ব্যার্থ জীবন

ব্যার্থ জীবন

নিশির দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি আমি।।ওউ ঠিক আমার দিকেই চেয়ে আছে।। লাল বেনারসি পরনে বউয়ের সাজে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে।।।কিন্তু তবুও কেনো জানি আজ ওকে এভাবে দেখে মনের মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে আমার।।

যেখানে আজ ওর আমার জন্য বউ সাজার কথা ছিলো সেখানে আজ ও অন্যকারোর জন্য বউ সেজে বসে আছে।।আর এই কথাটা আমার রিদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে প্রতিটা সেকেন্ডে।।এখানে দাড়িয়ে থাকা প্রত্যেকটা সেকেন্ড আমার কাছে যেনো এক একটা অভিশাপের মতো লাগছে।।।এখান থেকে যেমন আমি দুরে কোথাও পালিয়েও যেতে পারছিনা।। তেমনি ঠিক এটাকে সামনা সামনি ফেস করার মতো ভেতর থেকে পর্যাপ্ত পরিমান সাহসটুকুও পাচ্ছিনা।। এক ধরনের দোটানার মধ্যে পড়ে গেছি আমি।।।কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা।।শুধু ওর দিকে নিরব হয়ে চেয়ে আছি।।ওকে বোঝানোর চেষ্টা করছি আমি ওকে কতটা ভালোবাসি।।।কিন্তু ব্যাপারটা হলো যে সব বোঝার পরও না বোঝার ভান করে থাকে তাকে বোঝানোটা আসলেই মুসকিল।।যেটা না পেরেছি আমি পুর্বে আর না পারছি আজ।।শুধু ব্যার্থতাটাকে গলায় জড়িয়ে চুপচাপ নিজের ভালোবাসাকে অন্যের হয়ে যেতে দেখছি।।।

কাঠ হয়ে দাড়িয়ে আছি আমি।।সামনে বসে কাজি সাহেব বিবাহ পড়াচ্ছেন।।ওনার বলা এক একটা শব্দ আমার জিবনটাকে পুরো লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে প্রতিটা মুহুর্তে।।।নিজেকে যেনো কোনোভাবে শান্ত করতে পারছিনা আমি।।।পাশে দাড়িয়ে আরাফাত শক্ত করে আমার হাতটা ধরে আছে।।কিছুক্ষন পরপর আমার ঘাড়ে হাত রেখে আমায় শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।।। কিন্তু কোনো শান্তনায় যেনো আমার রিদয়ের কম্পনটাকে আজ থামাতে পারছেনা।।।মনতো চাচ্ছে লোক সম্মুখে ওকে নিয়ে পালিয়ে যায়।।।কিন্তু সেটাও করতে পারছিনা কারন এটা করলে সবার সামনে নিহায়ত হাসির পাত্র হয়ে যাবো আমি।।আর এর ফলে আঙ্কেলের ও সম্মানে দাগ লেগে যাবে আর যেটা আমি কোনোদিনই হতে দিতে পারি না।।।তাই চুপচাপ দাড়িয়ে বিবাহের কর্মকান্ড দেখছি।।।আর নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করছি।।।

বিবাহ প্রায় শেষের দিকে,,কাজী সাহেব এবার কবুল বলতে বলবেন নিশিকে।।আমার মনের মধ্যে আরেকদফা ধপ করে উঠলো।।আমি বুঝতে পারলাম এ দৃশ্য আমার দ্বারা দেখা অসম্ভব।।তাই আমি আর ওখানে না দাড়িয়ে দুরে কোথাও একটু আড়ালে এসে দাড়ালাম।। মন খুলে একটু কাদতে ইচ্ছা করছে আমার।।কিন্তু ভেতর থেকে কেনো জানি বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।।যতই সময় যাচ্ছে এই জায়গাটাও আমার কাছে কেমন দম বন্ধ হওয়ার মতো লাগছে।।মনে হচ্ছে এখানে আর একমুহুর্ত থাকলে আমি মারা যাবো।।কিন্তু এখান থেকে পালানোর ও কোনো উপায় দেখছিনা।।।একধরনের প্যাচানো সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছি আমি।।যেটা থেকে না পারছি বের হতে আর না পারছি এটাকে হজম করতে।।।

-বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে।।

নিশির মুখে কথাটি শুনে আমি থমকে গেলাম।।কথাটি শোনা মাত্রয় আমার পৃথিবী পুরো ঘুরে গেলো।।কি বলল নিশি এটা।।ও কি আমার সাথে এই মুহুর্তে মজা করলো।। আমি সিওর হওয়ার জন্য ওর মুখের দিকে তাকালাম।।না ওর মুখে মজা করার মতো কোনো চিহ্নই দেখতে পেলাম না আমি।।কেমন যেনো সিরিয়াসনেস ভাব দেখতে পেলাম।।।চোখ দুটোও পানিতে ভরে গেছে প্রায় যেকোনো মুহুর্তে ঝর্ণার মতো গড়িয়ে পড়ার অবস্থা।। আমি বুঝতে পারলাম না ওকে কি বলবো।।কিছুক্ষন চুপ থাকার পর ওকে জিজ্ঞাসা করলাম।।

-কখন?(বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা)(আমি)
-কাল রাতে বাবা অফিস থেকে ফিরে।।।(নিশি)
-ছেলে কি করে?(জোরে নিশ্বাস ফেলে)
-বাবার সাথে একই অফিসে কাজ করে।।।
-ওহহহ,,,তো তুমি এখন কি চাও ?
-আমি বাবার কথার বিরুদ্ধে যেতে পারবোনা।।।(কান্ নার স্বরে) ওর মুখে এ কথাটি শুনে আমি অবাক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম।।কি বলবো বুঝতে পারলাম না।।। কিছুক্ষন চুপ থাকার পর আমি পুনরায় ওকে জিজ্ঞাসা করলাম।।

-আর আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো,,সেগুলোর কি হবে?
-আমি জানিনা।।।আমায় তুমি ক্ষমা করে দাও প্লিজ।।।

আমি জাস্ট সহ্য করতে পারছিনা এসব।। আমি আর কোনো কথা বললাম না।।।বুঝতে পারলাম ও খুব মানষিকভাবে চাপে আছে।।তাই ওকে আর কোনো প্রশ্ন করলাম না।।চুপচাপ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলাম দুজনে।। তারপর বাইকে করে বাসার দিকে রওনা দিলাম।। অন্যদিন বাইকে বসলে ও আমায় জড়িয়ে ধরে বসতো।। কিন্তু আজ আমার কাছে থেকে অনেকটা দুরত্ব বজায় রেখে বসে ছিলো ও।।।আর এটা দেখে আমি বুজতে পারলাম আমি ওকে আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছি।।।

নিশির বিয়ের কেনাকাটা করতে এসেছি।।ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও একদম জোর করে আনা হয়েছে আমায়।। মনতো বলছিলো মানা করে দিই মুখের ওপর ।। কিন্তু পরক্ষনে দেখলাম আন্টি যদি খারাপ কিছু ভাবে তাহলে তার ওপর মায়ের আদেশ আছে সাথে যার কারনে শেষ মুহুর্তে গিয়ে আর মানা করতে পারিনি ওনাকে।।ঠিক ই বাধ্য হয়ে এসেছি এখানে।। নিশি আমার পাশেই দাড়িয়ে আছে।।কোনোরুপ কথা বলছেনা।।এটা যদি অন্য একদিনের দৃশ্য হতো তাহলে হয়তো ও কথা বলে আমার মাথা খেয়ে ফেলতো।।কিন্তু আজকের দৃশ্যটা আলাদা।।। আজকের নিশিও আলাদা।।

এই নিশি সেই নিশি না যাকে আমি চিনি,,,জানি,,,যাকে আমি এতোদিন ধরে দেখে আসছি।।এ যেনো অন্য এক নিশি যার পরিচয় হয়তো এখনো জানা হয়নি আমার।।। আন্টি আর নিশি পোষাক দেখছে আর আমি নিশিকে দেখছি।।কিছুক্ষন পর পর নিশিও এক দুইবার পাশে ঘুরে আমার দিকে তাকাচ্ছে।।আর ওর এই তাকানোটা আমাকে জানান দিচ্ছে কিছুদিন পর আমার নিশি অন্যকারোর হয়ে যাবে।।।আর আমার এই বেদনাটা শুধু ও জানবে,, আমি জানবো,, আর তৃতীয় কোনো ব্যাক্তি হয়তো জানার চেষ্টাও করবেনা।।নিশ্চুপ হয়ে মেনে নিতে হবে সব আমায়।।

এই কয়দিনে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি ওকে।।কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি।।ওর শুধু একটায় কথা আমি বাবার বিরুদ্ধে যেতে পারবোনা।।আর আমি যখন নিজে থেকে আঙ্কেলকে সব বলে দেওয়ার কথা বলেছি তখন ও আমায় এইটা করতে বাধা দিয়েছে।।বলেছে কোনোকিছু করার দরকার নেই।। হয়তো ভয় পেয়েছে তাই এই সব কথা বলেছে।।।যদি কথাগুলো শুনে আঙ্কেলের কিছু হয়ে যায় তাহলে।।। আঙ্কেল আবার হার্টের রুগি।।তাই সেই ভয়ে হয়তো আমিও ওনাকে আর কিছু জানায় নি।।।চুপচাপ বসে বসে সবকিছু দেখে গিয়েছি আর মেনে নিয়েছি বা মেনে নিতে শিখছি।।কারন এখনো অনেক কিছু মেনে নেওয়া বাকি আছে আমার।।। চেয়ারের ওপর বসে বাড়িটা সাজানো দেখছি।।অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে বাড়িটাকে।।

আর হবেই বা না কেনো একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা।।সব বাবা মা ই চায় তার মেয়ের বিয়েটা ধুমধাম করে দিতে।।আর সে যদি একমাত্র মেয়ে হয় তাহলে তো আর কোনো কথায় নেই।।নিশিও এ বাড়ির একমাত্র মেয়ে তাই তার বিয়ে ধুমধাম করে হবে এটাই স্বাভাবিক।।এখানেও তার কোনো ব্যাতিক্রম নেই।।তাই সাজানো হচ্ছে বাড়িটাকে দুই দিন পর সানাই বাজানোর জন্য।।। বসে ছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে কেউ একজন ডাক দিলো।। কন্ঠটা কিছুটা আয়শার মতো লাগলো।।যেহেতু আওয়াজটা অনেক দুর থেকে আসছিলো তাই ভালো মতো বুঝতে পারছিলাম না।।আমি এবার কথার সুর ধরে পিছন দিকে তাকালাম,,দেখলাম অনেকটা দুরে দাড়িয়ে আয়শা হাত উচু করে আমায় ডাকছে।।ওর এভাবে ডাকা দেখে আমি চেয়ার থেকে উঠে ওর দিকে এগোতে শুরু করলাম।।।কিছুক্ষন হাটার পর আমি ওর কাছে পৌছে গেলাম।।

-কি হয়েছে এতো চিল্লাসছিস ক্যান?(আমি)
-নিশি আপু তোমায় ডাকছে।।(আয়শা) কথাটি শুনে আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম।।হটাৎ করে নিশি আমাকে ডাকছে কেনো।।মনের মধ্যে নানান ধরনের প্রশ্ন জাগতে শুরু করলো,,,

-আমায় ডাকছে নিশি।।তুই সিওর তো?
-একশ ভাগ সিওর।।আরে উনিইতো আমাকে তোমার কাছে পাঠালো।।।বললো তোমায় ডেকে দিতে।।।দেখো ছাদের ওপর দাড়িয়ে আছে।।

-হুম তুই যা আমি দেখছি।।।

ও আমার কথামতো বাড়ির ভেতর চলে গেলো আর আমিও আস্তে আস্তে ছাদের দিকে এগোতে শুরু করলাম।।ছাদের ওপর এগোনোর সময় পায়ের এক একটা ধাপ আমার এক একটা হার্টবিট বাড়িয়ে দিচ্ছিলো।।কিছুক্ষন যাওয়ার পর আমি ছাদে পৌছে গেলাম।।নিশি ওখানেই দাড়িয়ে ছিলো।।খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে।।আজকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর।।জ্যোৎস্না ভরা রাত সাথে হাজার তারার মেলা অসম্ভব সুন্দর একটা পরিবেশ।।। হয়তো এর জন্য ও এখানে দাড়িয়ে।।যাইহোক আমি এবার ওর দিকে এগোতে শুরু করলাম।।ও অন্যদিকে মুখ করে দাড়িয়ে ছিলো।।।তাই আমার আসার বিষয়টা হয়তো টের পায়নি।।আমি হেটে ঠিক ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম এবং ছোট্ট করে একটা কাশি দিলাম।।ও আমার আওয়াজ শুনে কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে বাস্তবে পা দিলো,,,,

-কি ভাবছিলে?(আমি)
-কই কিছু ভাবছিলাম না তো।।এমনিতেই দাড়িয়ে ছিলাম।।।(নিশি)
-এখনো মিথ্যা বলছো তুমি।।আমার কথা ভাবছিলে তাই নয় কি।।এই যেমন তুমি আমায় ধোকা দিয়ে ফেলছো।। তোমার জন্য আমি অনেক কষ্ট পাচ্ছি এইসব কথা কি।। আমার কথা শুনে ও এবার চুপ করে গেলো আর কোনো কথা বললোনা।।চুপচাপ দাড়িয়েই রইলো।।।

-কষ্ট আমি ঠিক ই পাচ্ছি।।কিন্তু এখন যদি তুমি আমায় ছাদে ডেকে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা চিন্তা করে থাকো।।।তাহলে সেই কথাটা মাথায় থেকে ঝেড়ে ফেলো।।কারন তুমি যদি আজ এই কাজটা করো তাহলে হয়তো আমি তোমায় আর কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবোনা।।। ও এবারো কোনো কথা বললো না।।আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম।।চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে নিচে।।

-আচ্ছা এখনো কি তোমার ডিসিশন বদলানো যায় না।। সবকিছু আগের মতো করে দেওয়া যায়না।।শুধু একটিবার সাহস করে আঙ্কেলকে বলে দেখো।।যদি উনি মেনে নেন।।।

-আমি পারবোনা।।রায়ানকে ওনার অনেক পছন্দ হয়েছে।।উনি কখনোই আমার কথা মেনে নেবেন না।।আর আমি চায়না আমার কথা শুনে উনি বড় কোনো সমস্যায় পড়ুক।।।(কান্নার স্বরে)

-তারমানে তুমি তোমার ডিসিশনে অক্ষত থাকবে।।।

ও আর কোনো কথা বললোনা।।আমি ওর নিশ্চুপ থাকার মানেটা বুঝতে পারলাম।।ততক্ষনে আমার চোখ দিয়ে ঝরনা গড়তে লেগেছে।।নিজের হাত দিয়ে চোখ দুটো ঢেকে এক বুক বেদনা নিয়ে ওর সামনে দিয়ে হেটে চলে আসলাম।।আর পিছন ফিরে তাকালাম না।।। দরজার বাইরে দাড়িয়ে দরজাটা ঠোকাচ্ছি।। উদ্দেশ্য ভেতরে ঢোকার।।।ঘরের ভেতর নিশিকে বউ সাজানো হচ্ছে।।চারিদিকে প্রচুর হৈ চৈ তাই হয়তো ভেতর থেকে দরজা ঠোকানোর আওয়াজটা তেমন শোনা যাচ্ছে না।। আমি এবার একটু জোরে করে দরজা ঠোকাতে শুরু করলাম।।

কিছুক্ষন এইভাবে ঠোকানোর পর হটাৎ ভেতর থেকে কেউ একজন দরজাটা খুলে দিলো।আর আমি সাথে সাথে ভেতরে প্রবেশ করলাম।।।প্রবেশ করেই আমার চোখ প্রথমে আয়নার ভেতর নিশির ওপর পড়লো।।অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ওকে।।দেখতে একদম পরি দের মতো লাগছিলো।।ওই মুহুর্তে ওর সুন্দর্য ব্যাক্ষা করার মতো আমি কোনো ভাষা খুজে পাচ্ছিলাম না।।যাইহোক আমি এবার ওদিক থেকে নজর হটিয়ে যেই কাজে এসেছিলাম সেই কাজের দিকে নজর দিলাম।।।আমি ভেতর থেকে সবাইকে একটু বাইরে চলে যেতে বললাম।। সবাই একে একে বেরিয়ে গেলে আমি নিশির দিকে এগোতে শুরু করলাম।।

-অসম্ভব সুন্দর লাগছে তোমায়।।।

ও আমার কথার কোনো জবাব দিলোনা।।আমি আর ওকে কোনো প্রশ্ন না করে পকেটে থাকা চেনটা আস্তে আস্তে বের করে ওর গলায় পরিয়ে দিলাম।।ও শুধু অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।।ওই মুহুর্তে আমি এতো আবেগে আপ্লুত ছিলাম যে আর কোনো কথা বলতে পারিনি।।চেন পরিয়ে সোজা ঘরের বাইরে চলে এসেছি।।

বিয়ের কাজ সম্পুর্ণ হয়েছে।।চারিদিকে সকলে একের পর এক ছবি তুলে ওদের জিবনের এই মুহুর্তটাকে ক্যামেরাবন্দি করে নিচ্ছে।।আমি দুরে থেকে এক কোনায় দাড়িয়ে শুধু ওদের কাজ কর্ম দেখে চলেছি।। আরাফাত ও দাড়িয়ে আছে আমার সাথে।।এখনো একইভাবে হাতের সাথে হাতটা জড়িয়ে ধরে।।তবে এবার আর ও আগের মতো সেই শান্তনাটা দিচ্ছেনা।।হয়তো বুঝতে পেরেছে আমার এ কষ্ট ভুলানোর জন্য শান্তনা হয়তো এই মুহুর্তে কোনো কাজে আসবেনা।।।কারন আমাকে এখন শান্তনা দেওয়া আর না দেওয়া একই বিষয়।।তাই বেশিকিছু না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।।।।

আর মাত্র কিছুক্ষন তারপর নিশি চিরদিনের জন্য এ বাড়ি ছেড়ে নতুন বাড়িতে পাড়ি দেবে।।কিছুদিন হয়তো আমার কথা মনে করে কাদবে তারপর ঠিক ই স্বামী সন্তান পেয়ে আমাকে ভুলে যাবে।।আর আমি শুধু রাস্তায় রাস্তায় দেবদাসের মতো ঘুরে বেড়াবো।।আর এ পৃথিবীতে এতো কষ্ট নিয়ে বেচে থাকার জন্য আমার ব্যার্থ জিবনটাকে দোষারোপ করবো।।

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত