শেষ চাওয়া

শেষ চাওয়া

>:> এক মা মরা ছেলে নাম আজম >>>সে খুব সাধারন ভাবে চলাফেরা করে >>> তার বাবা বিরাট ব্যবসায়ী টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই তার ১ম বউ মানে আজমের নিজের মা মরার ২বছর পর আবার বিয়ে করে আজমের বাবা, তখন আজমের বয়স ১০ বছর >>>

আজমের সত্‍মা আজমকে দুচোখে দেখতে পারতো না সব সময় কথা শুনাতো এবং বাড়ির সব কাজ করিয়ে নিতো >>>এদিকে আজমের বাবাও দিন দিন পালটে যেতে লাগলো আজমকে একটু কিছু হলেই মার ধোর করতো >>>
এসব কারনে আমজ অনেক কষ্ট পেত ভাবতো মা কেন আমাকে একা রেখে গেল কেন আমাকে সাথে করে নিয়ে গেল না >>>> মা কি দেখতে পাই না যে আমাকে সবাই মারে ,কেউ আমাকে সহ্য করতে পারে না , আজম মাঝে মাঝে ভাবে সেও তার মার কাছে চলে যাবে কিন্তু পারে না কারন তাকে তার মার সপ্ন পূরন করতে হবে তাকে ডাক্তার হতে হবে >>>

এদিকে আমজ এখন ইন্টার ২য় বর্ষে তাই তার বাড়ি সব কাজ করে পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে, আর তার সত্‍মায়ে একটা মেয়ে ও হয়েছে এখন তার আপন বলতে তার সেই সত্‍ বোন আসলে আজম তাকে তার সত্‍ বোন মনে করে না এবং তার বোন ও আজমকে সত্‍ ভাই মনে করে না >>>>
আজমের বোনের বয়স ৭ বছর কিন্তু অনেক পাকা পাকা কখা বলে যেন পাক্কা বুড়ি >>> আজম তার বোনকে অনেক ভালোবাসে তার বোন ও আজমকে অনেক ভালোবাসে>>>>

আজমকে এখনো তার বাবা মারধোর করে আর তার সত্‍মা তো তাকে আগের থেকে এখন আরো বেশি কথা শুনার ,অপমান করে >>>> আর এদিকে আজম প্রতিদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে কাদে আর বলে “মা আমি অনেক ভালো আছি মা, তোমার ছেলে তোমার সপ্ন পুরন করবে মা,শত কষ্টের মাঝেও তোমার ছেলে তোমাকে দেওয়া কথা রাখবে, মা জানো মাঝে মাঝে না আমার অনেক বেশি কষ্ট হয় যখন আমার আরেক মা আমার বোনকে আমার কাছে আসতে দাই না যখন বাবা আমাকে সবার সমানে পরিচয় দাই আমি বাড়ির কাজের ছেলে…জানো মা বাবা আমাকে অনেক মারে কিন্তু আমার একটুও কষ্ট হয় না কখন কষ্ট হয় জানো মা যখন বাবা মারতে মারতে বলে “নিজে মরেছে মরেছে আপদটাকে রেথে গেছে কেন কে জানে” এই কথাটা শুনে আমার বুকের ভেতরটা ফেটে যায়>>>>

এভাবেই দিন চলতে থাকে আজমের >>> এদিকে আজমদের বাসার নিচ তলায় নতুন ভাড়াটিয়া আসেছে তাদের একটা মেয়েও আছে আজমের সেম ইয়ারে পরে কিন্তু আজমের এসব নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথ্যা নেই >>>>>একদিন আজম কলেজ যাওয়ার সময় সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে মেয়েটির সাথে ধাক্কা খায়…তার মেয়েটি আজমকে অনেক অপমান করে কিন্তু আজম মেয়েটিকে একটি কথাও বলেনি সজা কলেজ চলে যায় কারন তাকে তার মায়ের #শেষ_চাওয়া_ পূরন করতে হবে!

অবাক করা বিষয় হলো মেয়েটিও আজমের সেম কলেজেই পড়ে >>>আজম মেয়েটিকে কলেজে না দেখলেও মেয়েটি আজম কে ঠিকি দেখে >>>

এভাবে একমাস চলে যায় কিন্তু আজম মেয়েটির সাথে একটি কথাও বলেনি >>> এতে করে মীম মানে সেই মেয়েটির অনেক রাগ হয় কারন মীম এর সাথে কথা বলার জন্য কলেজে ছেলেরা লাইন দিয়ে থাকে কিন্তু আজম কথা তো দুরের কথা একবার তাকায় ও না >>> এতে করে মীম মনে করে ছেলেটির মানে আজমের অনেক ভাব তাই মীম ঠিক করে আজমকে প্রেমের জালে ফাসাবে…তাই মীম তার কাজে লেগে পড়ে >>> কিন্তু আজম কিছুতেই সে জালে পা দেই না তাই মীমের রাগ আরে বেড়ে যায় >>>
তাই মীম আজমের বোনকে মানে দিপাকে হাত করে >>

এভাবে আরে একমার চলে যার কিন্তু মীম কিছুতেই আজমকে ফাসাতে পারে না >>>এদিকে আজমের ওপর তার পরিবারের অত্যাচার আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু এসব কিছুর পরের ও আজম তার লক্ষে এগিয়ে যাচ্চে >>>

একদিন আজমের পরিবারের সবাই ঘুরতে যার শুধু আজম ছাড়া
পুরা বাড়ি ফাকা এই কথাটা মীম কোনো ভাবে জেনে যার আর মীম ভাবে এইতো সুযোগ >>>
মীম আজমের পরিবার বেড় হওয়ার পর কোনো ভাবে আজমের অজানতেই আজমের ঘরে ডুকে পরে >>>

কিছুকক্ষ পর আজমের বাড়ির ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও শব্দ বের হয় এর ফলে আজের বাড়ির আশে পাশে অনেক মানুষ জরো হয় >> বাড়ির বেতর থেকে আরে জোরে জোরে বাচাও বাচাও শব্দ ভেসে আসছে ফলে লোকজন আজমদের বাড়ির মেন গেট ভেঙে ফেলে আর ভিতরে গিয়ে দেখে মীম এক কনাই বসে কাদছে মীমের জামার বিভিন্ন জাইগার ছেরা আর পাশে আজমকে দেখে >>>আজম লোক জনকে দেখে বলে দেখন না আপনারা এই মেয়েটি আমার বাসায় এসে অযোথা জামা ছিরে চিল্লানি দিয়ে >>> তার পর মীম তার নাটক শুরু করে >>> মীম লোকজনকে বলা শুরু করে আজম তাকে পড়া বুঝার জন্য ডেকে আনে তার পর মীম আজমকে পড়া বুঝার জন্য আজমের সাথে চলে আসে কিন্তু আজমদের বাসায় আসার কিছুকক্ষ পরেই আমজ মীমকে >>>>

খারাপ প্রস্তাব দেই মীম তাতে রাজি না হলে আজম তাকে জোর করে তার পর মীম আর কিছু বলে না শুধুই কান্না করে >>> এসব কথা শুনে আজম অবাক হয় কারন আজম তো জানেই না মীম কথন তার বাসায় ঢুকেছে তাই আজম লোকজনকে বলে মীম এর সকল কথা মিথ্যা কিন্তু আজমের কথা কেউ বিশ্বাস করে না >>> কিছুলোক আজম এবং মীমের বাবাকে ফোন দাই কিছুকক্ষ পরেই মীমের বাবা এসে হাজির হয় মীম তার বাবাকেই দেখেই দোড়ে তার বাবাকে জোরিয়ে ধরে আর কন্না করে …এর মাত্র কয়েক মিনিট পর আজমের পরিবার চলে আসে তার পর আজম এবং মীমের বাবাকে লোক জন সবা খুলে বলে তার পর পাড়ার লোকেরা আজমকে অনেক অপমান করে মীমের বাবাও অনেক অপমান করে আর এদিকে তো আজমের বাবা আজমকে এক ঘরে নিয়ে গিয়ে বেত দিয়ে অনেক মারে তার পর কয়েল এর আগুন দিয়ে আজমের সারা গায়ে ছ্যাকা দেই আর তার মাকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলে >>>

এইভাবে একদিন কেটে যায় আজমকে এখন কেউ সহ্য করতে পারে না আজম খেতে আসলে সবাই খাবার ছেরে উঠে যায় শুধু তার বোন ছারা এতে কয়ে আজম অনেক খুশি হয় কারন তার বোন তাকে এখনো ভুল বুঝেনি >>>
একই দিন আজম ছাদে যায় কিন্তু মীম যে ছাদে আছে আজম তা খেয়াল করেনি তার পর মীম এর বাবা আজমকে ছাদে দেখে বলতে শুরু করে”কিরে বিয়াদব তোর এখনো শিক্ষা হয়নি তুই আবার আমার মেয়েকে দেখতে ছাদে এসেছিস,আরে তোর মতো ছেলের তো বেঁচে থাকার অধিকার নেই তুই যে কি করে বেচে আছিস কে জানে,কোন মা যে তোকে পেটা ধরছিলো কে জানে,আচ্চা তোর বাবা কি তোকে একটুও শাসন করে না,,”
এই সব কথা শুনে আজম হেসে বলে”ঠিকি বলেছেন আমার মতো ছেলের বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই,আর আমাকে যে পেটে ধরেছে তার সপ্ন পূরনের জন্যই আজ আমি বেচে আছি,আর শাসন এইযে দেখেন ,এইবলে আজম তার গায়ের জামাটা খুলে দিলো আর আজমের শরীর দেখে মীম এবং মীমের বাবা অবাক হয়ে গেল >>> তার পর আজম সেখান থেকে চলে এসে সোজা তার ঘরে চলে এলো আর সে মনে মনে ভাবে আর সেই এ সমাজের বোঝা হবে না তাই সে একটা চিঠি লিখে না ফেরার দেশে চলে যায়>>> এদিকে আজম যে আর এই নাটাকীয় পৃথিবীতে নেই এটা কেউ যানে না আর জানবেই বা কি করে আজমের তো কেউ খোজ খোবোর নেই না শুধু তার বোন ছারা >>> রাত পেরিয়ে সকাল হয় তার বোন তাকে খেতে ডাকতে তার ঘরের সামনে ডাকাডাকি শুরু করে কিন্তু যাকে ডাকছে সে তো আর এই পৃথিবীতে নেই না ফেরার দেশে চলে গেছে >>>
দিপা অনেক ডাকার পরেই যখন আজম দরজা খুললো না ,তখন দিপা তার মায়ের কাছে গিয়ে বললো যে আজম ভাইয়া কে অনেক ডাকার পরেই দরজা খুলছে না |কিন্তু দিপার কথার গুরুত্ব কেউ দিলো না এদিকে সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলো কিন্তু আজম এর কোনো খোজ নিলো না….বিকেলে আজমের মা তাকে ডাকতে যায় কারন আজমকে এখন বাসা পরিষ্কার করতে বলবে ! কিন্তু অনেক ডাকার পরেও আজম দরজা খুললো না তাই সে আজমের বাবাকে ডাক দিলো, আজমের বাবাও অনেক ডাকলো কিন্তু ভেতোর থেকে কোনো সারা নেই |তাই কোনো উপায় না দেখে পাড়ার কিছু লোক কে ডেকে আজের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে আর ভেতরে যা দেখে তা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না ,ভেতরে আজমের রক্তাত্ব দেহ পরে আছে এই ব্যপারটা কিছু কক্ষের মধ্যে পুরা এলাকায় ছরিয়ে পরে ফলে সবাই আজমের বাড়ি এসে ভির জমায় মীম এবং মীমের পরিবারো আসে|
কেউ না লক্ষ করলেই দিপা ঠিকি লক্ষ করলো যে আজমের টেবিলে এটা রক্ত মাখা কাগজ তাই সে কাগজটা দিয়ে তার বাবাকে কান্না করতে করতে দেই তার বাবা কাগজটা হাতে নিয়ে দেখে এটা একটা চিঠা তাই তা পরতে শুরু করে>>>

প্রিয় বাবা ,

বাবা আমি চলে গেলাম না ফেরার দেশে আর তোমাকে টাকা খরচ করে বেত কিনতে হবে আর এই আপদটাকে দুচোখে দেখতে হবে না আর কারো সামনে আমার পরিচয় লুকালে হবে না!!!
মা আমি তো আর বাড়ির কাজ করতে পারবো না তুমি আবার রাগ করো না..,
বাবা জানো তুমি যখন আমাকে বেত দিয়ে মারতে তখন আমার একটুও কষ্ট হতো না কখন কষ্ট হতো জানো যখন তুমি সবার সামনে আমার পরিচয় দিতে আমি বাড়ির কাজের ছেলে..তখন না আমি ছাদে গিয়ে কাদতার আর মাকে বলতা কেন তুমি আমাকে একা কয়ে রেখে গেলে আর তখন আমার ছোট্ট বোনটা আমার চোখের জল মুছে দিতো আর বলতো ভাইয়া তুই একা না আমি তোর বোন তাহলে তুই কিভাবে একা হলি!!
কিন্তু আমার বোনকে তো আমার কাছে আসতে দিতো না আমার মা .,..আমার কাছে তাকলে নাকি আমার বোন খারাপ হয়ে যাবে তখন না আমার বুকটা ফেটে যেত
জানো বাবা আমি তোমার আর মায়ের জন্য পোশাক কিনতাম কিন্তু ভয়ে দিতাম না কার ন সেই কাপড় গুলো তো কম দামি আর তোমরা তো কম দামি পোশাক পড়ো না তাই সেইগুলো আমার আলমারি তে রেখে দিতাম |
বাবা আমি কি অনেক খারাপ ছেলে আমি তোমাদের কাছ থেকে একটুও আদর পেতে পারি না ???
বাবা জানো মীম যা বলেছে তা সব মিথ্যা আমি তো মীমকে চিনতামি না কিন্তু মীম কেন আমার সাথে এমন করলো একবার তার কাছে জানতে চাইবা বাবা??
বাবা জানো আমি না হাছার কষ্টের মাঝেও বাচতে চাইছিলাম কার আমাকে তো আমার মায়ের সপ্ন পূরন করতে হবে কিন্তু আমি পারলাম না আমি পারলাম না বাবা আমার মাকে দেওযা কথা রাখতে !!!
মা জানো তুমি যখন দিপাকে আদর করতে তখন আমারো অনেক ইচ্চে করতো আমাকেও তুমি একটু আদর করো কিন্তু আমি তো তোমার কাছে বাড়ির কাজের ছেলে আমাকে কি আর আদর করা যায়-
বাবা তুমি একবার সবার সামনে বলবে আমি তোমার ছেলে আমি বাড়ির কাজের ছেলে না.. ও মা তুমি একবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে???

মীম তুমি একবার বলবে আমি তোমার কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করিনি তুমি যা বলেছো সব মিথ্যা !!
কাকু আপনি বলেছিলেন না আমার মতো ছেলেদের বেচে থাকার কোনো অধিকার নেই তাই আমি চলে গেলাম !
আমার অনেক ইচ্চে ছিল ডাক্তার হওয়ায় কিন্তু পারলাম আমার মায়ের ইচ্চেটা পূরন করতে পারলাম না”
বাবা তুমি আমার একটা শেষ চাওয়া পূরন করবা আকে আমার মায়েয় কবরের পাশে কবর দিবা??? আর মা আমাকে সবার সমানে তোমার ছেলে হিসেবে পরিচয় দিবে

ইতি তোমাদের বাড়ির কাজের ছেলে |

এই চিঠিটা পড়ে সেখানে সবার চোখে পানি চলে আসে আর মীমের চোখদিয়ে অঝরে পানি চলে আসে >>আর আজমের বাবা মা তো কথা বলার অবস্থায় নেই !!

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত