শৈলী যখন পাঁচ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলো আমি তখন বিসিএস ভাইভা কক্ষে ঢোকার আগে মনে মনে কঠিন হিসেব করছিলাম।ছাত্র ভাড়ায় ৫ টাকা দিয়ে শাহবাগ গেলে পকেটে থাকবে ৭ টাকা।একটা গোল্ডলিফ কিনতে আরো এক টাকা আমি কই পাবো?
শৈলীর চোখে আকাশের সব শূন্যতা ভর করার ঠিক আগ মুহুর্তে তার চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো।ঠিক সেসময় কালো আকাশ থেকে টুপ করে বৃষ্টির ফোটাটা নিচের পিচের রাস্তায় পড়লো। এমন বিষণ্ণ দুপুরের ঝুম বৃষ্টি শৈলীর খুব প্রিয় ছিলো।নিচের পিচের রাস্তায় পড়ে মাথাটা একদম ফেটে গুড়িয়ে যাবার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত শৈলী অপলক ভাবে তাকিয়ে ছিলো,সে মারা গেলো বৃষ্টির প্রতি অসীম ভালোবাসা আর বিষ্ময় ভরা চোখে।
ভাইভা দিয়ে বের হয়ে এসে আমি বুঝে গেলাম শেষ বিসিএস টাও আর হচ্ছে না,বয়স কাগজের হিসেবেই ২৯ হয়েছে,আব্বা স্কুলে ভর্তি করার সময় ২ বছর কমাইছিলো,সেই হিসেবে ৩১ বছর বয়স।আমি বাইরে বের হয়ে দেখলাম ঝুম বৃষ্টি,এই ঝুম বৃষ্টির আসলে ব্যাখ্যা এভাবে দেয়া সম্ভব না,এক ধরণের বৃষ্টি আছে দেখলেই শান্তি শান্তি লাগে,সেই ধরণের ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।কিন্তু সকাল থেকে না খাওয়া পেটে জীবনের শেষ বিসিএস ভাইভা দিয়ে এসে এই আশ্বিন মাসের অসময়ে বৃষ্টি ভালো লাগা উচিত না,আমার লাগছেও না।ক্ষুধা কমাতে কিছু করা দরকার,দুপুর বেলা রফিকের অফিসে যাওয়া যায়,তাহলে খাবার না খাওয়ায়ে কিছুতেই ছাড়বে না সে।কিংবা ছাত্রের বাসায় আজ দুপুরে পড়াতে যাওয়া যায়,এই দুপুরে গেলে হয়তো ভদ্রতা করে হলেও খেতে দিবেন আন্টি।আন্টি ভদ্র মানুষ।সমস্যা হলো এই অতি বৃষ্টিতে কোন বাসের দেখাই পাচ্ছি না আমি।
ক্ষুধা কমাবার একটা উপায় অবশ্য আছে,পরপর দুই তিনকাপ কম চিনির কড়া লাল চা আর সাথে দুই তিনটা সিগারেট টানা গিলতে হবে।এতে করে শরীরের মধ্যে ঘিনঘিনে ভাব আসবে,ক্ষুধা নষ্ট হবে।এটা আমার নিজস্ব থিওরী,তবে ভালো কাজের থিওরী।কিন্তু এই থিওরীর এখন সব থেকে গোলমেলে দিক হলো পকেটে টাকা নেই,তিনকাপ চা পনের টাকা,তিনটা সিগারেট ২৪ টাকা।৩৯ টাকা। বাসভাড়া না থাকলে নাহয় হেটে গেলাম,তাতেও এক কাপ চা আর সিগারেট এর বেশী হবে না।আমি এতকিছু আর ভাবতে পারছিলাম না,গতকাল রাতে খেয়েছি একখানা কলা আর এক পিস দুইটাকার বিস্কুট। বিস্কুট টা ভালো ছিলো,বেশ দুধ দুধ ঘ্রাণ,আরো কয়েকটা খাওয়া যেতো।সকালে খাবার পেটে পড়ে নি,এখন দুপুর পার হয়ে প্রায় বিকেল।ভাবনার নিউরন সেল কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
আমি বৃষ্টি ভেঙেই পাশের চা এর দোকানে দৌড়ে গেলাম,দোকানে বেশ ভীড়।আমি এক কাপ চা আর একটা সিগারেট নিয়ে দ্রুত খেয়ে পরের সেশন শুরু করলাম,প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশন হবে অতি দ্রুত,এরপর শেষ সেশনের মধ্যে একটু বিরতি।আমি অপেক্ষা করছি দোকানে ভীড় কমবার,ফাঁকা হলে শেষ কাপ চা আর সিগারেট খেতে খেতে দোকানদারকে কিছু একটা বুঝ দিয়ে বলতে হবে,তাতে সে অপমান করলে কম গায়ে লাগবে,কিন্তু এত ভীড়ে।..
দোকান প্রায় ফাঁকা হবার পরেও একটা শার্ট প্যান্ট পরা লোক বসে আছে,আমি তৃতীয় কাপ চা আর সিগারেট শেষ করলে বড় এক গ্লাস পানি খেয়ে দোকানদার মামাকে আস্তে করে বললাম মামা আপনার দোকানের এই ভীড়ে আমার মানিব্যাগ পকেট মাইর হয়েছে,আপনি এই ১৩ টাকা রাখেন,বাকীটা আমি পরে দিয়ে যাবো।দোকানদার মামা মোটামুটি নাক মুখ শিটকিয়ে বললো আর কবে আইবেন,দেইখা তো ভদ্দরলোক ই লাগে।মনে কইরা দিয়ে যাইয়েন।
বেকার দের দুটো বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় এক.কোন অপমান গায়ে নেয়া যাবে না(হংশ বৈশিষ্ট্য),তেলতেলে শরীর। দুই.মুখে সবসময় জ্বী আচ্ছা টাইপ একটা হাসি ঝুলিয়ে রাখতে হবে। আমি গত দীর্ঘদিন অতি উত্তম শ্রেণীর একজন বেকার,হাসি মুখে বললাম অবশ্যই মামা।আপনি আপনার ফোন নাম্বার টা লিখে দেন,দরকার হলে রিচার্জ কইরা দিমুনে মামা।
রাস্তায় নেমে হাঁটা শুরু করলাম যখন বিকেল হয়ে গেছে,চা থিওরী কাজ করা শুরু করেছে।মাথা ঝিমঝিম করছে,কোথাও সটান হয়ে শুয়ে পড়া দরকার।রমনা পার্কের কাছে এসে আমি ভেতরে ঢুকে পড়লাম,একটা বেঞ্চে শুয়ে ঘোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা সাথে ভাবনা চিন্তা করতে লাগলাম।ভাবনা গুলো বিক্ষিপ্ত হলেও কয়েকটা পয়েন্ট আঁকারে ভাগ করা যায়।
এক.প্রথমে যে ভাবনা আসে তা হলো বেকার মানুষ আর কিছু পারুক না পারুক,প্রচুর ভাবতে পারে।এদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি তে থিংক ট্যাংক হিসেবে এদের নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। দুই.আমার বয়স ২৯ বছর ২৮৭ দিন।মানে ১০৮৭২ দিন.প্রতিদিন যদি ১০০ টাকাও খরচ করি এযাবত কালে আমি ১০ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা খরচ করেছি।
এই টাকার সবটাই আব্বার টাকা,তার কাছ থেকে হাত পেতে নির্লজ্জের মতন টাকা নিতে খুব একটা দ্বিধাবোধ আমার হতো না,কিন্তু সমস্যা হয়ে গেলো পাশ করার পরে।পাশ করার পরে আব্বা বিরাট এলাহী স্বপ্ন দেখে বসলো,ছেলে এবার কী না কী করে বসবে।আমি ও কী না কী ভেবে বসলাম,এরপর শুরু করলাম চাকরি খোঁজা।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানের একটা দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক সার্টিফিকেট নিয়ে এবং কোন রকম মামা খালু ছাড়া ইট কাঠের শহরে আমি যখন চাকরি খুঁজতে নামলাম,জীবন কতখানি নির্দয় সেটা বুঝতে পারলাম হাড়ে হাড়ে।বয়স বাড়ছে,আমি চাকরি খুঁজছি,বিসিএস দিচ্ছি,ভাইভাতে বাদ যাচ্ছি।শেষ দিকে আব্বা বিরক্ত হয়ে গেলো,বাসায় আম্মার সাথে রাগারাগি করতে লাগলো,ঈদে বাড়িতে গেলে খাবার টেবিলেই অপমান করতো।আমি উত্তম বেকার,মানুষের অপমান গায়েই মাখি না,সমস্যা হলো আম্মা কানতো আব্বার এইসব কথা শুনে।গত দুই বছর বাড়ি যাওয়াই বন্ধ করে দিলাম।
প্রত্যেকের জীবনে একটা গল্প থাকে,সুখের গল্প,দুঃখের গল্প।হাসি কান্নার গল্প,অর্থাভাব এর গল্প,সফলতা আর ব্যর্থতার গল্প।দীর্ঘ অশ্রুভেজা রাতে বালিশ চাপা কান্নার গল্প,না খেয়ে থাকার গল্প।আমার জীবনের গল্প শুরু হলো বাড়ি থেকে একদম চলে আসার পর।আব্বা আর টাকা পয়সা দিতে পারবে না,আমিও বুঝি দীর্ঘ ক্লান্তিকর সংসারের ঘানি টানতে টানতে এখন তার একটু বিশ্রাম নেবার কথা ছিলো,স্ক্রীপ্ট ঠিক থাকলে এখন তার ছেলের গর্বে পান মুখে পড়শীদের সাথে গল্পে গল্পে গর্বিত হবার কথা ছিলো।কঠিন কাজের ভারে নুয়ে পড়া, বেঁকিয়ে যাওয়া কোমর নিয়ে আরাম করে বারান্দায় বসে থাকার কথা ছিলো।কিন্তু সব গল্প এভাবে আগায় না।এই শহরে নির্মমতার গল্পই বেশী,স্বার্থপরতার গল্পই বেশী।
নিদারুণ অর্থ কষ্টে পড়ে টিউশনি খোঁজার চেষ্টা চালাতে লাগলাম,এই শহরটা কেমন জানি বেশীই রুক্ষ।মায়ামমতা, সহমর্মিতা সব উড়ে গেছে বাষ্প হয়ে।সারাদিনে তিনটা টিউশনি করাতাম,বিকেলে টিউশনি তে গিয়ে প্রথম যেদিকে আশা করে থাকতাম ত হলো নাস্তা কখন দিবে,সকাল দুপুর আধ খাওয়া, না খাওয়া পেটে ওই হালকা নাস্তা গোগ্রাসে গিলতাম লজ্জার মাথা খেয়ে।এই পৃথিবীতে অনেক কষ্ট আছে,অনেকের অনেক দুঃখ আছে,কিন্তু না খেয়ে থাকার মতন কষ্ট আর একটাও নেই।রাতে টিউশনি তে আমি বেশী করে পড়াতাম,রাতের খাবারের সময় হয়ে এলে কোনকোনদিন খেয়ে যেতে বলতো,ভুল করেও কোনদিন আমি না বলি নি।
সারাদিন চাকরি খুঁজে,টিউশনি করিয়ে রাতে মেসের ঘুপচি রুমে ফিরে বিছানায় শরীর টা এলিয়ে দেবার সাথে সাথে ঘুমে চোখ জড়িয়ে যাবার কথা ছিলো।অদ্ভুত কারণে ঘুম আসতো না।আমি ভাবতাম,কতশত ভাবনা ভাবতাম।কোনটার সাথে কোনটার যোগ নেই,বাড়ির কথা ভাবতাম,নিজের কথা ভাবতাম।দুনিয়া কাওকে এত কিছু দেয়,কাওকে কিছুই দেয় না।
সময়টা খুব অদ্ভুত গেছে তখন,অনার্স পাশ করা একটা ছেলে যেকোন চাকরি করতে প্রস্তুত ছিলো।পিওনের চাকরি করতেও আমার আপত্তি ছিলো না,কিন্তু আপত্তি ছিলো যারা চাকরি দেবে তাদের।এস এস সি পাশ লোকটাও বেশী যোগ্য ছিলো তাদের কাছে,হোক সে মামার সুবাদে বা নোটের।যার কোনটাই আমার ছিলো না।
ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়ি যেতো,আমি ফাঁকা ঢাকা শহরে একা থাকতাম,ওই সময়টা ভালো যেতো।আমি হাঁটতাম,পাগলের মতন হাঁটতাম,উদ্ভ্রান্তের মতন হাঁটতাম,কখনো কখনো মালিবাগ রেলক্রসিং এর পাশে বসে বসে হিসেব কষতাম,এই এত্ত ভারী একটা ট্রেন আমার ৬০ কেজি ওজনের শরীর ওপর দিয়ে গেলে কি ঘটবে?ভর দুপুরে মাঝে মাঝে পিচ ঢালা রাস্তায় আগুন গরম রোদে হাঁটি,মাথার উপরে কৃষ্ণচূড়া ফুটে থাকে,মনে হয় আগুন ধরে গেছে।গাছে গাছে আগুন।
বিসিএস এর ভাইভা দিয়েছি বহু আগে,ভাইভা দিয়ে আর কোন হিসেব রাখি নি,খোঁজ নেই নি।এক বিকেলে ঘুম থেকে উঠে মেসের ভেতর শুনি বিসিএস এর চূড়ান্ত রেজাল্ট দিয়েছে বলে আলোচনা হচ্ছে,আমার এসবের যোগ নাই,টিউশনির জন্যে বের হয়ে এলাম।সারাদিন কাজ করে রাতে খুব অনিচ্ছায় কিন্তু কেন জানি রেজাল্ট টা ডাউনলোড করে দেখলাম। মোঃ সিফাত হোসেন বিসিএস,সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার রোল টা দেখলাম।মিলে যায়।কিভাবে কিভাবে জানি মিলে যায়।
আমি কয়েকবার মিলালাম,আসলেই শিওর হলাম তারা ভুল না করলে এটা আমি,আমার রোল।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রজাতন্ত্রের একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে এই না খেয়ে,পানি খেয়ে,ধার করে খেয়ে থাকা ছেলেটা আজ সুপারিশকৃত। সিগারেট হাতে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিলো,ভেতরে আরো পুড়ে যাচ্ছিলো বুক।মানুষের খুশীর খবর বলার মানুষ থাকে,অথচ এই মুহুর্তে ঘটে যাওয়া খবরটা বলার মতন আমার কেউ নেই। বাড়ির সাথে একদম যোগাযোগ নেই আজ কতগুলো মাস,সিম বদলে, ঠিকানা বদলে ফেলেছিলাম।বাড়ি কী যাবো?
আমি বসে আছি শৈলীর কবরের সামনে,শৈলীর কবরেও মসেরা সংসার পেতেছে,আগাছা বেড়েছে,জঞ্জাল গজিয়েছে।শৈলী মারা গেলো এক বৃষ্টির দুপুরে,পিচের রাস্তায় মাথাটা পড়ে মগজ রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলো চারিদিকে,চোখে ছিলো একই সাথে প্রগাঢ় অভিমান আর বিষ্ময়।শৈলী আমার ছোটবোন,আমার একমাত্র ছোটবোন।আমাদের ভাঙাচোরা গরীব ঘরে ভুল করে জন্ম নেয়া চাঁদের আলো।গরীব ঘরের মেয়েদের বিয়ে দ্রুত দিতে হয়,আব্বা তার এস এস সি পাশের আগেই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলো,আমার তখন অনার্স শেষ করে বেকার জীবন।শৈলী আমাকে বলেছিলো ভাই আমি বিয়া করবো না এখন,তুমি ইট্টু আব্বারে বুঝায় কও না,আমি তখন আব্বার বোঝা।আমার কথা শোনার কোন যুক্তি ছিলো না,তিনি শোনেন ও নি।গরীব পিতা কন্যাদ্বায় গ্রস্থ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বছর চল্লিশের বিপত্নীক পয়সাওয়ালা এক লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করেছিলো।
শৈলীর ভালো থাকার কথা ছিলো না,সে ভালো থাকে নি।প্রিয় ঝুম বৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে মুক্তি চেয়েছিলো সে,আচ্ছা লাফ দেবার সময় আমার ছোট্ট বোনটা কি কাঁদছিলো? বৃষ্টিতে চোখের পানি আলাদা করা কি যায়?
আমার পোস্টিং হয়েছে ময়মনসিংহ এর আনন্দমোহন কলেজে।আমি ছাত্রদের রসায়ন পড়াই,সাথে জীবনটাকেও পড়াই,রসায়নে ফেল করলে সুযোগ আছে,জীবনে ফেল করলে কী হবে? আব্বা মারা গেছেন বছরখানিক।আব্বা মারা যাবার আগে এতটুকু জেনে গেছেন তার ছেলে অতটা অপদার্থ ও না।
সারাদিন ছাত্রদের পড়াই,বিকেল হলে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে বসে থাকি। একদিন ঠিকমতো খেতে না পারা আমার ফ্রিজ ভর্তি খাবার,জুতো ধার করে বিসিএস দিতে যাওয়া আমার কয়েক জুড়া জুতো।চাকরি পাবার পর সেই চা এর দোকানদার মামাকে ২৬ টাকা বাকী শোধ করতে গিয়েছিলাম,চেনেন নি তিনি আমাকে।খুব স্বাভাবিক ভাবেই টাকা নিয়েছিলেন।
জীবন একদিন বদলে যায়,দেরীতে হলেও হয়তো।কিন্তু এই দেরীর মাঝে যে মানুষগুলো র উপস্থিতি দরকার ছিলো জীবনে,তারা হয়তো হারিয়ে যায়। রাতে ফিরে আসি ঘরে,মা রান্না করে,আমি খাই।মাঝে মাঝে মায়ের কোলে মাথা রেখেই চোখ বুজে শুয়ে থাকি।আর ভাবি।এই শহর সত্যমিথ্যা কে গলাগলি বেধে গল্প বানায়,শহরতলীর গল্প।