ঘৃণা

ঘৃণা

হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে বুকটা কেপে উঠলো। রাশেদ কাউকে গুলি করলো নাতো? না না এ কি করে সম্ভব রাশেদের গুলিতে তো সাইলেন্সর লগানো। ওর গুলির তো শব্দ হওয়ার কথা না। তাহলে কি রাশেদকে? না না এ হতে পারে না রাশেদের কিছু হতে পারে না মনে মনে বলতে বলতেই আমি কখন যেন দৌড়ানো শুরু করেছি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কত কিছুর সাথে ধাক্কা লেগেছে জানি না। হঠাৎ কিছু একটার সাথে পা লেগে পড়ে গেলাম। মনে হলো কোনো লাশের সাথে লেগেছে।

লাশের কথা ভাবতেই গা কাটা দিয়ে উঠলো। খুব ভয়ে ভয়ে লাশের দিকে তাকালাম তাকাতেই আমার প্রানটা যেন উড়ে গেল। যে ভয়টা করেছিলাম সেইটাই হলো। এ আমার প্রানের বন্ধু রাশেদ। আমার সারা শরীর নিথর হয়ে গেল ওর মুখের দিকে তাকাতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ওর নিথর শরীর টা আমার সামনে পড়ে আছে ওর চোখ দুটো মেলানো মনে হচ্ছে ও আমায় কিছু বলতে চাচ্ছে। ওর মাথাটা বুকের সাথে নিয়ে বললাম পারলাম না তোর শেষ কথাটা শুনতে। ওর বুকে গুলি করেছে বেশ কয়েকটি। বুকটা ঝাঝরা করে দিয়েছে। রক্তে ভিজে গেছে ওর সারা শরীর। নিজেকে অনেক কষ্টে নিয়ন্ত্রণ করলাম। উঠে দাড়াতে যাব এমন সময় লক্ষ করলাম পুলিশ আমাকে ঘিরে ফেলেছে। ইন্সপেক্টর আহসান আমাকে জিজ্ঞেস করলো

-কিরে খুন করে নেকামো হচ্ছে। নেকা কান্না কাঁদছিস?

আমি কিছু বলতে পারলাম না। আমি জানি না এ কান্না আমার বন্ধু হারানোর শোকের নাকি প্রতিশোধের আনন্দের কান্না। হ্যা খুনটা আমিই করেছি না ঠিক আমি নি করিয়েছি। হ্যা ঠিকি শুনেছেন আমি আমার বন্ধুর খুন করিয়েছি। আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় বন্ধু রাশেদকে । রাশেদ আমার প্রানের চেয়েও প্রিয় বন্ধু সেই ১২ বছর বয়স থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। আমার নাম নিয়াম। আমার ছোট একটি বোন ছিল নাম নবিতা। বাবা মা আর আমরা দুই ভাই বোন মিলে আমাদের ছোট্ট সংসার। আমরা স্টেশনের পাশেই একটা বস্তিতে থাকতাম। বাবা দিন মজুরের কাজ করতো।

মাঝে মাঝে স্টেশনে কুলির কাজও করতো। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতো সারাদিন। আমি আর নবিতা পাশেই একটি সরকারি স্কুলে পড়তাম। সব কিছু মিলিয়ে ভালই চলছিল আমাদের এই ছোট স্বর্গের মতো সংসার। এই স্বর্গ সুখ আর বেশি দিন টিকলো না আমাদের কপালে।বিধাতা হয়তো গরীবের ভাগ্য এভাবেই লিখে থাকেন। আমার বয়স তখন দশ বছর ক্লাস ফোরে পড়ি আর নবিতা শিশু শ্রেণি। একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলাম mহঠাৎ দেখি রেইল লাইনের উপর অনেক ভীড় mবিষয়টা ভালভাবে দেখার জন্য সামনে পা mবাড়ালাম। কেন জানি যতই পা বাড়ালাম ততই mবুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিল। এক অজানা ভয় নিজেকে গ্রাস করে নিচ্ছিলো। একটু সামনে mএগুতেই একটি মহিলা কন্ঠে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম কন্ঠটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে।

ভয়ে আমার গা কাপছিল গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো।ভীড় ঠেলে সামনে এগুতেই দেখি একটা ক্ষত বিক্ষত কাটা লাস পরে আছে আর একজন মহিলা দেহের টুকরা টুকরা অংশ গুলো আকরে ধরে ডুকরে কান্না করছেন। হ্যা এই মহিলাটি আমার মা আর ক্ষত বিক্ষত টুকরা টুকরা লাস গুলো আমার বাবার। ছোট বোনটিও বাবার উপর হুমরি খেয়ে পড়লো। আমি সেদিন mকাঁদতে পারি নি। চোখ দিয়ে একফোঁটা জল ও বের হয় নি আমার। পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। মনের কষ্ট টা মনের মধ্যেই চাপা থেকে গিয়েছিল যে কষ্ট রোজ রাতে আমার বুকে হানা দেয়। আমার বুকের উপর দিয়ে রোজ রাতেই রেল গাড়ি নামক লাস গাড়ি চলে। জীবদ্দশায় বাবা আমায় বলেছিল আমি তোকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবো আর তুই হবি সেই ইঞ্জিনিয়ার যার হাতে এই বস্তিতে বড় ভবন হবে আর বস্তির হতভাগা গুলো শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারবে।

আমি সেই হতভাগা ছেলে যে বাবার স্বপ্ন পূরন করতে পারি নি। বাবা চলে যাওয়ার পর মাকেই সব দ্বায়িত্ব নিতে হয়। মা বেশি বেশি কাজ করে টাকা রোজগার করতে থাকে আর আমি বিভর থাকি বাবার স্বপ্ন পূরনে। কিছুদিন ভালই চলল আমি ফাইভে উঠলাম। হঠাৎ করেই মা’র শরীর টা খারাপ হতে mথাকে। এক পর্যায়ে ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আমি বস্তির করিম চাচার সাথে মা’কে সরকারি হাস্পাতালে ভর্তি করি কিন্তু সেখানকার ডাক্তাররা বলেন এখানে ওনার চিকিৎসা হবে না প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করতে হবে। ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ্য টাকা দাবি। হায়রে বিধাতার লিখন করে যার কপালে তিন বেলা ভাত জোটেনা তার চিকিৎসার খরচ পাঁচ লাখ টাকা।

কোথায় কোথায় গিয়েছি কত লোকের পা ধরেছি নিজের জিবনের বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা চেয়েছি সারা জীবন গোলামি করতে চেয়েছি কিন্তু নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ গুলোর মনে এতটুকু দয়া হয়নি। বাবাকে তো নিয়েইছো মায়ের হাসি মুখ টুকু দেখার ভাগ্যও বুঝি তুমি কেরে নিলে মাবুদ। তুমি কেন এমন হও মাবুদ কেন এতো নিষ্ঠুর তোমার দুনিয়া। সেইদিন অপরাধীর মতো পায়ের পাশে বসে বসে মায়ের চলে যাওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা আমার। একটা ছেলের কাছে এটা যে কতটা যন্ত্রণার যার মা হাড়িয়েছে সেই শুধু জানে। বুকের ভীতরটা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল সেই দিনই।

মা চলে গেলেন এই অশান্তি ময় দুনিয়ার মায়া ছেড়ে শান্তির ঘুমে যে ঘুম আর কোনো দিন ভাংবে না। বাবা মা কে হাড়িয়ে আমরা দুই ভাই বোন হয়ে গেলাম একেবারেই ছন্নছাড়া।বাচার জন্য বাবা মায়ের স্মৃতি আর এই ঘরটুকু ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ধূলিসাৎ হয়ে গেল বাবার স্বপ্ন পূরন। গরীবের জন্য স্বপ্ন দেখা হয়তো মহা পাপ। বাবা গরীব হয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাই তো বিধাতা সেই পাপের সাস্তি দিলেন। একটা সময় মনে হয়েছিল আমিও বাবা মায়ের মতো ওপারে পাড়ি জমাই কিন্তু নবিতার কথা ভেবে নবিতাকে নিয়ে নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। ছোট বোনকে নিয়ে বাচার জন্য কাজের সন্ধান করতে লাগলাম ছোট বলে কেউ কাজ দিতে চাইতো না কেউ কেউ অনেক কাজ করিয়ে নিয়ে শুধু একবেলা খেতে দিত নিজে না খেয়ে ছোট্ট নবিতার জন্য রেখে দিতাম।

রাস্তায় রাস্তায় বোতল কুঁড়ান থেকে শুরু করে কুলিগীরী, জুতা পালিশ, বাদাম বিক্রি, হোটেলে কাজ সব করেছি। কেউ ঠিক মতো টাকা দিতে চাইতো না। তবুও কারো কাছে কোনো দিন হাত পাতি নি। বাবার স্বপ্নকে পূরন করার নতুন স্বপ্ন দেখলাম বোনের মধ্যে। ওকে স্কুলে ভর্তি করলাম। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরতে লাগলো ছোট্ট ঘরটাতে। এক দিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম হঠাৎ দেখলাম রেললাইনে বসে আমার বয়সি কেউ একজন কাঁদছে। কাছে গিয়ে অবস্থা বোঝার চেষ্টা করলাম। পড়নে একটা ছেড়া হাফ প্যান্ট ছাড়া কিছুই দেখলাম না। জিজ্ঞাস করলাম

– কে তুই এখানে বসে কাঁদসিস কেন?
-আমার নাম রাশেদ পোড়াবাড়িতে থাকি। মা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তাই কাঁদছি।
– এখন বাড়ি যা ঠিক হয়ে যাবে যা আর বকবে না।
– না না তুমি মাকে চেনো না। আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবা এই মাকে বিয়ে করে আনে। এই মা আমাকে খুব মারে আমাকে বলেছে আমি যদি আবার ওইখানে যাই তাহলে আমাকে মেরব ফেলবে। বাবাও তাই বলেছে। (কেঁদে কেঁদে বলল)

– এখন কি করবি?
-জানি না (কেঁদেই চলছে) ভাবলাম রঙের এই দুনিয়ায় কেউ এগিয়ে আসবে না। সবাই স্বার্থপর। ওকে বললাম
– আমার সাথে যাবি।আজ থেকে আমরা বন্ধু।

সেই রাজি হলো সেই থেকে শুরু হয়েছিল দুজনের পথ চলা। একসাথে কাজ করতাম আর ৩ জন এক সাথে থাকতাম। কিন্তু দারিদ্র্যতা আমাদের পিছু ছাড়ছিল না। কেউ সঠিক দাম দিতো না। যে হোটেলে কাজ করতাম সেই হোটেলের মালিক আমাদের দুইজন কে ডেকে একদিন অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে একটা খুন করতে বলে।

আমরা রাজি হয়ে যাই। খুনও করি কিন্তু আমাদের কোনো টাকা না দিয়ে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেয়। মনের মধ্যে রাগ বাড়তে থাকে এইবার দুইজন ঠিক করলাম এই মালিককেই মারবো।প্লান মতো কাজ।বেড়ে গেল সাহস। কিভাবে জানি এই খুনের খবর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রানা ভাইয়ের কানে চলে গেল। তিনি আমাদের তার দলের কাজ করতে বলেন। বিনিময়ে অনেক টাকা দিবেন আর না হলে আমাদের পুলিশে দেবেন এই পাষাণ পৃথিবীর মানুষের প্রতি মায়া তো সেইদিন ই উঠে গেছে যেদিন চিকিৎসার অভাবে মাকে দুনিয়া ছাড়তে দেখেছি। নিজেকে পাথর বানিয়েছি। যোগ দিলাম গ্যাঙ এ শুরু হলো অন্ধকারের যাত্রা। ধীরে ধীরে কুলি নিয়াম, ফুট পাতের সেই ছোট্ট টোকাই নিয়াম থেকে হয়ে গেলাম নিয়াম ভাই।

বোনকে পড়াশোনা করাতে লাগলাম। রাশেদ হয়ে গেল মায়ে পেটের ভাইয়ে মতো আপন। একা একা কিচ্ছু করতাম না আমরা। কেটে গেল আরো ১৫টি বছর। এত দনে দুটি দেহ একটি মনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। একজন না খেলে অন্যজন খেতাম না এক জন না ঘুমালে অন্যজন ঘুমাতাম না। নবিতার প্রতিও ভালবাসার তিল পরিমান কমতি ছিলনা। এক মুহুর্তের জন্য নবিতা চোখের সামনে না থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায় আমার। নিজের সবটকু ভালবাসা দিয়ে বোনকে বড় করতে লাগলাম পৃথিবীতে আমার একমাত্র আশা ভরাশা স্বপ্ন সব কিছুই নবিতাকে ঘিরে। সেই স্বপ্নের প্রদীপ নিভিয়ে দিলো আমার কলিজার আরেকটা অংশ রাসেদ ভাবতেই অবাক লাগে।

সেই দিন বাড়িতে ফিরতে একটু রাত হয়েছিল। তাই সকালে উঠতে দেরি হচ্ছিলো। কিন্তু মানুষের চেচামেচিতে আর ঘুম হলো না বের হয়ে দেখি বাবাকে যেখানে লাশ দেখেছিলাম ঠিক সেখানেই অনেক ভীড় বুকটা কেপে উঠলো। আস্তে আস্তে এগুলাম গিয়ে দেখি একটা মেয়ে দেহ থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে শুয়ে আছে সে আর কেউ নয় আমার পৃথিবী আমার জীবন আমার বাবার স্বপ্ন নবিতা। আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।বাকশক্তি হাড়িফেলিছিয়াম। ভালবাসার মানুষ গুলো চলে গেলে হয়তো এমনি হয়।হায়রে বিধাতার খেলা।বোঝা খুবই মুশকিল। হাতে এক খানা চিঠি। চিঠিটা নিয়ে যা দেখলাম তা আমাকে পুরা পাগল করে দিল। আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব রক্ত টকবক করতে লাগলো, চিঠিতে যা লিখা ছিল

প্রিয় ভাইয়া
আমাকে ক্ষমা করে দিস। তোকে না জানিয়েই আমি একটা কাজ করে ফেলেছি না ফেরার দেশে চলে এসেছি। তোর আর বাবার স্বপ্ন পূরন করতে পারলাম না। জানি তুই কাঁদবি না। তোর মন তো অনেক আগেই পুড়ে ছাই হয়েগেছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাইদের মধ্যে তুই সেরা। একটা কথা রাখিস রাশেদ ভাইয়ের থেকে নিজেকে আলাদা করে নে। ওর জন্যই আজ আমাকে হাড়াতে হলো।যে বন্ধুর বোনকে সম্মান করতে পারে না সে একদিন তোর ও ক্ষতি করতে দুইবার ভাববে না।আমার এই কলঙ্কিত মুখ আমি কাউকে দেখাতে চাইনা তাইতো চলে গেলাম। ক্ষমা করিস।

ইতি
তোর কলিজা
পৃথবী কতটা নিষ্ঠুর হলে একে রকে বাবা মা বোন বন্ধু সবাই কে কেড়ে নিতে পারে। বেচে থাকার অক্সিজেন কেড়ে নেওয়ার সাথে সাথে শেষ সম্বল বন্ধুকেও কেড়ে নিল। প্রতিশোধের আগুন বুকের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো। এমন বন্ধুর পৃথিবীতে বেচে থাকার কোনো অধিকার নাই। বন্ধুর প্রতি সবটুকু ভালবাসা আগুনে পরিনত হলো তাই প্রতিশোধ নিলাম বন্ধুকে মেরে। নিজ হাতে হয়তো মারতে পারতাম না। আমার হাত কাপতো। তাই মারিয়ে নিলাম বুকের জ্বালাটা পুরোপুরি যায়নি নিজ হাতে মারতে পাড়িনি বলে। সরি বন্ধু রাশেদ ভাই আমায় মাফ করে দিস আমায় তো এতটাই ভালবাসতাম যে তো মৃত্যুর আভাস পেয়ে আমি নিজেই ভুলে গেছিলাম যে আমিইতোকে মারতে পাঠিয়েছি। পৃথিবীতে বেচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই।

নিজের পাপের সাস্তি পেয়ে দুনিয়া ছাড়তে চাই তাইতো পুলিশকে আমিই খবর দিয়েছিলাম। এতক্ষনে আমি থানায়। কদিন পরেই হয়তো আদালতে নেওয়া হবে। জানি না আমার শাস্তি কি হবে তবে জর্জ সাহেবকে আমি গল্পটি শোনাবো আর বলবো, “ঘৃণা করি এই পৃথিবীর মায়াকে যে মায়া কোনো মা’কে বাচাতে পারে না, ঘৃণা করিএই নিষ্ঠুর পৃথিবীর নিষ্ঠুর বিবেকহীন মানুষদেরকে, ঘৃণা করি এই লালসায় ভরা পুরুষত্বকে যে পুরুষত্ব বোনকে কেড়ে নেয় ভাই তুল্য বন্ধুকে কেড়ে নেয় আজ আমি বলতে একটাই শব্দ ঘৃণা, ঘৃণা আর ঘৃণা”।

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত