বিছানায় ঘুমাচ্ছে ফারহান।আর আমি বিছানা ঘেষে মাটিতে বসে ফারহানের ঘুমন্ত চেহারার দিকে বেশ মুগ্ধ চোখে তাকাই আছি।ফারহানের ঘুমন্ত চেহারা আমার বরাবরই প্রিয়।কেমন জেনো বাচ্চা বাচ্চা লাগে ও ঘুমালে। মাথায় হাত বুলানোর জন্য একটু এগিয়ে গেলাম।।কিন্তু ওর মার খাওয়ার পর গায়ে ভিষণ ব্যথা তাই একটু নড়তে গিয়ে ব্যথায় কাতরায় উঠলাম। আর ফারহান নড়েচড়ে উঠলো।আমি কিছুটা ভয়ে পিছয়ে গেলাম।উঠলে হয়তো আবার মারবে!!ফারহান আগে কখনো আমাকে মারে নি।অফিস পার্টিতে গেলে নেশা করতো আমি মানা করেছি অনেক কিন্তু ও শুনে নি।আজও অফিস প্যাটি থেকে নেশা করে এসেছিল তার জন্য আমি চিল্লাচিল্লি করছিলাম। ও ২ বার থামতে বলে ৩বারের বেলায় মার শুরু করল।আমি একটা দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে উঠে অন্য রুমে চলে আসলাম। বিছানায় গুটিছুটি মেরে শুতেই হাউমাউ করে কেদে উঠলাম আমি।।
বিয়ের এই ৩ বছরে প্রথম আমার নিজেকে অনেক একা মনে হচ্ছে।। আচ্ছা এখন কি আমার ওকে ছেড়ে দিয়া উচিত!!?নাকি মানিয়ে নিয়ে চলবো!? এখন থেকে কি ও রোজ আমাকে মারবে!?ওর কি অন্য মেয়ের সাথে রিলেশন আছে!?! থাকলে আমি কি করবো?ওকে ছাড়লে আমার বাবা কি আমাকে মেনে নিবে!? ওইসব উত্তর ছাড়া প্রশ্ন মাথায় আসতেই আমি আরও জোরে কেদে উঠলাম।আমি সত্যি জানি না আজকের পর আমার জীবনটা কেমন হবে!” কাল কাদতে কাদতে কখন ঘুমাই গেছি খেয়াল নাই ঘুম ভেগে উঠে দেখি আমার পায়ের কাছে ফারহান শুয়ে আছে।ও কোনো অন্যায় করলেই এমন করে তাই খুব একটা অবাক হলাম না ওকে এইভাবে দেখে।ওকে না জাগাইয়ে উঠে গেলাম।উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখি ফারহান দাড়াই আছে হাতে ট্রে নিয়ে।ট্রেতে ব্রেড আর জেলি। আমি ওর মুখের দিকে তাকাতেই ও মুখ কাচুমাচু করে বলে উঠলো,
-ইয়ে মানে আমি তো অন্য কিছু বানাতে পারি না তাই…
-আমি বানাচ্ছি নাস্তা।
-তোমার গায়ে হাতে ব্যথা নিরা!কিভাবে বানাবে?
-ব্যথার উপর ব্যথা দিলে নাকি সেরে যায়!তো দেখি প্রবাদটা কতখানি সত্য।
এই কথাটা শুনে ফারহান মাথা নিচু করে ফেললো।।। ও অনেক লজ্জিত তা আমি বেশ বুঝতে পারছি।লজ্জিত হওয়াই উচিত!লজ্জিত হওয়ার মতোই কাজ ও করেছে।আমি আমার জিবন নিয়ে কি করবে এখনো ঠিক জানা নেই আমার!একবার মনে হচ্ছে ছেড়ে চলে যায়! পরক্ষণেই মনে হচ্ছে পরিবার, সমাজের সাথে লড়াই করার সাহস,শক্তি আছে কি আমার!?! যদি থেকেই যাই তাহলে ফারহান কি রোজ মারবে আমাকে!?! এইসব নানান প্রশ্ন নিয়ে নাস্তা বানাতে লাগলাম।হাতে, গায়ে কালশিটে পড়ে গেছে ওর মার খেয়ে।হাত নড়াচড়া করতেও যেন ব্যথা লাগছে।এক দুবার ব্যথায় কাতরায় উঠতেই ফারহান দৌড়ায় এসে বলল “থাক না!আজ ব্রেড আর জেলি খাই!” আমি উত্তর না দিয়ে নাস্তা বানাতে মনোযোগ দিলাম।নাস্তা বানাইয়ে টেবিলে আসলাম ফারহান প্লেট আর ফ্রিজ থেকে পানি এনে পাশের চেয়ারে বসল বসলো। ওর প্লেটে রুটি তুলে দিতেই ও আমার হাত চেপে ধরলো।ওর ছোয়া পেতেই কালকের মারের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো, আমি চমকায়ে উঠে দাড়ালাম।ফারহানও উঠে দাড়াইয়ে বেশ অসহায় গলায় বলল,
-তুমি আমাকে ভয় পাচ্ছো নিরা!?
আমি কোনো উত্তর দিলাম না।উত্তর টা হ্যা!ভয় পাচ্ছি।ওর ছোয়া পেয়ে আমার আজ আর ভালবাসার অনুভূতি হচ্ছে না।।আমি নিচু গলায় বললাম,”খেয়ে নাও” ফারহান উত্তর না দিয়ে রুটি এক টুকরো মুখে নিল।নিয়েই ডুকরে কেদে উঠলো। ওকে আমি এর আগে কখনো কাদতে দেখি নি। খুব ইচ্ছা করছিল ওকে জরিয়ে ধরে বলতে” সব ঠিক আছে আমি তোমাকে মাপ করে দিয়েছি”কিন্তু সব তো ঠিক নাই!কালকের সৃতি এখনো আমার মস্তিষ্কে এখনো সতেজ। এই সৃতি কি নিস্তেজ হওয়ার মতো সৃতি!?! মনে হয় না।আমি ফারহানের থেকে চোখ সরিয়ে খাওয়াই মন দিলাম। কাল রাত থেকে কিছু খাই নি তারপর মার!! এখন না খেলে দুপুর হতে হতে জ্ঞান হারাবো।।ফারহান কাদতে কাদতে উঠে গেল।আমি ওর প্লেট আর আমার প্লেট নিয়ে রান্না ঘরে গেলাম।। ঘোয়ার শক্তি হল না তাই প্লেট গুলো রেখে গেষ্ট রুমে আসলাম।ব্যথা আরও বেড়েছে মনে হচ্ছে!আমি আমার রুমে গেলাম নাপা নিতে গিয়ে দেখি ফারহান বিছানায় বসে মাথায় হাত দিয়ে কাদছে।
আমি ওকে দেখেও না দেখার ভান করে বললাম “নাপা কোন ড্রয়ে!?” ফারহান চোখ মুচতে মুচতে উঠে বিছানার পাশের ছোট টেবিলের ড্রয়ের থেকে নাপা বের করে দিল আমার হাতে।আমি ওষুধ নিয়ে বেরিয়ে অন্যরুমে আসলাম।নিজেকে কেমন যেন রোবট রোবট লাগছে।কোনো অনুভূতি পাচ্ছি না নিজের ভিতরে। না আমার ফারহানের কান্না দেখে কোনো অনুভূতি হচ্ছে না আমার জীবনে কি হবে এখন সেই চিন্তা নিয়ে অনুভূতি হচ্ছে!!? অবশ্য হাউমাউ করে কাদার থেকে এই অনুভূতিহীন হয়ে থাকা অনেক ভালো! কারন আমি কাদলে দেখার কেউ নাই!! ওষুধ টা খেয়ে শুয়ে পড়লাম। প্রায় সাথে সাথেই ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম।। কয়েকমাস ধরে ফারহান অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে।খারাপ চেঞ্জ না ভালো চেঞ্জ।ভেবেছিলাম ওরপর থেকে ও আমার সাথে আরও খারাপ ব্যবহার করবে রোজ হয়তো মারবে কিন্তু না।ও আমার সাথে অনেক ভালো ব্যবহার শুরু করল।ও এখন আর লেট করে অফিস থেকে আসে না।
অফিস থেকে আসার সময় প্রতিদিন একটা করে গোলাপ নিয়ে আসে।। ওইদিনের পর আমার সাথে উচগলায় কথা বলে নি। অবশ্য আমিই ওর সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছি।প্রয়োজন ছাড়া এখন আর খুব একটা কথা হয় না আমাদের।আমি এখনো আলাদা রুমে শুই।ফারহান আমার উপর জোরও খাটাই না একসাথে শোয়ার জন্য।।প্রতি শক্রবারে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায়।আমি মানা করলে বাইরে থেকে খাবার কিনে আনে।। আমাদের প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে যার কারনে বাবা মাকে কিছু বলার সাহস হয় নি আমার।ওকে আমার বাবা মা মানতে চাইছিল না। বিয়ের পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে উনাদের রাজি করিয়েছে ফারহান।এখন উনারা ফারহানের অনেক ভক্ত।সামনের মাসেই এসেছিল বাবা মা।ফারহান উনাদের আদরের কমতি রাখে নি।বরং আগের থেকে বেশি আদর করেছে এইবার।মা হয়তো আচ করেছিল আমাকে একবার জিগ্যেস করেছিল “তোদের মধ্যে সব ঠিক তো?” আমি হেসে বলেছিলাম হ্যা।।আমাদের মধ্যে সব ঠিক না বেঠিক তা আমি জানি না।
কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক টা।তবে ওর আমার প্রতি এতো কেয়ার নিয়া এইটা আমার অনেক ভালো লাগে।ওইদিনের ঘটনার আগে যেমন কেয়ার নিতো এখন তার থেকে অনেক বেশি কেয়ার নেয়। ওকে এইভাবে দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার।।ফারহান আমার মন জয় করার জন্য এতোকিছু করছে কিন্তু ও এখনো একটা বারও আমাকে সরি বলে নি।ওইদিনের কথা তুলেই না আর।আমার সাথে কথা বললে এমন কথা বলে যেন আমার মন থাকে।জামাইয়ের মার খাওয়ার পর সব বউয়ের মনে একটা কথা আসে সেটা হলো “ও কি অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে!? আমারও আসছিল আমি খোজ লাগাইয়ে জানতে পারি আমার এই ভয় মিথ্যা। একবার ওর ফোন চেক করেছি লুকিয়ে কিন্তু কিছু পাই নি।ওইদিনের পর আমার মনে অনেক রকমের ভয় ছিল।তার মধ্যে এইটা একটা যা মিথ্যা প্রামনিত হয়েছিল।এইসবের পর মনে হল আসলেই নেশা এমন জিনিস যা মানুষের রূপ বদলে দিতে পারে।।
ওকে আমার ক্ষমা করে দিয়া উচিত!!? কিন্তু মনের কণে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় আবার যদি ও কোনো পার্টিতে গিয়ে নেশা করে ওই রূপে ফিরে যায় তো!? অনেক ভুলতে যায় ওর ওই রূপটা কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারি না। বার বার চোখের সামনে ভেষে উঠে।মারের দাগ গুলা শরীর থেকে মুছে গেলেও মন থেকে যেতে চাই না সে দাগ গুলো।। দরজায় বেল বাজতেই চমকায়ে ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ৬টা বাজে।এখনো ফারহানের আসার সময় হয় নি তো কে এলো? কফির মগটা টেবিলে রেখে গেলাম দরজা খুলতে। দরজা খুলে দেখি ফারহান গোলাপ হাতে দাড়িয়ে।আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম,
-তুমি?এতো জলদি?
-কেন?আসা যাবে না বুঝি?(হেসে বলল)
-না সেটা না
-অফিস পার্টি ছিল তাই সবাই ওইখানে গেছে তো আমি…….(বাসাই ডুকতে ডুকতে বলল)
-চেঞ্জ করে যাবা পার্টিতে?(আমার ভয়টা সত্যি হতে চলেছে হয়ত)
-নাহ..
-তাহলে?(অবাক হয়ে)
-যাবো না।(সোফাই বসে জুতা খুলতে খুলতে বলল)
-মানে??(আরও অবাক হয়ে বললাম)
-নিরা!!? যাবো না মানে আমি পার্টিতে যাবো না।(মুচকি হেসে বলল)
-কেন??(ওর চোখের দিকে তাকাইয়ে জিগ্যেস করলাম জিগ্যেস করতেই ওর মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেল)
-এমনি
বলেই ও চলে গেল রুমে চেঞ্জ করতে।ও এমনি বলেও আমি জানি ওর না যাওয়ার কারন।আর এই কারন টা আমাকে অনেক খুশি করছে।। কারন হৃদয়ে জমে থাকা সেই এক বিন্দু ভয়টাও আজ নাই হয়ে গেছে।। ফারহান চেঞ্জ করে রুম থেকে বের হয়ে বলল,
-নিরা!?এখনো দরজার কাছে দাড়াই আছো কেন? আসো আজ আমরা একসাথে রান্না করবো! কি খাবা বল?
-খিচুড়ি! (দরজা লাগাইয়ে ওর সামনে এসে বললাম)
-আচ্ছা।তো তোমার হ্লেপ লাগবে না।আমি একাই পারবো।তুমি বসো।
আমি রান্না ঘরের সামনে একটা চেয়ার পেতে বসলাম।ও রান্না করছে আর আমাকে বলছে ও সারাদিন আজ কি কি করছে।আমার কোনো কথায় কানে যাচ্ছে না। আমি চেয়ারে মাথা লাগাইয়ে মুগ্ধ চোখে ওকে দেখছি।।আজ অনেকদিন বাদে ওকে মুগ্ধ চোখে দেখছি।আগে ওর ছোট ছোট কাজ মন ছুয়ে যেত।গত কয়েক মাস এই মন ছুয়ে যাওয়া জিনিসটা অনেক মিস করেছি।। তাই আজ আমি উপভোগ করতে চাই এই মূহুর্তটা।।সত্যি বলতে আমি ইচ্ছে করেই খিচুড়ি খাবো বলেছিলাম যাতে ও রান্না করে আমি ওকে দেখতে পারি।ও পিছনে ঘুরে তাকাইয়ে আমাকে এইভাবে তাকাই থাকতে দেখে হাসলো।ওর এই হাসি প্রশান্তির হাসি।।আমাকে ফিরে পাওয়ার প্রশান্তি। আমার চাহোনি দেখেই হয়তো বুঝে গেছে আমি ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি। ফারহান খিচুড়ির পাতিল এনে টেবিলে রাখতে রাখতে বলল “আসো খাই”।।
খেয়ে দেয়ে ফ্রেশ হতে হয়ে এসে দেখি ফারহান ড্রানিং রুমে নাই।আমাদের রুমে গিয়ে দেখি ফারহান বেলকনির নিচে বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে আকাশের দিকে তাকাইয়ে বসে আছে।আমি গিয়ে বেলকনির দরজায় দাড়ালাম ও হেসে বলল” সুন্দর চাদ উঠেছে “আমি কিছু না বলে ওর পাশে বসে কাধে মাথা রাখলাম।ও কিছুক্ষণ পর আমাকে বুকে টেনে নিল,আমি চোখ বন্ধ করে ওর হার্টবিট শুনতে শুনতে বললাম” হুম অনেক সুন্দর চাদ!” ও হেসে বলল “আমি জানি তোমার চোখ বন্ধ” আমি উত্তর দিলাম না ওকে আরও শক্ত করে জোরাই ধরলাম।আজ অনেক মাস পর ওকে জোরাই ধরছি।কয়দিন আগেও আমি ভাবছিলাম হয়তো আর আমাদের সম্পর্ক আগের মতো হবে না। হয়তো আলাদা হয়ে যেতে হবে আমাদের। ওর থেকে আলাদা হতে হবে ভেবেই বুকটা কেপে উঠতো আমার।ফারহান আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলল”সরি” এতোদিন বাদে ওর মুখে সরি শুনে বেশ অবাক লাগলো আমার।আমি ওর বুক থেকে মাথা তুলে বললাম,
-এতোদিন বাদে!?!
-আমি যদি পরেরদিন সকালেই তোমাকে সরি বলতাম তাহলে কি মাপ করে দিতে আমাকে??ভুলে যেতে আগের রাতের কথা?
-নাহ।(মাথা নিচু করে বললাম)
-এই জন্যেই।সত্যি বলতে ক্ষমা চাওয়ার মুখ আমার ছিল না।এখনো নাই।জানি তুমি ওইরাতের কথা ভুলো নি আর ভুলবেও না কোনোদিন।নিরা! আমি জানি না ওইদিন আমার কি হয়েছিল।।আমি কিভাবে তোমাকে (বলেই থেমে গেল)
-ফারহান আমি….
-তুমি আমাকে মাপ করো না নিরা!
আমি ক্ষমা পাওয়ার মতো কোনো কাজ করি নি যে তুমি ক্ষমা করবা আমাকে।কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি নিরা। আমাকে ছেড়ে যেও না।তুমি অন্যরুমে শোও।আমার কাছে এসো না।তাও আমার থাকো নিরা।মাঝেমধ্যে আমার দিকে মুগ্ধ চোখে দেখো আর এইভাবে আমার বুকে মাথা রেখে চাদ দেখো তাতেই আমি খুশি।আমি তোমাকে হারাতে পারবো না নিরা। কোনো মূল্যেই না।।
বলেই হাউমাউ করে কেদে উঠলো ফারহান।আমি ওকে আমার কোলে শুতে বললাম। ফারহান আমার কোলে মাথা রেখে কাচুমাচু হয়ে শুয়ে কাদতে লাগলো।আমি ওকে জরিয়ে ধরে বললাম “আমি তোমায় ক্ষমা করে দিয়েছি”
আসলে সরি বলা যতটা সহজ ততটাই কঠিন কাউকে বুঝানো যে সে সত্যিই সরি!! খুব মানুষই ক্ষত দিয়ে আবার এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে নিজেই পরিশ্রম করে।। আঘাত দিয়ে ছেড়ে যাওয়ার মানুষ অনেক আছে এই দুনিয়ায়। কিন্তু নিজের দিয়া আঘাতে নিজেই মলম লাগিয়ে সারিয়ে তুলার মানুষ খুব কমই আছে। এমন মানুষ পেলে তাকে যেতে দিতে হয় না আঁকড়ে ধরে রাখতে হয়।
গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক