রাত ঠিক দুটো বাজে।হঠাৎ এক মেঘের গর্জনে চোখটা খুলে গেল।ঘুমিয়ে ছিলাম ।রুমটা একটু অন্ধকার।নাহ ঠিক অন্ধকারো বলাযাবেনা।বিছানার ঠিক বিপরীত দিকে পরার টেবিলটার উপরের জানালাটা খোলা।জানালায় লাগানো পর্দাটা এখন স্থির হবার মন মানষিকতায় নেই।বাইরে প্রচন্ড ঝড় বইছে।মাঝে মাঝে বিদ্যুৎও চমকাচ্ছে আর সেই বিদ্যুতের চমকানোর আলো এসে রুমটা ক্ষনিকের জন্য আলো করে দিয়ে যাচ্ছে ।বাইরের বৃষ্টির এক মোহনিয় গন্ধ টা আমার নাকে এসে বারি খাচ্ছে।বাম পাশে তাকালাম।দেখি পিউ নেই বিছানায় ।পিউ আমার স্ত্রী ।তিন বছর হয়েছে বিয়ে হয়েছে।প্রচুর ভালবাসি দুজন দুজনকে।ভালবেসে নয় পারিবারিকভাবেই বিয়েটা হয়েছিল।কিন্তু হলফ করে বলতে পারি বিয়ের আগের যে ভালবাসাটা থাকার কথা বিয়ের পর তা আমাদের মাঝে আরো হাজার গুন বেশি রয়েছে।দুটো অচেনা মানুষের মাঝে এতটা ভালবাসাটা কিভাবে হল ভেবে বের করা মুশকিল।ভেবে বের করবার দরকার নেই। বিশ্বাস করতাম আল্লাহ্ প্রতিটা মানুষের জন্য একটি আলাদা ব্যাক্তিত্বকে পছন্দ করে রেখেছেন।যার সাথে তুমি আজীবন ভালবাসার বন্ধনে থাকবে।হয়ত আমার ক্ষেত্রে পিউ সেই মেয়ে
.
পরিচয়ট দেই।খালিদ নামের ছেলেটা বড়ই শান্ত সৃষ্ট।বাবা মা ভালবেসে নামটি দিয়ে ছিল খালিদ।কিন্তু নামটি বোধহয় বিশেষ একজনের পছন্দ হয়নি।তাই নামটি পরিবর্তন করে রেখেছে মিঃলেখক ।চাকরির বাজারের হাহাকার করা শূন্য শুষ্ক বাতাসের মধ্যে এক বিন্দু পানির পিপাসায় কাতরদের মধ্যে এই খালিদ নামের ব্যাক্তিটিও ছিল।যাই হোক লাইন এগুতে এগুতে যখন কেও বলল খালিদ আব্দুল্লাহ।আপনার চাকরি হয়েছে।তখন কি অবস্থা হয়েছিল।আপনারাইই বলেন।
.
শোবার বালিশটা খাট থেকে পরে যাবার উপক্রম।আর গায়ের চাদরটা যেন অবহেলায় পরে আছে খাটের কোনয়।আশেপাশে তাকালাম রুমের ।দেখলামনা।কেও যদি এখন আমার সামনে থাকত তাহলে সে দেখত আমার কপালে চিন্তার কিছু রেখা ফুটে উঠেছে।হঠাৎ বুকের মধ্যে একটা চাপ অনুভব করলাম ।কোথায় গেল সে ?পিউ আমাকে এতটাই ভালবাসে যে সে যেখানেই যাবে আমাকে বলে যাবে।কিন্তু কোথায় গেল ?আমি বিছানা থেকে নেমে পরলাম ।এদিক উদিক তাকিয়ে খুজলাম।চিন্তাটা যেন মাথা থেকে ধিরে ধিরে বুকের বামপাশটায় নেমে আসছে।বেশ বুঝতে পারছি আমি।রুমের সাথে বারান্দা ।গেলাম বারান্দায় ।গিয়ে দেখি একা একা মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে।দুহাত দিয়ে গ্রিলের মধ্যে ধরে মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে সে।বাইরের দমকা হাওআর সাথে বৃষ্টি গুলো এসে পিউকে ভিজিয়ে দিচ্ছে ।সেদিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।পিউর ডান পাশে দাড়ালাম আমি।দেখলাম পিউ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বাইরের দিকে।ঝড়টা যেন বাড়ছে।শোশো করে বাইরের বাতাশ বইছে। দৃষ্টিটা পিউর স্থির।তাকিয়ে আছে বাইরের ঝরের বেগে বেঁকে যাওয়া সেই গাছটির দিকে।আমি পিউর তাকিয়ে থাকা চোখগুলির দিকে তাকালাম।চন্চলতা আর মায়াভরা চোখগুলিতে দেখলাম গভীর চিন্তার ছাপ।ভাবনাটা তার অনেক বেশি।আমি পাশে দাঁড়িয়ে আছি সেদিকে তার খেয়াল নেই।পিউকে কোনদিনো এতটা চিন্তায় থাকতে দেখিনি।বাইরে কি হচ্ছে যানিনা তবে আমার মনের মধ্যে ঠিকি একটা ঝড় বইছে।ঝড়টা একটা নতুন কিছু জানার ঝড়।ঝড়টা একটা নতুন কিছু সামলে নেবার পুর্ব প্রস্তুতি।ঝড় যা একটি নতুন আরেকটি ঝড় আসছে বলে জানিয়ে দেয়।নাহ আর থাকতে পারছিনা ।মনের ভেতর সুনামিটা প্রবল বেগে চামরা ভেদ করে বাইরে আসতে চাইছে।আমি পিউর ডান হাতের উপর হাতটা রাখলাম আমি।ঠান্ডায় জমে যাওয়া নরম হাতটি যেন আমি ছোঁয়ায় একটা ভিন্ন আবেগ পেল।হঠাৎ চমকে উঠল পিউ।মনে হল কোন গভীর চিন্তার ঘুম থেকে উঠল সে।আমার দিকে তাকালো পিউ।বললাম…
-এখানে এতো রাতে কি করছ ?
-কিছুনা।ঘুমুওনি কেন ?
-তুমি কেন ঘুমুওনি?
-এমনিতেই ইচ্ছে হয়নি তাই।
-পিউ ।
-বল
-মিথ্যে কেন বলছ আজকে তুমি?তুমিতো মিথ্যে বলছনা
-জানিনাহ।আমি মিথ্যে বলছিনা
-আমি জানি।এখন বল কি নিয়ে চিন্তা করছিলে ?
-আমি খুব খারাপ মেয়ে তাইনা বল ?
-কিহহ।কে বলছে এই কথা ?আমাকে বল
-কেও বলেনি প্রমান পেয়েছি।যান পৃথিবীতে না সবাই সব সুখ পায়না।আমিও পাবনা আর আমার জন্য তুমিও না(চোখে ছিল পানি)
-এসব কি বলছ তুমি ?আমার মাথায় কিছুই ডুকছেনা।
-কিছুনা ।আমি ঘুমুতে গেলাম।
-আরে আরে
এক প্রকার দৌড়ে খাটে গিয়ে শুয়ে পরল।মুখটি ওরনার দিয়ে ডেকে দিল।দেখলাম ভীষন ভাবে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে ।নাহ ওকে এভাবে জিগ্যেস করা যাবেনাহ।জিগ্যেস করলে হয়ত আরো কান্নাকরবে তাই জিগ্যেস করবনা।কালকেই সব জানতে পারব।
.
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পরলাম।বন্ধের দিন ছিল।তাই আর অফিসে যাবার কোন টেনশনটা নেই।ঘুম থেকে উঠে দেখলাম পিউ নেই ।অবশ্য পিউ আমার আগেই ঘুম থেকে উঠে যায় ।হাতমুখ ধোবার পরে দেখি পিও রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রান্না করছে।আমি অবশ্য কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পরেছিলাম তাকে দেখে ।কারন পিও হঠাৎ আজ শাড়ি পরেছে।যে মেয়ে শাড়ি পরার উপর রাগ আজ সে শাড়ি পরেছে ।তাও আবার আমার পছন্দের হলুদ শাড়ি।ভীষন সুন্দর করে কাজল দিয়েছে।চুলগুলো খোলা।একটু অবাকি হলাম পিউকে দেখে।আচ্ছা হঠাৎ আজ কি হল ?বুঝলামনা।
-পিউ?
-ও উঠে পরছ।
-হিম।
-আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নাও।নাস্তা দিচ্ছি।
-একটা কথা জিগ্যেস করব ?
-হিমম কর
-আজকে হঠাৎ শাড়ি পরলা যে।?
-ইচ্ছে হল তাই।কেন পছন্দ হয়নি ?
-হয়েছে বললে ভুল হবে ভীষন রকম।
-হাহা।
-কিন্তু তুমিতো শাড়ি পরইনা।একবার তোমাকে জোর করে পরিয়েছিলাম তাও কবে ঠিক মনে নেই ।
-এবার ইচ্ছে করেই পরলাম।পরপারে যাবার আগে ভালবাসার মানুষটির জন্য এগুলোতো কিছুইনা।
-কিহহহ ।ঠিক বুজলামনা কতাটা।আবার বুঝিয়ে বলত
-না না।বুজবানা।যাও তো নাস্তা দিচ্ছি।খেয়ে নাও।
-আচ্ছা
আমি চলে আসলাম রুমে ।কাল রাত থেকে পিউর কথা গুলো কেমন যানি লাগছে আমার ।আচ্ছা কোন ধরনের কষ্টে নেইতো মেয়ে টি ?কিজানি তা হলেতো বলতো আমাকে ।নাস্তা খেতে বসলাম দেখলাম পিউ এক অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়ে আছে জানালার দিকে।আমি ডাক দিলাভ
-পিউ পিউ ?
-হিম বল
-নাস্তা খাচ্ছনা যে ?
-এমনি
কিছু বললামনা।কি হয়েছে ওর ?নাস্তা খেয়ে রুমে চলে আসলাম।একটু রেডি হয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছি।হাটছি আমি নগরের ব্যাস্ততম রাস্তার ধার দিয়ে।হঠাৎি ফোনটা বেজে উঠল।ধরলাম।নাম্বারটি খুব চেনা।আমার বন্ধু নাহ ঠিক বন্ধু নয় ভাই এর নাম্বার এটা।রাসেল।রাসেল এখন এখন অনেক নামকরা ডাক্তার ।আবার পাশাপাশি সে একটা অনেক বড় অনাথ আশ্রম চালায়।
-কিরে খালিদ ভাইটাকে ভুলে গেলি ? (রাসেল)
-নাহরে ভাই।তোকে কেমনে ভুলি বলত?
-আমারতো তাই মনে হয়।
-ভুল ধারনা তোর।
-আচ্ছা শোন আমি কাল রাতে বাসায় আসছি।অনেকদিন দেখিনা তোদের।আয় আজকে দেখা করব তোদের সাথে ।
-কোথায় বল।
-অনাথ আশ্রমে চলে আয়।আমি এখানেই যাচ্ছি।
-আচছা।
আমি ফোনটা রেখে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় কারো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ পাচ্ছি।মেয়ের কান্না।আশ্চর্য আমরা বাসায় পিউ ছাড়া তো কোন মেয়ে নেই।তাহলে কি পিউ ?এগিয়ে গেলাম রুমে ।দেখলাম পিউই বালিসের মধ্যে মাথা গুঁজে কান্না করছে।এগিয়ে গিয়ে কাঁধে হাত রাখলাম।
-কি হয়েছে কান্না করছ কেন ?
-কিছু হয়নি (চোখ মুছতে মুছতে)
-সত্যি করে বলত কি হয়েছে আবার ?আমাকে তো কিছুইবলছনা তুমি ।
-বলছিতো কিছু হয়নি।আর শুন বেশিদিন আমার দেওয়া কষ্ট তোমাকে আর সহ্য করতে হবেনা তোমাকে
-কি বলছ এগুলো তুমি?
-ঠিকি বলছি।
-আচ্ছা বাদ দাও এখন ঘুমাও তুমি ।
-আচ্ছা
পিউকে খাটে ঘুম পারিয়ে বাইরে চলে এসেছি।হাঁটছি আর ভাবছি কি এমন কষ্ট আমার পিউর ?বলছেনা কেন?ভেতরে ভেতরে জানার আগ্রহটা যেন ছটফট করতে লাগল।একটা রিক্সা নিয়ে চলে আসলাম রাসেলের আশ্রমে ।দেখলাম আগে থেকেই রাসেল আরো কয়েকটা ফ্রেন্ড রয়েছে।সবাই প্রতিষ্ঠিত এখন।আমাকে দেখেই সবাই সেই পুরনো দিনের মত ঠাট্টা মশকারী করছিল।তারপর সবাই আশ্রমের ভেতরে গেলাম।অনেক বাচ্চাদের দেখলাম।দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিলের যে এদের কারোরি বাবা মা নেই।আর ভিতরে গেলাম আশ্রমের ।হঠাৎ দেখলাম একটা মহিলা যে আশ্রমে কাজ করে সে ছোট্ট দুমাসের একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছিল।আমি একটু ডাক দিয়ে থামালাম।সামনে গেলাম বাচ্চাটার।একটা মেয়ে বাচ্চা।এত্ত কিউট বলে বোঝাতে পারবনা ।আমার দিকে ড্যাবডাব করে তাকিয়ে আছে ।আমি কোলে না নিয়ে পারলামনা।কোলে নিতেই মেয়ে টি একটা হাসি দিল।আমি একটু জরিয়ে ধরলাম ।ভীষন ভাল লাগছিল।আমি রাসেলের দিকে তাকালাম আর ইশারায় জিগ্যেস করলাম কে এই মেয়ে?
-6দিন হয়েছে ।ওর বাবা মা নেই।মা ছিল মারা গিয়েছে ।(রাসেল)
-আমার যেন হঠাৎ কেমন যেন মনে হল।এত সুন্দর একটা বাচ্চার মা নেই ?বিশ্বাশ করতে পারছিনা আমি।আমি ওকে কোলে নিয়ে মহিলাকে চলে যেতে বললাম।ওকে কোলে নিয়েই আমি হাটছি আর বন্ধুদের সাথে কথা বলছি।সন্ধ্যায় আশার সময় রেখে আসতে ভীষন কষ্ট হচ্ছিল।তবুও উকে রেখে আসি।আসার সময়ো সময়োপযোগী আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিল।যেন বলছিল আমাকে ছেড়ে না গেলে কি হয়না?
ভায়াভরা এক চাহনি শুধু মাত্র কথা শেখার অপেক্ষা ।বাসায় চলে আসি আমি।আসতে আসতে ভাবছি মেয়ে টির কথা পিওকে বলব।বাসায় এসে দেখি পিউ এখনো ঘুমে।থাক জাগাবনা ।ঘুমাক মেয়ে টি…..রাতে পিউ আর আমি খেলাম।মেয়ে টি যেন চুপচাপ হয়ে গেছে।কিছুই বলছেনা।খাবার শেষে আমাকে রেখেই বারান্দায় চলে গেল।এভাবেই চলছিল আমাদের জীবন।আর অন্যদিকে রোজ আশ্রয়ে যেতাম মেয়ে টির সাথে দেখা করতে।সারাদিন আমার কোলেই থাকত।আমাকে জরিয়ে ধরে থাকত।নিজেকে উর বাবা বাবা মনে হত।মনে হত ছোট্ট একটা পরি যেন আকাশ থেকে নেমে এসেছে আমার কোলে আর আমি এই বড় বড় চোখজোড়ার আর ড্যাবডাব চাহনির মায়জালে পরেযাচ্ছি।সেদিন রাত্রিবেলা বাসার আলমারি খুলে শার্ট টা বের করতে যাবার সময় একটা খাম চোখে পরল।বের করে খুললাম আমি …একটা তিন পৃষ্ঠার মেডিকেল রিপোর্ট ।পেশেন্টের নাম পিউ।হঠাৎ পিউর কি হল আবার ?শেষ পৃষ্ঠায় দেখলাম একটি লাইন লেখা তার মর্মার্থ এই যে পিউ কোনওদিন মা হতে পারবেনা।আমি কিছুক্ষণ নিরব ছিলাম।পৃথিবীর সব আলো যেন আমার জন্য নিভে গেল এক নিমিষেই ।চোখগুলি আমার পানি দিয়ে পুর্ন হয়ে গেল।সময় টি যেন স্থির হয়ে এছে।কি বলছে এই কাগজ আমার পিউ মা হতে পারবেনা ?এতদিনে আমার কাছে সব পরিষ্কার হতে লাগল।পিউর কষ্ট আর কান্নার কারন এই সেই কাগজ।চোখ মেলে দেখলাম পিউ ঘুমুচ্ছে।নিষ্পাপ যেন মেয়ে টির চেহারাটি কিন্তু কপালে যার অসীম দুঃখ ।কেমন শুকিয়ে গেছে কাঁদতে কাদতে।চোখের নিচে কালি জমেছে।আমি আর কিছু বলিনি ।একটা মেয়ে মা না হতে পারার কষ্ট টা হয়ত একজন ছেলের থেকে একটা মেয়েই ভাল বুজবে।সেদিন ঘুমিয়ে গেলাম।পরেরদিন পিউর অজান্তেই আমি সকালে আশ্রমে চলে গেলাম।আমি রাসেলকে সব খুলে বলেছি।আর সবকিছু নিই বাসায় ফিরে আসি।আমি বাসায় নক করে অন্য পাশে চলে যাই।দেখলাম পিউ দরজা খুলেছে।দেখলাম পিউ সামনে তাকাল।দরজার সামনেই আমি চেয়ারে রেখেছিলাম সেই পিচ্চি মেয়ে টাকে।মেয়েটি দেখলাম পিউর দিকেও একিভাবে তাকিয়ে আছে আর যেন বলছে আমাকে কোল নাওনা……দেখলাম পিউ বাচ্চাটিকে চট করে কোলে নিল আর চোখেমুখে চুমু দিতে লাগল।তারপর জরিয়ে ধরল।আমি সামনে গেলাম ।দেখলাম বাচ্চাটি জরিয়ে ধরে আছে পিউকে যেন অনেকদিন পর সে তার মাকে খুঁজে পেয়ে ছে।আমার দিকে পিউ কান্নাভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে যেন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।।মা মেয়ের এই দৃশ্য খুবি বিরল।কোন লেখকি হয়ত বর্ননা করতৃ পারবেনা সেই দৃশ্য যদিনা সে তখন সেখানে উপস্থিত থাকে।দেখলাম বাচ্চাটি তার মায়ের কোলে অনেকদিন পর শান্তিতে ঘুমুচ্ছে…
.
.
………………………………………….. সমাপ্ত …………………………………………
গল্পের বিষয়:
ছোট গল্প