আকাশঃ এই কোথায় আছিস রে? (ফোনে)
 আদিলঃ এই তো ভাইয়া, ঢাকাই!
 আকাশঃ তাহলে তো ৫০% কাজ হয়েই আছে।।
 আদিলঃ কেন কি হল?
 আকাশঃ আমার একটা কাজ করে দে।
 আদিলঃ কি বলেন?
 আকাশঃ তুই বাড়ী কবে ফিরে আসবি?
 আদিলঃ কালকে।
 আকাশঃ শোন, আমার একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে, মেয়েটার বাড়ী ঢাকা।
 আকাশঃ এই সম্পর্ক আবার কবে হল?
 আদিলঃ ২ মাস আগে।
 আদিলঃ হ্যাঁ, তো কি ভাবীর সাথে দেখা করতে হবে নাকি?
 আকাশঃ আরে হারামি কথা শোন!
 আদিলঃ হ্যাঁ বলেন,
 আকাশঃ তার বাবা, এক বড় ব্যাবসাদারের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছে।
 আদিলঃ তো, আমাকে কি ভাবীকে নিয়ে পালিয়ে আসতে বলছেন নাকি?
 আকাশঃ হ্যাঁ, সেটাই বলছি।
 আদিলঃ (একটু চমকে গিয়ে) কি? আমি তো এমনি বলছিলাম… সিরিয়াস ভাবে বলিনি।
 আকাশঃ কিন্তু আমি সিরিয়াস, দুপুরে আসিক বলল, তুই নাকি ঢাকাই গেছিস তখন আমার মাথাই একটা বুদ্ধি আসলো, তুই মেয়েটাকে নিয়ে আয়।
 আদিলঃ ভাবীর নাম কি?
 আকাশঃ আতিয়া
 আদিলঃ আর কিছু নাই, সামনে পিছনে?
 আকাশঃ সেটা আর শুনিস না, তোকে রাতে আতিয়ার নাম্বার দিবো। তুই কথা বলে নিস।
 আদিলঃ আচ্ছা ঠিক আছে,
 আকাশঃ শোন, ট্রেনে আসিস না, বাসে আসিস।
 আদিলঃ ভাড়া দাও। ১০০০ টাকা।
 আকাশঃ বেকার ছেলের কাছে আর কি টাকা নিবি? ধার দে, চাকুরী পাবার পর নিস।
 আদিলঃ বিয়ের পর বউ কি আমি চালাবো? নাকি আপনি চালাবেন?
 আকাশঃ আর জালাইস না ভাই, এমনি অনেক টেনশানে আছি।
 আদিলঃ আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আসছি। কিন্তু আমি তাকে বাড়ী থেকে নিয়ে আসতে পারবো না। আপনি তাকে বলেন বাস স্ট্যান্ডে আসতে।
 আকাশঃ ঠিক আছে বলে দিবো।
 ।।
 ।।
 এখন জানা যাক, কে এই আকাশ, কে এই আদিল।
 আকাশ, পড়াশুনা শেষ করে চাকুরীর খোঁজ, আর আদিল, একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ২য় বর্ষে পড়া শুনা।
 ছেলে দু জনেই ভালো, আকাশ অনেক মেয়ের সাথেই সম্পর্ক হয়েছে।। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু হয় নি।
 আর আদিল পছন্দ করলেও মুখ ফুটে বলতে পারে না… এজন্য আজ পর্যন্ত বেচারা একাই থেকে গেলো…
 ..
 আর আতিয়া? তার কথা আমরা না হয় একটু পরেই জানি।
 ।।
 রাত ১০ টা!
 একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো।
 আদিলঃ আসসালামু… কে বলছেন?
 আতিয়াঃ আমি আতিয়া। আপনি কি আদিল সাহেব?
 কথাটা শুনে আদিলের মন ভরে গেলো… এতো সম্মান দিয়ে কেউ কোন দিন ডাকে নি। তাও আবার একটা মেয়ে।
 আদিলঃ ওহ, ভাবী! কেমন আছেন?
 আতিয়াঃ কেমন আর থাকতে পারি। সবই তো জানেন। তো বলেন কখন আমাকে নিয়ে যাবেন?
 আদিলঃ কাল যখন যাবেন।
 আতিয়াঃ আমি সকাল ৭ টায় বাসা থেকে বের হয়ে যাবো।
 আদিলঃ ঠিক আছে ৮ তার বাস।
 আতিয়াঃ দেরি করিয়েন না আবার।
 আদিলঃ না, এই ভুল কি করা যায়? আবার জীবনে কোন দিন স্কুলে যেতে দেরি হয় নি
(আসল কথা আদিল আজ পর্যন্ত ইউনিভারসিটিও ঠিক সময়ে যায় না ),
 আর একটা মেয়েকে নিয়ে পালাবো সেটা কি দেরি হয়।
 আতিয়াঃ আমাকে আর পটিয়ে লাভ নাই, আপনার ভাই আগেই পটিয়ে নিয়েছে।। আর আমার কোন ছোট বোন ও নাই
 আদিলঃ ইস! ভাবী, এভাবে বলতে পারলেন…।। দুঃখ পেলাম।
 আতিয়াঃ ঠিক আছে আর ন্যাকামো করতে হবে না। কাল সকাল ৮ টায় উত্তরা বাস টার্মিনাল।
 আদিলঃ ঠিক আছে ভাবী।
 ..
 পরের দিন সকালেই আমি উঠে রেডি হলাম, অবশ্য ভাবী কিছুক্ষণ আগেই আমাকে ফোন করে দিয়েছিলো।
 ৭ টার আগে ই আমি বাস স্ট্যান্ডে হাজির। আমি ভাবীকে ফোন করতেই তিনি বলল যে সে চলে এসেছে।
 ১ মিনিটের মধ্যেই দেখলাম একটা সিএনজি এসে আমার সামনে হাজির।
 একটা মেয়ে নেমে বলল, আপনি কি আদিল?
 আমিঃ জি, আমি আদিল, আপনি কি আতিয়া ভাবী?
 ভাবীঃ কেন, দেখে কি পছন্দ হয় না?
 আমিঃ পছন্দ আমার দেখে আর কি হবে? যার পছন্দ সে তো করেই নিয়েছে।
 ভাবীঃ ইস! শখ কতো। এখন ভাড়া দাও, আমার কাছে খুচরো টাকা নাই।
 ।।
 আমি মনে মনে ভাবলাম, এই জীবনে আমার মতো হতভাগ্য ছেলে আর মনে হয় না একটাও আছে…
 অন্যের বউ কে নিয়ে পালাচ্ছি, টাকাও আমি খরচ করছি। কিন্তু তারপর বউ অন্য জনের হাতে তুলে দিবো।
 ভাবীঃ কি হল দাও।
আমিঃ দিচ্ছি, এই নেন ভাই।
 ভাবীঃ আদিল আমি নন-এসি বাসে চড়তে পারবো না আমার অভ্যাস নাই। তুমি ব্যাগগুলো দেখো আমি আসছি।
 আমি, আর মুখ ফুটে বলতে পারলাম না, যে ভাবি এসি বাসের একটা টিকিটের ভাড়া ১০০০ টাকা। আর আমার কাছে আছে মোট ১৫৭০ টাকা।
 অবশ্য দরকার পরলে বিকাশে কিছু টাকা আছে, বিপদ মনে করে ১-২ হাজার টাকা আছে মনে হয় দেখতে হবে।
 এর থেকে বড় বিপদ মনে হয় না জীবনে আর কোন দিন আসবে।
 কারণ, আর যায় হোক। আমি তো কোন দিন পালিয়ে মা বাবাকে কষ্ট দিয়ে বিয়ে করতে পারবো না।
 আমি হলে সবার পা হাত ধরে সবাইকে রাজী করাতাম।
 আর রাজী না হলে ভাগ্য মনে করে হার মেনে নিতাম। তবু সবাইকে কাঁদিয়ে নিজের স্বপ্নের ঘর বাঁধার চেষ্টা করতাম না।
 অবশ্য এতো ভেবে লাভ নাই, একটাও প্রেম হল না, আর পালিয়ে বিয়ে করা? সে তো দিনের আলোতে স্বপ্ন দেখার মতো…
 ।।
 ভাবী আসলো।
 ভাবীঃ আদিল, সমস্যাই পড়ে গেলাম তো।
 আমিঃ কেন ভাবী?
 ভাবীঃ এসি সিট নাই। নন এসিতে যেতে হবে।
 ।।
 আমি তো খুশি আমার ১০০০ টাকা বেঁচে যাবে।
 আমিঃ তো চলেন নন এসিতে টিকিট কেটে নেই।
 ভাবীঃ মাথা খারাপ? ৫ মিনিট অপেক্ষা করো। আমি একজনকে ফোন করেছি। সে ট্রেনের এসি টিকিটের ব্যাবস্থা করতে পারে।
 আমিঃ ঠিক আছে আপনার যেটা ইচ্ছা।
 ।।
 ।।
 প্রায় ১০ মিনিট পর!
 একজন ফোন করলো ভাবীর ফোনে। কথা শুনে বুঝতে পারলাম, টিকিট পেয়ে গেছে…
 বুঝলাম আকাশ ভাই, বউ পাবে একটা, যা বলবে সেটাই…
 ।।
 ভাবীঃ এই আদিল, একটা সিএনজি ঠিক করো তাড়াতাড়ি, ইয়ারপোর্ট রেল স্টেশন যেতে হবে বেশি সময় নাই ২০ মিনিট পর ট্রেন।
 আমিঃ কিন্তু? ভাইয়া বলেছিল, যে বাসে যেতে হবে।
 ভাবীঃ ঐ কিসের কিন্তু ? তোমার ভাইয়া কে বলো, আমার যাতে যেতে ইচ্ছা করবে আমি সেটাতে যাবো। নিজে না এসে বাড়ীতে থেকে আবার কথা বলছে।
 আমি আর কিছু না বলে চেপে গেলাম…
 ।।
 সিএনজি থেকে কিছু বলার আগেই আমি ভাড়া দিয়ে দিলাম।
 ভাবী দেখে হেসে বলল, বুদ্ধিমান ছেলে। খুচরো নেই
 ।।
 স্টেশনের মধ্যে গিয়ে দেখলাম একটা ছেলে ভাবীকে টিকিট ধরিয়ে দিয়ে বলল, ভালো ভাবে যাস। নিজের খেয়াল রাখিস।
 মনে রাখিস, অনেক বড় সিধান্ত নিয়েছিস। আর এই ভাইকে যখন দরকার মনে হবে ফোন দিবি।
 ভাবিঃ ঠিক আছে ভাইয়া।
 ।।
 আমি ভাবীকে পাশ থেকে বললাম, ভাবী টিকিটের ভাড়া দিবো না?
 ভাবীঃ না লাগবে না, তাড়াতাড়ি চলো।
 আমিঃ ঠিক আছে চলেন।
 ।।
 অতপর আমারা দুজনে অনিশ্চিত গন্তব্যে পাড়ি দিলাম
ট্রেনের মদ্ধে ভাবী আমাকে যেভাবে জালালো তাতে আমার বিয়ে করার শখ অর্ধেক কমে গেছে…
 ৬ ঘণ্টার মদ্ধে আমাকে মনে হয় ৩০ বার একবার এই খাব, একবার ওই খাবো, পিচ্চি বাচ্চাও এতো জালাই বলে আমার জানা নাই।
 মেহমান বলে কিছু বললাম না, নিজের বউ হবে আজ দেখাতাম।
 ।।
 আমরা যখন ট্রেন থেকে নামলাম তখন প্রায় দুপুর।
 স্টেশনে গিয়ে দেখালাম আকাশ ভাই দাঁড়িয়ে আছে… ভাবলাম আমি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মদ্ধেই ভাবীকে নিয়ে পাগল হয়ে গেলাম।
 জানিনা হতভাগা আকাশ ভাইয়ের কি হবে…
 এই ভেবে আর ওনাকে আর কিছু বললাম না, বললাম, এই নেন আপনার আমানত।
 এখন আমার ছুটি।
 আকাশঃ কেন দুপুর তো হয়ে গেছে। চল এক সাথে খেয়ে তারপর যাবি।
 আমিঃ না ভাই, আমি আর থাকবো না, আপনি থাকেন আপনার আতিয়াকে নিয়ে।
 আকাশঃ কেন আতিয়া কি অনেক জালিয়েছে নাকি?
 আমিঃ না, সে কি পিচ্চি মেয়ে নাকি? একটুও জালাই নি।
 ।।
 দেখলাম, ভাবী আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
 ।।
 যাক তারা সুখে থাকুক… এর পর আমি স্টেশন থেকে বের হয়ে বাড়ি চলে আসলাম।
 ।।
 পরের দিন জানতে পারলাম, ভাবীকে শহরের একটা হোটেলে রেখে আকাশ ভাই, বাড়িতে সবাইকে মানানোর চেষ্টা করছে… যাক করুক।
 ।।
 ৭ দিন পরের কথা।।
 ।।
 দেখলাম, আকাশ ভাইয়েও আমাকে ৩ দিন থেকে ফোন দেয় নি। আর ভাবীকেও আমি ফোন দেয় না, যদি সে খারাপ ভাবে।
 আমি সকালে বাজার করতে যাবার সময় আমি ভাইয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, কি খবর?
 কিন্তু ভাইয়া জা বলল, সেটা শুনে আমি জানি না আমার কি বলা উচিৎ।
 ভাইয়া বলল, সে নাকি আতিয়া কে বিয়ে করতে পারবে না, তার মা বাবা নাকি রাজি না।
 আমি কিছু টা রাগ করেই বললাম, তাহলে এতো সাহস দেখিয়ে মেয়েকে বিয়ের বাড়ি থেকে কেন নিয়ে আসালেন?
 এখন মেয়েটার কি হবে?
 ভাইয়া বলল, সে নাকি আতিয়াকে ঢাকা ফিরে যেতে বলেছে, ২ দিন থেকে নাকি ভাইয়া আর ভাবীর মানে আতিয়ার সাথে কথা বলে না।
 আমিঃ ভাইয়া! আপনি খুব স্বার্থপর মানুষ। আর আমি এক পাগল যে আপনার মত মানুষের উপকার করতে গিয়ে একটা মানুষের জীবন নষ্ট করলাম।
 আপনি আমাকে আর কোন দিন ফোন দিবেন না, আর কথাও বলার চেষ্টা করবেন না।
 ।।
 বাজার করে এসেই আমি দ্রুত রেডি হয়ে শহরের উদ্দেশে রওনা হলাম, যেহেতু আমি হোটেলের নাম জানতাম আমি পৌঁছে গেলাম।
 হোটেলের এক কর্মচারী জিজ্ঞেস করলো, কে হয় আপনার?
 আমিঃ ভাবী।
 কর্মচারীঃ আপনার ভাবী ২ দিন থেকে কিছু খায় নি, আবার ঘর থেকে বের হয় না। আপনি তাকে বুঝান।
 আমি ঘরের বাইরে থেকে ডাক দিলাম।
 দরজা খুলে ভাবী দেখলো আমি।
 আমি ঘরে ঢুকে বললাম, ভাবী কিছু খেয়েনেন…
 এই কথা বলা মাত্রই একটা চড়।(শেষ কখন চড় খেয়েছি মনে নায়, হয়তো যখন ক্লাশ ৮ এ যখন পড়তাম, তাও বাবার হাতে।
মেয়ের হাতে চড় এই প্রথম খেলাম)
 ভাবীঃ ঐ কিসের ভাবী? নাটক সুরু করেছো? একজন নিয়ে আসলো বিয়ে করবে বলে, এখন বলছে বাড়ি চলে যেতে।
আর আরেকজন এসেছে দালালি করতে,
 কি ঢাকা নিয়ে যেতে এসেছো?
 আমিঃ দেখেন ভাবী, আগে আমার কথা শুনেন।
 ভাবীঃ ঐ তরে না কয়ছি, ভাবী বলবি না।
 আমিঃ আমি জানতাম না যে এত কিছু হয়ে গেছে… সত্যি আমি জানতাম না।
 ভাবীঃ এখন জেনে কি করতে এসেছো?
 আমিঃ আমি জানি না, তবে আপনাকে এই অবস্থাতে ফেলার পিছনে আমারও কিছুটা দোষ আছে, তাই আমি এসেছি,তার কিছুটা যদি পারি ঠিক করতে।
 ভাবীঃ কি করবে শুনি? আমার আর ঢাকা যাবার পথ নাই, কিভাবে যাবো তুমি বলো?
 আমিঃ সেটা আমি জানি না, আগে আপনি খেয়ে নেন, ২ দিনেই চেহারার কি অবস্থা করেছেন? পরীর মত মেয়েটা দেখতে তো পেত্নী মনে হচ্ছে?
 ভাবীঃ এই শোন, এখন একটুও মজা করবা না, না হলে খুন করে দিবো।
 আমিঃ আচ্ছা, কান ধরলাম, আগে খেয়ে নেন, আর আমি ভেবে দেখি আপনার জন্য কি করতে পারি?
দুপুর হয়ে আসলো, আমি জানি না, আমার কি করা উচিৎ?
 আমি ভাবীকে বললাম, ভাবী! আচ্ছা আপনার বাড়ীর কোন খোঁজ খবর জানেন? মানে কি রকম পরিস্থিতি?
 ভাবীঃ পরিস্থিতি খুব খারাপ, আমি আর সেখানে ফিরে যেতে পারবো না।
 আমিঃ তাহলে।
 ভাবীঃ তাহলে আর কি? এখন জীবন সুধু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে। আচ্ছা এখানে কোন ফ্যাশান ডিজাইনের কোন কোম্পানি নাই?
 আমিঃ ভাবী! এটা ঢাকা না, এখানে কোন ফ্যাক্টরি নাই, কোন কোম্পানিও নাই। আর আপনাকে দেখে মনে হয় না যে আপনি এই সব করতে পারবেন।
 ভাবীঃ তাহলে আমি কি করবো?
 আমিঃ ওটাই ভাবছি।
 ভাবীঃ আচ্ছা তোমাদের বাড়ি কি পাশেই?
 আমিঃ না ভাবী। দূরে, বাসে ১ ঘণ্টা লাগবে। আচ্ছা ভাবী, আপনি কোচিং করাতে পারবেন?
 ভাবীঃ না, আমার এসব ভালো লাগে না।
 আমিঃ তাহলে তো সমস্যা, এখানে কিছু করার মত তেমন কিছু নাই।
 ।।
 বিকেলে আমি ভাবীকে নিয়ে একটু বাইরে বের হলাম, ৭ দিন থেকে ভাবী হোটেলেই আছে। তার একটু মন ভালো করা দরকার।
 আমিঃ ভাবী নদীটা কেমন লাগছে?
 ভাবীঃ অনেক ভালো, কিন্তু তোমার প্রেমিকা দেখলে তোমার খবর আছে।।
 আমিঃ আমার প্রেমিকা আছে আপনাকে কে বলেছে?
 ভাবীঃ কেন আকাশ? তোমার নাকি ৩ টা প্রেমিকা?
 আমিতো চুপ করে বসে আছি, সালা জীবনে একটাও জুটল না, আবার এক সাথে ৩ টা?
 ।।
 ভাবীঃ কি হল? চুপ কেন? নাই বুঝি?
 আমিঃ আর কি বলবো? এখন সত্যি বললেও বিশ্বাস করবেন না। থাক।
 ভাবীঃ না, বলো, তুমি যেটা বলবা সেটাই মেনে নিবো।
 আমিঃ আমার একটাও প্রেমিকা নাই, একজনেক পছন্দ করতাম ওর বিয়ে হয়ে গেছে… কোন দিন তাকে বলতেই পারিনি যে আমি তাকে ভালোবাসি।
 ।।
 এই শুনে ভাবী হাঁসতে লাগলো…।
 ভাবীঃ একটু টেস্ট করছিলাম তোমাকে… ভালো।
 আমিঃ ভাবী আপনাকে একটা কথা বলবো, যদিও জানি না আমার সেটা বলা উচিৎ কি না?
 ভাবীঃ বলো।
 আমিঃ প্রথমেই বলি, আমার যোগ্যতা হয়তো আপনার একটা আঙ্গুলের সমান ও না।
 তারপর ও বলছি, আপনার এই বিপদে ফেলার মাঝে আমার কিছুটা হলেও দোষ আছে, সেটা জেনে হোক, আর না জেনে।
তবে আমি স্বীকার করছি যে আমি দোষী।
 আপনি একটা সপ্ন দেখে আপনার সব কিছু ছেড়ে এখানে চলে এসেছেন, এখন না আছে সেই সপ্ন, না আছে সেই সপ্নের মানুষ।
 আপনি চাইলে আপনি আপনার সপ্ন গুলো আবার পূরণ করতে পারেন, সুধু পার্থক্য হলো, সেই সপ্নের মানুষটা পালটে যাবে।
 ভাবীঃ কিভাবে?
 আমিঃ আপনি আমাকে বিয়ে করে নেন। আমি জানি আমি আকাশ ভাইয়ার মত দেখতে অতো স্মার্ট না,
তবে আমি আপনাকে কখনো বিপদে ফেলে পালিয়ে যাবো না।
 যতো বড় বিপদ আসুক, আগে আমাকে পাবেন।
 একজন প্রেমিক হিসাবে না, কারন সে যোগ্যতা আমার নাই, একজন স্বামী হিসাবে না, কারন এত দায়িত্ব নেবার মত মন-মানসিকতা আমার এখন ও হয় নি।
 আমাকে পাশে পাবেন একজন বন্ধু হিসাবে।
 আমি আপনাকে কোন জোর করে বলছি না, আপনি যদি এভাবে থাকতে চান সমস্যা নাই, আমি যতো দূর পারবো আপনাকে সাহায্য করবো,
 কিন্তু আমি কোন চাকুরী করি না, তাই আমার কাছে তেমন টাকা পয়সা থাকে না।
তাই যখন বেশি টাকার প্রয়োজন পড়ে তখন আমাকে মা কিম্বা বাবার কাছে চাইতে হয়।
 আর আপনাকে বিয়ে করলে, তখন আমার মা বাবা কিছু দায়িত্ব নিবে আমি আশা করি। আর যদি তারা রাগ করে তবে পা হাত ধরে সেটা মানিয়ে নিবো।
 তারা আমাকে কিছু বললেও আপনাকে কিছু বলবে না। আপনাকে মেয়ের মতই ভালবাসবে।
 ভাবীঃ তুমি পড়া শুনা কোথায় করো?
 আমিঃ একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে।
অবশেষে বিয়ে হয়ে গেলো…
 অনেকের শুনেছি, বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে, বন্ধুরা বিয়ে দিয়ে দেয়। আজ সেটা ব্যাস্তবে হলো… জানি না কি করলাম?
 হয়তো ভুল করলাম, কারণ বাবা মা অনেক বিশ্বাস করে আমাকে, কিন্তু এটা ছাড়া আর পথ ছিল না।
 ।।
 কিন্তু বাড়ী যাবার পর যা বুঝতে পারলাম, সেটা হলো, যতো খারাপ আশা করেছিলাম, পরিস্থিতি তার চাইতেও বেশি খারাপ।
 ভেবেছিলাম, হাত পা ধরে বাবা, মা কে মানিয়ে নিবো, কিন্তু সে সুযোগ পেলাম না…
 ।।
 বাবার একটাই কথা, তুই ভালোবাসিস ভালো কথা, কিন্তু বিয়ের আগে কেন আমরা জানতে পারলাম না,
 এখন কি ভাবে তুই এসেছিস যে তকে আদর করে বাড়ীতে তুলে নিবো?
 বের হয়ে যা তুই বাড়ী থেকে, তকে নিয়ে কতো সপ্ন দেখেছিলাম, তুই সব শেষ করে দিলি?
 ..
 চাইলেও সত্যি কথা বলতে পারলাম না, কারণ বাবা মা যদি জানতে পারে যে আতিয়া অন্য একটা ছেলেকে ভালোবেসে পালিয়ে এসেছিলো,
 তারপর সে ছেলে তাকে ধোঁকা দেয়, তারপর আমি বিয়ে করি, তবে আতিয়াকে হয়তো মেনে নিলেও তাকে কোন দিন মেয়ের মত আদর বা সম্মান করবে না।
 তাকে সব সময় খারাপ চোখেই দেখবে… আর একবার যদি কেউ খারাপ হয়ে যায়, তবে হাজার ভালো করলেও তাকে খারাপ ভাব্বে,
 কিন্তু আমি তো জানি, এখানে আতিয়ার কোন দোষ নাই।
 ।।
 আর আমি আগে থেকেই আতিয়াকে কথা বলতে মানা করেছিলাম, বলেছিলাম কেউ বললে আপনি বলবেন আপনি আমাকে ভালবাসেন,
 আর আমার জন্নই পালিয়ে এসেছেন।
 এটা ঢাকা না, গ্রাম! না হলে অনেক সমস্যা হবে।
 ।।
 আমি আব্বু কে বললাম, আমাকে ৬ মাস সময় দাও, আমি সব ঠিক করে দিবো। কিন্তু তিনি আর কোন কথা বললেন না।
আমি বুঝে গেলাম আমি আর সময় পাবো না।
 কিছুক্ষণ পর আব্বু একটা চেক নিয়ে এসে বলল, এই নে, ব্যাংকে মনে হয় ৩ লক্ষ টাকা আছে তুই তুলে নিস।
তোর পড়ার খরচ এতে হয়ে যাবে। যা বের হয়ে যা।
 আমি চোখ মুছতে মুছতে বললাম, বাবার ভালবাসা যখন আর থাকলো না তখন আর বাবার টাকা নিয়ে কি করবো?
 পারলে সুখে থাকার দুয়া টা করো… আর কিছু লাগবে না।
 ।।
 আতিয়া মানে আমার বউ, তখন আমাদের বাড়ীর সামনে আমার বড় মামার বাড়ীতে ছিল, আমি আতিয়াকে বললাম, চলেন।
। আমাদের এই বাড়ীতে যায়গা নাই।
 ।।
 মামী বলল, তুই যাস না, আমি দেখি কি করতে পারি?
 আমিঃ না মামী থাক, আমি আমার বাবা কে চিনি, তিনি একবার যা বলেছে সেটা থেকে আর মত পাল্টা বে না,
 মামীঃ কিন্তু তুই কোথায় যাবি? সাথে আবার নতুন বউ?
 আমিঃ মামী, জীবনে কোন দিন ঠেকিনি, ইনশাআল্লাহ্! আজকেও ঠেকবো না, তোমারা আমার জন্য দুয়া করো।
 …
 এই বলার পর আমার কিছু জামা কাপড় আর আতিয়াকে নিয়ে অজানা পথে হাঁটা দিলাম…
 আসার সময় মামী হাতে ২০০০ টাকা দিয়ে বলল, যে দিন চাকুরী করবি যদি বেচে থাকি তবে একটা শাড়ী কিনে দিবি…
দুয়া করি তুই জেন অনেক বড় মানুষ হতে পারিস।
আতিয়াকে এক ভাইয়ার বাসাই রেখে আমি বাজারে এক ভাইয়ার দোকানে বসলাম,
 যে সমস্যাই পড়েছি তার একটা সমাধান দরকার।
 ।।
 কি করবো জানি না, তবে আমার কাছে একটা পথ ছিল, কিছু জমানো টাকা আমার ছিল। এখন সুধু দরকার একটা ভালো বুদ্ধি আর কিছু সুযোগ।
 দুপুরে আতিয়া আমাকে ফোন করলো।
 আমিঃ জি, বলেন,
 আতিয়াঃ দুপুরে খাবেন কোথায়?
 আমিঃ এক ভাইয়া দেকেছে, ওনার বাসাই খাবো, আপনি খেয়ে নেন।
 আতিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
 ।।
 ৩ দিন পর।
 আমি ব্যাবসা করার জন্য বাজারে একটা দোকান ভাড়া নিলাম, আমি আগে থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি একটা ব্যাবসা করাতাম,
 তাই আমার সমস্যা হবে না, পাশাপাশি সকাল করে একটা কোচিং সেন্টারে ক্লাশ নেওয়া সুরু করলাম।
 আতিয়াকে নিয়ে এক রুমের একটা টিনের বাড়ী ভাড়া নিলাম… পরিচিত এক চাচা, তাই ভাড়াও অনেক কম পেলাম।
 সুরু হল, আমার নতুন জীবন।
 সকালে আমরা হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসতাম, কিম্বা আমি একবারেই ভাত রান্না করে নিতাম।
 আতিয়া রান্না করতে পারতো না, কিন্তু আমি কাজ চালানোর মতো রান্না পারতাম। কষ্ট হলেও ভালো লাগতো…
 । কিছু দিন পর আতিয়া আমাকে বলল, এখানে ডাচ- বাংলা ব্যাংক কোথায় আছে?
 আমিঃ কেন?
 আতিয়াঃ আমার কাছে কিছু টাকা ছিল, বাড়ী থেকে পালিয়ে আসার সময় নিয়ে এসেছিলাম।, যদি তোমার ব্যাবসার কাজে লাগে।।
 আমি মনে মনে ভাবলাম, হয়তো ২০-৩০ হাজার হবে?
 আমিঃ না থাক, আপনার পড়াশুনার অনেক টাকা লাগবে, সামনে মাসে নতুন সেমিস্টার শুরু হবে, আমি ইউনিভার্সিটি গেছিলাম।।
 আতিয়াঃ আচ্ছা সেটা দেখা যাবে, আমার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে।
 ।।
 কিন্তু কয়েক দিন পর যখন ব্যাংকে গিয়ে আতিয়ার নামে টাকা দেখে তো আমি চমকে গেলাম, এত টাকা?
 আমিঃ আপনার কাছে এতো টাকা কিভাবে আসলো?
 আতিয়াঃ তুমি কি আমাকে চিনো? আমি কে বা আমার বাবা কি করে?
 আমিঃ না, সেটা না বললে কিভাবে চিনবো?
 আতিয়াঃ আমার বাবা অনেক বড় ব্যাবসাদার…। ঢাকায় আমাদের ৪ টা বাড়ী আছে, আরও কই জায়গায় যে জমি আছে আমি জানি না।
 আমিঃ ও
 আতিয়াঃ এখন বল, তুমি কয় টাকা নিবা? ব্যাবসার জন্য।
 আমিঃ আমার এক টাকাও লাগবে না, আপনি টাকা গুলো ব্যাংকে রেখে দিন, এর যে লাভ পাবেন সেটাতে আপনার পড়াশুনার খরচ হয়ে যাবে।
 আতিয়াঃ আরে তুমি না বলছিলা, আরেকটা নতুন ব্যাবসা চালু করবা, তার জন্য ব্যাংক লোন করতে চাচ্ছো,
 সেটা আমার কাছে নাও, আমি তো তোমার বউ, সমস্যা কি? নাকি বউ ভাবো না?
 আমিঃ এটা আবার কেমন কথা বউ কেন ভাব্বো না?
 আতিয়াঃ এজন্য তো বউ কে আপনি বলছো, আবার টাকা নিতে চাও না। তুমি করে বলবা।
 আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে বলবো।আর টাকা নিলেও ২ বছর পর ফেরত দিয়ে দিবো।
 আতিয়াঃ ঠিক আছে সেটা তুমি যা ভালো মনে করো করবা।
 …
 এরপর আর পিছনে তাকাতে হয় নি।
 ৬ মাসের মধ্যেই, আল্লাহ্র রহমতে আমি ব্যাবসাতে ভালো মুনাফা করি,
 যদিও এর মধ্যে ২-৩ বার, আব্বু এক ভাইয়ার হাতে টাকা দিতে চেয়েছিল… কিন্তু আমি সেটা নেই নি, রাগ করে না, আসলে আমার তো আর দরকার নাই।
 …
 এভাবে ২ বছর হয়ে গেলো… আমি পড়া শেষ।
 আতিয়ার আর ৪ মাস পড়া বাকি…
 আমার ব্যাবসা এতো ছড়িয়ে গেছিলো যে আমার আর চাকুরী করা হলো না…
 কিন্তু আমার ইচ্ছা আতিয়াকে আমি চাকুরী করাবো, যদি সে চাই।
 …
 প্রায় ৫ বছর হয়ে গেলো…
 আমি হাসপাতালে অপেক্ষা করছি। আজ আমাদের প্রথম বাচ্চা হবে।
 ।।
 একজন এসে বলল, ভাইজান! আপনি বসেন, এতো চিন্তা করার কিছু নাই শহর থেকে আপনার জন্য বড় ডাক্তার নিয়ে এসেছি।
 আল্লাহ্র রহমতে ভাবীর কিছু হবে না।
 একজন এসে বলল, ভাইয়া, চা খাবেন নিয়ে আসবো?
 আরেকজন বলল, আরে আসবো কি? নিয়ে আয়, ভাই অনেকক্ষন থেকে বসে আছে।
 আমি বললাম না থাক, আমি বাইরে যাচ্ছি। একটু হেঁটে আসি।
 ।।
 কিন্তু বাইরে যাবার পর আমি চমকে গেলাম এতো মানুষ কোথায় থেকে আসলো?
 একজনঃ কি খবর ভাই? কোন ভালো সংবাদ? আপনার জন্য আমার সবাই এসেছি…
 আমিঃ কিন্তু আমি তো কাউকে খবর দেয় নি…
 আরেকজনঃ তাতে কি হয়েছে? আপনি সবার উপকার করেন, আর আমরা আপনার এই খুশীর দিনে আপনার পাশে থাকবো না?
 ।।
 দূর থেকে দেখালাম, মনে হল, মাকে দেখালাম,
 আমি ভাবলাম, ভুল দেখছি না তো…।
 না ভুল না,
 আমিঃ মা তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে কেন?
 মাঃ এখানে এসে দেখলাম, কতো মানুষ তোর জন্য হাস্পাতালের সামনে বসে আছে, সত্যি বাবা,
 তুই অনেক বড় মানুষ হয়ে গেছিস। সবাই তকে কতো ভালো বাসে, সুধু আমরাই তকে বুঝতে পারিনি।
 তোর বাপ! লজ্জাই আস্তে পারছে না।
 আমিঃ কয় আব্বা?
 মাঃ ঐ দিকে চায়ের দোকানে বসে আছে।
 আমিঃ মা, তুমি ভিতরে যাও, আমি বাবা কে নিয়ে আসছি। এই সুজন ভাই, তুমি মাকে নিয়ে ভিতরে যাও।
 ।।
 আমি বাবাকে খুজতে চা য়ের দোকানে গেলাম, দেখলাম তিনি বসে চা খাচ্ছে।
 আমি ওনার সামনে বসলাম,
 দোকানদার বলল, এই সেলিম, দেখ, আদিল ভাই এসেছে কি খাবে দেখ,
 আমিঃ আমি সুধু চা খাবো।
 ।।
 আমি বাবাকে বললাম, কি ব্যাপার, তুমি ভিতরে না গিয়ে এখানে কি করছো?
 আব্বুঃ চা খেতে এসেছি।
 আমিঃ সুধু চা খেতে এসেছও।
 আব্বুঃ হ্যাঁ।
 আমিঃ আম্মু, তো বলল, যে তুমি নাকি আতিয়াকে দেখতে এসেছও।
 ।।
 দেখলাম, আব্বু আর কিছু বলছে না, ওনার চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে…
 আব্বুঃ বাবা, আমাকে মাফ করে দে, আমার ভুল হয়ে গেছে… তকে পড়াশুনা করিয়ে ভেবেছিলাম, তুই একটা বড় চাকুরী করবি।
যাতে আমার মান সম্মান বাড়ে
 কিন্তু তুই বড় চাকুরী না করলেও যে এতো বড় মানুষ হয়ে গেছিস যে আমাকে আর আমার পরিচয় দিতে হয় না,
 সবাই দেখলেই বলে ঐ দেখ ওইটা আদিল ভাইয়ের আব্বু। সত্যি বাবা, তকে আমরা না বুঝে অনেক কষ্ট দিয়েছি,
যে সময় তোর আমাকে দরকার ছিল সে সময় তকে দূরে ঠেলে দিয়েছি।
 আমিঃ ঠিক আছে চল যায়…
 এই বলে আমি হোটেলে বিল দিতে গেলাম।
 আমিঃ কতো টাকা হল?
 হোটেল মালিকঃ ভাই, আজকে টাকা নিবো না, শুনেছি আজ আপনার নাকি প্রথম বাচ্চা হবে, চাচা হিসাবে আমার ও একটা দায়িত্ব আছে,
 আপনি সবার জন্য করেন, আজকের দিন টা আমাদের সুযোগ দেন।
 আমিঃ কিন্তু?
 হোটেল মালিকঃ কোন কিন্তু না ভাই আপনার জন্য আজ আমার ছোট ভাই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে।… আজ টাকা দিলে আমরা মনে খুব কষ্ট পাবো।
 তার ওপর বাবা বলে গেছে আপনার নামে যতো চা নাস্তা যাবে, আজ সব ফ্রি।
 আমিঃ ঠিক আছে ভাই, দুয়া করবেন।
 ।।
 হাসপাতালে গিয়ে সুনালাম, বাচ্চা হয়েছে, সবাই মিষ্টি খাচ্ছে…
 ঘরে গিয়ে দেখলাম, আতিয়া শুয়ে আছে, আমি কোলে নিলাম মেয়ে হয়েছে…।
 আব্বু নাম রাখলো…।
 /আনিসা বুশরা/ যার অর্থ…সুন্দর শুভ নিদর্শন…।
………………………………………….. সমাপ্ত………………………………………..
  









