নিয়তিই হয়ত সেদিন রুপায়নের সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছিল। নইলে সেদিনই অফিসের বাসটা আগে কেন চলে যাবে? শাড়ি পরে বেরিয়েছিলাম। অফিসের প্রোগ্রাম ছিল। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর অনেক্ষণ পরেও স্টাফ বাস এলোনা। ফোন করে জানতে পারলাম বাস আগেই চলে গেছে। এখন পাবলিক বাসে যেতে হবে। শাড়ি পরতে অভ্যস্ত ছিলামনা একদমই। অস্বস্তি হচ্ছিল দাড়িয়ে থাকতে। হঠাৎই মনে হলো কে যেন আমার আঁচল ধরে টানছে। পেছনে তাকিয়ে দেখলাম একটা ছেলে। আমার সমবয়সী হবে। বাচ্চাদের মত মুখ করে মাথাটা নিচু করে রেখেছে। আর একহাতে আমার আঁচল পেঁচিয়ে ধরে রেখেছে। আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ছেলেটা স্বাভাবিক নয়।
কিছু বলতে যাবো, তক্ষুনি একটা মহিলা দৌড়ে এলেন। ছেলেকে বকতে বকতে তার হাত থেকে আমার আঁচলটা ছাড়িয়ে দিলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বিনীত ভঙ্গিতে বললেন, কিছু মনে করোনা মা, ও অটিজমের বাচ্চা তো! কাজটা বুঝে করেনি। বললাম, আমি কিছু মনে করিনি। মহিলাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুব লজ্জা পাচ্ছেন। আমি উনার হাত ধরে বললাম, আপনি লজ্জা পাবেননা। আমি বুঝতে পারছি। তারপর ছেলেটার দিকে তাকালাম। সে আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল। চোখাচোখি হতেই চোখ নামিয়ে ফেলল। জিজ্ঞেস করলাম, নাম কী তোমার?
সে টেনে টেনে বলল, রু..পা..য়..ন।
এই ছিল প্রথম পরিচয় পর্ব। এরপর থেকে রুপায়ন আর তাঁর মায়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক হয়ে গেলো। প্রায়ই সময় পেলে তাদের বাড়িতে যাই। রুপায়ন আমাকে খুব পছন্দ করে। আমি গেলেই তাঁর খুশি কে দেখে! প্রথমদিন অনেক্ষণ কথা বলার পর রুপায়নের মা বলেছিলেন, ভারী মিষ্টি মেয়ে তো তুমি! রুপায়ন তখন স্পষ্ট গলায় বলেছিল, মিষ্টি! তারপর থেকে সে আমায় মিষ্টি বলেই ডাকে। আমারও ভালো লাগে ডাকটা।
বয়সে বড় হলেও আচার আচরণে পুরোপুরি বাচ্চা রুপায়ন। বাবা নেই তাঁর। মা আর সে থাকে। নিজেদের বাড়ি। কয়েকটা ঘর ভাড়া দেয়া। সেই ভাড়ার টাকা আর তাঁর মা সেলাইয়ের কাজ করে যে টাকা পান তাই দিয়ে কোনোরকম সংসার চালান৷ রুপায়নের ঔষধের পেছনে অনেকগুলো টাকা চলে যায়। একদিন ছুটির দিনে সকালে তাদের বাড়িতে গেলাম। মায়া পড়ে গেছে দুজনের প্রতি। বেশিদিন না দেখলে ভালো লাগেনা। গিয়ে দেখি রুপায়ন ভীষণ অস্থির হয়ে আছে। সে বাইরে যাবে বেড়াতে। আমাকে দেখে চিৎকার করে বলতে লাগল, মিষ্টি… ঘুরতে যাবো…মিষ্টি…ঘুরতে যাবো আন্টি অসহায় মুখ করে বললেন, দেখো মা, কত কাজ! কালকের মধ্যে এগুলো শেষ করতে হবে। এখন ছেলেকে নিয়ে বাইরে গেলে কখন করব? এদিকে সে জ্বালিয়ে মারছে।
আমি বললাম, আমি নিয়ে যাই? তুমি পারবে ওকে সামলাতে? খুব পারব! রুপু আমার সব কথা শুনবে। তাইনা? দেখলাম রুপায়ন মাথা নিচু করে হাসছে। পার্কে ঘুরতে নিয়ে গেলাম তাকে। খোলা জায়গা পেয়ে সে মহাখুশি। দু’বার পার্ক চক্কর দিলাম, দুজন আইসক্রিম খেলাম। আমার হাত ধরে থাকল পুরোটা সময়। বাসায় যাবো বলতেই সে ভদ্র ছেলের মত চলে এলো। আসার পর আন্টি অবাক হয়ে বললেন, আমি ভেবেছিলাম সারাদিন থেকে আসবে। আমার সাথে গেলে রুপু আসতেই চায়না বাইরে থেকে।
তার কিছুদিন পর এক সকালবেলা রুপায়নের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফোন করে বললেন, রুপুর মা মারা গিয়েছেন কাল রাতে। মানে? কিভাবে? কী বলছেন আপনি? জ্বি। সম্ভবত, স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। আপনি দেখে যান। দ্রুত গেলাম তাদের বাড়ি। বাড়িভর্তি মানুষ। একটা ঘরের মেঝেতে আন্টিকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। রুপায়ন পাশে বসে ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। বার বার বলছে, মা… মা… ওঠো…ওঠো..! আমি পাশে গিয়ে বসলাম৷ রুপায়ন দুই হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আর ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলতে লাগল, মিষ্টি..মা ঔঠেনা.. মিষ্টি..মা ওঠেনা..
আন্টি মারা যাওয়ায় রুপায়নকে নিয়ে আমি অথৈ সাগরে পড়লাম। তাদের আত্মীয় স্বজন হাতে গোনা কয়েকজন এসেছিলেন। যারা দাফনের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চলে গিয়েছেন। এমন কেউ ছিলনা যারা ছেলেটাকে দেখতে পারে। বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বলছিল তাকে পাগলাগারদে পাঠিয়ে দিতে। আমার এত অসহায় লাগছিল বলার মত না। আর কোনো উপায় না দেখে আমি রুপায়নকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে গেলাম। বাবা সব শুনে ভীষণ রাগ। কেন এই ঝামেলাকে বাড়িতে এনে তুললাম! আমি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু কোনো লাভ হলোনা। বাবার সোজা কথা রুপায়নকে তিনি তাঁর বাড়িতে রাখবেননা। আমি বললাম, আজ রাতটা অন্তত থাকুক। কাল দেখা যাবে কী করা যায়।
সারারাত ঘুমোতে পারলমানা। রুপায়নকে ড্রইং রুমে শুতে দেয়া হয়েছে। মাঝরাতে উঠে সেখানে গিয়ে দেখি সে বিছানায় গুটিশুটি হয়ে বসে কাঁদছে। আমি কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। সে আমার হাত শক্ত করে ধরে কাঁদতে লাগলো আর অনবরত মা’কে ডেকে গেল। সেদিন রাতটা সেখানেই বসে কাটালাম।
সকালে উঠেই বাবা হৈচৈ শুরু করলেন, এই ছেলেকে বাড়িতে রাখা যাবেনা। আমি বললাম, কোথায় যাবে ও? তুমিই বলো। কেউ নেই ওর। আর আমি ওকে একা ফেলে দিতে পারবোনা। তবুও বাবার সেই এক কথা! শেষ পর্যন্ত আমি রুপায়নকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। বললাম, ওকে না রাখলে আমিও থাকবোনা। বাবা জানিয়ে দিলেন, তাহলে থাকো ওই অটিস্টিক ছেলেকে নিয়ে। না জানি কী জাদু করে রেখেছে! এই ছেলের জন্যই তুমি মরবে।
বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমেই সায়মার বাড়িতে গেলাম। সায়মা আমার ছোটবেলার বন্ধু। অনেক চেনাজানা আছে ওর। খোঁজ নিতে লাগলাম অটিস্টিক ছেলেমেয়েদের জন্য কোনো হোম আছে কিনা। জানা গেল, আছে। তবে সেখানে অনেক টাকা লাগে। ফ্রিতে সেবা দেয়ার মত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আর যত টাকা লাগে তত টাকা দেয়া আমার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। আমি চাকরি করি। ভালো বেতনও পাই, তবে সেটা এত বেশিও না। আমার টাকায় বড়জোর একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা যাবে। আমি তাই করলাম। বাসা খুঁজতে লাগলাম। দু’দিনেট মধ্যে পেয়েও গেলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাসায় থাকতে গেলে একটা পরিচয় দিতে হবে। রুপায়ন আমার কেউ হয়না। সে মানসিক দিক দেখে বড় না হলেও দেখতে অনেক বড়। বয়সে আমার চেয়ে এক বছরের ছোট। এরকম একটা ছেলেকে নিয়ে কেনে সম্পর্কবিহীন এক বাড়িতে থাকা যায়না। আবার এভাবে থাকলে বাবাও জোর করে আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত অনেক ভেবেচিন্তে কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি রুপায়নকে বিয়ে করব। স্বাভাবিকভাবেই আমার বন্ধুরা কেউ রাজি হলোনা। তারা অন্য উপায় খুঁজতে বলল। আমাকে বোঝাতে লাগল। আমি তাদের বললাম, এর থেকে ভালো কিছু পেলে আমায় বল? তারা শুধু বলতে লাগল, ছেলেটাকে কোথাও রেখে আয়। একটা ব্যবস্থা হবেই। আমি তাদের কথায় কান দিলামনা। রুপায়নকে কোথাও ফেলে আসার হলে সেদিন ওর বাড়িতেই ফেলে আসতে পারতাম। সেদিন যখন দ্বায়িত্ব নিয়েছি তখন আজও ঠিক পালন করতে পারব। আমি বললাম, তোরা শুধু সাক্ষী দিবি। আর কিচ্ছু লাগবেনা। তারা রাজি হলোনা। আমি অন্য লোক খুঁজলাম।
আজ রুপায়নের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে কাজি অফিসে। বাবার সাথে রাগ করেই যেন বিয়েটা করলাম। বাবাকে বিয়ের পর ফোন করে খবরটা জানালাম। তিনি সোজা বলে দিলেন, আর যেন তাদের সাথে যোগাযোগ না রাখি। আমি রাখলামনা।
এখন ভীষণ ব্যাস্ত সময় কাটছে। রুপায়নকে সামলানো, তার কাজ করা, অফিসে যাওয়া, রান্না করা সব মিলিয়ে একমুহূর্ত বসার সময় নেই। রুপায়নকে ঘরবন্দি করে রেখে অফিসে যেতে একদম ইচ্ছে করেনা। কিন্তু কিছু করার নেই। অবশ্য তার তাতে খুব সমস্যাও হয়না আজকাল। অভ্যস্ত হয়ে গেছে। রুপায়ন দারুণ আঁকতে পারে। আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই ওর ছবি আঁকা দেখে। এত সুন্দর হয়! ওর আঁকা মানুষের চোখ, নাক, মুখ হাসি সব যেন জীবন্ত! এক্ষুনি নড়াচড়া করবে। প্রকৃতির দৃশ্যগুলো মনে হয় কোনো সত্যিকারের তোলা ছবি। যে কথাগুলো সে গুছিয়ে বলতে পারেনা, সেগুলোই এঁকে প্রকাশ করে। ছবি আঁকাই তার বর্তমান কাজ। শুধু সপ্তাহে একদিন বাইরে নিয়ে যেতে হয়, নইলে অস্থির হয়ে যায়।
আমার মাঝে মধ্যেই এই জীবনটা অসহ্য লাগে। হুট করে কী থেকে কী হয়ে গেল! এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলনা। রাতের বেলা বড্ড একা লাগে। ঘুম আসেনা। রুপায়ন কী আদৌ জানে, আমি তার বউ? সে কি বিয়ে মানে বোঝে? সে আমাকে ভালোবাসে, কিন্তু সেটা স্ত্রী হিসেবে তো নয়। বন্ধুহীন, পরিবারহীন একটা জীবন আমার। এই কষ্টের মধ্যেও যখন রুপায়নের হাসিটা দেখি, তার নিষ্পাপ চাহনিটা দেখি তখন সব দুঃখ ভুলে যাই। ও যখন মুগ্ধ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, মনে হয় যেন আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে। একটু পরপর ‘মিষ্টি’ বলে ডাক দিলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। আর রাতের বেলা আমার জামার কাপড় শক্ত করে মুঠোর মধ্যে নিয়ে রাখে। যেন কোথাও চলে যেতে না পারি। একমুহূর্তের জন্যও খোলেনা। তখন মনে হয় শুধু রুপায়নের জন্যই যুগ যুগ বেঁচে থাকতে পারব।
বেশ কিছুদিন পর আস্তে আস্তে আমি লক্ষ করলাম, রুপায়ন কেমন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। চোখের নিচে কালি পরে গেছে, সবসময় জ্বর-ঠান্ডা লেগেই আছে। ডাক্তার দেখালাম, ঔষধ খাওয়াতে লাগলাম নিয়মিত। কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। আমার টেনশনে অবস্থা খারাপ। ওকে একা রেখে অফিসে যেয়ে শান্তি পাইনা। বাড়িতে রেখে যাওয়ার মত একটা লোক অনেক খুঁজেও পেলামনা। একা একা এখন খায়ও না। সকালে অনেক কষ্টে খাওয়াই, রাতে এসে ভাত খাইয়ে দেই। তাও প্রতিদিন খেতে চায়না। দিন দিন যেন আরও বেশি অসুস্থ হচ্ছে। আবার খিঁচুনির সমস্যা আছে তার। রাতের বেলা বেশি খারাপ হয়ে যায় শরীর। হুট করেই কেমন যেন হয়ে গেল ছেলেটা। দেখলে বুড়ো মানুষের মত লাগে। একদিন সকালে উঠে দেখলাম অজ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি করলাম। ডাক্তাররা দেখেশুনে বললেন, রুপায়ন আর বেশিদিন বাঁচবেনা। এধরনের মানুষ স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কম আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসে। আমার বিশ্বাস হলোনা। আমি বললাম, এসব বলবেননা। আপনারা চিকিৎসা করুন। ও ঠিক বেঁচে যাবে। আমি ওকে মরতে দেবোনা।
হাসপাতালে কিছুদিন থাকার পর একটু সুস্থ হলো। বাড়ি নিয়ে এলাম রুপায়নকে। সেদিন সারাটা দিন আমাকে তার কাছ থেকে নড়তেও দিলোনা। জড়িয়ে ধরে বসে রইল। আমারও ওকে ছাড়তে ইচ্ছে করেনি। ভয়ে বুকটা বার বার কেঁপে উঠছে। মনেপ্রানে প্রার্থনা করছি যেন ছেলেটা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু হলোনা। সেদিন রাতেই আমাকে চিরতরে মুক্তি দিয়ে সে চলে গেল না ফেরার দেশে। সুন্দর মৃত্যু। দেখে মনে হয় যেন ঘুমিয়ে আছে।
রুপায়নের কবর দেয়া হলে ওর মায়ের পাশে। সব কাজ শেষ করতে সন্ধ্যা হয়ে এল। বাবা এসেছেন। দেখলাম তার চোখে পানি। আমি দেখেও না দেখার ভান করে রইলাম। রাতে মা বাবা আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেন। আমি গেলামনা। নিজের ভাড়া বাসায় ফিরে এলাম। বাসায় ঢোকার পরই যেন সব ক্লান্তি এসে ভর করল শরীরে। ঘুমিয়ে কাটালাম দুটো দিন। এখন আর এখানে থাকতে ইচ্ছে করেনা, অসহ্য লাগে। যেদিকে তাকাই, সব যেন ফাঁকা। বাবার বাড়িতে চলে যাব ভাবছি। বাসাটা গোছাতে শুরু করলাম। দুই বছর থেকেছি এখানে ছেলেটার সাথে। একটু একটু করে হাজারটা স্মৃতি জমে গেছে কোণায় কোণায়। রুপায়নের ছবি আঁকার জিনিসগুলো পড়ে আছে অনাদরে। আর কেউ কখনে তাদের ব্যবহার করবেনা।
রুপায়নের জিনিস গোছাতে গিয়ে একটা ব্যাগ চোখে পড়ল। নীল রঙের ব্যাগ। এটা সে কক্ষনো আমাকে দেখতে দিতোনা। লুকিয়ে রাখত। আমি ব্যাগটা খুললাম৷ ভেতরে একটা বড় কাগজ ভাজ করে রাখা। কাগজটা খুলতেই দেখা গেল একটা রঙে আঁকা ছবি। ছবিটা আমার! হাস্যজ্জ্বল মুখের সুন্দর একটা ছবি। ছবির নিচে এক কোণায় ছোট ছোট করে লেখা, “I Love You, Nabila”
লাভ ইউ শব্দটা সে কোত্থেকে শিখেছে কে জানে! এই লিখাটার জন্যই কি সে ছবিটা লুকিয়ে রাখত? ভালোবাসতো সেটা বলতে লজ্জা পেত? আমার কেন যেন ভীষণ অনুশোচনা হল। মনে হতে লাগল, ছেলেটাকে আমি ততটা ভালোবাসতে পারিনি যতটা তার প্রাপ্য ছিল!