পাপের শাস্তি

পাপের শাস্তি
মেয়েটিকে সরাসরি বললাম, ‘আমার সাথে ফোন সেক্স করবে?’ মেয়েটি আচমকাই রেগে গিয়ে কয়েকটা রাগের ইমুজি দিলো। তারপর বলল….
–হোয়াট? ছিঃ আপনি একজন লেখক হয়ে এই কথা বলতে পারলেন?
-আরে আজব! আমি লেখক তো কি হয়েছে। কি করবা ফোন সেক্স?
–আমি ভাবতে পারিনি আপনি এমন। আমি আপনার গল্প রোজ পড়তাম, আপনার রম্য গল্প আমার খুব ভালো লাগতো। কিন্তু আপনি কিনা! আমার ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।
-আরে এখনতো সবাই প্রায় এমন করে।
–ছিঃ ছিঃ ভেবেছিলাম আপনি অনেক ভালো। কিন্তু আপনার যে এমন চরিত্র আমি আগে জানতাম না।
-তুমি এমন ভাবছো কেনো? ফোন সেক্স করলে সমস্যা কই?
–মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ। কথাবার্তা সাবধানে বলবেন।
-আচ্ছা। একটু করলে ক্ষতি কি প্লিজ প্লিজ।
–আমি আপনার সস গুলো ভাইরাল করে দিব ওয়েট।
মেয়েটার রিপ্লে দেখে হাসলাম। মনে মনে বললাম বোকা মেয়ে অল্পতেই চেতে গেছে। কি এমন হতো ফোন সেক্স করলে? বললাম….
–ভাইরাল আমিও করতে জানি।
-মানে? আপনি ভাইরাল করবেন কিভাবে?
–এই যে এই কথা গুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে।
-তাতে আপনার সম্মানই যাবে।
–ফেইক আউডি খুলে নিজে উল্টাপাল্টা মেসেজ দিয়ে মিথ্যা সাজাবো।
-মানে?
–মানে আপনার নামে মিথ্যে কথা বানিয়ে সাজাবো।
-আমি কি করলাম?
–আমাকে ভাইরাল করবে তাইনা? তোমার আইডি থেকে সুন্দর সুন্দর পিক নিয়ে ইডিট করব। সেগুলো নুড বানাবো তারপর বিভিন্ন গ্রুপে, পেজে পোস্ট করব। ভাইরাল তুমি হবে। আমার কিচ্ছু হবেনা।
-হোয়াট?
–হ্যা, অশ্লীল পিক বানাবো সেগুলো টাইমলাইনসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে দিব।
মেয়েটা সাথেসাথে আমার মেসেঞ্জারে কল দিলো। কল দেখেই বোঝা গেলো মেয়েটা অল্পতেই প্রচুর ভয় পেয়েছে। আমি মুচকি হেসে কল কেঁটে দিলাম। মেয়েটা আবারো কল দিলো আবারো কেঁটে দিলাম। এবার মেয়েটা কল না দিয়ে মেসেজ দিলো ‘প্লিজ আপনার পায়ে পরি আমার কলটা রিসিভ করুন।’ মেয়েটা কল দিলো আমি কল রিসিভ করলাম। মেয়েটা কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে বলল….
–ভাইয়া প্লিজ আমার এমন ক্ষতি করবেন না। আপনার দুটি পায়ে পরি।
-আমাকে না ভাইরাল করতে চাইলা? করবানা ভাইরাল? করো…আমিও করি তোমাকে ভাইরাল।
–আমার ভুল হয়ে গেছে ভাইয়া প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিন?
-হা হা হা… ক্ষমা করব তাও আবার আমি? তাহলে ফোন সেক্স করো।
–ভাইয়া বোঝার চেষ্টা করুন আমি অমননা।
-আচ্ছা তাহলে বায়, শুভ কামনা বেবি।
আমার কথা শুনে মেয়েটা এবার কেঁদে দিলো। আমার হাসি পাচ্ছে ভীষণ। পৈশাচিক একটা আনন্দ পাচ্ছি। মানুষকে ব্লাকমেইল করার মাঝে যে এতটা মজা আছে জানতাম না। মেয়েটা বড্ড বোকা। আমি মুচকি হেসে বললাম…..
–কিগো সুন্দরী কি হলো?
-ভাইয়া প্লিজ মাফ করে দেন? আমিতো আপনার বোনের মতন-ই। (কান্না জড়িত কণ্ঠে)
–তাহলে আমার শর্তে রাজি হও।
-এটা সম্ভবনা ভাইয়া আমি পারবনা, প্রয়োজনে আপনাকে টাকা দিব তবুও আমার এমন ক্ষতি করবেন না।
–আচ্ছা তাই? কতটাকা দিবে?
-কত চান?
–হেহে বেবি, আমার টাকা চাইনা আমার তোমাকে চাই।
আমি কল কেঁটে ইনবক্সে ইডিট করে মেয়েটির কয়টা নুড পিক দিলাম। কয়েকটা পিক খুব বাজে ভাবেই ইডিট করলাম। মেয়েটা কল দিয়ে শব্দ করে কেঁদে দিলো। আমি ধমক দিয়ে বললাম….
–কি পেয়েছো হু? ন্যাকামো একদম ভাল্লাগেনা।
-প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন? এই পিক গুলো ভাইরাল হলে আমি মুখ দেখাতে পারবনা।
–নো বেবি। আচ্ছা তোমার বাসাতো আমার পাশের জেলাতেই চলো দেখা করি।
-মা মা মানে?
–হুম চলোনা বেবি, না হলে বুঝতেই পারছো, তোমার অনেকগুলো পিক আছে সরাসরি চলে যাবে কিন্তু।
-প্লিজ প্লিজ ভাইয়া মাফ চাই এরকম করবেননা।
–শেষবার বলছি…
তারপর অনেক কান্নাকাটি করার পর এক পর্যায়ে মেয়েটি রাজি হয়। তাও ফোন সেক্স করার জন্য না। সরাসরি ডেট করার জন্য। নিজেকে আজ সফল মনে হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায় ১৭ টা মেয়েকে ব্লাকমেইল করলাম। যাদের অশ্লীল ভিডিও আছে আমার কাছে। এগুলো দিয়ে প্রায় তাদের ব্লাকমেইল করি। যাতে কাউকে না জানায়। মেয়েটার সাথে দেখা করতে গেলাম। দেখা হলো রেস্টুরেন্টে। মেয়েটি একটা বোরকা পরে এসেছে। আমার হাসি পাচ্ছে ভীষন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়েটি প্রচুর ভয় পাচ্ছে। থরথর করে কাঁপছে। আমি রেস্টুরেন্টেই মেয়েটা কাঁধে হালকা চিপ দিয়ে বললাম….
–বেবি সববঠিকঠাক তো? মেয়েটি তার কাধ থেকে আমার হাত সরালো। আমি হাসলাম, বললাম….
–একটু পরতো পুরো শরীরটাই ছুয়ে দিব সোনা, ভয় পাচ্ছ কেনো?
-আমার এখানে ভালো লাগছেনা।
–এমা হোটেলে যাবে বুঝি আচ্ছা চলো।
মেয়েটি রাজি হতে চাইলনা। ঐ যে ব্লাকমেইলের কথা বলে সোহাগ আবাসিক হোটেলে নিয়ে গেলাম। মেয়েটিকে রুমে নিয়ে গেলাম। মেয়েটি কাঁপছে, ভয়ে হাটু কাঁপছে ওর। আমি বললাম….
–এত ভয় পেলে চলবে? আচ্ছা যাও আগে আমার জন্ম এক গ্লাস পানি নিয়ে এসো?
মেয়েটি ওয়াসরুমে চলে গেলো। রুমের সাথে এট্টাস্ট করা, মেয়েটি আমার জন্য পানি আনলো। পানি দেওয়ার সময় মেয়েটির হাত কাঁপছে। আমি মুচকি হেসে মেয়েটির হাত থেকে পানি নিলাম। ঢকঢক করে সব পানি খেয়ে ফেললাম। মেয়েটির হাত ধরে বিছানায় বসালাম। মেয়েটি এবার হাসলো। আমিও হাসলাম, যাক অবশেষে লাইনে এসেছে। মেয়েটিকে বিছানায় শুয়ে দিলাম। কেমন জানি মাথাটা ঝিম ধরে আসছে। চোখটা ঝাপসা হয়ে আসছে। আস্তে আস্তে চোখটা বন্ধ হচ্ছে। তারপর কি হলো মনে নেই…..
জ্ঞান ফিরলো কারো হাসির শব্দে। যখন জ্ঞান ফিরলো দেখলাম আমার চার হাত’পা চেয়ারে বাধা। মেয়েটি আমার সামনে বসা, খিলখিল করে হাসছে। অনেকটা পৈশাচিক হাসির মতন। আমার মুখে টেপ মারা। কথা বলতে পারছিনা উম উম শব্দ হচ্ছে। ভয়ে বুকটা ধুক করে উঠলো। আমি নড়াচড়া করছি কিন্তু নিজেকে ছুটাতে পারছিনা। মেয়েটি আচমকা লাঠি দিয়ে আমার বাধা হাতে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে দিলো বারি। ব্যথায় মাগো বলে চিৎকার দিলাম, কিন্তু শব্দ স্পষ্ট হলোনা মুখে টেপ মারার ফলে। চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে। হাতের নখ থেতলে গেছে। আঙ্গুল ফেঁটে রক্ত বের হচ্ছে। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। মেয়েটি উচ্চস্বরে হাসলো, বলল….
–কিরে জানোয়ারের বাচ্চা এমন করছিস কেন? ভয় লাগছে? পানির সাথে ঘুমের ঔষধ কেমন লাগলো।
-উমমমউমমমম
–ফোন সেক্স না করবি আমার সাথে কি হলে করবিনা? আমাকে ভাইরাল করবি না?
