আমি নিশাত, জন্মসূত্রে পিরোজপুর বাসী, বড়হয়ে উঠা ,লেখাপড়া আড্ডা, সবকিছুই আমার পিরোজপুরে।
আমার বন্দু বলতে আমার খালাতো ভাই ই আমার বেশি কাছের ছিলো, যদিও নোবেল আমার থেকে ছোট ছিলো, তবে নোবেলের গায়ে শক্তির পরিমান একটু বেশি ছিলো,
তাই সব কিছু আমার কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিতো। আমি নোবেলকে তেমন কিছু বলতাম না কারন, আমি নোবেল কে অনেক ভালোবাসি, আর নোবেল ও
আমাকে ভালোবাসে, তবে নোবেল আমার ইমোসনাল বিসয় গুলো নিয়ে বেসি মজা করতো, যেটা আমার পছন্দ ছিলো না। তাই ওর সাথে আমার কথায় কথায় মারা মারি
লেগেই থাকতো।
একদিন বিকেল বেলা,
নোবেল : চল আমার ফুপির বাসায় জেতে হবে, তুই আমার সাথে চল।
আমি: নোবেলের সাথে ওর ফুপির বাসায় গেলাম।
নোবেল আমাকে একটা রুমে নিয়ে গেলো, রুমটার ভিতর হস্তশিল্পর দারুন দারুন পন্য সমগ্রি তৈরি করা ছিলো,
আমি: নোবেল এগুলা কি কেউ এই বাসাতে তৈরি করে, নাকি সব কিছু কিনে সাজি রাখছে।
নোবেল: এ গুলো জে তৈরি করে তাকে দেখলে তো তুই পাগল হয়ে জাবি, দারুন দেখতে ও।
আমি: কোথায় তিনি ডাকনা একবার, দেখতে ই হয় তাহলে।
নোবেল: জারিফা তো বাসায়নেই, বের হয়ছে কিছু সময় আগে, পরে এক সময় তোর সাথে আলাপ করিয়ে দিবো।
অামি: আমার তো এখোনি দেখতে ইচ্ছা করতেছে তাকে। তারপরে আমি আর নোবেল বাসা থেকে চলে এলাম।
এর পরে দুইমাস চলে গেলো। এদিকে পহেলা বৈশাখ চলে এলো।
নোবেল: পহেলা বৈশাখ তো চলে আসছে নিশাত, এবারের মেলাতে কি স্টল দেওয়া যায়।
আমি: আগের বারে এস্টল দিয়ে তো বিপদে পরে গেছিলাম, এবার নতুন কিছু করতে হবে।
নোবেল: নতুন কিছুটা কি বলবি তো।
আমি: একটা কাজ করলে হয়না। তোর ফুপাতো বোন যে হস্ত শিল্প গুলো তৈরি করে তার একটা স্টল দিলে হয়না।
নোবেল: দারুন আইডিয়া, দারা জারিফার সাথে এখোনি কথা বলে দেখতে ছি,
নোবেল: নিশাত, জারিফা আমাদের সাথে কাজ করতে রাজি।
আমি: তাহলে তো ভালোই। তারপরে আমরা মেলাতে এস্টল দিলাম, আল্লাহর রহমাতে, মেলার ভিতরে আমাদের এস্টল সব থেকে বেশি ব্যাবসা সফল, এর মাঝে আমার আর জারিফার সাথে একটা ভালো বন্দত্ব হলো। কিছুদিন পরে মেলা শেষ হলো
আমরা আবার আগের মতে যে যার নিজের মতো করে ব্যাস্ত। কিন্ত আমি জারিফা কে ভুলতে পারতে ছিনা, সারাক্ষন শুধু জারিফাকে নিয়ে মাথার ভিতর ঘুরতেছে, আমার আর বুজতে বাকি নেই যে আমি জারিফার প্রেমে পরছি,
আমি ভাবলাম, কথাগুলো নোবেলকে জানালে হয়তো, নোবেল আমার জন্য কিছু একটা উপায় বের করে দিবে।
আমি: নোবেল তোকে একটা কথা বলতে চাই।
নেবেল: কি বলবি বল?
আমি: জারিফা কে আমি ভালো বেসে ফেলছি, দয়া করে তুই একটু জারিফাকে বুজিয়ে বলনা।
নোবেল: তোকে যে কথা গুলো কি করে বলবো আমি বুজতে ছি না।
জারিফার আমার gf আমার সাথে ওর 2 বছরের রিলেশন সিফ চলতেছে।
কারো সম্পকে ভালো ভাবে না জেনে, ভালোবাসা উচিত না। আশা করি তুই বুজতে পারছিস আমি কি বুজাতে চেয়ে ছি।
আমি: তুই আমাকে আগে কখো বলিস নি কেন? তুই জারিফা কে ভালোবাসো।
নোবেল: আসলে জারিফা কখোনো চাইনি
আমাদের রিলেসন এর ব্যাপারে কেউ জানুক তাই বলা হয়নি।
আমি: ও আচ্ছা, তবে আমি এতোটুকো বলতে পারি, আমার দ্বারা তোদের কোন ক্ষতি হবে না। যতোতুকো পারি সাহায্য করার চেস্টা করবো।
আমি: আমার ভালোবাসা বুকের মাজেই কবর দিয়া দিলাম, তবে মাজে মাজে আমার সাথে জারিফার কথা হতো মেবাইল ফোনে। কিছুদিন পরে হঠাৎ একদিন সুনলাম জারিফার বিয়ে। কথাটা শুনেই আমি নোবেলের কাছে গেলাম।
আমি: নোবেল এ গুলো কি সুনতে ছি জারিফার নাকি বিয়ে।
নোবেল: হ্যা তুই ঠিক সুনছো, ওর বিয়ে, জারিফার পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না, দয়া করে তুই কিছু একটা কর আমাদের জন্য, আমি জারিফাকে ছারা বাজতে পারবো না।
আমি: তুই চিন্তা করিসনা,, আমি দেখতে ছি।
পরের দিন সকাল বেলা, আমি জারিফাকে ফোন দিলাম, জারিফা আমাদের বাসায় এসো তো তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
জারিফা আমাদের বাসায় এলো।
আমি: জারিফা কেমন আছো।
জারিফা: ভালো, কির জন্য ডাকছো বলো।
আমি: ভালোতো থাকবে ই, ও দিকে আমার খালাতো ভাইটা জে তোমার জন্য মোরতেছে ও দিকে একটুও খেয়াল আছে,
2বছরের রিলেসন কি করে ভুলে গেলা, কি করে আর একটা ছেলে কে বিয়ে করবে।
জারিফা: তোমার কোথা একটুও বোজতে ছি না নিশাত। কি রিলেশন কার সাথে রিলেসনের কথা বলতে ছো তুমি।
আমি: মানে কি তুমি নোবেলের সাতে রিলেশন করো নি।
জারিফা: কে বলছে এ কথাগুলো।
আমি: নোবেল আমাকে বলছে।
জারিফা: নোবেলকে ফোন দিয়ে এখানে আসতে বলতেছি সামনা সামনি কথা হবে।
জারিফা নোবেল কে ফোন দিলো নোবেল এলো।
জারিফা: নোবেল আমি কি তোকে ভালোবাসি। উত্তর দে,?
নোবেল: আমি তে্দের কাছে অনেক বড় সত্য গোপন করছি, আমি বুজতে পারি নি কখনো আমাকে এরকম প্রশ্নর মুখামুখি হতে হবো। আমি চাইনি তোদের কারনে
আমাদের পরিবারের মাঝে কোন ধরনের ঝামেলা হক। তাই আমি চাইনি তোদের সম্পর্ক হক, তাই যখন নিশাত আমাকে জানালো ও তোকে ভালোবাসে, তখন আমি নিশাত কে মিথ্যা বলছি, আমি তোকে ভালোবাসি।
জারিফা: আমি যখন তোকে বল্লাম আমি নিশাত কে ভালোবাসি , তখন তুই আমাকে মিথ্যা বলি কেন? নিশাত অন্য একটা মেয়ে কে ভালোবাসে।
জখন তোর কারনে আমাদের রিলেশন হয়নি। এখন তুই আমাদের রিলেশন করিয়ে দিবি।
নোবেল: কি করতে হবে বল।
জারিফা: তুই জানিস আমার বিয়ে ঠিক হয়ছে তোকো আমার বিয়ে ভাঙ্গতে হবে।
নোবেল: ওকে তাই হবে। তবে তুইকি নিশাত কে বিয়ে করবি?
জারিফা: হিম।
নোবেল: এখোনি করবি?
জারিফা: হিম করতে পারি কোন সমস্যা নেই।
নোবেল: কি বলো নিশাত, তো এখনি হয়ে যাক বিয়ে?
আমি: আমাকে একটু সময় দে।
জারফা: কোন সময় দিতে পারবো না, বিয়ে করলে এখনি করতে হবে। না করলে আমাকে ভুলে যাও।
আমি: আর কথা না বারিয়ে রাজি হয়ে গেলাম,
আমরা কাজি অফিসে গেলাম, আমাদের বিয়ে হলো, বিয়ে শেষে নোবেল।
নোবেল: জারিফা সত্যি আমি তোকে ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি, কিন্ত আজ ও বলা হয়ে উঠে নি।
জারিফা: কথাটা 2টা মিনিট আগে বলতে পারলি না গাধা তাহলে তোর কথা ভেবে দেখতাম।
আমি: নোবেল এখোনো তো কিছুই হয়নি, চাইলে তুই আবার নতুন করে বিয়ে করতে পারো।
নোবেল: আমার বিয়ে করার ইচ্ছা আর নেই ভাই আর ভাবি সারাটা জিবন আমার পাশে থালেই আমার চলবে।
(সংক্ষিপ্ত)