রহস্যময় দ্বীপ

রহস্যময় দ্বীপ

আমি এবার একটি সত্য ঘটনা বলছি। সংগত কারনে আমি গ্রামের নাম বলব না। তো একদিন এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছি। সেখানে যেয়ে দেখি সে বাসায় নেই। তার বাবার কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, সাব্বির নাকি নিখজ। আমার বন্ধুর নাম সাব্বির। কাল বাসা থেকে রাগ করে বেরিএছিল। কিন্তু আর ফেরে নি। তখন আর কি করা। আমি বাসা থেকে চলে যেতে চাছছিলাম, কিন্তু সাব্বিরের বাবা আমাকে যেতে দিলেন না। সে বলল, আরও কিছুদিন থাকতে। তো অগ্যতা আমাকে থাকতে হল। আমি সাব্বিরের বাবাকে বললাম, আমিও সাব্বিরকে খুজতে আপনাদের সাহায্য করব। আমার আবার একটি গ্রুপ ছিল। তো সেই গ্রুপ মেম্বেরদের কল করলাম এখানে আসতে। তারা আসার পর তাদের নিয়ে সাব্বিরকে খুজতে থাকলাম। সাব্বিরের বাবাকে বললাম, আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা মিলে সাব্বিরকে খুজে বের করব। আমরা সবাই পাচটি দলে ভাগ হয়ে খুজতে থাকলাম। কিন্তু কোথাও খুজে পেলাম না। সারা গ্রাম খুজলাম। শুধু নদীর মাঝে একটা দ্বীপ বাকি রইল। আমরা সাব্বিরের বাবাকে দ্বীপের কথা বললে সে আমাদের দ্বীপটিতে জেতে নিশেধ করল। সে বলল অই দ্বীপ থেকে নাকি রাতের বেলায় মানুশের চিৎকার শোনা জায়। মাঝে মাঝে মানুসের রক্ত ভেসে আসে অই দ্বীপটি থেকে। আমরা তারপরঅ অই দ্বীপটিতএ জেতে চাইলাম। আমাদের অনুরধে সে আমাদের অই দ্বীপটিতে জেতে দিলেন। সে আমাদের মোবাইল নাম্বার দিলেন এবং বললেন, সমস্যা হলে যেন জোগাজোগ করি। সাব্বিরের বাবা আবার পুলিশ ছিলেন। তো আমরা নৌকা ভারা করে দ্বীপটিতে গেলাম। নিঝুম রাত। ঘন জংগল। জেতে জেতে হঠাত জংগলের ভিতর একটা খালি জায়গা। উকি দিয়ে দেখলাম, একলক চেয়ারে বসে আছে। তার সাথে অস্ত্রসহ কিছু লোক এবং মাঝে বসে আছে একটি বালক। ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম, একি। এতো সাব্বির। ঘটনাটা আমি সাব্বিরের বাবাকে জানালাম। সাব্বিরের বাবা কিছুখুনের মধ্যে সাব্বিরের বাবা পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলল। ডাকাতগুল আটক হল এবং সাব্বিরকে ফিরে পাওয়া গেল। সাব্বিরের বাবা আমাকে এবং আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ দিলেন। সে আমাদের জন্য ভোজের আয়জন করলেন। আমরা পরেরদিন তাদের থেকে বিদায় নিয়ে বারি ফিরে এলাম।

[সমাপ্ত]

গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত