সন্ধ্যা হয়ে এলো। আর কয়েক ঘন্টার ব্যাপার তারপর ১৪ ফেব্রুয়ারী। আজকের এই দিনটায় তোমার কথা বেশি মনে পড়ছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি আজও তোমার বাসার দিকে তাকিয়ে। বাসাটায় আজ হলুদ পর্দা ঝুলে তবে তোমার অস্তিত্ব যখন ছিলো তখন নীল ছিলো পর্দার রঙ। বেশী একটা দুরুত্ব ছিলো না তোমার আমার বাসার। আমি বারান্দা থেকেই তোমাকে দেখতাম, অপলক চেয়ে থাকতাম।
রোজ সন্ধ্যায় আমি আসতাম বারান্দায় হাতে লিকার চা নিয়ে। রড চেয়ারটা নিয়ে বসতাম। তোমার আমার বিল্ডিং এর ঠিক মাঝখানে চলে গেছে একটা পিচ ঢালা রাস্তা।। দুরুত্ব ঠিক এতটুকুই। আমি বরাবরের মত সেদিনও চায়ের কাপ হাতে নিয়ে রাস্তার ব্যস্ততা দেখার জন্য বসেছিলাম রড চেয়ারে। দু এক চুমুক দিতেই একটা ভায়োলিনের সুর ভেসে আসলো। আমি খুব মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম সেই সুর– “একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল” এই গানটার যে এত সুন্দর সুর সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম। আমি এদিক ওদিক খুজতে লাগলাম কোথায় থেকে এ সুর ভাসছে। হঠাৎ নীল পর্দাওয়ালা সামনের বাসাটায় চোখ পড়লো।
পর্দার ফাক দিয়ে একটা লিকলিকে দেহ দেখতে পেলাম। চুলগুলো বেশ বড়। খাটে পা ঝুলানো পিঠ আমার দিক করা। বুঝতে বাকি নেই যে এ সুর সৃষ্টিকারী কোন মেয়ে। মুখ তখনো দেখতে পারিনি। কিন্তু আমি বিলক্ষন ঠায় হয়ে দাড়িয়েছিলাম সুরের মুর্ছনায়। পড়নের সাদার উপর কালো ছোপ ছোপ ফুলের ডিজাইন করা স্যালোয়ারের দিকেও চোখ পড়েছিলো। অনেকখন চেষ্টা করেছিলাম তোমার মুখ দেখতে। তারপর অঘটন ঘটলো কারেন্ট চলে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে ভায়োলিন বাজানোটাও বন্ধ করে দিলে। তারপরও অন্ধকারের মাঝে মুখ দেখার জন্য অনেকক্ষন অপেক্ষা করেছিলাম। তুমিও চারতলা আমি চারতলার বাসিন্দা তবে বিল্ডিং দুটি। এরপর ব্যর্থ হয়ে ঘরে ঢুকে গেলাম।
পরেরদিন অবশ্য ভাবিনি একই সময় আবার একই ভাবে তোমার সাথে আমার দেখা হবে। ঠিক সন্ধ্যা লাগার কিছুক্ষন পর অভ্যাস অনুযায়ী আবার গিয়েছিলাম বারান্দায়, হাতে সেই এক কাপ লাল চা। অবশ্য ভুলে গিয়েছিলাম তোমার কথা। সারাদিন ক্লাস, পার্ট টাইম জব করে বাসায় ফিরতে ফিরতে ওসব কি আর মনে থাকে। তবে তোমার সুর তোমাকে ভুলতে দেয় নাই। ঠিক সময়মত বেজে উঠলো ভায়োলিনের কালকের সুর- একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল। আগে এত মনোযোগ দিয়ে কোন গান শুনিনি তবে ভায়োলিনের এই সুর আমার নেশার মত মনে হতে লাগলো। আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তোমার জানালায়। পর্দার ফাকে আজও তোমার লিকলিকে দেহ দেখতে পারলাম।
পড়নে আজ নীল সালোয়ার। তবে আজ হালকা হালকা চেহারা দেখতে পারছি। হলুদ রঙ্গের চামড়ার অধিকারী তুমি। চোখের একপাশে যে টানা কাজল দিয়েছো সেটাও দেখা যাচ্ছে এক সাইড থেকে। ডানহাতে ভায়োলিন স্টিক ধরে অবলীলায় বাজিয়ে যাচ্ছো। তার কিছুক্ষন পর বাজানো বন্ধ করে তুমি জানালার কাছে এলে। এই প্রথম দেখলাম তোমার রোডের লাইটের আলোয় আবছা তবে স্পষ্ট বুঝেছিলাম তুমি অসম্ভব সুন্দর। চোখগুলো অসম্ভব লেগেছিলো। রোদের আলোও সেদিন সদয় ছিলো, আলোর তীব্রতা অন্যদিনের তুলনায় বেশী ছিলো বলে ভালোমতই বলা যায় তোমাকে দেখেছি। তুমি হুট করে পর্দাটা টেনে দিলে। আমাকে হয়তো দেখোনি। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তুমি চলে যাওয়ার পরও। এরপর আর তোমাকে ভুলিনি।
তারপর কি সে নেশা ধরলো আমি প্রতিদিন সকাল দুপুর সন্ধ্যা ফাক পেলেই বারান্দায় ছুটতাম। চা খাওয়ার নাম করে পরিবারের চোখ ফাকি দিয়ে তোমার জানালার দিকে তাক করে থাকতাম। দেখাও পেতাম মাঝে মাঝে তোমার। তবে খুব অপরাধী লাগতো এভাবে কারো ঘরের দিকে নজর রাখা ছোটলোক ব্যবহারের পরিচায়ক। কিন্তু আমি কি করে যেন সামলাতে পারতাম না। একসময় মনে হতো এ অন্যায় কোন অন্যায় না, কত ছেলেই তো এভাবে তাকিয়ে থাকে আমিও থাকি। সারাজীবন তো ভালো ছেলেই শুনেছি এবার নাহয় খারাপ ছেলে শুনি তবু তোমাকে দেখতে চাই। ক্লাস জব সব উচ্ছে গেলো দিন দিন আমার। ফাকি দেয়ার একটা প্রবনতা বেড়ে গেলো। বাসায় থাকার ফন্দী আর কি। পেট, পিঠ, মাথা, জ্বর -সর্দি কোন অসুখ বাকি রাখিনি অজুহাত দেখাতে।
আর সন্ধ্যা হলে তো দুনিয়া চুলোয় যাক আমার দুনিয়া তখন বারান্দা হয়ে উঠতো। এভাবে ৬ মাস কাটিয়ে দিলাম তোমাকে দেখে দেখে। এবার ভাবলাম না তোমাকে সব খুলে বলার দরকার। তুমিও এর মাঝে আমাকে বেশ কবার লক্ষ্য করেছো। তবে যতবারই লক্ষ করেছো পর্দা টেনে দিয়েছো মুখের উপর। বখাটেই হয়তো ভেবেছিলে তাছাড়া আর কি! তবে এর ব্যাখ্যাও আমার কাছে নেই কেন আমি এত নিচে নামলাম। এরকম আচরন আমার কাছেও অন্যায় মনে হত।
আবার মনে হত অন্যায় ন্যায় চুলোয় যাক আমি যা করছি ঠিক। কাউকে দেখাটা অপরাধ নয়। তবে আমি কখনো তোমায় বাসার বাইরে দেখিনি সামনা সামনি। রাস্তাতেও মুখোমুখি হইনি আমরা। শুধু সকাল টাইমে দেখতাম ব্যাগ নিয়ে কোথাও যাচ্ছো। অবশ্য জানতে পেরেছি তুমি কোন এক ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছো। আমি এর চেয়ে বেশী কিছুই জানি না তোমার সম্পর্কে। ভয়ে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসাও করিনি কারন ঢাকা শহর কেউ তো কাউকে চিনেই না উপরন্ত কেউ যে তোমার উপর চুপি চুপি নজর রাখে এটা পাড়ার ছেলেরা জানলে ইজ্জত আর থাকে না আমার। তবে তখন অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সামনের মাসের ভ্যালেন্টাইনে তোমাকে সব বলবো। তুমি আমায় গ্রহন করো আর নাই করো আমি মেনে নিবো তবু বলবো।
আর মাত্র একদিন বাকি ভ্যালেন্টাইন ডে এর। ঠিক এই সময়টায় এখন যেখানে বসে সেদিনও বসেছিলাম। আজও নিত্যদিনের মত ভায়োলিন বেজে উঠলো তবে সুর আলাদা। আজ বাজছে – “আমারো পরানও যাহা চায়, তুমি তাই তুমি তাই ই গো”। এই প্রথম তোমার ভায়োলিনে প্রেমের সুর শুনলাম এতদিন বিভিন্ন দেশাত্ববোধক গানই শুনে এসেছি। এই প্রথমবারের মত আমি থাকতে না পেরে গুন গুন স্বরে আমিও গেয়ে উঠলাম রবি ঠাকুরের এই অমর গান। এত সুন্দর করে তুমি কিভাবে ভায়োলিন বাজাও আমি বুঝে পাই না। অদ্ভুত এক মায়া। মনে হয় হাতের ভিতর আবেগগুলো নিয়ে ভায়োলিনের তারে ঢেলে দাও সব। আমি অবচেতনের মত তা উপভোগ করি।
১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল সকালেই আমি তোমার বিল্ডিং এর সামনে হাজির। তুমি যে টাইমটাতে বের হও সেই টাইমটাতেই। অনেকক্ষন দাড়িয়েছিলাম ফুল হাতে নিয়ে বাসার সামনে, তুমি বের হলে না। সকাল থেকে মধ্য দুপুর দাঁড়িয়ে রইলাম তুমি এলে না। আমি বাসা ফিরে গেলাম। খাওয়া ঢুকল না বাসা গিয়ে। কোনমতে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলাম। আজ জানালা দিয়েও তোমাকে দেখলাম না। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষার পর ঘরে যাবার মনঃস্থির করলাম।
ঠিক তখনই দেখছি তুমি সবুজ রঙ এর শাড়ি আর মাথায় ফুল গুজে বের হয়েছো। আমি চারতলা থেকে জোরে চিৎকার দিলাম ” এই সবুজ শাড়িওয়ালা মেয়ে, এই যে সবুজ শাড়ি, এই শোন শোন”” তুমি শুনতে পেলে না অথচ নিচে দাঁড়ানো সব লোক আমার দিকে হা করে তাকিয়েছিলো। ঘর থেকে আমার মা পর্যন্ত বের হয়ে গিয়েছিলো। অথচ তুমি শুনলে না। রিকশায় চড়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে। খুব খারাপ লাগছিলো। মা কিছু জিজ্ঞাস করার আগেই বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়। সন্ধ্যার ঠিক আগেই বাসায় ফিরে বারান্দায় আগের মত অপেক্ষা করছিলাম। আজ হাতে চা টাও নেই। দাঁড়িয়ে রইলাম বারান্দার রেলিং ধরে। সন্ধ্যা পেরোলো রাত ঘনিয়ে এলো তোমার রুম অন্ধকার। আলো জ্বলেনি। তোমাকে দেখার জন্য পাগলের মত হয়ে গেলাম। মা রাতে জোর করে ঘরে ঢুকালো। রাতে না খেয়েই বিছানায় চলে গেলাম।
যাওয়ার আগে আরো একবার তোমার জানালাটা দেখে নিলাম। হ্যাঁ আলো জ্বলছে তবে পর্দা টেনে দেয়া। আমি অনেকটা অভিমান করেই ঘরে ঢুকেছিলাম সেদিন ঘরে। চুপ চাপ বিছানায় শুয়ে তোমার উপর রাগ ঝাড়তে লাগলাম অহংকারী দেমাগী বলে। ঘুম আসছিলো না। অসহ্য রকমের অস্থিরতা অনুভুত হচ্ছিলো। চোখ কখন বন্ধ হয়েছিলো বলতে পারবো না তবে প্রচন্ড চিৎকারে ঘুম ভাঙলো। আম্মু খুব জোরে জোরে চেচাচ্ছে- “ঐ বিল্ডিং এ আত্মহত্যা, ঐ বিল্ডিং এ আত্মহত্যা, এই ওঠ এই ওঠ” আমি বিরক্ত মুখে কিছুটা অবাক হয়ে চোখ মুছে উঠলাম মা বললো বারান্দায় গিয়ে দেখ ঐ বিল্ডিংটায় একটা মেয়ে আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে। আমি কিছুটা ভয় পেলাম। এগিয়ে গেলাম বারান্দায়। বারান্দা থেকে সোজা তোমার জানালায় প্রথম চোখ পড়লো এক জোড়া পা ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। ঘরের দরজায় জটলা।
ভীড়টা বুঝা যায় নাই তবে কান্নার আওয়াজ এখান পর্যন্ত পাচ্ছি আর পা দুটো দেখে বুঝেছি কার পা। আমি আর কিছু ভাবতে পারিনি নাইট ড্রেস পড়েই খালি পায়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলাম। সোজা তোমার বিল্ডিং এর সিড়ি বেয়ে চারতলা, লোকের ভীড় ঠেলে ঝটকা দিয়ে তোমার রুমে আমি। কিচ্ছু ভাবিনি শুধু ভাবছিলাম যা দেখছি ভাবছি সব ভুল স্বপ্ন। রুমে ঢুকে দেখি তুমি লাশ হয়ে ঝুলে আছো সিলিং এ। গলায় ওড়না পেচানো ফ্যানের সিলিং এর সাথে। আমার হাত পা অবশ হয়ে গেলো এক কোনায় ধপ করে পড়ে যেতে নিয়েছিলাম। লোকে গিজ গিজ করছে। কারো আমার দিকে খেয়াল নেই। কিছুক্ষন পর পুলিশ আসলো লাশ নামালো। আমি চুপ করে দেখছি তোমাকে খুব কাছ থেকে এই প্রথম। যেমনটা ভেবেছিলাম কাছ থেকে তুমি তার থেকে আরো বেশী সুন্দর। চোখের পানি বয়েই চলেছে। থামাতে পারছি না। কিছুক্ষন দেখলাম আমার মা এলো।
মধ্যবয়সী এক মহিলা যে খুব কাদছিলো তাকে স্বান্তনা দিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে এলো বাসায়। আমার হাত পা অসাড় আমি মনে হচ্ছে ঘোরে আছি অসম্ভব ঘোরে। বাসায় এসে চুপ করে গিয়ে ঘরে বসে রইলাম আর নিজেকে চিমটি কাটতে লাগলাম স্বপ্ন দেখছি কিনা দেখার জন্য। যতবারই চিমটি কাটছিলাম শরীরে না যতখানে ব্যাথা লাগছিলো আমার বুকে তার চেয়ে হাজার হাজার গুন ব্যাথ্যা লাগছিলো। আমি সেই ব্যাথ্যায় পাগলের মত কাদতে লাগলাম। কয়েকঘন্টা পর পুলিশের গাড়ির শব্দ পেলাম দৌড়ে ছুটে গেলাম বারান্দায়। শুধু পুলিশের না এ্যাম্বুলেন্সও এসেছে। আস্তে আস্তে কয়েকজন মিলে তোমার অসাড় দেহটাকে এ্যাম্বুলেন্স এ পুরে নিয়ে চলে গেলো। আমি আর থাকতে পারিনি রেলিং ধরে বসে পড়ে কাদতে লাগলাম। পাগলের মত। মনে হচ্ছিলো সব শেষ। শুরু না হতেই সব শেষ আমার।
এরপর আর অনেকদিন বের হইনি বাসা থেকে সারাদিন বারান্দায় বসে থাকতাম একা। একমনে জানালায় তাকিয়ে থাকতাম তোমার। সবই ঠিক আছে রুমের শুধু তোমাকে আর দেখতে পেতাম না। তবে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর মনে হতো ভায়োলিং বাজছে তোমার রুম থেকে। আমি জানি এটা আমার মনের ভুল। তারপর এলাকার মানুষের মুখে শুনলাম তোমার নাম জিনিয়া, তুমি কথা বলতে পারতে না, আল্লাহ তোমাকে জবানহীন পাঠিয়েছিলো। কাউকে নাকি ভালোবাসতে। অনেক গভীর ভালোবাসতে। সেও নাকি ছল চাতুরি করে এদিক ওদিক তোমাকে নিয়ে যেত। ১৪ ফেব্রুয়ারীতে সেই ভালোবাসার মানুষটাকে অন্য কারো সাথে দেখে তুমি আর সইতে পারো নাই সেই মানুষটাকে কিছু বলতেও পারো নাই কিছু কথায়। তবে পরে যখন সবাই তোমাকে বললো ছেলেটা ফ্রড তুমি চুপ করে বাসায় চলে এসেছিলে। তারপরেই তো সব কিছু আমি দেখেছি।
আজ প্রায় দুই বছর তোমাকে হারিয়েছি। মা বলেছিলো “My child, move on” মা বুঝেছিলো সব। তবে খুব আফসোস হয় আজও তোমার জন্য জানো!! তুমি জানতেই পারলে না একটা ছেলে কেনো প্রত্যেকদিন সব ফেলে বারন্দায় কেনো বসে থাকতো। একটা ছেলে যে তোমাকে যে পাগলের মত ভালোবাসতো সেটা তুমি না জেনেই চলে গেলে। মিথ্যে একজনের জন্য চলে যাওয়ার মানেটা কি বলে গেলে না। আমি তোমাকে সব জেনেও গ্রহন করতাম। তোমার সুরের সাথে তোমাকেও যে আমি ভালোবেসে ফেলেছিলাম সেটা তুমি বুঝতে না? অন্তত একটা দিন সময় দিতে আমি ঠিক আমার কথা বলে দিতাম তোমায়।
এ বাসাটা আর চেঞ্জ করবো না ভেবেছি। অবশ্য তোমার রুমে এখন অন্য কেউ এসেছে। তোমার ফ্যামিলি এক মাস পরেই চলে গেছে অন্য জায়গায়। আমি আজও তোমাকে মিস করি খুব মিস করি। সন্ধ্যা হলে আজও আমি বসে থাকি রড চেয়ারে লাল চা হাতে। একটিবার যদি শুধু সেই ভায়োলিন আবার বেজে উঠতো। একটিবার যদি তোমাকে সামনে পেতাম বলতে পারতাম তোমাকে ভালোবাসি। আমি জানি না ভালোবাসা সম্পর্কে এতকিছু তবু শুধু এটুকু জানি আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না কোনদিন। যতদিন বেচে থাকবো ভায়োলিন মোহটা আমার যাবে না আমি খুজে যাবো সেই সুর তুমি জেনে রেখো। ভালো থাকো যেখানেই থাকো।