এক যে ছিল বৃদ্ধ। তার একটি মাত্র ছেলে। ছেলেটা যেমন সাহাসী তেমনি দক্ষ শিকারি।
বৃদ্ধ একদিন স্বপ্ন দেখল, তার ছেলেকে আক্রমণ করছে একটা সিংহ। মোকাবিলা করতে না পেরে মারা গেল ছেলেটা। সাথে সাথে ঘুম ভেঙে গেল বৃদ্ধ লোকটার। ধড়ফড় করে উঠে বসল বিছানায়। তার গা কাঁপতে লাগল। তার খুব ভয়ও লাগে। কী জানি কী হয়। স্বপ্নে দেখা ঘটনা বাস্তবও ত হয়। তাহলে এখন কী করা যায়?
অনেক ভেবেচিন্তে মাটির নিচে একটা ঘর বানায় বৃদ্ধ। ছেলেকে সেখানে রেখে দরজা ত বন্ধ করেই, তার উপর নিয়োগ করে প্রহরী।
ছেলেটা যেহেতু শিকারি ছিল, বৃদ্ধ তার ঘরের দেয়ালে নানা রকম জীবজন্তুর ছবি আঁকায়, ছেলের মন যাতে ভাল থাকে। কিন্তু ছবি দেখে কি আর শিকারের শখ মেটে? ছেলের মনটা সব সময় উড়ু উড়ু করে বাইরে যাবার জন্য। দেয়ালে আঁকা সিংহের ছবি দেখে তার মন আরো বেশি ছটফট করে। আর সিংহের ছবিটার উপর তার খুব রাগও হয়। এর কারণেই আজ সে ঘরে বন্দী।
রাগে মাথা খারাপ হয়ে সিংহের চোখের মধ্যে আঙুল ঢোকাতে চেষ্টা করল ছেলেটা। অমনি খানিক পলেস্তারা ঢুকে গেল তার নখের মধ্যে। শুরু হল যন্ত্রণা। নখের যন্ত্রণা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ল সারা দেহে। যন্ত্রণা থেকে জ্বর। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ল।
দুর্বল শরীরের বাসা বাঁধতে লাগল একের পর এক রোগব্যাধি। শেষ পর্যন্ত মারা গেল ছেলেটা।
মর্মকথা : সতর্ক হতে হলে আগে-পাছে ভাবতে হয়।