স্যারের গান

স্যারের গান

আঙ্কেলের সাথে অনেকদিন পর ঢাকা যাচ্ছি।

যদিও প্রথমার্ধে যেতে চাইনি, তবে শেষার্ধে আঙ্কেলের রিকুয়েস্ট আর ফেলতে পারিনি। তবে শর্ত দিয়েছিলাম যদি ট্রেনে করে আমাকে ঢাকা নিয়ে যান, তাহলে যেতে রাজী। আঙ্কেল আর না করতে পারেননি। শর্ত মেনে নিলেন। আমিও বাধ্য ছেলের মত উনার সাথে চললাম।

এই ফাস্ট টাইম ট্রেনে করে কোথাও যাচ্ছি। যদিও খুব ভালো লাগছিল, তবে ট্রেনের ঝকঝক আওয়াজ একদম অস্থির করে রেখেছিল। না পারছিলাম শুনতে, না পারছি সহ্য করতে। অবশেষে কানে হ্যাডফোন গুঁজে একবার আজা আজা আজা আজা আজা গানটা শুনতে লাগলাম। সাথে সাথে ফেসবুকিং করতেও ভুলে যাইনি। আঙ্কেল অন্য সিট ছেড়ে হঠাৎ আমার পাশের সিটে বসে বললেন….

~ ভাতিজা কী করস
~ কিছুনা আঙ্কেল গান শুনি আর ফেসবুকিং।
~ খুব ভালো। চল একসাথে উভয়ে ফেসবুকিং করি।
~ সমস্যা না চলেন।

আমি আর উনি একসাথে মিলে টাইমলাইন ঘাটাঘাটি করা শুরু করে দিলাম। হঠাৎ আঙ্কেল বলে উঠলেন এই দাড়া দাড়া। আমি সাথে সাথে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আরে সিট ছেড়ে দাঁড়ানোর কথা বলিনি। ফেসবুকে যে নিউজটা আসছিল সেটা স্কিপ না করে যেতে বলছি। আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেমন নিউজ আঙ্কেল? উনি বললেন, কার গান শুনে যে ১৪ বছরের মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিছে। উনার কথা শুনে আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমাদের মাহফুজুর রহমান স্যার নন তো? অবশেষে খুঁজে বের করলাম। নিউজ পড়ে একদম শকড আমি। সত্যি সত্যি মাহফুজুর রহমান স্যারের গান শুনে এক মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিছে। আশ্চর্যজনক কথাটা। খবর পড়ে আঙ্কেলের মাথা একদম নষ্ট হয়ে গেছে। মন খারাপ করে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,

~ মাহফুজুর রহমান কে রে?

~ আরে উনাকে চিনেন না? উনি সারেগামা পা এর জনক। বাংলাদেশের টপ ওয়ান শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানরা উনার সাথে দেখা করতে আসে প্রতিদিন। সারা বাংলাদেশে-ই না। উনার নাম ডাক বাহিরের দেশেও আছে।

~ এসব সত্যি নাকি?
~ আপনাকে মিথ্যে বললে কী আমাকে বেতন দেয়া হবে?
~ তা অবশ্য না।
~ তাহলে মিথ্যা বলব কেন?
~ ওকে ঠিক আছে। এক কাজ কর মাহফুজুর রহমানের একটা গান শুনা।
~ কীভাবে শুনাবো আঙ্কেল?
~ কীভাবে আবার ইউটিউব এ শুনা।

পরলাম বিপদে। কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। স্যারের এ্যা এ্যা গান শুনার চাইতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মরে যাওয়া ও ভালো। কান বন্ধ করার জন্যও কিছু খুঁজছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না। সময় মত তুলা কাগজ কিছুই পাওয়া যায়না।

কান কে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলতে হবে। অবশেষে আঙ্কেলকে বললাম….

~ আঙ্কেল আমার মোবাইলে তো এম্বি নাই।
~ সমস্যা নাই আমার মোবাইলে তো এম্বি আছে। এই নে। আমার মোবাইল দিয়ে দেখা।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়।

পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম বাড়ির বাজার থেকে যে কাগজে মুড়িয়ে পানের কিলি কিনেছিলাম তার মধ্যে এখনো একটা অবশিষ্ট আছে। যাক স্যারের মধুর সুর শুনা থেকে বাঁচা যাবে। পান মুখে দিয়ে কাগজের টুকরোটা কানের মধ্যে গুঁজে দিলাম।

~ কীরে গান শুনা।
~ শুনাচ্ছি আঙ্কেল।

ইউটিউব এ মাহফুজুর রহমান সার্চ দিতেই স্যারের মিষ্টিমাখা মুখখানি ঝলঝল করতে লাগলো। সাথে করে স্যারকে নিয়ে করা পোলাপানের ক্যালমা ভিডিও ও আসলো। একজন মহৎ মানুষকে নিয়ে পোলাপাইন এসব ফানি ভিডিও বানায় আফসোস। মাথায় ভীষণ রাগের উদ্রেক ঘটল। মনে মনে বললাম এসব শয়তান পোলাপাইনদের কাছে পেলে ব্যাকসাইডে কয়েকটা লাথি লাগিয়ে বুকে টেনে আদর করতাম। অন্তত আমার সম্মানিত স্যারের মানহানি তো আর সহ্য করতে হত না।

আঙ্কেল আবার চাপ দেয়া শুরু করলেন।

~ কীরে গান লাগাস কেন? ৬০ বয়সের বুড়াকে একটা মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিছে, অথচ আমি পঞ্চাশ বছরের যুবক। কৈ আমাকে তো কোনো মেয়ে এখনো বিয়ের প্রস্তাব দিলোনা।

আঙ্কেলের কথা শুনে বিষ গায়ে মাইখা সুইসাইড করতে মন চাইছিল। পঞ্চাশ বয়স হওয়ার পরও নাকি উনি যুবক। কিছু বললাম না। রাগ থামিয়ে

মিটিমিটি হেসে উত্তর দিলাম আঙ্কেল স্যারের ব্যাপক প্রতিভা আছে। যা আপনার মধ্যে নেই।

~ হো। আমিও সেটা দেখতে চাই। ক্যামন প্রতিভা তার। গান লাগা। একটু ধমকের সুরে বললেন।
কী আর করার। অবশেষে নিরুপায় হয়ে স্যারের একটা গান প্লে করে আঙ্কেলের হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিলাম।

বাহিরের দিকে তাকিয়ে কুয়াশায় ঢাকা ভোরকে মন দিয়ে অনুভব করছি। বহুদূরে সূর্য্যি মামার ম্লান আলো কুয়াশার কাছে বরাবরের মত নত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস থেকে একটা মেয়ে আয়নার ফাঁকে বাহিরের জগতটাকে অনুভব করতেছে। খোলামেলা চুলে মেয়েটাকে অপ্সরীর মত দেখাচ্ছে। গাড়ি ক্রস করে চলে যেতেই হঠাৎ আঙ্কেলের দিকে আমার চোখ পড়লো। দেখলাম আঙ্কেল জিহ্বা বের করে সিটের মধ্যে পড়ে আছেন। আমি উনার গায়ে ধাক্কা দিতে দিতে জাগানোর চেষ্টা করলাম। নাহ্ উনি উঠতেছেনই না। ভাবতে লাগলাম ২ মিনিটের মধ্যে আঙ্কেলের এমন অবস্থা

কীভাবে হলো। কোনো ক্লু-ই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। উনার হাতের দিকে হঠাৎ আমার চোখ পড়ল। অতঃপর মাথার গিট্টো খুললো, আমি তো স্যারের গান মোবাইলে প্লে করে উনাকে শুনতে দিছিলাম। তাহলে কী মাহফুজুর রহমান স্যারের গান শুনে উনি অজ্ঞান হয়েছেন? মোবাইল হাত নিয়ে দেখলাম সাড়ে চার মিনিটের মধ্যে এখনো ২মিনিট বাকি। মাথায় কিছু ঢুকতেছেনা। ভাবলাম আঙ্কেল মরে টরে যাননি তো? স্যারের গান শুনে মরে যাওয়াটা ও অস্বাভাবিক কিছু না। আমি আঙ্কেলের পাশে বসে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে লাগলাম। পাশের সব প্যাসেঞ্জার আমার চিৎকার শুনে জড়ো হয়ে গেলো। ওরা এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি কী উনাকে খুন করেছি। কীভাবে খুন করেছি। আমার কানে কাগজ গুজা ছিলো বিধায় কে কি বলতেছে এসব না শুনেই আমি হ্যাঁ হ্যাঁ করা শুরু করলাম।

আমি ভাবছি ওরা জিজ্ঞাসা করতেছে উনি কী অজ্ঞান হয়েছেন? সবাই আমার হাত রশি দিয়ে সিটের সাথে বেধে দিল। বুঝতে পারছিলাম না। আসলে কী হতে যাচ্ছে আমার সাথে। ওরা আমার মোবাইলটা ও হাত থেকে ছিনিয়ে নিলো। আমি চিৎকার দিয়ে বলছিলাম প্লিজ কেউ ভিডিওটা প্লে করবেন না। সবাই আমার দিকে চোখ লাল করে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ভিডিওটা প্লে করলো। পাগলের দল ভাবছিলো আমি আঙ্কেলকে খুন করে উনার ভিডিও মোবাইলে ধারন করেছি। ভিডিও প্লে করতেই একজন একজন করে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে লাগল। আমি চোখ বড় বড় করে শুধু দৃশ্যগুলা দেখছিলাম। এক এক করে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়ল। বুঝতে পারছিলাম না ব্যাপারটা, আসলে কী হতে চলেছে। শুধু ওদের পড়ে যাওয়াটা দেখছিলাম। আমার মাথায় কিছুই ধরছেনা।
মাহফুজুর রহমান স্যারের গানে এত মানুষ কীভাবে অজ্ঞান হয় ম্যান। চিৎকার করা শুরু করলাম। কিন্তু কেউ আসলো না। হাত ও বাধা। এখন এত মানুষকে কীভাবে জাগাবো আমি?

ট্রেন ঢাকা স্টেশনে এসে থামল। কিন্তু ট্রেন থেকে কেউই মনে হয় বের হয়নি। হঠাৎ টিটি ট্রেনকে চেক করতে করতে এখানে এসে পড়লো। আমি টিটিকে দেখে বললাম আমার হাতটা খুলে দিন প্লিজ। টিটি বাকি সবাইকে অজ্ঞান দেখতে পেয়ে বললো এসব কী তুমি করেছো? আমি বরাবরের মত হ্যাঁ হ্যাঁ বললাম। আমার কানে যে কাগজ গুঁজে রাখছিলাম সেটা তখন ও বের করা হয়নি।

আর কীভাবেও বা বের করবো? শালার পুতেরা যে আমার হাত বেধে দিয়ে মুনাজাত ধরতে গেছিলো। এখনো ফিরছেনা।

টিটি পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে আমাকে তুলে দিলো। পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেলো। সাথে করে আমার মোবাইলটা ও জব্দ করেছে। এস আই এর হাতে আমার মোবাইল দেখে উনাকে বললাম স্যার প্লিজ। দয়া করে আমার মোবাইলের ভিডিওটা প্লে করবেন না। এস আই ও ছিল মদন দা। সাথে সাথে মোবাইলের লক খুলে ভিডিওটা প্লে করে দিল। ভাবছিল ভিডিও তে নিশ্চয় কিছু আছে। ভিডিও প্লে করতেই এস আই ও অজ্ঞান হয়ে পড়ল। এস আই অজ্ঞান হওয়ার দৃশ্য দেখে বাকি পুলিশগুলা একদম চমকে গেল। ওদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওরা ভীষণ ভয়ে আছে। ভয়ে ভয়ে কাকে যেন ফোন দিলো বুঝতে পারিনি। কিছুক্ষণ পর দেখলাম পাঁচ গাড়ি পুলিশ একসাথে এসে আমার পাশ ঘেঁষে থামল। প্রত্যেক গাড়ি থেকে পুলিশরা বের হয়ে আমার সামনে পিছনে ডানে বামে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে পড়ল আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখি পুলিশ আর পুলিশ। সব পুলিশের মাঝখানে আমাকে মুরগী চোরা মনে হচ্ছিল।

হঠাৎ সাদা একটা কারের আগমন হলো। দরজা ঠেলে একজন পুলিশ বের হয়ে এস আই এর কাছে গেলেন। এবং আমার মোবাইলটা হাতে নিলেন। যখন উনাকে আমার মোবাইল হাতে নিতে দেখেছি তখন আমি উনাকে বললাম স্যার প্লিজ দয়া লাগে, আমার মোবাইলের ভিডিওটা প্লে করবেন না। সাথে সাথে উনিও মোবাইল হাতে নিয়ে ভিডিওটা প্লে করে দিলেন।

উফ উনিও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। উনার আশেপাশে যে কয়টা পুলিশের কানে গানের সুরটা পৌঁছেছে, তারাও অজ্ঞান হয়ে পড়ল।

আমি ব্যাপারটা তখনও বুঝতে পারছিলাম না।

সারেগামা পা এর জনক ডাঃ মাহফুজুর রহমান স্যারের সুরে সবাই অজ্ঞান হয়ে যায় কেন? অবশেষে ভাবলাম, যে মাহফুজুর রহমান স্যারকে পুতিন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ঝগড়া,উভয়ে উভয়ের দেশে নিয়ে যেতে চায়। সেই মাহফুজুর রহমান স্যারের সুরে অজ্ঞান হওয়াটা বড় কোনো ব্যাপারই না। বাকি পুলিশগুলা আমাকে কড়া গার্ডে হাজতে নিয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার সাথে কী হতে যাচ্ছে। আমার মোবাইলটা ও তারা জব্দ করে রেখেছে।

