শেষ পরিণতি

শেষ পরিণতি

রবিন নামের ছেলেটা কে আমি অনেক ভালোবাসি।ছেলেটা দেখতে অনেক কিউট। ভদ্র,নম্র,ঠাণ্ডা প্রকৃতির রবিন।তার চাল চলন দেখে আমি তাকে ভালোবাসি।আমারপিছনে অনেক দিন যাবত ঘুরেছে।তার লাইফ স্টাইল, জীবন বৃত্তান্ত দেখে আমিও তাকেভালোবেসে ফেলি।সেই সময় থেকে আজও পর্যস্ত আমি রবিনকে ভালোবাসি। আজকালকার ভালোবাসায় শুধু নোংরামি। রবিনের ভালোবাসায় আমি কখনো কোনোনোংরামি খুঁজে পাই নাই।আমি রবিনকে অনেক বিশ্বাস করি।আর রবিনও আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে।

আজও পর্যন্ত রবিন আমার হাতটি ধরে দেখে নি।রবিনের এসব কর্ম কান্ড দেখে আমি বিস্মিত।একটা ছেলে এতটা ভালো কিভাবে হতে পারে।দিনে দিনে আমি রবিনের প্রতি আরো বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছি।আর ভালোবাসা দিন দিন আকাশের দিকে উদিত হচ্ছে।এত এত বেশি ভালোবাসে আমাকে যা বলা বাহুল্য। আমিই মনে হয় প্রকৃত একজন সুখি মেয়ে।যার মাঝে কোনো দুঃখ নেই।রবিনের মতো একজন ভালো ছেলে এখনকার এই ডিজিটাল যুগে খুঁজে পাওয়া যেন সোনার হরিণ পাওয়া।আমি এত এত সুখি যা কখনো কল্পনা করা যাবে না।আমিও রবিনকে অনেক অনেক ভালোবাসি।

আমাদের ডিপার্টমেন্টের একজন বান্ধবীর বিয়ে।আমি রবিনসহ আরো অনেকে এসেছে। ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হলো। আমি আর রবিন একটি রুমে বসা।আমরা দু’জন ছাড়া রুমের মধ্যে আর কেউ নেই।আমার খুব ভয় হচ্ছে।যদি রবিন আমাকে একা পেয়ে আমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করে।হঠাৎ দেখি রবিন দরজা আটকিয়ে দিল।ভয়টা ভিতরে আরো বেড়ে গেল।রবিন তো এমন না।রবিনের মাঝে তো কখনো এসব বিদ্যমান ছিল না।তাহলে রবিন কি সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।আমি ভয়ে ঘামতেছি।রবিন ধীরে ধীরে হেঁটে আসছে আমার দিকে।আমি চোখ বুঝে গেলাম। কিছুক্ষণ বাদেই শুনতে পেলাম,

– হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে আনিশা আমি চোখদ্বয় গুলো খুললাম।তাকিয়ে দেখি রুমের সারা লাইট অফ করে দেওয়া হয়েছে। রবিনের হাতে একটি কেক ও তার মাঝে কিছু মোমবাতি।মোমবাতির আলোতে কেবল আমি দেখছি রবিনকে আর রবিন দেখছে আমাকে।রবিনের এমন অদ্ভুত পাগলামি আর সারপ্রাইজ পেয়ে আমি সত্যিই অনেক খুশি হয়েছি।রবিনের প্রতি আমার ভালোবাসা আর বিশ্বাস এক ধাপ বাড়িয়ে দিল।

জীবন যখন নদীর মতো বহমান।তার কোনো স্থীর হয়ে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সেই চলমান জীবনের সাথে ঝড়িত হলো রবিন নামের ছেলেটা।ভালোবাসা,বিশ্বাস,আস্থা দিন দিন রবিনের নানা কর্মকান্ডে আমাকে তার প্রতি আকৃষ্ঠ করছে।রবিন কে ভালোবাসি সীমাহীন। চোখ বুঝেই রবিনকে বিশ্বাস করতে পারি আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু এই বিশ্বাস কতদিন থাকবে।তার তো কোনো সময় নেই।একদিন এই বিশ্বাস আমাকে নতুন করে মানুষ শেখাতে সাহায্য করলো।ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস, আস্থা পরিচয় করিয়ে দিল আমাকে।তা রবিনের মাধ্যমে। রবিন একদিন আমাকে কল করে জানাল যে, আমি যেন শেষ বিকেলের দিকে, সন্ধার আগ মুহুর্তে তার বন্ধু রাফির বাসাতে যাই। আমিও সেই দিন কোনো কিছু না ভেবে চলে যায় রবিনের বন্ধু রাফির বাসায়।গিয়ে দেখি সেখানে আমার আগেই রবিন উপস্থিত।

রবিন আর আমি রুমে বসে আছি।তার বন্ধু কোনো এক কাজে বাহিরে গেছে কিছু আনার জন্য।হঠাৎ রবিন আমাকে এমন একটা কথা বলল, যা শুনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।যা কখনো আমি রবিনের কাছ থেকে আশা করি নি।কিংবা রবিনও আমাকে এর আগে কখনো এই কথা বলে নি। রবিনের মুখ থেকে এই কথা শুনে আমার চোখদ্বয় গুলো কপালে ওঠে গেল। হ্যাঁ, রবিন আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে। তার সাথে এখন এই মুহুর্তে বিছানায় শুয়ার জন্য আহবান করেছে। যার কাছ থেকে কখনো এমন কথা শুনতে হয় নি।যাকে আমি অন্ধের মতো ভালোবাসি। চোখ বুঝেই বিশ্বাস করি।সেই রবিনই আজকে আমাকে এই প্রস্তাব দিয়েছে।আমি রবিনকে বললাম,

– রবিন তুমি কি সিরিয়াস
– হ্যাঁ সিরিয়াস,

কত দিনের আশা তোমাকে নিয়ে এক বিছানায় রাত কাটাব,কত কিছু করব” আমি নিরবে নিশ্চুপ থেকে চোখ থেকে দু’ফোটা পানি ঝড়িয়ে রবিনের কু-প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম। রবিন আমার শরীর থেকে সকল কাপড় খুলে ফেলল।এমন ভাবে রবিন কাপড় খুলে আমার নগ্ন দেহের দিকে ঝাপিয়ে পড়ল।যেন কোনো হিংস্র পশু আক্রমণ করেছে।আমার নগ্ন দেহটা কে নিয়ে রবিন যা ইচ্ছে তা করছে।

যাকে অনেক ভালোবাসি,যাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করি,যার মধ্যে কখনো এসব প্রতিফলিত ছিল না।সেই রবিন নাকি আজ আমাকে হিংস্র পশুর মতো অত্যাচার করছে।রবিন আমার নগ্ন দেহটা কে নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেছে আর আমি কেবল মাথাটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে কাঁদতেছি।এক সময় রবিন তার যৌনমিলন শেষ করে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল। নগ্ন দেহ নিয়ে এখনো আমি বিছানায় শুয়ে রয়েছি।কি হলো আজ আমার সাথে।কি অপরাধ ছিল আমার।বিশ্বাস আর বেশি ভালোবাসার ফল বুঝি এরকমই হয় তা আমার জানা ছিল না।কিছুক্ষণ বাদেই দরজায় দাঁড়িয়ে রবিন বলতে লাগল,

– দেখ আনিশা, তোমার সাথে আমার যা হয়েছে সবই আমার বন্ধু রাফি দেখেছে এবং জানে।এখন সে চাচ্ছে তোমার সাথে আবার বিছানায় শুইবে।তা না হলে সে সব কিছু বলে দিবে।

তুমি রাজি হয়ে যাও” রবিন কথা গুলো বলে চলে গেল।সাথে সাথে রবিনের বন্ধু রাফি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল।নগ্ন দেহটা কে আমি কাপড় দিয়ে ঢাকতে পারি নাই তার মাঝেই রবিনের বন্ধু রাফি আমার ওপর ঝাপিয়ে পড়ল।মনের খায়েশ মেটানোর জন্য, যৌন মিলনের জন্য রাফিও খেলতে লাগল নগ্ন দেহটা কে নিয়ে।আমি শুধু ভাবি নিরবে চোখ থেকে জল ফেলিয়ে রবিন না হয় এমনটা করতে পারল,তার মাঝে আবার রবিনের বন্ধু এটা কিভাবে সম্ভব।কিছুই যেন ভাবতে পারতেছি না।চোখ দুটি ঘুমের ঘরে আচ্ছন্ন হওয়ার জন্য উত্তাল হয়ে রয়েছে। এক সময় রাফি তার যৌন মিলন শেষ করে আমার বুকের উপর শুয়ে পড়ল।খানিক্ষণ বাদেই রবিন রুমে এসে আমাকে বলল,

– আনিশা, আজকে যা হয়েছে তার জন্য আমি সরি।কাপড় পড়ে বাসায় চলে যাও” আমি এখন রাস্তায় হাঁটতেছি আর আমার সাথে যা যা ঘটছে সে গুলো ভাবতেছি।কি করব আমি।বাড়িতে যাব নাকি আত্মহত্যা করব কিছুই যেন ভাবতে পারতেছি না।মনের মাঝে একরাশ সাহস নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগলাম।

শরীরটা ব্যাথায় পুড়ে যাচ্ছে।কি লাঘবটাই না আমার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে।আমার সাথে যা হয়েছে তা ভুলে যাব।আমি এর প্রতিশোধ নিব।রবিন এবং রবিনের বন্ধু রাফির ওপর।আর যেন কোনো নারী তাদের সম্ভল না হারায় এই রবিন-রাফির নামের হিংস্র পশুদের হাতে। এরপর থেকে রবিন আমার সাথে এমনটা করেছে অনেকবার।আমি শুধু নিরব থেকে সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছি।যত ইচ্ছে আমাকে কুড়ে খাইতে থাকুক তারা।শুধু রবিন না, রবিনরের বন্ধুও আমার সাথে এমনটা করতেছে।আমিও রবিনের প্রস্তাবে যে কোনো সময় চলে যায় তার কামরস মেটানোর জন্য।আমি কেবল সময়ের অপেক্ষায়।একদিন সেই সময় আমার হাতে চলে আসে।

রবিন আমাকে রুমে নিয়ে যেই মাত্র শুতে যাবে সেই মাত্রই রবিনকে চাকু দিয়ে আঘাত করি।রবিন যে কিছুই বুঝতেছে না।এক সময় আমি রবিনের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলি।রবিন ব্যথায় কাতর হয়ে ফ্লোরে শুয়ে মৃত্যুর দিকে দাবিত হচ্ছে। রুম থেকে বেড়িয়ে দেখি রবিনের বন্ধু আমার সাথে যৌনমিলন করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমাকে রাফি দেখে ভয় পেয়ে গেল। আমার সারা শরীরে রক্ত আর রক্ত।হাতে চাকুটা।রাফির দিকে আমি গিয়েই রাফির বুকে চাকুটা বসিয়ে দিলাম।চাকুটা এত বার আনা নেওয়া করেছি যার ফলে আমি রাফির কলিজাটা বেড় করে নিয়ে এসেছি।

রবিনের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি আর রাফির কলিজাটা বেড় করে নিয়েছি।যা এবার তরা যত ইচ্ছে যৌন মিলন কর গিয়ে। রবিন কে শেষ বারের মতো দেখার জন্য রুমের ভিতরে প্রবেশ করলাম।দেখলাম রবিন মারা গেছে, আমার কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।আমি তো রবিনকে অনেক ভালোবাসতাম। ভালোবাসার বিশ্বাস টুকু রবিন রাখতে পারল না। চিরতরে শেষ হয়ে গেল রবিন।আমি হাঁটা ধরলাম অন্ধকার পথে…..

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত