আজকাল প্রায় একটা ব্যাপার নিশ্চয় সবার চোখে পড়ছে… আর সেটা হলঃ- প্রবাসী দের রেমিটেন্সে বাংলাদেশ হুরহুর করে এগিয়ে যাচ্ছে….! এখন না মানুষ যতোটা শহরমুখী হচ্ছে তার থেকে বেশি প্রবাশী হচ্ছে…..!! দূর থেকে বহুদূরে তারা আপন রক্তভুলে থাকছে টাকার জন্য…..!! হয়তো বাবা মা কে একটু ভালো রাখার জন্য….! সংসার টা সচ্ছল করার জন্য…. এগিয়ে চলেছে এই মানুষগুলো…
—-
এই প্রবাসী রা যখন ছুটিতে বাড়ি আসে! তখন হোক ৭ দিন বা ১ মাস বিয়ে তারা করবেই এমন পণ নিয়ে….. তারপর সবথেকে বড় বোকামি করে বউ হারিয়ে যাবে ভেবে এইটাকে প্রেগন্যান্ট করে রাখা….. উক্ত বউয়ের জন্ম হয়েছিল কেন? এই প্রশ্নের উওর আসবে দুইফোটা লেবুর রস গর্ভাশয়ে ধারণ করার জন্য….. অদ্ভুত ব্যাপার এই মেয়েটা ভালো করে জানলো না চিনলো না অথচ সে গর্ভাশয়ে বীর্য ধারণ করতে আরম্ভ করেছে….. প্রবাসী ছেলেটা হয়তো ৭ দিনের ছুটিতে এসেছিল আবার আসবে ৫ বছর পর…. আর ঠিক ততদিনে এই বীর্য, রক্ত থেকে একটা শিশুর রুপে জন্ম নিবে….
—-
গল্পের শুরুটা খুব মজার হয়! আচ্ছা আসুন এবার আরেকটু গভীর থেকে ভাবিঃ- এই মেয়েটা ৩ মাস পর বুঝতে পাড়ল সে অন্তঃসত্ত্বা, আচ্ছা এখানেই কি সব বিষর্জণ সব পূর্ণতার আবির্ভাব ঘটে?? একটা নারী কি কলের পুতুল?? মাত্র ৭ দিনের জন্য বিয়ে করল তারপর ৭ দিন ইচ্ছামত ভোগ করল! প্রবাসী হয়ে চলে গেলো কিন্তু এই নারীর কি হবে?? আমি আবার বলছি এই নারীর কি হবে?? যদি প্রবাসীর কাছে একটা নারীকে বিয়ে করা মানে ভোগ করা বোঝায় তাহলে সে, পতিতালয়ে যেতো, বিয়ে কেন করল?? আর কেন এই মেয়ে কারও বউ হয়ে মাসের পর মাস, বছরের পর ধর্য্যের পরিক্ষা দিবে?? এই নারীদের কাছে কিন্তু টাকাই সব না… এরা ভালোবাসাও চাই! একটু ভাল থাকতেও চাই,। আমরা মূর্খ বাঙ্গালি বলিঃ- মেয়েরা টাকাকে ভালোবাসে! তাহলে ছেলেরা শরির কে?? আজব আমাদের রিতীনিতী….
—–
বিয়ে মানেই কি বিছানা কাপানো? নিজেকে পুরুষ দাবী করা? বিয়ে মানেই কি অধিকার ফলিয়ে লাপাত্তা? একটা নারী যে অন্য একটা পুরুষ কে ভালোবাসবে এর জন্য তো সময় দিতে হবে তাইনা?? এই ৭ দিনে কি কামনার সুখ মেলে তাতেই ভালোবাসা হয়ে যায়?? তাহলে পতিতাকে কেন ভালোবাসিনা??? প্রবাসীদের জন্য একটা উক্তি হচ্ছে- আসবে মাল মেরে দিয়ে চলে যাবে…
—
প্রতিটা নারীর অনেক স্বপ্ন থেকে তার স্বামীকে নিয়ে! বাট যখন স্বামী থেকেও থাকেনা তখন এই নারীগুলো পরকিয়ার আসক্ত হয়… প্রবাসী রা ভাবেন – বাচ্চা হয়ে গেছে এখন আর ভয় কি? এই যে, প্রবাসী ভাইয়া? আপনি কিভাবে শিওর হচ্ছেন আপনার বউ পরকিয়া করবেনা?? কাউকে নিয়ে পালাবেনা?? কুমারীর কুমারিত্ব ভোগ করে তার যে উত্যপ্ত বানিয়েছেন তা তো কেবল আপনি… এখন তাকে শীতল করবে কে?? মনে নাই প্রথম ৭ দিন প্রচুর ভোগ করেছেন বিলাসিতা করেছেন! আগুন ধরিয়েছেন এখন নেভাবে কে??
—
প্রবাসী ভাইয়া? এতটুকু বিশ্বাস করার ক্ষমতা আপনার নেই? তাহলে বিয়ে করলেন কেন?? যদি ভাবেন আপনার সঙ্গম ক্ষমতা বেশি তাই ৭ দিন ভোগ করেই আপনি শান্ত… আমি মেঘ বলবো আপনার থেকে ৩ গুন বেশি ক্ষমতার অধিকারী নারীরা… তাহলে তারা কেন অপেক্ষা করবে??? প্রবাসী ভাইয়া?? বিয়ে মানেই চৌকি কাপিয়ে লেবুর রস বপণ নয়… কারণ আমি বলেছি – নারী কেবল ভোগ নয় ভাগেরও বস্তু…।
—-
এই বাচ্চা মেয়েটা মাত্র আপনার সাথে বিয়ে হলো! আপনি মাল মেরে প্রবাসী হয়ে চলে গেলেন! এখন এই মেয়েটা গর্ভবতী! আজব বেপার মেয়েটা ভাবতেও পারেনি এতো কম সময়ে এতকিছু হয়ে যাবে…. আরে আপনি তো স্বামী নন ধর্ষক….. স্বামী হলে তাকে সময় দিতেন! সে সন্তান নিতে সক্ষম কিনা জানার প্রয়োজন মনে করতেন… বাট এখন?? আসুন ভাবি, গাভীর থেকে অতলে ভাবি…..
—-
একটা মেয়ে আস্তে আস্তে নতুন সংসার টা বুঝতে শিখে! এই সংসারের হাল ধরতে শিখে! ঠিক তখুনি এক বাচ্চার মা? প্রবাসী বিয়ে মানেই কি সেক্স?? মনে পড়ে গেলো আমার লিখা – ভালোবাসা কি? নামক গল্পটার কথা…. আজ আমরা পুরুষজাতি এতোটাই ব্যস্ত যে, নারীর প্রতি যত্নবান আমরা হইনা…. কিন্তু নারীর শরির ভোগ করতে দ্বিধা করিনা…..
—-
আমরা অনেক প্রবাসী আছি, দেশে ফিরে শুনিনা, তুমি কেমন আছো, কেমন ছিলে, তার আগেও আমরা বিছানা চাই…. ভাইয়া যুগটার দোষ নাকি আমাদের?? যুগ কি করবে ওর কি হাত পা মাথা আছে?? কেন যুগের দোষ দিচ্ছি?? সব তো আমাদের…. সারারাত লুটেপুটে খেয়ে সর্বশান্ত হয়ে বলিঃ- আমার মায়ের সাথে ঝগড়া করিস? তোর এতো বড় সাহস?? ( লাঠিপেটা) ভাবতে গেলে লিখতে বসলে কান্না আসে….
—
যে নারী ধর্য্যের চরম পরিক্ষা দিয়ে এতদিন অপেক্ষা করেছে, তার স্বামী তাকে ভালবাসবে, তাকে বুঝবে, কিন্তু কি হলো স্বামী বিচানা খুঁজে…. আজ নারীর ভালবাসা অসহায়। পুরুষের ভালোবাসা বিছানাময়….
—
প্রতিটা নারীর তার স্বামী সন্তান নিয়ে নানান স্বপ্ন থাকে! সেগুলো আর পূর্ণতা পায়না স্বামীর ঘড়ে গেলে…. রাত জেগে যেসব স্বপ্ন নারী দেখে থাকে, সেসব বাস্তবতা আর পরিস্থিতির চাপে পড়ে হারিয়ে যাই অতল গহব্বরে… এ তো নারী….? এ তো মা? এ তো সংগ্রামী? এ তো ধৈর্যশীল? নারীর মর্যাদা আছে পুরুষের পুরুষত্বে! নারীর ভালোবাসা আজ ঠুনকো…. এমন হাজারো নারীর দেখা মিলবে আমার আপনার বাড়ির আশেপাশে!! আর ঠিক এখন যারা আমার গল্পটা পড়ছেন, ভাইয়া ও আপুরা, তাদের বলবো, ভাগের ব্যাপার টা মাথায় রাখবেন! আপ্নারা সম্মানিত কিন্তু সেই সম্মান টা ধরে রাখুন…. আপনি মানুষ পশু নন যে পাবার সাথেসাথে ভোগ করে পালিয়ে যাবেন! ঘড় কে ঘড় ভাবুন এই ঘড় এ বউ আপনার এটাকে পতিতালয় ভাব্বেন না! কারণ কিছুই হারিয়ে যাবেনা! সব আপনার থাকবে…. কিছুটা সময় নিন…. তাকে বুঝতে দিন, বা বোঝান….আর একটা নারী সন্তান জন্মদিতে কতোটা কষ্ট হয় সেটা একবার কাছ থেকে ফিল করুণ!! আমি মেঘ বলছি! একটা নারী একবার সন্তান জন্ম দিতে যে কষ্ট ভোগ করে… আমরা পুরুষ রা সারাজীবনেও তার কিছুই করিনা…. কারণ সন্তান জন্মদিতে নারীর মিত্যুও ঘটেছে এ গল্প বেশ পুরাতন…..
—–
তাই সবায়কে বিনিত নিবেদন করবঃ- নারী মায়ের জাতী তাকে সম্মান করতে শিখুন… তাকে ভালোবাসুন! তাকে সময় দিন! তার সাথে সবকিছু শেয়ার করুণ! তাহলে আপনার সংসার আপনার ভালোবাসা কানায় কানায় ভরে উঠবে….. ভালোবাসা যত্ন করে রাখতে হয় অবহেলা নয়…….
গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক · শিক্ষনীয় গল্প