ট্রেনের হুইসেল কানে বাজার সঙ্গে সঙ্গেই হৃদয় তড়িগড়ি করে ছুটে যায় অাগত ট্রেনের কাছে।ভীষণ ছটপট করতে থাকে সে।এ বগি থেকে ও বগি দৌড়ঝাঁপ করতে শুরু করে।প্রত্যেকটা বগি, নামার রাস্তা তন্নতন্ন করে খুঁজে কিন্তু কোথাও তার নীলিমার দেখা নেই।হঠাৎ পিছন থেকে কাউকে নীলিমার মত মনে হলে ভৌ দৌড় দেয় হৃদয়। ওই ভদ্র মহিলার সম্মুখপানে দাঁড়ায় কিন্তু বরাবরের মতই সে হতাশ।অতঃপর বিড়বিড় করে বলে- “না এতো অামার নীলিমার নয়।তবে কি এবারও অামার নীলিমা অাসেনি।”
কয়েক মিনিটের মধ্যেই যাত্রী নেমে ট্রেন শূন্য হয়ে যায়।হৈচৈ সামান্য কমে যায়।যার যার গন্তব্যে ছুটে যায়।হৃদয় একপাশে গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অার নীরবে চোখের জল ফেলতে থাকে।কেন তার সাথে এমন করল নীলিমা।নীলিমা তো এমন মেয়ে না।ও নিশ্চয় অাসবে পরের ট্রেনে।একবুক অাশা নিয়ে পরের ট্রেনের অপেক্ষায় থাকে সে।পরের বার যখন ট্রেন অাসে তখন হৃদয় অারো বেশি করে খুঁজে কিন্তু জুটে কেবল হতাশা।নিরাশ হয়ে বলে- ” দূররর কাল থেকে অার খুঁজবোই না”।
রাগটা মুখে প্রকাশ করে, কাজে কর্মে কাঁচকলা।তাইতো পরদিন অাবার ঠিকই খুঁজে।না খুঁজে পারেও না। মেয়েটাকে যে বড্ড ভালোবাসে সে।কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনা মেয়েটা কেন অাসছে না।দিন রাত স্টেশনেই কাছেই পড়ে থাকে সে।তার মাথায় অার কোনকিছু নেই।শুধু নীলিমার কথায় মনে অাছে।ও সেদিন স্টেশনের কাছেই দাড়াঁতে বলেছিল হৃদয়কে।ওই স্টেশন থেকে এখনো এক ঘন্টার জন্য নড়েনি সে।পরপর দুইটা বছর কেটে যায়।কত হাজারবার ট্রেন এল গেল অথচ নীলিমা নামের মেয়েটা অার এল না।তবুও হৃদয়ের অপেক্ষা থামে না।চলতেই থাকে।
গল্পটার শুরু অাজ থেকে দুইবছর অাগে।রাত দিন সবই অাগের মত হয় শুধু পাল্টে গেছে দুটো জীবন সেই সাথে সময়।হৃদয়, পুরো নাম হৃদয় মাহমুদ।দেখতে সুন্দর, স্মার্ট, মধ্যবিত্ত। সে একসময় ভালোবাসার পাগল ছিল, অাজ শুধুই পাগল।পাগলটা ঠিকই অাছে অাগের মত কেবল ভালোবাসাটা নাই।ভালোবাসা, সাথে ভালোবাসার মানুষগুলো থাকলে সে পাগল উপাধি পেত না।নোংরা ডাস্টবিনে পরিণত হত না।লোকজন নাকে হাত দিয়ে থুথু ফেলত না।পাগল কেউ ইচ্ছে করে হয় না।তবে হ্যা অন্য কেউ ইচ্ছে করে পাগল বানাতে পারে।
গল্পের অন্য প্লট জুড়ে অাছে নীলিমা।পুরো নাম নাদিয়া অাফরোজ নীলিমা।দেখতে সুশ্রী, মায়াবী, উচ্চবিত্ত।বাবা-মার অতি অাদুরে কন্যা।বাবার অফিসের বদলির সাথে স্কুল বদলি করতে হয় তাকে।ঢাকা থেকে এবার চট্টগ্রাম মহকুমার একটা গার্লস হাই স্কুলে নাম উঠে তার।ক্লাস এইটে গোল্ডেন প্লাস থাকায় কাজটা অনেকাংশে ইজি হল।নতুন মুখ, নতুন স্হান, নতুন পরিবেশ নীলিমাকে এক ভিন্ন ভুবনে প্রবেশ করিয়ে দিল।কয়েকদিনের মধ্যেই সে দুয়েকটা মনমত বান্ধবী পেয়ে যায়।
চট্টগ্রামের পরিবেশ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তার ভালো লেগে গেল।বান্ধবীদের কাছ থেকে এখানকার অাঞ্চলিক ভাষাও অালতো অালতো শিখে নিয়েছে সে। ওগুলো সবসময় বলে বলে অানন্দ পায় নীলিমা।সব মিলিয়ে খুবই সুন্দরভাবে কাটছিল দিনগুলো।তবে একটা বিষয় নীলিমা ইদানিং খুব বেশি খেয়াল করছে।একটা মাঝবয়সি ছেলে তাকে ফলো করে।যদিও ছেলেটা এমন ভাব ধরে যেন সে অন্যকিছু করছে।কিন্তু নীলিমা বুঝতে পারে যে ছেলেটা অাসলে তাকেই ফলো করছে।কারন প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে মেয়েদের সিক্স সেনথ ছেলেদের চাইতে অনেক বেশি স্ট্রং।
নীলিমারা যে বাসায় উঠেছে সেটা হৃদয়দের বাসার সামনেই।সেদিন হৃদয় দেখে বেলকনিতে গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে অাছে একটা মেয়ে।সময়টা গোধূলি বিকেল সূর্য তখন ডুবুডুবু।মেয়েটার চেহারায় কি এক অপূর্ব অাভা ছড়িয়ে পড়ছিল।মেয়েটা একক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে।হৃদয়ের চোখে ঘোর লাগে।চোখ সড়ে না।হঠাৎ নীলিমা হৃদয়ের কান্ড দেখে শুভদৃষ্টির ভাঙ্গন ধরিয়ে রুমে ঢুকে যায়।তখনি মায়ার ঘোর কাটে হৃদয়ের।মোবাইল বের করে ফেসবুকে একটা পোস্ট লিখে- ” প্রথম দেখাতেই সে হৃদয়ে দিয়েছে দোলা, থাকতে ইচ্ছে করেনা অার একাকি একেলা।”
সেদিনের পর থেকে হৃদয় নীলিমাকে ফলো করতে শুরু করে।নীলিমা স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হলে একপলক দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে হৃদয়।স্কুল থেকে ফেরার সময়ও একই অবস্হা।হাবার মত তাকিয়ে থাকে নীলিমার দিকে।মাঝেমাঝে দুটো বেলকনিতে দুজোড়া চোখ এক হয়ে যায়।হৃদয়ের এমন মনে হয় যে নিলীমা কিছু শুনতে চায়।তবুও হৃদয় শুধু দেখে যায়। মুখে কিছু বলতে পারেনা।বলার সাহসও নেই।অার কেমন করেই বা বলবে কি অাছে তার না অাছে যোগ্যতা,না অাছে সামর্থ্য, না অাছে অর্থবিত্ত।কাউকে মনের কথা বলতে মনের মাঝে বেড়ে উঠা ভালোবাসা যথেষ্ট নয় কি।
এদিকে নীলিমা ছেলেটার প্রতি বিরক্ত হওয়ার বদলে অনুরক্ত হতে থাকে।নীলিমা ঢাকাতে বেশ কয়েকটা প্রপোজাল পেয়েছিল।কিন্তু প্রপোজালগুলো ছিল অত্যন্ত সাধারন মানের অর্থ্যাৎ প্রথমবার দেখেই প্রপোস।যা ছিল নিলীমার দেখা স্বপ্ন থেকে বহুদূরে।তার স্বপ্ন ছিল কেউ একজন তাকে ভালোবেসে পিছু নিবে, দিনে একবার হলেও তাকে দেখবে, তাকে এতটা ভয় পাববে যে প্রপোস করার সাহস পাবেনা।নিজের দেখা স্বপ্নের সাথে বাস্তবের ছেলেটার সাথে মিল খুঁজে পায় নীলিমা।পরক্ষণেই একটা মিষ্টি ভালোলাগার বার্তা বয়ে যায় তার হৃদয়ে অত্যন্ত সংগোপনে।
হৃদয় প্রতিদিনই মেয়েটাকে কিছু বলবে বলে বলে বাসা থেকে বের হয়।কিন্তু কাছে যেতেই সব গুলিয়ে ফেলে। সমস্যাটা দূর করতে হৃদয় একটা সিদ্বান্ত নিল।সে কাগজে লিখে দিবে মনের কথা।পরদিন নীলিমা যখন স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হল তখন হৃদয় একটা পিচ্ছি ছেলেকে ডেকে এনে কাগজটা দিতে বলল।নীলিমা কাগজটা হাতে নিয়ে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।হৃদয় মহাখুশিতে লাফিয়ে উঠল।নীলিমা একাকি পুরো চিটিটা পড়ল।শেষের দিকে একটা ফোন নাম্বার দেয়া অাছে।নীলিমা ভাবল নিশ্চয় ছেলেটা আমার উত্তরের অাশায় রয়েছে।
নীলিমা ধীর পায়ে গেল বেলকনির কাছে।ওপাশে চোখ বড় বড় করে দাঁড়িয়ে অাছে হৃদয়।হৃদয়ে হৃদয়ের প্রবল অাগ্রহ।ওপাশ থেকে কি অাসবে উত্তর হ্যাঁ নাকি না।নীলিমা কিছু বলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।হৃদয়ের দৃষ্টি অারো ক্ষীণ হল।বলছে, বলছে কিন্তু না।নীলিমা খিলখিল করে রুমে ঢুকে গেল।তার এই মধুর হাসি হ্যাঁ উত্তরের জানান দেয়।রাতে হৃদয়ের ফোনে নীলিমার কল।জমে উঠে প্রেম।রাতভর ফোন অালাপ, দিনভর চ্যাটিং, বেলকনিতে ইশারায় অনুভূতি বিনিময়, দুষ্টুমিষ্টি কথা বলা, সুযোগ বুঝে হাত ধরা, রাগ অভিমান খুনসুটিতে মেতে উঠে তারা।
খবরটা বেশিদিন চাপা রইলনা অার।নীলিমার বাবার কানে পৌঁছে গেল।তিনি হৃদয়ের পরিবারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন হৃদয়ের একটা পারিবারিক সমস্যা অাছে।ছোটবেলায় তার মা মারা যায় তারপর বাবা অাবার বিয়ে করে।এমন পরিবারের ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে মেয়েটা ভাবতেই গা ঘিনঘিন করে উঠে নীলিমার বাবা অাজগর সাহেবের।রাতে খাওয়া শেষে অাজগর সাহেব মেয়েকে ঘন্টা ধরে চেঁচায়,সমস্যার কথাটা বলে যাতে নীলিমা সড়ে অাসে।কিন্তু কথাটা অাগেই বলে দিয়েছিল হৃদয় নীলিমাকে।তাই নীলিমা খুব বেশি রিয়েক্ট করলনা। এককথায় নীলিমা হৃদয়কে ছাড়তে নারাজ।
অাজগর সাহেব দমেনি।হৃদয় নীলিমার প্রেমও কমেনি।অাজগর সাহেব বুঝতে পারে মেয়েকে এভাবে সায়েস্তা করা যাবেনা।তাই তিনি অন্য পথে পা বাড়ান।নিজের অফিসে একের পর এক অাবেদন করতে থাকে।শেষমেশ একটা অাবেদন লেগেও যায়।নীলিমার এসএসসি পরীক্ষা তখন প্রায় শেষের দিকে।অাজগর সাহেব মুখ খুলেন অার বলেন তার বদলির কথা।খবরটা শুনে নীলিমার মন খারাপ হয়।পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরদিনই ঢাকার গাড়িতে চেপে বসে তারা।অনিচ্ছা সত্বেও যেতে হল তাকে।
ওদিকে হৃদয় মন খারাপ করে বসে থাকে সারাদিন।মাঝেমাঝে বেলকনিতে এসে সামনের বেলকনিতে চেয়ে থাকে একমনে।নীলিমাই তাকে বেলকনিতে আসতে বলে।হৃদয় নীলিমার প্রেম ঠুনকো নয়।অাগের মতই চলছে।পার্থক্য শুধু প্রতিদিন চোখের দেখাটা হয় না।হৃদয় নীলিমাকে ছাড়া একমুহুর্ত কল্পনা করতে পারে না।এক জীবনে এত ভালো কেউ কাউকে বাসতে পারেনা।প্রায়সময় নীলিমাকে বলে- নীলিমা অামি তোমাকে না পেলে পাগল হয়ে যাব সত্যি।”
অাজগর সাহেব সেদিন মেয়ের প্রেম অালাপ শুনতে পায়।বুঝতে পারে মেয়ের প্রণয়ের সম্পর্ক এখনও সামান্য পরিমান কমেনি।তিনি এবার বৃহৎ চিন্তা করেন।পরিস্থিতি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে মেয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু করেন।ছেলে পক্ষের লোকেরা নিলীমাকে পছন্দ করে কিন্তু প্রতিবার নিলীমার কথা শুনে তারা পিছু হাটে।কিন্তু এভাবে আর কয়দিন।এভাবে তো বাঁচা যায় না।অাজগর সাহেব পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ওই ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে কখনই দিবে না। নীলিমা হৃদয়কে তার পারিবারিক ঝামেলার কথা বলে।হৃদয় খানিকক্ষণ ভেবে তারপর বলে- তুমি চট্টগ্রাম চলে অাস।।
– কেন?
– অামরা পালিয়ে বিয়ে করব।কয়েক মাস বাইরে থাকব। তারপর দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।
– অামি অাসব।
– শুন ট্রেনে করে অাসবা। অামি বটতলী স্টেশন থেকে তোমাকে রিসিভ করব।অার হ্যাঁ কেউ যেন টের না পায়।
– হুম।এখন রাখলাম।পরে কথা হবে।
-আচ্ছা।
নিলীমা চুপিচুপি যাবতীয় কাপড়চোপড় গুছাতে শুরু করল। নীলিমার ট্রেনে ছড়ার একদমি অভ্যাস নেই।কিন্তু হৃদয়ের জন্য অভ্যাস করতে হবে।সেদিন দুপুরবেলা ঝোঁপ বুঝে খোপ মারে নীলিমা।ব্যাগপত্র সব অাগে থেকেই গুছানো ছিল।শুধু অাস্তে করে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ার অপেক্ষা।কয়টার ট্রেনে উঠবে সেটা বলে দিল হৃদয়কে।যাওয়ার সময় মোবাইল বন্ধ করে রেখে গেল যাতে কেউ তাকে খুঁজে না পায়।নিঃশব্দে বাসা ছাড়ে নিলীমা।মিনিট দশেকপর বাসায় সব জানাজানি হয়ে গেল।খবর দ্রুত অাজগর সাহেবের কানে পৌঁছে।
চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেল।অাজগর সাহেব যাচ্ছেন স্টেশনের দিকে।ঠিক চারটার সময় ট্রেন ছাড়বে।সময়টা কিছুতেই ফুরোচ্ছেনা।মাত্র পাঁচ মিনিটকে পাঁচশ মিনিটের মত মনে হচ্ছে নীলিমার।সে জানালা দিয়ে বাইরে তার বাবার মত কাউকে দেখতে পায়।হ্যাঁ তার বাবাই।কেমন পাগলের মত লাগছে অাজগর সাহেবকে।লাখ টাকা ঋন থাকলেও এতটা চিন্তিত দেখায় না কাউকে।এদিক- সেদিক তাকিয়ে হাঁটছে,সামনের দিকে একদমি তাকাচ্ছেনা।থেমে থাকা রিক্সার হুডে ধুপ করে ধাক্কা খেল।ব্যাথা পাওয়ার কথা।কিন্তু না অাজগর সাহেবের কোন বিরক্তি নেই।একবার হাত দিয়েও দেখেনি সেখানে।
নীলিমার মায়া হল, ভীষন মায়া।যেটা গত সতেরো বছরে বিন্দুবিন্দু জমেছিল।এদিকে হৃদয় সেও তো গত দুবছরে অনেকটা জুড়ে নিয়েছে।একদিকে বাবা অন্যদিকে হৃদয়।কি করবে নীলিমা।কাকে ছেড়ে কার কাছে যাবে সে।ভেবে পেল না।অাজগর সাহেব বারবার মেয়ের নাম্বারে ডায়াল করছে কিন্তু প্রতিবারই তা বন্ধ শুনাচ্ছে।অাজগর সাহেব বুঝতে পারে নিজের ভুল।ভাবেন মেয়ের সাথে এমন করা মোটেও ঠিক হয়নি।বড্ড দেরি করে ফেলেছে বোধই বুঝতে।
পরের স্টেশনে মুক্ত অপেক্ষা করছে হৃদয়।কোথায় থাকবে, কি করবে সব পরিকল্পনা করে নিয়েছে সে।এখন শুধু নিলীমা অাসার অপেক্ষা।সময় হয়ে এল। ট্রেন চলে এল।নীলিমাকে প্রাণপনে খুঁজছে হৃদয়।নীলিমার নাম্বারে কল করে বন্ধ পায়।স্টেশনের প্রতিটা জায়গায় খুঁজেও নীলিমাকে দেখতে পাইনি।তবে কি সে অাসেনি।কিন্তু ও তো অাসবে বলেছিল।নিশ্চয় পরের ট্রেনে অাসবে।গত দুইবছরেও অার অাসেনি।হৃদয় ঠিক জানেনা নিলীমা অাসবে কিনা।তবুও তার অপেক্ষা থামেনা। সময়ের পরিক্রমায় তার মাথার চুল, দাঁড়ি, গোঁফ বাড়তে থাকে।সেই সাথে ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে অপেক্ষার প্রতিটা প্রহর। সত্যিকারের ভালোবাসা হারায় না রয়ে যায় দিনশেষে, কখনও গল্প উপন্যাসের পাতায় নয়ত পাগলের বেশে।