এই বলেই মেয়েটি আবারো একই হাতে একই জায়গায় বারি দিলো। কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে। মৃত্যু যন্ত্রণাও বোধহয় এর চেয়েও কষ্টকর না। হাতের সবগুলো আঙ্গুল ফেঁটে গেছে। নদীর স্রোতের মতন রক্ত বের হচ্ছে। আর মেয়েটি হাসছে। আমি শব্দ করে বললাম….
–উমমমমমমমমমমমম
-ওলেওলে বাবুটা কি হয়েছে? ব্যাথা পাচ্ছ? আচ্ছা দাঁড়াও ব্যথা কমাচ্ছি।
–উমমম… উমমম… উমমম।
-কিরে কু**র বাচ্চা এখন তোর হাসি কই গেলো? খুব ইচ্ছে সেক্স করার না? তোর কি মা-বোন নেই? শুয়োর একটা বলেই মেয়েটি এবার আমার পায়ের বুড়ো আঙ্গুল এক বারিতে থেতলে দিলো। বারি খেয়ে আবারো চিৎকার দিলাম। গলাটা ফেঁটে যাচ্ছে। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা। এদিকে হাতের ব্যথা অপরদিকে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল থেতলে গেছে। চোখ দিয়ে অনর্গল টপটপ করে পানি পরছে। এর চেয়ে একবারে মরে যাওয়াই ভালো। মেয়েটির দিকে করুণ চোখে তাকালাম। মেয়েটি চোখ টিপ মেরে খিলখিল করে হাসলো। বলল…
–বেবি বেবি কষ্ট হয়? ওরে চুনা মনিতা। একটুও কষ্ট হবেনা। তোদের মতন জানোয়ারদের ঠিক এভাবেই মারতে হয়। আজ তোদের মতন কুলাঙ্গারদের কারণে শতশত মেয়ে ব্লাকমেইলের স্বীকার। আমার সাথে সেক্স করবি তাইনা?
–উমমমমমম….(মাথা নাড়িয়ে না সূচক জবাব দিলাম।)
-আহারে মাইরের ঠেলায় সেক্সের কথা ভুলে গেলে সোনা। এত কষ্ট ভালো লাগছেনারে। তোকে এক্কেবারেই মেরে দেয়।
মেয়েটির কথা শোনামাত্রই ভয়ে ছটফট করা শুরু করলাম। মেয়েটি লাঠি দিয়ে হাতে বারি দিলো। তারপর সর্বশক্তি দিয়ে পায়ে বারি দিতেই পায়ের হার মট করে ভেঙ্গে গেলো। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। মরে যেতে ইচ্ছে করছে। না পারছি শব্দ করতে না পারছি নড়াচড়া করতে। পাপের শাস্তি পাচ্ছি। এবার মেয়েটি চাকু বের করলো। ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেলো। চাকু হাতে নিয়েই আমার হাটুতে গেথে দিলো। চুয়ে চুয়ে সমানে রক্ত পরছে। আমার গা থেকে শার্ট টেনে ছিড়ে ফেললো। চাকু দিয়ে আমার বুকের চামড়া কেঁটে দিলো। নিজের জীবন বাঁচাতে গলাকাটা মুরগির মতন ছটফট করছি কিন্তু সফল হচ্ছিনা। মেয়েটি আবারো হেসে উঠলো। মরিচের গুড়া এনে আমার হাতে পায়ে, হাটুতে বুকে মেখে দিলো। এত যন্ত্রণা হচ্ছে যে চিৎকারের কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে…..
–উমমমমমম….
-চুমম্মা দিবা বেবি? আহা কি শখ।
–উমমমমমমমমম
-ইসসসসস, অনেক কষ্ট দিয়েছি তাইনা? সরিরে জানোয়ার… শুভ কামনা বাবু।
মেয়েটি আমার চোখে কাপড় বাঁধলো। চাকু দিয়ে হাতের রগ কেঁটে দিলো। আমি ছটফট করছি। এরপর মেয়েটি উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। পুরো ঘর জুরে হাসির প্রতিধ্বণি সৃষ্টি হলো। মেয়েটি আমার একদম কাছে চলে আসলো। কানে কানে বলল….
–ভালো থেকো প্রিয়। আমার পৃথিবীতে কোন অমানুষের জায়গা নেই।
তারপর আস্তে করে গলায় ছুরি বাজিয়ে দিলো। আমি চেয়ার সহ ফ্লোরে ধপাস করে পরে গেলাম। গলা দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। সেই সাথে উমমম উমমম এর বদলে গরগর শব্দ হচ্ছে। আস্তে আস্তে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে গেলো আমার দেহ। এটাই বোধহয় লেখা ছিলো আমার কপালে পাপের শাস্তি হিসেবে।
গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত