কষ্টের জীবন

কষ্টের জীবন
ড্রইং রুমের খাটের এক কোণে মাথা নিচু করে বসে আছি আমার মনটা খুবই বিষন্ন। আমার মুখোমুখি সোফায় বসে আছেন আমার শ্বাশুড়ি মা মুখটা কালো করে, উনার পাশে বসে আছেন আমার ভাসুর জাহিদ হোসেন। উনি এ বাড়িতে থাকেন না প্রেম করে বড়লোকের একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুর শ্বাশুড়ি কে দেখাশোনা করার জন্য নিজের মা কে ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন, উনার শ্বশুর বাড়ি আমাদের গ্রাম থেকে পাঁচ মাইল দূরের শহরে।
ভাসুরের বিরক্তিতে কপাল কুঁচকানো। সিঙ্গেল সোফায় বসে আছে আমার স্বামী জাকির হোসেন রাগে ওর মুখ থমথম করছে। আরেকটা সিঙ্গেল সোফা খালি আছে সেখানে আমার একমাত্র ননদ জেবা এসে বসবে।জেবার বিয়ে হয়েছে আমাদের পাশের গ্রামে, ও প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে।একঘন্টা আগে শ্বাশুড়ি মা তার তিন ছেলেমেয়েকে ফোন করে জরুরি ভিত্তিতে বাড়ি আসার কথা বলেছেন দুই ছেলে চলে এসেছে। কিছুক্ষণ আগে শ্নাশুড়ি মা আবার জেবার কাছে ফোন দিয়েছেন।সবাই জেবার আসার অপেক্ষা করছে। আজকে সবাই একত্রিত হয়েছে অপরাধীর বিচার করতে, অপরাধী আমি নিজে।আজ আমি মারাত্মক অপরাধ করেছি শ্বাশুড়ি মায়ের মুখের উপরে কথার উত্তর দিয়েছি। আমার এই ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের তো শাস্তি পেতেই হবে কি শাস্তি হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আজ সকালে আমার সপ্তম শ্রণীতে পড়া ছোট ভাইটা রতন ছয় মাইল সাইকেল চালিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে ওর ক্লান্ত ঘর্মাক্ত মুখ দেখে বুকের ভেতর কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো, আহারে আমার সোনা ভাইটা কতো কষ্ট করেছে নিশ্চয়ই ওর কাছে গাড়ি ভাড়া নেই। ছুটে যেয়ে ভাইটাকে বুকের ভেতর টেনে নিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দিলাম। আমরা চার ভাইবোন আমি বড় তারপর আরও দুইটা বোন সবার ছোট এই ভাইটা। ভাইটা আমার কাছে আমার সন্তানের মতো। আমার মেজ বোনেরও বিয়ে হয়ে গেছে বাড়িতে বাবা মা আর ছোট দুই ভাইবোন থাকে। ভাইটাকে আদর করে হাত ধরে ঘরে ফ্যানের নিচে বসালাম। একটু নাই বসতে রতন বলে উঠলো, বুবু আগে তোমার শ্বাশুড়ির সাথে দেখা করে আসি। রতনকে সাথে নিয়ে শ্বাশুড়ি মার ঘরে ঢুকলাম। রতন খুব আগ্রহ করে জিজ্ঞেস করলো,মাওইমা আপনার শরীর ভাল আছে?
শ্বাশুড়ি মা রতনকে দেখে কপাল কুঁচকে কোনরকমে বললেন, হু । আর একটাও কথা বললেন না। রতন চুপচাপ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমার ঘরে চলে আসলো আমিও পেছনে পেছনে আসলাম। রতন মুখ কাল করে বলল,আমি আসলে মাওইমা একটুও খুশি হয়না খুব বিরক্ত হয়, তাই না বুবু? আমি কিভাবে বলবো ভাইরে শুধু তুই না আমার বাপের বাড়ি থেকে যেই আসুক না কেন শ্বাশুড়ি মা’র মুখ কাল হয়ে যায়।একটু হেসে বললাম, তা হবে কেন সোনা আসলে বয়স হয়েছে শরীরটা ভাল না তাই কথা বলেননি।ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বাবা কেমন আছে রে রতন?
রতনের চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো করুণ মুখে বলল,বুবু বাবার কয়েকদিন থেকে খুব অসুখ কাজে যেতে পারছে না। আমি হতম্ভব হয়ে গেলাম, বলিস কি! ডাক্তার দেখিয়েছে? না রে বুবু টাকা নেই ডাক্তার কিভাবে দেখাবে?বাজার সদাই ও ঠিকভাবে হচ্ছে না। রতনের কথা শুনে বুকের ভেতর হুহু করে উঠল।আমার বাবা খুব গরীব, ধানের আড়তে হিসাবপত্র রাখার কাজ করে। আমার শ্বশুর বাড়ির অবস্থা ভাল পুকুর জায়গা জমি ফলের গাছ সব আছে কিন্তু হলে কি হবে এই সংসার থেকে কোন কিছু আমার বাপের বাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই অথচ আমার ভাসুর কয়েকদিন পরপর বাড়ি এসে ফল, শাকসবজী, পুকুরের মাছ ঘরে পালা মুরগী, তার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যায়।
গতকাল ভাসুর এসে শ্বাশুড়ি মা কে বললেন,মা আমার শ্বশুর চালের গুড়োর রুটি আর রাজহাঁসের গোশ খেতে চেয়েছেন। সাথে সাথে আমার শ্বাশুড়ি মা কাজের ছেলেটাকে দিয়ে রাজহাঁস কিনে আনালেন। আমি গোশ রান্না করে রুটি বানিয়ে টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে ভাসুরকে দিলাম। জা এর বাবাকে গোশ রুটি খাওয়াতে পারি অথচ এমনি অপদার্থ মেয়ে আমি, নিজের বাবা কে নিজের ইচ্ছায় কিচ্ছু খাওয়াতে পারি না।
বাবার শরীর খারাপ আমার মনটা নাড়িয়ে দিল যে করে হোক কিছু টাকা রতনকে দিতে হবে কিন্তু আমার কাছে তো কোন টাকা নেই হঠাৎ আলমারির মাথার উপর মাটির ব্যাংকের দিকে নজর আটকে গেলো। আমি আর আমার দুই মেয়ের হাতে যখন যে পয়সা আসে এই ব্যাংকে রাখি। ব্যাংকটা ভেঙে ফেললাম পয়সা গুলো একটা পুটুলি বেঁধে প্যাকেটে ভরলাম আর ভরলাম পাঁচকেজি চাল, কিছু আলু, পেয়াজ, ফ্রিজ থেকে নিলাম কয়েক টুকরো মাছ, গতকাল রাজহাঁসের মাংস রান্না করেছিলাম তারই কিছু মাংস ফ্রিজে আছে সেখান থেকে কয়েকটুকরো মাংস নিয়ে একটা ছোট্ট বক্সে ভরে প্যাকেটের ভিতর ঢুকিয়ে প্যাকেটটা শ্বাশুড়ি মা’য়ের অগোচরে আমার ঘরে লুকিয়ে রাখলাম। উনি যদি জানতে পারেন তাহলে হুলুস্থুল কান্ড করবেন।
দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর শ্বাশুড়ি মা নিজের ঘরে শুতেই রতনকে ডেকে বললাম, সোনা ভাই আমার এখন বাড়ি চলে যা এত রোদে সাইকেল চালাতে হবে না বাসে করে যা। প্যাকেট এবং দশটা টাকা রতনের হাতে গুঁজে দিলাম।
রতনকে বিদায় দিয়ে ঘুরতেই দেখি শ্বাশুড়ি মা দরজায় দাঁড়িয়ে। চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন তোমার ভাই চলে গেল বৌমা? তোমার ভাইয়ের হাতে বাজারের প্যাকেট দেখলাম তা কি কি দিলে? আমি ভয় পেয়ে আমতা আমতা করে কোনরকমে বললাম তেমন কিছু না আম্মা। সেটুকুই বা দিবা কেন? আমাকে না জানিয়ে চুরি করে বাপের বাড়ি জিনিস দিতে লজ্জা করে না। লজ্জায় আমার মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে। শ্বাশুড়ি মা আবারও বলা শুরু করলেন, এজন্য হাভাতে ঘরের মেয়েদের বাড়ির বউ করতে নেই এদের সংসারের উন্নতি করার কোন চেষ্টা থাকে না সারাক্ষণ মাথার ভিতর ঘোরে কিভাবে শ্বশুর বাড়ির জিনিস বাপের বাড়ি পাঠানো যায়।
শ্বাশুড়ি মা প্রায়ই আমাকে গরীবের মেয়ে বলেন অনেক বকাঝকা করেন আমি কোনদিনও উনার মুখের উপর উত্তর দিই না। আজকে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, আম্মা আমি না হয় হাভাতে ঘরের মেয়ে এজন্য বাপের বাড়িতে জিনিস পাঠাতে ইচ্ছা করে কিন্তু জেবা তো বড়লোকের মেয়ে ও কেন কয়েকদিন পরপর শ্বশুর বাড়ি থেকে এটা সেটা এনে বাপের বাড়ি দেয়? কই আপনি তো তখন কিচ্ছু বলেন না বরং আপনি খুব খুশি হন। আমার এই উত্তর আগুনের ভেতর যেন ঘি পড়লো। শ্বাশুড়ি মা প্রচন্ড রেগে গেলেন দাঁতে দাঁত চেপে বললেন, আমার মুখের উপর উত্তর দাও এত বড়ো সাহস! আজ ছেলেমেয়েরা এসে এর বিচার করবে। তারপরই উনি ছেলেমেয়েদের খবর দিয়েছেন। জেবা চলে এসেছে বিরক্ত নিয়ে বলল, কি ব্যাপার মা এতো জরুরি তলব আমি বাড়িও যায়নি স্কুল থেকে সরাসরি এখানে এসেছি। এবার বলো ঘটনা কি।
শ্বাশুড়ি মা সমস্ত ঘটনা বলার সাথে সাথে জেবা কর্কশ গলায় বলল,তোমার এত বড় সাহস ভাবি! তুমি আমার সাথে তোমার তুলনা করো! আমি কি তোমার মতো অশিক্ষিত মূর্খ গরীবের মেয়ে? রীতিমতো লেখাপড়া শিখে চাকরি করি নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে আমার মা’কে জিনিস দিই শ্বাশুড়ির সামনে দিয়ে দিই। তোমার মতো শ্বশুরবাড়ির জিনিস চুরি করে দিই না। তুমিও লেখাপড়া শিখে চাকরি করলে পারতে। লেখাপড়া শেখার সে যোগ্যতাও তো তোমার নেই। জেবার কথায় খুব কষ্ট পেলাম আমি গরীবের মেয়ে একথা ঠিক কিন্তু আমি মূর্খ না রীতিমতো A গ্রেড পেয়ে এসএসসি পাশ করি। বাবা কষ্ট করে আমাকে কলেজেও ভর্তি করে দিয়েছিলেন কিন্তু কয়েকদিন পরই জাকিরের সাথে বিয়ের প্রস্তাব আসে। জাকিরের বাড়ির লোকজনই আমাকে আগ্রহ করে বউ করেএ বাড়িতে নিয়ে আসে।
বিয়ের দিন আমার বাবা হাত জোড় করে আমার শ্বাশুড়ি মা’কে বলেছিলেন আমার মেয়েটা পড়াশোনায় খুব ভালো, বিয়েন ওকে দয়া করে পড়াবেন।কিন্তু আমার শ্বাশুড়ি মা আমাকে আর পড়ালেন না উনার যুক্তি ছিল পড়াশোনা যদি করে তাহলে সংসার করবে কখন? নিরুপায় হয়ে জাকির কে অনুরোধ করলাম পড়াশোনা করানোর জন্য কাতর হয়ে বললাম, আমি পড়াশোনা করতে চাই তুমি দয়া করে একটা ব্যাবস্হা করো, আমারও তো একটা ভবিষ্যৎ আছে।
তোমার আবার কিসের ভবিষ্যৎ? তোমার ভবিষ্যৎ তো আমি ঐসব বাজে চিন্তা না করে মন দিয়ে সংসার করো এই বলে জাকির আর একটা কথাও না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। আমি এখন বুঝতে পারছি আমাকে দাবিয়ে রাখার জন্য কেউ আমাকে পড়াশোনা করাতে রাজি হয়নি। ভাসুর বলে উঠলেন, মিনু তুমি কোন আক্কেলে মায়ের অনুমতি না নিয়ে এই সংসারের জিনিস বাপের বাড়ি চালান দেও? এই সংসার কি তোমার একার? এখানে জেবার অধিকার আছে আমার বউয়ের অধিকার আছে।
শ্বাশুড়ি মা বললেন, জাকির তুই যদি তোর বউয়ের এই অপরাধের বিচার না করিস তাহলে আমি খাওয়া বন্ধ করে দেবো। আমার স্বামী রাগী গলায় বলল ,মিনু মায়ের কাছে মাফ চাও। এর আগেও আমার স্বামী বহুবার বিভিন্ন কারণে মায়ের কাছে মাফ চাইয়েছে আমিও চেয়েছি কিন্তু আজ কেন জানি বিদ্রোহ করতে ইচ্ছা হলো। আমি জাকিরের চোখের দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট গলায় বললাম, কোনটা আমার অপরাধ হয়েছে? মেয়ে হয়ে বাবার দুঃসময়ে সামান্য কিছু জিনিস দিয়েছি সেটা অপরাধ নাকি জেবা শ্বশুর বাড়ির অনেক জিনিস এই বাড়িতে দেয় এই সত্যি কথাটা বলেছি এইটা অপরাধ।
ভাসুর চেঁচিয়ে উঠলেন কি বেয়াদব বউ মাফ না চেয়ে মুখে মুখে তর্ক করছে। জাকির রাগত্ব স্বরে বলল,অতশত জানিনা মাফ চাইতে বলেছি মাফ চাও। আমার ভেতর কেমন যেন একটা জিদ চেপে গেল জোর গলায় বললাম, আমি মাফ চাইবো না। জাকির ছুটে এসে আমার গালে ঠাস করে চড় মেরে হিসহিস করে বলল,মাফ চাও নাহলে তোমার কপালে দুঃখ আছে। আমিও সমান তেজে উত্তর দিলাম মাফ আমি চাইবো না। জাকির আমার দুই কাঁধ ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলল,তুমি যদি আমার মায়ের কাছে মাফ না চাও তাহলে এই মুহূর্তে তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবো আর কোনদিনও এই বাড়িতে ঢুকতে দেবো না।
আমি অবাক হয়ে ভাবলাম, মেয়েদের কোন মূল্য নেই! আজ দশটা বছর এই সংসারে থেকে দুইটা মেয়ের মা হয়েছি এই সংসারের পেছনে রক্ত জল করা পরিশ্রম করি অথচ আজ সবকিছু কেড়ে নিয়ে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে! এতটুকু সম্মান নেই! সিদ্ধান্ত নিলাম এত অপমান অসম্মান নিয়ে এই বাড়িতে আর থাকবো না চলে যাবো।ঘর থেকে বেরোতে যেয়ে হঠাৎ ড্রইং রুমের ভেতরে দরজার দিকে চোখ পড়তেই আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, দরজায় দাঁড়িয়ে আমার দুই মেয়ে মুখে হাত চেপে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মূহুর্তে আমার সমস্ত রাগ জেদ ধুলোয় লুটিয়ে পড়লো। মাতৃত্বের কাছে সমস্ত অপমান নুইয়ে পড়লো। আমি ছুটে যেয়ে শ্বাশুড়ি মায়ের পায়ে হাত দিয়ে বললাম, মা আমাকে ক্ষমা করে দিন আর কোনদিনও আপনার মুখের উপরে কথা বলব না। শাশুড়ী মা হৃষ্টচিত্তে বললেন,আচ্ছা ঠিক আছে যাও এবারের মত ক্ষমা করলাম ভবিষ্যতে আর এমন করলে আর ক্ষমা করবো না। এখন রান্নাঘরে যেয়ে এদের জন্য চা নাস্তা তৈরি করো।
আমি মার খাওয়া কুকুরের মত আড়ষ্ট হয়ে ওদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে রান্নাঘরে ঢুকতেই আমার দুইমেয়ে ছুটে রান্নাঘরে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হুহু কর কাঁদছে আমিও ওদের জড়িয়ে ধরেছি আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। আস্তে করে বললাম মা গো তোমরা অনেক কেঁদেছো আর না আমার চোখের দিকে তাকাও, আজকে তো সবকিছু দেখলে এবার বলো তোমরা কি আমার মতো জীবন চাও? মেয়ে দুইটা দ্রুত মাথা নেড়ে বলল,না মা আমরা এই জীবন চাই না। তাহলে সোনারা আমার, তোমরা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করো আজ থেকে তোমরা মন দিয়ে লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মানুষের মতো মানুষ হবে।
মেয়েদুটোকে ছুঁয়ে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম যতই বিয়ের ভালো সম্বন্ধ আসুক না কেন মেয়েদের বিয়ে দেবো না, ওর বাপ চাচা যতই বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক আমার সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবো। ওরা সর্বচ্চো ডিগ্রি নিয়ে আগে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তারপর বিয়ের চিন্তা। আমি মনে প্রাণে দোয়া করি কোন মেয়ের জীবন যেন আমার মতো না হয়, এ জীবন বড় কষ্টের জীবন।
গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত