মি কমপ্লিট।
‘বাবা?’
‘উঁ?’ চমক ভাঙে বিভাসের। পোষা টেডিটার পা ধরে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে পিউ।
‘আমার ঘুম পাচ্ছে না। গান করে দাও।’
বিভাস বিরক্ত বোধ করলেন। রোজ রাত্রে এই একই কথা। শ্যামলী যে কী করে এই ক্ষুদে ঝামেলার আড়তটির আবদার হাসিমুখে সইত কে জানে। এতদিন বিভাস বাবা হওয়ার মধ্যে শুধু আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন। এখন, গত আড়াই মাস, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বাচ্চা সামলানো কত ঝক্কির। আসলে, বিভাস কোনওদিনই সংসারে মন দিতে পারেননি তেমন। বই আর লেখা – এ দুয়ে ডুবে থেকেছেন দিন রাত। সংসারে অবদান বলতে টাকাগুলো বিনাবাক্যব্যয়ে শ্যামলীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া। শ্যামলীই সব হিসেব রাখত। বিভাস খোঁজও নিতেন না। শ্যামলীর কোনও আপত্তি ছিল না কোনওদিনই – ওকে বিয়ের আগেই বিভাস বুঝিয়ে বলেছিলেন তিনি কেমন জীবনযাপন করেন। এমনকি, নিজের মেয়েকেও বিশেষ সময় দিতে পারেননি বিভাস। পিউর যখন জ্ঞান হচ্ছে, বাবা-মা বলতে শিখছে, লোক চিনতে শিখছে, তখন বিভাস চূড়ান্ত ব্যস্ত। একসাথে সাতটা পুজোর উপন্যাস আর দুটো ধারাবাহিক। মাঝে মাঝে বেড়াতে গিয়েছেন সবাই মিলে, মাঝে মাঝে আদর করে দিয়েছেন, এইটুকুই। বিভাস আসলে নিজেও বোঝেন, পিউ আর তাঁর যে বন্ডিংটা তৈরি হয়ে ওঠার কথা ছিল, হয়নি। বাবা আর মেয়ে নয়, একই বাড়িতে থাকা দুটো মানুষ হয়েই হয়তো থেকে যাওয়া দুজনের।
তা-ও এরকম ভাবে হয়তো চলে যেত। কিন্তু শ্যামলী মারা যাওয়ার পর থেকেই পিউয়ের গোটা দায় এসে পড়েছে তাঁর ঘাড়ে। শুধু খাওয়ানো-চান করানো-জামা পরানো-স্কুলে পাঠানো নয়, সারাদিন তার প্রতিটি প্রশ্ন আর প্রতিটি আবদারের মুখোমুখি হতে গিয়ে বিভাস লেখাতে মনই দিতে পারছেন না। তিনখানা ধারাবাহিক এই মুহূর্তে চলছে তাঁর, গত দেড়মাস একটাও এগোয়নি তেমন। একটা পত্রিকায় তো কিস্তি ফাঁকাই গিয়েছে, শ্যামলীর ব্যাপারে ডিস্টার্বড আছেন বলে-টলে ম্যানেজ করেছেন। তা অবশ্য আছেন বিভাস। কিন্তু শ্যামলীকে মিস করার নয়, লেখা না-আসার প্রধান কারণ হচ্ছে এই ‘বাবা ঘুম পাড়িয়ে দাও, বাবা গল্প বলো, বাবা খেলতে হবে আমার সাথে, বাবা হোমওয়ার্ক দেখিয়ে দাও’ গুলো। আর, থেকেই থেকেই মেয়েটা জিগ্যেস করে ওঠে,
বাবা, মা কোথায়?
বাইরে গিয়েছে।
কোথায় গিয়েছে?
জানি না।
কেন গিয়েছে?
কাজে?
কী কাজ?
জানি না।
কবে ফিরবে?
জানি না।
জানো না কেন?
বলে যায়নি কিছু।
কেন বলে যায়নি?
জানি না।
দিনে একবার-দুবার নয়, এ কথোপকথন নিয়ম করে প্রায় প্রতি ঘন্টায় চলছে। প্রাথমিক অসহায়তাটুকু কাটার পর বিভাস বেশ বুঝতে পারছেন, তিনি বিরক্ত হচ্ছেন। মেয়েটাকে ভালো যে বাসেন না, তা নয় একদমই। কিন্তু এভাবে সামলে উঠতে পারছেন না। লেখা হচ্ছে না, ভাবা হচ্ছে না, বই পড়া হচ্ছে না। তিনি শ্যামলী নন। শ্যামলী যা অনায়াসে করে ফেলতে পারত তা হাজার চেষ্টাতেও পারবেন না তিনি। এদিকে কিস্তিখেলাপ, লেখা না দেওয়া – এভাবে কতদিন? বিভাসের রোজগার বলতে গেলে ওই লেখা থেকেই; একবার রেপুটেশন খারাপ হয়ে গেলে এ-লাইনে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা।
বিভাস তাই ভেবে ফেলেছেন, পিউকে বোর্ডিং-এ দিয়ে আসবেন। বন্ধু অমর দার্জিলিং এর একটা ভালো বোর্ডিং এ চাকরি করে, কোনও অসুবিধে হবে না। অনেকটা সময় বাঁচবে তাঁর। গল্পেরাও ফিরে আসবে হয়তো। সেটাই বেশি দরকার।
ব্যবস্থামতোই একদিন পিউয়ের হাত ধরে পিউয়ের একটা, আর নিজের একটা – দুটো বড়সড় ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে উঠলেন বিভাস। পিউকে বলেছেন, বেড়াতে যাচ্ছি। পিউ জিগ্যেস করেছিল,
মা যাবে না আমাদের সাথে?
না।
কেন যাবে না?
ফেরেনি তো।
কেন ফিরছে না? মা না এলে আমি যাব না।
অগত্যা বিভাস বলেছেন, মা কে খুঁজে পাই কি না দেখতেই আমরা যাচ্ছি। শুনে পিউ আর আপত্তি করেনি, উলটে নিজেই যাওয়া নিয়ে প্রচণ্ড উৎসাহিত। তাড়াও দিয়েছে রীতিমতো। বিভাস জীবনে বোধ হয় এই প্রথমবার যত্ন করে অনেক কিছু গুছিয়েছেন পিউয়ের জন্য। দিদি রেগে গিয়ে ‘যা ভালো বোঝ কর’ বলে কেটে দিয়েছে ভিডিও কল। তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।
ট্রেন, এবং তারপর গাড়ি – রাস্তাটুকু ভালো কাটল। পিউয়ের অজস্র বকবক সত্ত্বেও পাহাড়ি হাওয়া আর দৃশ্যপট বিভাসকে বিরক্ত হতে দেয়নি। এই বাইরে আসাটুকুর যেন দরকার ছিল, বিভাসের মনে হলো। সেই ভেবেই অবশ্য নিজেও বেশ কয়েকদিন থেকে যাবেন ভেবেছেন এখানে। পিউকে জায়গাটার সাথে কয়েকদিন মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবেন, যাতে হঠাৎ করে একলা না লাগে ওর, তার সাথে নিজের কয়েকটা লেখাও দাঁড় করিয়ে ফেলা যাবে সমস্ত ঝামেলা থেকে এতদূরে একলা থেকে।
অমরের ঠিক করা হোটেলে চেক-ইন করে একটু হাঁফ ছাড়লেন তিনি। গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বোঝা যায়নি, কতটা ধকল গেছে। অমর অবশ্য ওর বাড়িতেই থাকতে বলেছিল, বিভাস রাজি হননি। আসলে কারও বাড়িতে গেলেই সেই ফাটা রেকর্ডের সহানুভূতি আর ইদানীং নিতে পারছেন না তিনি। তার চেয়ে এই ভালো। একলা থাকা, একলা ভাবা। কালকেই সকালে পিউকে নতুন ইস্কুলে ভর্তির ব্যাপারে নিয়ে যাওয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট, ভর্তির প্রাথমিক কথাবার্তাগুলোর জন্য। ওটা শেষ হলে নিজের জন্য, নতুন করে ভাবার জন্য, অনেকটা সময় পাওয়া যাবে।
রাতের খাবার তাড়াতাড়িই খেয়ে নিলেন। পিউকে বললেন, শুয়ে পড়ো। পিউ আজ কোনও প্রতিবাদ করল না। চুপচাপ ঢুকে গেল কম্বলের মধ্যে। বিভাস ঘরের লাগোয়া ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালেন। ভোরবেলা এখান থেকে নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এখন অবশ্য অন্ধকার, শুধু কোনও এক পাহাড়ি বসতির আলোগুলো ফুটকি হয়ে জেগে আছে দূরে। সেই ফুটকিগুলোর সাথে সঙ্গত দিতেই যেন আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে আরও অসংখ্য ফুটকি।
মরে গেলে মানুষ তারা হয়? বিভাস ভাবতে থাকেন, সেই ছোটোবেলার মতো।
বাবা?
আবার অল্প বিরক্তি নিয়ে বিভাস ঘুরে তাকালেন। পিউ এসে দাঁড়িয়েছে।
এখনও ঘুমোওনি তুমি? প্রশ্ন করলেন তিনি।
ঘুম আসছে না। আজ টেডি সঙ্গে নেই তো। ভয় করছে।
টেডিকে আনলে না কেন? আনতে পারতে।
বাড়িতে রেখে এলাম তো। আমরা কেউ বাড়িতে নেই, বাড়ি পাহারা দিতে হবে তো।
হুম। বিভাস নরম করে বললেন, ঘুমিয়ে পড়ো। কালকে সকালে এক জায়গায় যেতে হবে আমাদের।
কোথায়?
কাজে।
মা কে খুঁজতে?
জানি না। দেখব রাস্তায়, কোথাও আছে কি না।
তাহলে ঘুম পাড়িয়ে দাও।
আচ্ছা, চলো।
পিউ গেল না। উলটে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরল বিভাসকে। বিভাস হকচকিয়ে গেলেন। এর আগে কখনও এমন করেনি মেয়েটা। ও কী আন্দাজ করেছে কিছু?
পিউ জড়িয়ে ধরে বলছিল, মা আমাকে ভুলে গেছে, বলো? আর ফিরবে না, বলো?
বিভাস কী বলবেন, বুঝতে পারলেন না। কোলে তুলে নিলেন। জামার কাঁধে জমা হতে থাকা ভেজাভাবটা বুঝিয়ে দিল, মেয়েটা কাঁদছে। ওর মায়ের জন্য। এর আগে মায়ের জন্য কোনওদিন কাঁদেনি মেয়েটা। কোনওদিন না।
মা ছাড়া ভাল্লাগে না বাবা একদম!
আমারও সোনা, আমারও… ফিসফিস করেন বিভাস রাতের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে।
কাঁধেই ঘুমিয়ে পড়েছিল পিউ। তাকে যত্ন করে শুইয়ে দিয়ে আবার ব্যালকনিতে এলেন তিনি। অনেক দিন পর আবার শ্যামলীর গায়ের চেনা গন্ধটা পেয়েছেন তিনি। পিউয়ের গায়ে।
পরদিন সকালে যখন পিউয়ের ঘুম ভাঙাচ্ছিলেন বিভাস, তখন পাহাড় জুড়ে কুয়াশা। সূর্য উঠে গেলেও একটা মেঘলা ভাব ছড়িয়ে আছে চারদিকে।
চলো, বেরোই।
কোথায় যাবো বাবা? মা কে খুঁজতে?
উঁহু, গল্প খুঁজতে। তুমি আর আমি।
গল্প কী করে খোঁজে বাবা?
শিখিয়ে দেবো, চলো।
কিছুক্ষণ পর পাহাড় দেখল, বাবার হাত ধরে কুয়াশার ভেতর হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে যাচ্ছে একটা পুঁচকি মেয়ে। কোনও বোর্ডিং স্কুলের অফিসের দিকে নয়, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে এদিক-ওদিক। গল্পের সন্ধানে।
বিভাসের বুকে তখন সেই হাজারটা পায়রার ডানা ঝাপটে ফিরে আসার শব্দ।