জেলে বসে হঠাৎ মনে হলো ট্রেনে বসে যে কাগজ কানে গুঁজে রাখছিলাম তা এখনো কানে রয়ে গেছে। তাই

তাড়াতাড়ি করে কান থেকে কাগজগুলা বের করে দিলাম। এমন সময় সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত একজন মানুষ এসে বললো চলেন আমার সাথে। আমি উনার দিকে তাকিয়ে বললাম কই যামু।

উনি বললেন আপনাকে কোর্টে চালান করা হয়েছে। আমি বাধ্য ছেলের মত উনার সাথে চললাম। বেশী কথা বললাম না। বেশী কথা বললে উত্তম মাধ্যম খাওয়ার ভয় আছে, আমি জানি।

কোর্টে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো।

জর্জ সাহেব ও উপস্থিত। আমার পক্ষের একজন উকিল সাহেব আসলেন। ওরে আল্লাহ আব্বু আম্মু আঙ্কেল এবং ট্রেনের সেসব যাত্রীও এখানে উপস্থিত। কোর্টে আমার মোবাইল পেশ করা হলো। জর্জ সাহেব বিচারকার্য শুরু করার আদেশ দিলেন। সবাই এক এক করে আমার নির্দোষের পক্ষে সাপাই গাইলেন। সর্বশেষ যখন আমার পালা আসলো। তখন জর্জ সাহেব জানতে চাইলেন আসলে সেদিন কী হয়েছিলো।

আমি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ঘটনা বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করলাম। জর্জ সাহেব আমাকে জামিনের রায় শুনিয়ে দিলেন।

উৎসুক জনতা এবং জর্জ সাহেব সবাই মিলে স্যারের গান শুনতে চাইলো। আমি আব্বু আম্মুকে ইশারা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার কথা বললাম। উনারাও আমার কথা শুনে বের হয়ে গেলেন। সাউন্ড বক্সে স্যারের গান প্লে করা হলো। স্যার যখন এ্যা এ্যা বলে টান দিতে লাগলেন অমনি একজন একজন করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে লাগলেন। সবাই অজ্ঞান হওয়া শেষ। শুধু আমি আর আমার স্যার মাহফুজুর রহমানের গান বাকি রইল।

আমি কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বের হয়ে গেলাম।

বাহিরে আসতেই সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করতে লাগল আমার মধ্যে এমন কী আছে যা দ্বারা মানুষকে অজ্ঞান করা সম্ভব। আমি তাদের বললাম আমার কাছে স্যার মাহফুজুর রহমানের গান আছে। সাংবাদিকরা হেসে দিয়ে বললো আপনি কেন স্যারের গান শুনে অজ্ঞান হননা। আমি মৃদু হেসে উত্তর দিলাম কারণ আমি স্যারের ছাত্র ছিলাম। উনার কাছ থেকে আমি এ্যা এ্যা গানের প্রেক্টিস নিছি। তাই আমি অজ্ঞান হইনা।

অবশেষে সাংবাদিকরা খ্যাতিনামা স্যারের গান তাদের চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচার করা শুরু করে দিল। শুনছিলাম সেদিন নাকি বাংলাদেশি এবং ভিনদেশি লোক মিলে প্রায় ৫২ কোটি লোক স্যার মাহফুজুর রহমানের গান শুনে অজ্ঞান হয়েছিল।

স্যার টেলিভিশনে সংবাদ পড়ে আমাকে ফোন দিয়ে বললেন সামনের এ্যা এ্যা এ্যালবামে আমাকেও নাকি উনার সঙ্গে এক চান্স দিতে চান।

আমি সবকিছু মিছ করতে চাইলেও স্যারের সাথে এ্যা এ্যা গানের চান্সটা মিছ করতে চাইনি। সাধরে গ্রহণ করে নিলাম। স্যারের দেয়া এমন সুখবর শুনে আবেগে আপ্লুত হয়ে আমি ফেসবুকে পোষ্ট দিছিলাম-: স্যালুট ডাঃ মাহফুজুর রহমান স্যার।

আপনি আছেন বলেই, আমরা সারেগামা পা এর একজন জনক পেয়েছি। বেশি বেশি করে সারেগামা পা গান। আর অজ্ঞানের সংখ্যা ৫২ কোটির বেশী বাড়ান। আপনার একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী ছাত্র (আক্কু)

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত