২০১৫ সালের প্রথম দিকে একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে আমার পরিচয় হয়,,
ছেলেটার নাম আসিফ,সে ঢাকাতে থাকে ওখানে একটা কলেজে পড়ে,,
আমি তখন এইচ,এস,সি পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ঢাকাই আসি আর এর ভিতরেই আসিফের সাথে আমার খুব ভালো
একটা বন্ধুক্ত তৈরি হয়,,আস্তে আস্তে দুজনের দুজনকে ভালোলাগা সাথে মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান আর তার পর আমরা দুজন
দুজনকে ভালোবেসে ফেলি,,আমি প্রথমে তখন খুব অবাক হয়ে যেতাম যে একটা ছেলে এতো ভালো কিভাবে হয়,,ও আমার অনেক
খেয়াল রাখত, সকালে না খেলে খুব বকাবকি করত আর তাতে কাজ না হলে আমাকে বুঝিয়ে খাওয়াইই ছাড়ত,,আর তখন ও এতো কল
দিতে যে আমি খুব অবাক হয়ে যেতাম,, কি করি,পড়ছি কিনা,,খাইছি কিনা,গোসল হইছে কিনা, ইত্যাদি,,,,,, আমি তখন মাঝে মাঝে
বলতাম যে আসিফ আমি মনে হয় তোমার যোগ্য না তাই আমার তোমার জীবন থেকে সরে যাওয়া উচিৎ,, আমার কাছ থেকে এই রকম
কথা শুনে ও খুব রেগে যেতো আর আমাকে অনেক বকা দিতো আর তখনের ওই এই রকম দেখে আমার মনে হতো ও আমাকে অনেক
বেশি ভালোবাসে,,রিলেশনের শুরুতেই ও আমাকে বলেছিলো আমাদের ভালোবাসাটা আমরা বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাব,,আর আমরা চাকুরীর
জন্য ও কোনদিন আলাদা হবো না,এই রকম আমাদের আরো অনেক প্লান ছিলো,,,,””
,
আসিফ প্রায়ই আমাকে বলত চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি,কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না তাই না করে দিতাম,আর আমি না করলে ও তখন
চুপ হয়ে যেতো,,আমি তখন ওর জন্য কিছুক্ষনের জন্য ও ফোন অফ রাখতে পারতাম না,আর কোথায় যাবো কি করব তার সব কিছুই সব
সময় ওকে বলতে হতো,,আর আমি কখনো ফোন বন্ধ রাখলে ও পাগলের মতো হয়ে যেতো,,,,ও আমাকে এতোটা ভালোবাসতো,,””
,
ওকে যেদিন আমি প্রথম দেখেছিলাম,তখন ওকে আমার পছন্দ হয়নি,তার পর ও ওকে একথা বলিনি ও কস্ট পাবে এটা ভেবে,,ওর সাথে
আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো মেডিকেল এক্সামের দিন,,এই ভাবে আমাদের সম্পর্কটা চলতে থাকে আর আমি ভর্তি পরীক্ষা দিতে থাকি
কিন্তু ভাগ্য খারাপ যে সেবার আমার কোথায় চান্স হলো না,,””
,
আসিফ আমাকে এতোটা ভালোবাসতো যে আমি কি খাবো আর কোন কালারের ড্রেস পড়ব সেটা ও,ও বলে দিতো,ওর এই পাগলামী গুলা
আমাকে খুব অবাক করত আবার বেশ ভালো ও লাগতো,,,,
তখন আমাদের রিলেশনের এক বছর,,,, আর হ্যা আমার ফেসবুকের পাসওয়াড ওর কাছে ছিলো আর আমাকে কেউ ম্যাসেজ দিলে ওর খুব
রাগ হতো আর ও আমাকে সন্দেহ করত,, যদি ও আমি অন্য কারো ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতাম না তার পর ও, ওর এই রকম করার জন্য রাগ
হয়ে আমি ফেসবুকের পাসওয়াড চেঞ্জ করে ফেলি,,,,,
এর মধ্যে আসিফ দুইটা টিউশনি পাই আর দুটোই মেয়ে,,তার পর থেকে ও যেনো হঠাৎ করেই কেমন বদলে যেতে থাকে,যেই মানুষটা সারাদিন
আমাকে ফোন দিতে থাকে, যার ফোন না পেলে আমি খাই না বা কোন কাজ করতে পারতাম না,সে তখন দিনে আমাকে একবার ও কল দিতো না,
আর আমি কল দিলে নানান ব্যস্ততা দেখাতো,,আর আমার সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করত,তখন নাকি আমি ওর কাছে খুব বিরক্তিকর আর ও নাকি
এতো দিন আমাকে বুঝতে পারেনি,,ওর এই রকম আচরণ সত্যিই আমাকে খুব অবাক করে দেই,আমি কোন দিন ভুলে ও ভাবতে পারিনি যে ওর
কাছ থেকে আমাকে খারাপ ব্যাবহার শুনতে হবে,ওর ওই রকম দেখে আর ওকে ভেবে তখন আমি খুব কান্না করতাম আর খাওয়াদাওয়া ও ছেড়ে দিই,,
এর পর ওর কাছে ফোন দিয়ে একদিন খুব কান্না করছিলাম আমি কোন কথা বলার শক্তি তখন আমার ছিলো না,ফোনের ওপাশ থেকে ও আমাকে
বলেছিলো,,
,
“” আরে পাগলী কান্না করে না আমি আছি তো ব্যাস্ততা শেষ হলেই আবার আগের মতো হয়ে যাব,,””
,
ওর এই কথা শুনে তার পর আমি আরো ৭ মাস আমাদের সম্পকটা টিকিয়ে রাখার জন্য চেস্টা করি,কিন্তু এতো দিনে ও ওর ব্যস্ততা শেষ হয় না,
আর ওই ৭ মাসে ও নিজে থেকে একবার ও আমাকে কল দেইনি আর আমি ফোন দিলে ও ব্যস্ততার কথা বলে কল কেটে দিয়েছে,,,,,
,
৭ মাস পর ওকে অনেক জোর করে আমি দেখা করা জন্য রাজী করার,ওকে দেখে আমি খুব অবাক হয় কারন ও অনেক বদলে গেছে,,তখন আমি
ওকে বিয়ে করার কথা বলতেই ও আমাকে বলে প্রেম করলে কি শুধু বিয়েই করতে হয়,? বিয়ে না করে ও সব করা যায়,,,,ওর মুখে এই সব কথা শুনে
তখন আমি খুব কাঁদি আর ভাবি যে ছেলেটা একটা সময় বিয়ে করা নিয়ে কতো কথা আর শত স্বপ্ন দেখিয়েছে আমাকে আর আজ তার মুখে এই কথা,,,,,””
,
সেদিন ওর সাথে দেখা করে আসার পর আমি অনেক চেস্টার পর ও আর ওর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি,আমি কল দিয়ে দেখি ও আমার নাম্বার
ব্লাক লিস্টে দিয়ে রাখছে আর অন্য কোন নাম্বার থেকে কল দিলে ও আমার কন্ঠ শুনে কেটে সেই নাম্বার ও ব্লাক লিস্টে দিয়ে দিত,,আমি অনেক চেস্টা
করি তখন ওর বন্ধুদের মাধ্যমে ওর সাথে যোগাযোগ করতে কিন্তু আসিফ তাদের বলে দেই আমি নাকি একটা বাজে মেয়ে তাই আমার সাথে ও কোন
যোগাযোগ রাখতে চাই না,,,,””
,
আমার জীবনের সব কিছু যেই মানুষটিকে ঘিরে ছিলো সে আমাকে আর আমার জীবনের সব টুকু ভালোবাসা কে নিতে এই ভাবে খেলবে তা আমি
স্বপ্নে ও বুঝতে/ভাবতে পারিনি,,,,যদি পারতাম তাহলে কোনদিন হূদয়ের সব টুকু ভালোবাসা দিয়ে ওকে ভালোবাসতাম না,,
আমি চান ও যেনো সুখে থাকে খুব ভালো থাকে ও আমাকে যে কস্ট দিয়েছে সেই রকম কস্ট যেনো ওকে কেউ না দেই তাহলে ও সেটা সহ্য করতে
পারবে না বা সে ক্ষমতা ওই নেই,,,,,””