অপ্রকাশিত ভালবাসার শেষ পরিণতি

অপ্রকাশিত ভালবাসার শেষ পরিণতি

কিছুদিন আগে একালার এক প্রিয় বড় ভাইয়ের বিয়েতে গেছিলাম,,সেদিন বহু আনন্দের সাথেই গেছিলাম কারণ” বহুদিন যাবতীয় আনন্দ ও মানুষের সঙ্গতা থেকে বিরত অর্থাৎ নিঃসঙ্গ ছিলাম।

ধারণা ছিলো সব ভুলে জমিয়ে আনন্দ করবো।
কিন্তু তা আর হলোনা কারণ” বিয়েবাড়িতে ঘটা ঘটনাটাই আমার অতীতকে তীব্রভাবে নাড়া দিয়ে দিলো।

আচ্ছা ঘটনাটা তাহলে বলি আপনাদের,,,,
,,,,,,,,,,,,
সবাই মিলে বেশ আনন্দের সাথেই যাচ্ছিলাম বিয়ে বাড়িতে,,এবং ভালোভাবেই পৌছালাম,,রীতিমত হালকা নাস্তার পরে বিয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি,,,,এমন সময় হঠাৎ খুব চিল্লাপাল্লা শুনলাম,,,
অতঃপর জানতে পারলাম,,,

বিয়ের কন্যর এক চাচাতো ভাই বিষ খেয়েছে,,,আমরা বিষয়টা জেনেই দৌড়ে গিয়ে ছেলেটাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম,,,,এবং ছেলেটাকে মোটামুটি সময় মত সঠিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়াস করে সুস্থ করা হলো,,,,,

অতঃপর তার মুখেই তার বিষ খাওয়ার কারণ জানলাম,,,

সে বললো,”__সে বিয়ের কন্যকে অনেক আগে থেকেই ভালবাসে,,,কিন্তু কখনো বলতে পারিনি,, অবশেষে বিয়ের দিনইই অনেক সাহস করে বিষয়টা মেয়েকে জানাই,,,,এবং মেয়ে তাকে বলে,”__ এইটা কখনোইই সম্ভব না,,,,কারণ সে” তাকে নিয়ে কখনো এমনটা ভাবেনি,, আর তাছাড়াও কথাটা আগে বললে ভেবে দেখা যেত,,কিন্তু এখন আর সময় নেই।।

এইটা শুনে ছেলেটা নিজেকে সামলাতে পারেনি,,,, যাকে এতো ভালবাসে তাকেই যখন পাবেনা,, তাহলে আর এই জীবন রেখে লাভ কি? তাই সে আত্মাহত্যর পথ বেছে নেয়।

এখন এইসকল কথা শুনে আমার সেই বড়ভাই ই তাদের পরিবারের সাথে এবং মেয়েটার সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলে তাদের সকলকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে রাজি করাই,, এবং তাদের দুইজনের অর্থাৎ সেই বিষ খাওয়া ছেলের সাথে মেয়েটার বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি করাই।

অতঃপর মেয়ের বাড়ির লোকজন সেই কন্যারই ছোটোবোনের সাথে আমার সেই বড় ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়,,,, এবং ছেলেপক্ষও এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

তারপর সকলের মতানুসারে তাদের দুই জোড়ার বিয়ে হয় একই বাড়িতে।

সবকিছু মিটমাট হওয়ার পর সেদিন সবাই খুশি হয়ে মন খুলে আনন্দও করেছিলো,,শুধু নিস্তব্ধ হয়ে গেছিলাম আমি।

মনের মাঝের সত্তাটা যেন চিৎকার দিয়ে বলছিলো,,,ইশশ!!! আমাকেও যদি কেউ এমন ভাবে একটাবার সাপোর্ট দিতো???

আমিও যদি একটু সাহস সঞ্চয় করে আমার মনের কথাটা স্নেহাকে বলতে পারতাম,,,তাহলে আজ আমার জীবনটা কতোই না মধুর হতো,,,আফসোস!!! আমি সেইটা পারিনি।

ওহহহ হ্যা আপনাদেরকে তো শুধু আমার দেখা একটা ঘটনার কথা বললাম,, কিন্তু আমার জীবনের অতীতটাই তো বলা হলোনা,,,,আচ্ছা এইবার বলি আমার জীবনের কাহিনীটা।
,,,,,,,,,,,,,
আমার স্নেহাই ছিলো আমার প্রথম ভালবাসা,,,,,নাহ সে আমার কোন কাজিন,,, বা দূর সম্পর্কের বোনও ছিলোনা,,,, সে ছিলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,,এবং জীবনের প্রথম মেয়ে বন্ধু,,,,

আমরা একই স্কুলে পড়তাম,,বাসাও পাশাপাশি ছিলো,,,,ওর সাথে আমার প্রথম বন্ধুত্ব শুরু হয় কোচিং থেকে,,,আমরা একই কোচিং এ পড়তাম। বন্ধুত্বের শুরুর দিকে প্রচুর ঝগড়া হতো,,,,,ছোটখাটো বিষয় নিয়েই আমরা ঝগড়া করতাম,,, কথিত আছে,,যার সাথে ঝগড়াটা বেশি হয়,,,তার প্রতি ভালবাসাটাও বেশি থাকে।

আমাদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হলো,, ধীরেধীরে আমরা অনেক ক্লোজ হয়ে উঠলাম,,,,, এবং আমি পুরোপুরি ভাবে স্নেহার প্রতি দুর্বল হয়ে গেলাম। স্নের সান্নিধ্যে আসলে,, তার সঙ্গ পেলে পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যেতাম। স্নেহার প্রেমে পুরোপুরিভাবে আসক্ত ছিলাম।

সেও একসময় আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতোনা।

অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম মনের কথাটা স্নেহাকে জানাবো। তাই তাকে পার্সোনালি ডাকলাম এবং আমি কিছু বলার আগেই সে” আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,”__তোর কথা পরে শুনছি তার আগে আমার একটা জরুরি কথা শোন,”_আমি একটা ছেলেকে প্রচুর ভালবেসে ফেলেছি এবং তাকে ছাড়া বাঁচবোনা,,,,

আর আমাকে বললো,”___

তুইই আমার বেস্ট ফেন্ড,, শুধুই ফ্রেন্ডনা তুই আমার নিজের ভাইয়ের মত,,তাই তুই ই তোর এই বোনটাকে সাহায্য করবি তার মনের মানুষকে পাওয়ার জন্য।

এই কথা শুনে আমার মাথাই যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। তাহলে এতদিন আমার প্রতি যেই ভালবাসাটা স্নেহার ছিলো,,সেইটা অন্য কোনকিছু হিসাবে না,,,,ভাই হিসাবে ছিলো!!

আমি আর সেদিন আমার মনের কথাটা স্নেহাকে বলতে পারিনি,, তার কথামত সাই দিয়ে তার ভালবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য সাহায্য করতে লাগলাম,,,,

কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলোনা,,,স্নেহার পছন্দ করা ছেলেটা অন্য কাউকে ভালবাসতো,,,স্নেহাকে সে এক্সেপ্ট করলোনা বরং অপমান করলো,,,স্নেহা তবুও ছেলেটাকে ভুলতে পারলোনা,,,কারণ এইটাই তার প্রথম ভালবাসা।

স্নেহা ওই ছেলেটার জন্য খুব কাঁদত,, আর আমি শান্তনা দিতাম,,, এভাবেই অনেকদিন পার হয়ে গেলো,,,,স্নেহার প্রতি আমার ভালবাসাটা বাড়তেই থাকলো আর স্নেহার ভালবাসাটাও ওই ছেলেটার প্রতি বাড়তে থাকলো।

মাঝেমাঝে মনটাকে বলতাম মানবজীবন বড়ই অদ্ভুত চক্রে বাঁধা,,,,
আমি ও সে দুই জনই অপ্রকাশিত ভালবাসায়, প্রতিনিয়ত নিরবে অশ্রু ঝরাই।
শুধু পার্থক্য একটাই,,,,,,,
আমি অশ্রু ঝরাই তার ভাবনায়,,,,,,,
আর সে” অশ্রু ঝরায় অন্য কারো ভাবনায়।।।।

অতঃপর
একেরপর এক স্নেহার জন্য বিয়ের প্রস্তাবও আসতে থাকলো,,,স্নেহা সবগুলোকে না বলতে বলতে এক সময় পরিবারের চাপে রাজি হয়ে গেলো,,,ছেলে অনেক বড় ব্যবসায়ী,, প্রচুর ধনী।

,,,,,,এতদিন আমার মনের কষ্টটাকে কোনক্রমে দমিয়ে রাখলেও,,স্নেহার বিয়ের কথা শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারছিলাম না,,,আমার পুরোটা জুড়েই ছিলো শুধুই স্নেহা,,আর তারই বিয়ে হবে অন্য কারো সাথে,,,এইটা কেমন করে মেনেনিবো আমি।

একসময় মনে হচ্ছিলো নিজেকে শেষ করে দিই,,,কিন্তু সেই ক্ষমতাটাও আমার ছিলোনা, কারণ আমি ছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে। মা,বাবার আশা ছিলো আমি পড়াশোনা শেষকরে,,,ভালো চাকরি করে তাদের অভাবের দিন ও দুঃখের দিনকে সুখে পরিণত করবো। তারা আমার ভরসাই বেঁচে ছিলো।

নিজের জীবন শেষ করে,, তাদের ভরসার প্রদীপ কিভাবে নিভিয়ে নিই?

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা নিজের ইচ্ছা খুশি মত বিলাসিতা করে যেমন বাঁচতে পারেনা,, তেমন চাইলে ইচ্ছামত মরতেও পারেনা।

স্নেহার বিষয় নিয়ে অনেক ফ্রেন্ডের কাছে পরামর্শ চাইলাম,, তারা বললো সরাসরি মেয়ের পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে।

কিন্তু তাও তো সম্ভব না। কারণ” আমিতো তখন প্রতিষ্ঠিতও নাহ,,পড়াশোনাও শেষ হয়নি,,তাই স্নেহার পরিবার অতবড় ধনী ব্যবসায়ী পাত্র রেখে আমার সাথে কখনোইই তাদের মেয়েকে বিয়ে দেবেনা।

তাই প্রস্তাব দিয়েও কোনো লাভ নেই,,,বরং এই কথা স্নেহা শুনলে সে আর আমার মুখটা পর্যন্তও দেখবে না,,,আমাকে ঘৃণা করবে,,,কারণ সে আমাকে ভাইয়ের মত ভাবে।

তাই আর সেদিন আমি কিছুই করতে পারিনি,,, যাকে এতো ভালবাসি তার চোখে ঘৃণার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকা মৃত্যুর চেয়েও কঠিন।

স্নেহার বিয়ের রাতে শুধু একবার সে” সামনে এসেছিল,,,, আর খুব কাঁদছিলো তার সেই প্রথম ভালবাসা ছেলেটার জন্য,,, আমি তার চোখের দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে ছিলাম। মুখে শান্তনা দিচ্ছিলাম,,,,,, আর চোখের ভাসাই বলেছিলাম,,,

খুব ইচ্ছে হয়
তোমার নীড়ে এ মন ভাসাই,,,,,
অতঃপর মন বলে আমায়,”
একথা মোর অজানা নয়,,,
“তোমার নীড়ের স্থান কভু
আমার তরে নয়”
আফসোস শুধুই একটাই!
মিনতি মাখানো অনুভূতিগুলো আজ,,,
হৃদন্তর থেকে অব্যক্ত হয়েই,,,
হারিয়ে গেলো সুদীর্ঘ অজানায়।
,,,
মুখের শান্তনা সে বুঝেছিল,, কিন্তু আমার হৃদয় ভাঙা চোখের ভাষা সে” সেদিন বোঝেনি,,,

আমার চোখের সামনে বিয়ে হয়ে গেলো স্নেহার,,,,অনেক ইচ্ছা হচ্ছিলো চিৎকার করে বলি,” আমি তোকে প্রচুর ভালবাসি স্নেহা,,,তুই ছাড়া আমার জীবন দিশাহীন।

তবুও পারিনি সেদিন কিছু বলতে,,,আমাকে সেদিন একটু সাপোর্ট দেওয়ার মতও কেউ ছিলোনা পাশে।
ভালবেসে ভালবাসার মানুষ কে মনের কথাটা বলতে না পারার মত কষ্টকর জীবনে আর কিছুই হয়না।
,,,,
কষ্টের তাড়নায় আমি এতোটাই অন্ধ ছিলাম যে” ক্যামন ছেলের হাতে আমার পরাণ পাখিকে তার পরিবার তুলে দিচ্ছে,,,,সেই খোঁজটাও রাখিনি,,, আর এটাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।

খুব বেশিদিন সুখে বাঁচতে পারিনি আমার স্নেহা,,

ওই পশুটা,, বাঁচতে দেয়নি আমার স্নেহাকে।

প্রতিদিন নেশাকরে জুয়াখেলে ঘরে ফিরতো,,,আর নিয়মিত ছোটখাটো বিষয়ে মারধোর করতো,,, তবুও সহ্য করতো স্নেহা,,,

কিন্তু সেদিন এতো বড় ঝড় আর আমার স্নেহা সহ্য করতে পারিনি,,,,,শুধু স্নেহা কেনো,,, কোনো মেয়ের পক্ষেই সম্ভব ছিলোনা এই ঝড় সহ্য করার।

ঘটনার দিন রাতে আমি কড়া পাওয়ারের ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছিলাম,,স্নেহার বিয়ের পর থেকে একমাত্র এই ঘুমের ওষুধই আমাকে সাহায্য করতো,, কয়েক ঘন্টার জন্য,,সব কষ্ট ভুলে থাকতে,,, আমি সেদিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম,,

ঠিক রাত দুইটার দিকে ফোনকলের শব্দে ঘুম ভাঙলো,,,ফোনটা নিয়েই দেখি স্নেহার কল,,,সাথেসাথে আমার হৃদয়স্পন্দন এক অজানা ধাক্কাই শতগুণ বেড়ে গেলো,,,ফোনটা রিসিভ করতেই কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে স্নেহা আমাকে বললো,”___

আমি চলে যাচ্ছি রে,,,,জীবনে কখনো কোন অন্যায় করে থাকলে মাফ করিস,,, আর আমার মা, বাবাকে একটু সান্তনা দিস,,,আমি জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে,,এমন কেনো বলছিস? ও তখন বললো,,ওই পশুগুলো আমাকে বাঁচতে দিলোনা রে,,,,,,,

এতদিন পশুটা অনেক অত্যাচার করেছে সব মুখবুজে সহ্য করেছি,,কিন্তু আজ আর পারলাম নাহ,,,,,কিভাবেই বা পারি বল,,,,অনেক চেষ্টা করেওতো পারলাম না ওই পশুর দলের হাত থেকে নিজের শরীরটা কে বাঁচাতে,,,,সকল অত্যাচার সহ্য করেও একটা মেয়ে বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু,, পশুদের ভোগের পণ্য হওয়ার পরে আর কোনো মেয়েই বেঁচে থাকতে পারেনা।

তখন আমি বললাম,, তুই নিজের কোনো ক্ষতি করিস না প্লিজ,, আমিতো আছি,, আমি সব ঠিক করে দেব,,তোর জীবন আবার নতুন করে আমি সাজাবো,,,,

তখন স্নেহা বললো তা আর সম্ভব না,,,তুই পারলে আমার লাশটার পিছনের ঘটনা সবাই জানার আগেই আমাকে পুড়িয়ে দিস,,,,যেন মৃত্যুর পরে আমার কলঙ্ক আর কষ্টের কথা আমার বাবা,মা কেউ না জানতে পারে,,,তারা এইটা সহ্য করতে পারবেনা।

আমি বললাম না এমন বলিস না,,আমি আসছি,,আমাকে একটা সুযোগ দে,,সব ঠিক হয়ে যাবে।

আর ঠিক তখনি ফোনটা কেটে গেলো,,,আমি হুশহারা হয়ে দৌড়ে স্নেহার বাড়িতে উপস্থিত হলাম,,,,, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে,,,

স্নেহা অনেক উঁচু ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরেছে,,,,,,আর দেখি স্নেহার থেঁৎলানো লাশের পাশে ওই পশুর দলগুলো অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,,

তখন আর নিজেকে সামলাতে পারলাম নাহ,,ক্রোধে, দুঃখে উন্মাদ হয়ে উঠেছিলাম ,,,,,,ওই বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা ভারি রড দিয়ে,,,পিটিয়ে আহত করে পশুগুলোকে ওই বাড়িতে বেধেই পুড়িয়ে মারলাম।

এবং তারপর আমার কলিজার টুকরো স্নেহার শেষ ইচ্ছানুসারে তার লাশটাও পুড়িয়ে দিলাম নিজ হাতে।
গভীর রাত ও শুনশান স্থনে বাড়ি থাকাই পুরো ঘটনা সকলের অজানাই রয়ে গেলো,,,

পরদিন পুলিশ সব লাশগুলো মর্গে পাঠালো,,,,,কিন্তু কেউই এতগুলো লাশের পেছনে থাকা করুণ ঘটনার কথা জানতে পারলোনা।

এই ঘটনার পর আমি কষ্টে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম,,,প্রায় দুই বছর পাগলাগারদে থাকার পর সুস্থ হয়েছিলাম।

তারপর থেকে মানুষের সঙ্গ আনন্দ সব বাদ দিয়েছিলাম,,,

শুধুমাত্র নিজের পরিবার রক্ষার্থে ব্যাবসা শুরু করেছিলাম এবং সাফল্য ও পেয়েছি,,,,,,আজ আমার কাছে বাড়ি গাড়ি সবিই আছে,,,,শুধু নেই আমার ভালবাসা,,,,,,এখন আর রাতে ঘুমাতে পারিনা।

সেইদিনের অনুশোচনাহ এখনো ভুগি,,, এখনো আফসোস করি,,,,,

যদি সেদিন আমার ভালবাসারর কথাটা স্নেহাকে বলতে পারতাম,,, যদি আমাকেও কেউ একজন এসে সাপোর্ট দিতো,,,তাহলে আমার স্নেহাকে আর হারাতে হতোনা,,জীবনটা কতইনা মধুর হতো।

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত