বকুল ফুলের মালা

বকুল ফুলের মালা

এমনিতেই ক্লাসের জন্য লেইট হয়ে যাচ্ছে।তার উপর মিষ্টি এখনো আসছেনা। আজকে সকালের প্রথম ক্লাস টা আইসিটি ম্যাডামের। সপ্তাহে একদিনই ম্যাডামের ক্লাসটা পাওয়া যায়। মিষ্টির জন্য বাজারের মেইন গেটে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি। এমন সময় একটা মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো
-এইখান থেকে আলোবাগ কীভাবে যাবো বলতে পারবেন??

আমি ত্রিশ সেকেন্ড মত মেয়েটাকে পর্যবেক্ষণ করে বললাম-জ্বী… রাস্তার ওপাশে দেখুন সামনে রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে। গিয়ে বলুন যে আলোবাগ যাবো। আপনাকে নিয়ে যাবে। ধন্যবাদ দিয়ে আপুটা চলে গেলো…কিছুক্ষণ বাদে মিষ্টি আসলো…ওর সাথে কলেজে চলে গেলাম।

রাতে যখন এফ.বিতে গেলাম … দেখি নতুন অনেকেই অনলাইনে আছে যাদেরকে সপ্তাহ খানেক আগে এড দিয়েছিলাম…
এর মধ্যে একজনকে নক দিলাম…
-শিফা আপু….
-জ্বী আপু…
-আমি কিন্তু আপনারে চিনিনা। আপনি কি আমার ছুডো না বড়???
-আপনি কিসে পড়েন??
-ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার… আপনি??
-গতবার এইচ.এস.সি দিয়েছি..
-আপনি তাহলে বড়। আপু বলা ঠিকই আছে…
-হুম, তবে খুব বেশি বড় না…
-আপনার নামটা না আমার খুব পছন্দের…
সার্চ দিয়ে প্রোফাইলটা পেলাম.. কি মনে হইলো এড পাঠাইলাম..
-হুম… পছন্দের কারন কি??
-এমনিতেই ভালো লাগে আমার বেশ কয়েকটা নাম….নাম গুলা দিয়ে মাঝে মাঝে সার্চ দেই। যদি কোন প্রোফাইল পাই তাহলে এড পাঠাই নইতো ফলো করি…
-আচ্ছা.. কি কি নাম পছন্দের??
-আছে কিছু এই যেমন আপনার নামটা,রাফা, মৃন্ময়ী,অনন্যা.. আরো আছে বেশ কয়েকটা…
-সুন্দর সব নাম গুলা। আমারটা বাদে …
-কি বলেন নিজের নাম আপনার ভালো লাগেনা?? এইটা আবার কেমন হলো?? আপনি কি বাংলাদেশেই থাকেন ?না অন্য কোন দেশে থাকেন??
-আমি কোন দেশে থাকিনা আপু… আমি আসমানে থাকি…
-তাহলে আপনি কি আসমানি আপু ???
-তোমার যা মনে হয়…
-হুম … তাহলে আজ থেকে আপনি আমার আসমানি আপু … ওকে??
-ওকে আপু… বাসা কোথায় তোমার??
-ঈশ্বরদীতে … আপনার??
-বগুড়া…
-হুম…
-কি করো… ??
-তেমন কিছুনা আপু… আজবাজে লিখতে বসছি…দুপুরে খেয়েছেন??
– আমি বসে আছি। হুম মাত্রই খেলাম।
তুমি??
-আমিও…

-বকুল ফুলের মালা। সো নাইস আপুমনি।
আপু মালাটা আপনি বানিয়েছেন??
-হ্যা আপু…
-অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাদের বকুল গাছ আছে??
-নাহ আপু… আমাদের পাশের বাসাই আছে। আর তোমাকে ধন্যবাদ…
– ওয়েল কাম নট আসমানি আপু …
-ফানি …
এভাবেই কথা বলা শুরু হয়েছিলো আসমানি আপুর সাথে…
দুইদিন পরে …
-আসমানি আপু…
-বলো আপু…
-কি খবর। আপনাকে ২২ ঘন্টা পরে এক্টিভ পাইলাম…
-ভালো আছি… তুমি??
-জ্বী আপু আমিও ভালো…
-গুড গুড…
-জ্বী… তারপর বলেন… কি অবস্থা?
-এখন একটু খারাপ… তোমার… ??
-খারাপ কেন?? বলতে চাইলে বলতে পারেন…
-এমনি আপু … আইডি হ্যাক হইছিলো…তাই মেজাজ খারাপ…
-ও আচ্ছা।
-কি করো??
-কিছুনা আপু। চুপচাপ বসে আছি???
আপনি??রাতে খাইছেন??
-নাহ… কারেন্ট আসলে খাবো… তুমি??
-আমাদের এইখানেও কারেন্ট নাই তবে আমি রাতে খাইনা…
-খাওনা কেন??
-এমনিতেই আপু ভালো লাগেনা…
-ভালো না লাগলে চলবে…এখন থেকে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করবে কেমন??
– জ্বী আপু…
-আর এত রাত জাগো কেন তুমি??
-এমনিতেই আপু…
-এখন থেকে আর জাগবেনা বুঝলে??
-হুম…
-হুম না… যা বললাম তাই শুনবে … এটা তোমার আসমানি আপুর রিকুয়েস্ট…
-আচ্ছা শুনবো… আমার আসমানি আপু যখন বলেছে তখন আমি কীভাবে তা ফেলতে পারি…
-গুড গার্ল…
-আচ্ছা … শুভ রাত্রি … আমাকে আমার আসমানি আপু রাত জাগতে মানা করছে…
-আচ্ছা … আপুনি শুভ রাত্রি। ভালো থেকো।
-হুম তুমিও…

এভাবে আপুর সাথে কথা বলতে বলতে অনেকটাই ফ্রী হয়ে গেছিলাম।আপু আমার অনেক খেয়াল রাখতো। যদিও নিজের লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আপু এফবিতে খুব কম আসতো।

কারণ সামনে আপুর এডমিশন টেস্ট। তবে কখন কখন আসতো সময়টা আমি জানতাম…তাই আমিও তখন এফবিতে লগ
ইন করতাম…
একদিন-
-আসমানি আপুউউউউ…
-হুম … বলো…
-কি করো…
-বসে আছি… তুমি??
-আমিও… আপু তোমাকে তো আমি দেখিনি তাইনা…??
-হুম … আমিও তোমাকে দেখিনি…
-তোমার একটা ছবি পাঠাও তো …
তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে…
– তোমার আসমানি আপু দেখতে খুব পঁচা…
-হোক তবুও দেখবো…
-আরে আমি দেখতে ভালো না রে আপু…
-হোক তবুও আমি দেখবো… প্লীজ… প্লীজ…
-আচ্ছা… একটু অপেক্ষা করো…আমি একটু বিজি আছি… একটু পরে পাঠাচ্ছি…
-আচ্ছা ঠিক আছে… মনে করে দিবা কিন্তু…
-আচ্ছা… আমিও তোমাকে দেখিনি…
তোমার একটা ছবি দিও…
-আগে তুমি দিবা তারপর আমি…
-ওকে…

ছবি দেখার পর …
-আপু…
-আগেই বলেছিলাম আমি দেখতে খুব পঁচা… এখন বিশ্বাস হলো তো…
-নাহ একদম বিশ্বাস হয়নাই… কারণ আমার আসমানি আপুটা একদম আসমানি পরীর মত। যদিও আমি পরী কখনো দেখিনি…
কিন্তু…
-কিন্তু কি??
-আমার মনে হচ্ছে আমি তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি …
-হিহি তাই??
-হুম বিশ্বাস করো…
-আচ্ছা করলাম…এবার তোমার পালা…
আমার ছবি পাঠানোর পরে,
-এটা কি তুমি??
-হ্যা কেন??
– ওহ মাই গড … তুমি এত পিচ্চি …এই পিচ্চি কলেজে পড়তেছে??
-হুম
-তবে পিচ্চিটা অনেক কিউট…
-মজা করো ???
-নাহ সত্যি বলছি… আমার পিচ্চি আপুটা অনেক কিউট…
-হুম থাক …আর লজ্জা দিওনা…
-হিহি… আমারও মনে হচ্ছে যে আমিও তোমাকে দেখেছি…কিন্তু কোথায় মনে পরছেনা…
-হিহি এইটা হার্ট কানেকশন বুঝলা ??
-হুম বুঝলাম…
-ইয়া হু… মনে পরেছে…
-কি??
-তুমি কখনো ঈশ্বরদী আসছো??
-হ্যা আসছিলাম একবার… আমার এক ফ্রেন্ডের বোনের বিয়েতে…
-হ্যা… তোমার ফ্রেন্ডের বাসাটা আলোবাগে তাইনা…
-হ্যা…এবার মনে পড়েছে… তোমাকে তো আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আলোবাগ কীভাবে যাবো…
-দেখছো … কি ভাগ্য… তোমার সাথে এভাবে কথা হবে কখনো চিন্তাই করিনি…
-হুম…
কয়েক দিন পর…
-এই পিচ্চি…
-জ্বী আপু…
-আজ রেজাল্ট বের হয়েছে…আমি রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছি…
-কংগ্রাচুলেশনস আপুনি… আমার মিষ্টি কই??
-দেখা হলে খাওয়াবো…
-আচ্ছা…
-তুমিও ভালো করে লেখাপড়া করো তোমাকেও ভালো কোন ভার্সীটিতে চান্স পেতে হবে বুঝলা…
-হুম বুঝলাম…

এভাবে আস্তে আস্তে আপুর সাথে কথা বলতে বলতে খুব ক্লোজ হয়ে যায়… আমার আসমানি আপুটা খুব ভালো… আমার
অনেক খেয়াল রাখতো…আপুর জন্যই আমার এইচ.এস.সি তে রেজাল্ট ভালো হয়েছিল।এটা আমি চোখ বন্ধ করে বলতে
পারি… কারণ আপু আমাকে সব সময় গাইড করতো…কোনটা ঠিক কোনটা ভুল শিখিয়ে দিতো…রেজাল্টের আগের দিন
আমার প্রচন্ড টেনশন হচ্ছিলো…উল্টা পাল্টা চিন্তা মাথায় আসছিলো…তখন আপু আমাকে ধমক দিয়ে বলেছিলো …
চিন্তা না করতে…কারণ আমার থেকে হয়তো আপুর খুব বেশী টেনশন হচ্ছিলো কিন্তু আমাকে তা বুঝতে দেয়নি।
আল্লাহ্র রহমতে মোটামোটি ভালো রেজাল্টই করি … ফ্যামিলির সবাই অনেক খুশী হলেও… আমার আসমানি আপু
খুশী হয়নি… তার ধারণা ছিলো আমি এর থেকে ভালো করতে পারতাম…

ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং করার জন্য জন্য রাজশাহী গিয়েছিলাম…আপুর সাথে কন্ট্যাক করে আপুদের মেসেই উঠলাম কারণ আমি রাজশাহী তে তেমন কিছুই চিনিনা…আমাদের কোন রিলেটিভ ও নাই সেখানে…মেসে তো যার যার রান্না তার তার করে খেতে হয়।
আবার অনেকেই দ্বায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়।আপু জানেনা যে আমি রান্না করতে জানিনা… একদিন রান্নার দ্বায়িত্ব আমাকে দিলে আমি ডিম ভাজতে গিয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলি…
সেদিন আমি প্রথম আপুর চোখে আমার জন্য পানি দেখেছিলাম। কতো টা ভালোবাসলে একজন অপরিচিত মানুষ আরেকজন অপরিচিত মানুষের জন্য কাঁদতে পারে… এর কোন ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। এর পর থেকে আপু কখনো রান্না ঘরের আশপাশে আমাকে যেতে দেয়নি।

আমি যতদিন মেসে ছিলাম…আপু আমাকে রাতে খাইয়ে দিতো…যখন দেখতো আমি পড়তেছি মাঝে মাঝে চা করে এনে দিতো…প্রতিদিন সকাল বেলা আপু আমার কান ধরে টেনে তুলতো। আমি খুব মজা পেতাম…ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ আপুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতাম…আপু তখন আরও জোরে কানটা টেনে ধরতো। রোজ রোজ এমন করতে করতে কান টানা খাওয়াটা আমার
অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো…
দুই তিন মাস দেখতে দেখতে কেটে গেলো… পরীক্ষা দিলাম। আমিও আপুর ভার্সিটিতেই অন্য ডিপার্টমেন্টে চান্স পেলাম… আর মেসে থাকাটাও পাকাপাকি হয়ে গেলো…

একদিন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম… ইচ্ছা করে ভিজেছিলাম না। বৃষ্টি আমার একদম পছন্দ না।খুবই বিরক্ত লাগে।ছাতা নিয়ে যায়নি আর এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো…কয়েক ফোটা পানি পরেছে কি না পরেছে সন্ধ্যার দিকেই ধুম জ্বর চলে আসলো। কারণ বৃষ্টির পানি আমার সহ্য হয়না…আমি আপুকে কিছু না জানিয়ে না খেয়েই শুয়ে পরেছিলাম। আপু নাকি আমাকে ঘুম থেকে তুলে ভাত খাওয়াই দিছিলো..সারারাত আমার মাথার কাছে বসে জলপট্টি দিয়েছিল। মাঝরাতে আমি নাকি সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম…সেই রাতেই আপু বাড়ি ওয়ালা আঙ্কেল আন্টি কে বলে ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসছিলো। এইগুলা আমাকে আপুর বান্ধবী বলেছে…আপু নাকি অনেক কান্নাও করছিলো আমার জন্য…খুব চিন্তা হচ্ছিলো আপুর…

আমি যখন বাড়িতে আসতাম তখন ফোন দিয়ে খোঁজ নিতো ..সময় মতো খেয়েছি কিনা। ভালো আছি কিনা…বাড়িতে আসলেও আমি আপুকে খুব মিস করতাম। আপুও আমাকে মিস করতো এটা বুঝতে পারতাম…আপু আমার যতটা কেয়ার নিতো ততটা কেয়ার আমি কখনোই আমার ফ্যামিলি থেকে পাইনি। কারন এইখানে সবাই সবার মত ব্যস্ত থাকতো। এমন কি আমার আম্মুও …রক্তের সম্পর্ক থাকলেও কেউ এতটা কেয়ার নেয়না যতটা আপু আমার কেয়ার নিতো।

অনার্স কমপ্লিট করার কিছুদিন আগে আপুর বিয়ে হয়ে যায়।তারপর আপুর সাথে আমার কন্ট্যাক কম হতো…

অনার্স কমপ্লিট করে আমি বাবার সাথে দেশের বাইরে চলে যায়… তখন আপুর সাথে কন্ট্যাক প্রায় একেবারে বন্ধ হয়ে গেছিল।এফবিতে বসলে মাঝে মাঝে আপুর খোঁজ খবর নিতাম … আপু তখন নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এফবিতে খুব কম বসতো… আমিও নিজের জব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরি…এভাবে দেখতে দেখতে বছর খানেক পার হয়ে গেলো।আমাদের আর তেমন একটা যোগাযোগ হয়না। আপুর কাছে শুনেছিলাম আপুর বেবি হবে…

মাঝখানে অনেক দিন সময় পাইনি। অনেক দিন হলো আপুর খোঁজ খবর নিতে পারিনি…অনেক দিন পর আজ একটু ফ্রী
হয়েছি… অনেক টেক্সট করলাম ফোন দিলাম কিন্তু কেউ রিসিভ করলো না…
পরের দিন বিকালে একটা বাংলাদেশি নাম্বার থেকে কল আসে…

আমি ফোন রিসিভ করে জানতে পারি… যে আমার আসমানি আপু সত্যি সত্যি আসমানে চলে গেছে…সেখান থেকে আর
ফিরবেনা আমার আসমানি আপুটা।। কথাটা শুনার পর কেন জানিনা আমি কাঁদতে পারিনি…আমাকে কলটা ভাইয়া করেছিলো।।আপুর হাজবেন্ড…আপুর একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে…বাচ্চাটা জন্ম নেওয়ার পর তার মাকে। দেখতে পেলোনা। তাহলে সত্যি সত্যি আমি আমার আসমানি আপুকে। হারিয়ে ফেললাম…আমার কেন জানি এখনো বিশ্বাসই হচ্ছেনা…

আজ দেশে থাকলে হয়তো আমার আসমানি আপুটাকে আমি দেখতে পেতাম…আমার ভ্যাগ্যটা খুব খারাপ আপু… তুমি সব সময় আমার পাশে থেকেছো কিন্তু তোমার শেষ মুহুর্তে আমি তোমার পাশে থাকতে পারলামনা…
তোমাকে এক নজর চোখের দেখাটাও দেখতে পারলাম না..

আপু আজ আমার খুব চিৎকার করতে ইচ্ছা করছে… আজো খুব মিস করি তোমাই।
তোমার বলা কথা গুলা এখনো আমার কানে বাজে…
এই আপু … তুমি শুনতে পাচ্ছো …
আপু…তুমি না বলতে সব সময় যে তুই কবে বড় হবি…???আপু আমি এখন অনেক বড় হয়ে গেছি…তোমার এই পিচ্চি বোনটা এখন নিজে রান্না করতে পারে … এখন আর হাত পুড়ে যাইনা…আপু এই আপু… আপুরে…
তুমি শুনতে পাচ্ছো না তাইনা???…
আমি জানি তো… আর কখনোই তুমি শুনতে পাবেনা… আর কখনোই আমার আওয়াজ তোমার কাছে পৌঁছাবেনা…আর কখনোই
তুমি আমার ডাকে সাড়া দিবেনা…
শুধু এটাই বলবো যে তুমি আসমানের যেখানেই থাকো না কেন…দোয়া করি যেন সবসময় ভালো থাকো

গল্পের বিষয়:
দু:খদায়ক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত