বানর রাজার নাম হলো ‘কারদানা’। এই বানররাজ ছিল খুবই ন্যায়নীতিবান তবে বয়সের ভারে ন্যুব্জ, যাকে বলে একেবারে থুরথুরে বুড়ো। জীবন গাছের সবুজ পাতাগুলো তার ঝরে পড়তে পড়তে শরতের রূপ ধারণ করেছে। শরত মানেই পাতা ঝরার কাল। যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যের কাল। কারদানা রাজার অবস্থা এখন তেমনি থুরথুরে শারদী। না আছে তার যৌবন আর না আছে সেই সতেজতা…তারুণ্যের সেই উচ্ছ্বল সোনাঝরা দিনগুলো হারিয়ে গেছে…। এই বুড়ো বানর রাজার রাজ্যে ছিল তরুণ এক বানর। সে সবসময় স্বপ্ন দেখতো রাজা হবার। সারাক্ষণ সে সুযোগের সন্ধানে থাকতো তার স্বপ্ন পূরণ করার, স্বপ্নকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করার। তার মাথা থেকে এই স্বপ্ন কোনোভাবেই যেত না বরং ক্রমশ আরো রঙীন হয়ে উঠত।
কিন্তু বৃদ্ধ বানর রাজাটাও মরে না, তারও ভাগ্য খোলে না। কত আর অপেক্ষা করা যায়! তরুণ বানরের প্রতীক্ষার প্রহর যেন আর কাটতে চায় না। সে একেবারে অস্থির হয়ে পড়েছে। এদিকে সময়ও যেন তার জন্যে নষ্ট ঘড়ির কাঁটার মতো অচল হয়ে আছে। সে মনে মনে ভাবল: বানর রাজার তো আর প্রশাসন চালানোর মতো শক্তি সামর্থ নেই বললেই চলে। কী আর হবে! এই ভেবে সে তার কয়েকজন সঙ্গী সাথীকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। তাদেরকে নিয়ে একদিন সে বৃদ্ধ এবং দুর্বল রাজা কারদানার ওপর আক্রমণ করে বসে।
কারদানার তো আর এই আক্রমণ প্রতিহত করা কিংবা মোকাবেলা করার মতো শক্তি সামর্থ ছিল না। সুতরাং পরাজয় বরণ করে নিল। রাজার পরাজয় মেনে নেওয়া মানে ষড়যন্ত্রকারী তরুণ বানরকেই রাজা বানানো। তাই হলো। আক্রমণকারী তরুণ বানর রাজা বনে গেল। কিন্তু তরুণ রাজা বৃদ্ধ কারদানাকে বাদশাহীর মসনদ থেকে সরিয়েই তৃপ্ত হলো না, তাকে মেরে ফেলতেও উদ্যত হলো। কারদানা তাকে মারার বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে গেল। সমুদ্র উপকূলীয় একটি জঙ্গলের ভেতর চলে গেলে কারদানা। ওই তরুবীথিটি ছিল ফলমূলে ভর্তি। সেসব খেয়েই মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছে কারদানা। একাকী সেই বনে এভাবেই কাটতে লাগল তার দিনরাত্রি। একদিন গাছের ডালে বসে ডুমুর খাচ্ছিল সে। হঠাৎ একটা ডুমুর তার হাত থেকে নিচে পানিতে পড়ে গেল। সেখানে গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিল একটা কচ্ছপ। কচ্ছপ ডুমুরটা দেখতে পেল এবং পানিতে গিয়ে ডুমুরটা এনে খেয়ে ফেলল। ডুমুরটা বেশ মজাই লাগল তার কাছে।
ডুমুর পানিতে ফেলার শব্দ কারদানা খুব ভালো লাগল। সেজন্যে সে একটা ডুমুর খায় তো আরেকটা পানিতে ফেলে। ওদিকে কচ্ছপও মজা পেয়ে একটা খেয়ে অপেক্ষায় থাকে আবার কখোন পড়ে। যে তার জন্যে এভাবে ডুমুর ফেলছে সেই মহান এবং উদার প্রাণীর জন্যে তার খুব মায়া হলো। সে গাছের নিচে বসেই চিৎকার করে বলল: হে আমার অদেখা নতুন বন্ধু! তোমার দয়ার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। যে ফলগুলো তুমি আমার জন্যে ফেলেছো, খুবই সুস্বাদু এবং মজার।
কচ্ছপের চিৎকার শুনে বুড়ো বানর নিচের দিকে তাকায়। কচ্ছপ তার নজরে পড়ে। তাকে সালাম জানিয়ে বানর বলে: হে প্রিয় নতুন বন্ধু আমার! তোমাকে এখানে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। একাকী জান বের হয়ে যাচ্ছিলো আমার। তোমার অস্তিত্ব আমার জন্যে বিশাল প্রাপ্তি। আমি এক্ষুণি নিচে এসে পরস্পরে পরিচিত হবো। তাই হলো। কচ্ছপ বলল: আচ্ছা! তুমি কোত্থেকে এসেছো? কোথায় যাবে? এখানে কী করছো?
কারদানা তার জীবনের সত্য গল্প খুলে বলল। এরপর বলল ‘ব্যস, এখন এভাবেই তোমার খেদমতে আছি। কী যে ভালো হলো তোমাকে পেয়ে…নিঃসঙ্গতায় দমি একেবারে আটকে যাচ্ছিল আমার’।
কচ্ছপও বলল: ‘আমিও তোমাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। আশা করি তুমি আমি ভালো বন্ধুই হব’।
এরপর ভালোভাবেই তাদের কেটে গেল বহুদিন। তাদের বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হলো। কচ্ছপের তো বউ-বাচ্চা ছিল। নতুন বন্ধুর টানে তাদের প্রতি টানে ভাটা পড়লো কিছুটা। ব্যাপারটা কচ্ছপের স্ত্রী টের পেল এবং কিছুটা বিরক্তও হলো। তার ঘুম চলে গেল দু’চোখ থেকে। কেন যে তার স্বামি বাসায় ফিরছে না বুঝে আসছিল না তার। তবু পথের দিকে তাকিয়ে থাকতো কচ্ছপের স্ত্রী। তাকিয়ে থাকতে থাকতে একদিন তার চোখে পড়ল তার এক প্রতিবেশিকে। প্রতিবেশি তাকে বিষন্ন দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলো: কী হয়েছে, এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?
আগন্তুককে সে বলল: মনের জ্বালা আর বাড়িও না বোন। কী আর বলবো, না বলাই বরং ভালো! আমার স্বামী আর কদিন হলো বেরিয়েছে, এখনো ফেরার কোনো লক্ষণ দেখি না।
প্রতিবেশি বলল: চিন্তা কর না, আমি জানি, কোথায় আছে তোমার স্বামী।
কচ্ছপের বউ বলল: তাই নাকি, কোথায়, কোথায় বলো না!
প্রতিবেশি কচ্ছপ বলল: দু’তিনদিন আগে আমি সমুদ্র তীরের জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম সে একটা বানরের সাথে গল্প করছে। মনে হলো নতুন বন্ধুত্ব হয়েছে, সেজন্যেই হয়তো…..
কথা শেষ না হতেই কচ্ছপের স্ত্রী বলল: তার মানে নিজের বউ-বাচ্চার চেয়েও নতুন বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল!..এই বলেই কাঁদতে শুরু করে দিলো..
প্রতিবেশির স্ত্রী বলল: না কেঁদে বরং উপায় খুঁজে বের করা উত্তম।
কচ্ছপের স্ত্রী বলল: কী করবো..কিছুই তো মাথায় খেলছে না..
প্রতিবেশি কচ্ছপ বলল: বানরকে মেরে ফেলাই একমাত্র সমাধান। এক কাজ করো, তুমি অসুস্থতার ভান করো, বাকি কাজ আমি করছি… তুমি শুধু একটা কাজ করবে, যখন তোমার স্বামি ফিরে আসবে..তুমি কান্নাকাটি শুরু করবে..।
এই বলে সে চলে গেল বানরের বন্ধু কচ্ছপের কাছে। কচ্ছপ তো প্রতিবেশিকে দেখে অবাক হয়ে গেল। এখানে কী জন্যে, জিজ্ঞেস করতেই প্রতিবেশি অনুযোগের স্বরে বলল: ক’দিন হলো বাসা থেকে বের হয়েছো? খবর আছে তোমার বউ বাচ্চার! কী হালে আছে.. মরে গেছে না বেঁচে আছে?
কচ্ছপ বলল: তাই তো! আমি তো ভুলেই গেছিলাম। কেন, কোনো সমস্যা হয় নি তো!
প্রতিবেশি কচ্ছপ বলল: বেশ কদিন ধরে তোমার বউ অসুস্থ..খালি তোমাকে ডাকছে..
কচ্ছপ তার বউয়ের অসুস্থতার কথা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল। তাড়াতাড়ি বন্ধু বানরকে বলল: দোস্ত! মাফ কর! তোমাকে একা রেখে আমাকে একটু বাসায় যেতে হচ্ছে। কথা দিচ্ছি আবারো ফিরে আসব। খোদা হাফেজ!
বানর কচ্ছপকে বলল: তোমার বউয়ের অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই খারাপ লাগল। আমি যদি কোনো হেল্প্ করতে পারতাম ভালো লাগত।
ঠিক আছে! এই বলে ধন্যবাদ জানিয়ে কচ্ছপ ফিরে গেল বাসায়।
কচ্ছপ বাসায় ফিরে গিয়ে তার বউয়ের প্রতি সহমর্মিতা জানাল এবং দীর্ঘ অনুপস্থিতির জন্যে ক্ষমা চাইল। কচ্ছপের বউ অসুস্থতার ভান করে উহ..আহ করে কান্নার অভিনয় করল। কচ্ছপ বউয়ের অবস্থা দেখে ভীষণ অস্থির হয়ে পড়লো। প্রতিবেশি কচ্ছপ বলে উঠল: ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তবে একটিমাত্র ওষুধ তোমার বউয়ের এই অসুখ সারিয়ে তুলতে পারবে।
কচ্ছপ হন্তদন্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল: কী সেই ওষুধ, বল, আমি যেভাবেই হোক সংগ্রহ করব।
প্রতিবেশি কচ্ছপ বলল: ওষুধটা হলো বানরের হৃৎপিণ্ড। তোমার বউ বানরের হৃৎপিণ্ড খেলে ভালো হয়ে যাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা জোগাড় করতে হবে।
কচ্ছপ বলল: তুমি একটু দেখাশুনা করো..আমি এক্ষুণি বেরুচ্ছি..অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
এই বলে কচ্ছপ বেরিয়ে পড়ল। বানরের হৃৎপিণ্ড সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু সে তো মাত্র একটি বানরকেই চেনে… সে তো তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কারদানা। তাহলে কী করা যায়..! ভীষণ দোলাচলে পড়ে গেল কচ্ছপ। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হাত গুটিয়ে বসে থাকলে বউ মারা যাবে..। একদিকে বন্ধু বানর, অপরদিকে বউয়ের মৃত্যু.. ছেলে মেয়েদের মাতৃহীনতার কষ্ট। অনেক ভেবেচিন্তে কচ্ছপ অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো বন্ধু বানরের কাছেই যাবে এবং তাকে প্রতারিত করে নিজ স্ত্রীকে মরণ থেকে বাঁচিয়ে তুলবে। কচ্ছপ ঘর থেকে বেরিয়ে দ্রুত চলে গেল বানরের কাছে। মনে মনে ফন্দি আঁটছিল কী করে তাকে কচ্ছপের বাসায় নিয়ে যাওয়া যায়।
কারদানা গাছের একটি শাখায় নিঃসঙ্গ বসে ছিল। মনটা খারাপ ছিল তার। দূর থেকে কচ্ছপকে আসতে দেখেই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। এখন কচ্ছপকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞেস করলো: ‘তুমি চলে যাওয়াতে আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল। ভালোই হলো ফিরে এসেছ’।
কচ্ছপ বলল: তুমি আমার এতো ভালো বন্ধু যে পারলাম না একা থাকতে। আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে তোমার মতো নিরহংকার এবং অভিন্ন হৃদয় বন্ধু পেলাম। আমার ভালো লাগবে যদি তুমি আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ কর এবং আমার বাসায় আস। আমার পরিবারের সবাই তোমাকে দেখে ভীষণ খুশি হবে। কারদানা খুশি হয়ে বলল: কিন্তু সমস্যা আছে যে! তোমার বাসা তো পানিতে, ছোট্ট দ্বীপে। আমি তো পানি সাঁতরাতে জানি না।
কচ্ছপ বলল: এটা কোনো সমস্যাই না। তুমি আমার পিঠে চড়বে, আমি তোমাকে দ্বীপে নিয়ে যাব।
কচ্ছপ বানরকে পিঠে চড়িয়ে দ্বীপের দিকে রওনা হলো। বানর কারদানার কাছে অসম্ভব কৌতূহল উদ্দীপক ছিল এই যাত্রা। কারণ এই প্রথমবারের মতো সে সমুদ্রের পানি পেরিয়ে একটা দ্বীপে যাচ্ছে। পানিতে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতাটাই অন্যরকম। ভীষণ উৎফুল্ল কারদানা। কচ্ছপ তার বন্ধুর এই অকৃত্রিম উল্লাসে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেল। কত বড় পাপ করতে যাচ্ছে সে, তাছাড়া বন্ধুর সাথে প্রতারণা বিষয়টি তাকে একেবারে জেঁকে বসলো। কিন্তু অন্য আর কী করার আছে! কচ্ছপ ভাবলো যদি সে নিজে যেত ডাক্তারের কাছে, তাহলে হয়তো অন্য কোনো উপায় খুঁজে বের করা যেত। কচ্ছপ চুপ করে থাকায় কারদানা বলল: কী ব্যাপার! চুপ হয়ে গেলে কেন? আমার ভারে ক্লান্ত হয়ে গেছো বুঝি!
কচ্ছপ বলল: না দোস্ত! ভাবছি বউ তো অসুস্থ, তোমাকে মেহমানদারি করবো কীভাবে!
বানর বলল: সমস্যা মনে করলে বাদ দাও, আরেকদিন যাওয়া যাবে।
কচ্ছপ বলল: না, সমস্যা কী…
কচ্ছপ আবারো নীরব হয়ে গেল। এবারের নীরবতায় বানরও চুপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর বলল: কী হলো আবার! সত্যি করে বলো, হয়তো হেল্প করতে পারবো।
কচ্ছপ বলল: সত্যি বলতে কি! আমার বউয়ের অসুস্থতায় আমি উদ্বিগ্ন। কোনো ওষুধেই কাজ হবে না, একটা ওষুধ ছাড়া।
বানর বলল: কী ওষুধ সেটা?
কচ্ছপ হুট করে বলে ফেলল: বানরের হৃৎপিণ্ড।
কারদানার মাথায় এবার যেন বজ্রাঘাত হলো। পানির পড়ে যাচ্ছিলো সে। কোনোরকমে সামলে নিলো। মনে মনে বলল: আমার তো চারদিকেই পানি আর পানি। কী করা যায়! মৃত্যু বুঝি ঘনিয়ে এসেছে! হঠাৎ তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। কচ্ছপের দিকে তাকিয়ে বলল: ওষুধের কথাটা আমাকে আগে বললে না কেন, আমি হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে আসতাম তোমার বউয়ের চিকিৎসার জন্যে।
কচ্ছপ বলল: নিয়ে আসতাম মানে? তোমার হৃৎপিণ্ড কোথায়?
বানর বলল: বাসায় রেখে এসেছি।
কচ্ছপ বলল: হৃৎপিণ্ড আবার ঘরে রেখে আস নাকি?
বানর বলল: হ্যাঁ! আমাদের সমাজে এরকম প্রচলন আছে যে, যখন কোনো বানর কাউকে দেখতে যায় তখন তাদের হৃৎপিণ্ড বাসায় রেখে যায়। কারণটা হলো হৃৎপিণ্ড থাকলে বিচিত্র চিন্তাও আসে। আর টেনশান থাকলে প্রাণখুলে কথা বলা যায় না। সমস্যা নাই, চলো আমরা হৃৎপিণ্ডটা নিয়ে আসি।
কচ্ছপ অগত্যা রাজি হয়ে গেল এবং ফিরে গেল উপকূলের দিকে। বানর সমুদ্র তীরের মাটির নাগাল পেয়েই স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপর কচ্ছপকে বলল: তুই এখানে থাক, আমি বাসায় গিয়ে হৃৎপিণ্ড নিয়ে আসি।
কচ্ছপ বলল: যাও, তাড়াতাড়ি কর!
কারদানা গাছের উঁচু ডালে গিয়ে আরামে বসে থাকল। অনেক সময় পর্যন্ত ফিরে না আসায় কচ্ছপ ধৈর্যহারা হয়ে পড়ল। নিচ থেকে চিৎকার করে বলল: আসছো না কেন? কী হয়েছে? হৃৎপিণ্ড পাও নি?
কারদানা বলল: পেয়েছি, কিন্তু তুমি একাই যাও। আমি এতো আহম্মক নই যে আবারো তোমার জালে ধরা দেব। তুমি বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে খেয়ানত করেছো। তোমার প্রতারণার ফাঁদে আর পা দেবো না আমি।
কচ্ছপ বলল: আমি ভুল করেছি। তুমি আমাকে আজ একটা ভালো শিক্ষা দিয়েছো। আমাকে ক্ষমা করো। আর একটিবারের জন্যে আমার ওপর আস্থা রাখ।
কিন্তু কারদানা বলল: না হে দোস্ত! পরীক্ষিত বিষয়কে পুনরায় পরীক্ষা করা ভুল। তোমার প্রতি আমার আর কোনো আস্থা নেই। তোমার সাথে বন্ধুত্বের চেয়ে নিঃসঙ্গতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি আমি। দেখা হবে পরকালে।