আপু, এই আপু। আপুউউ (নিরব) উফফহু, কি শুরু করলি ভাই। কি হয়েছে??(তুলি) আরে, শোনো না, (নিরব) তুলি এক চোখ খুলে, কি হয়েছে?? নিরব আংগুল দেখিয়ে, ১ এ যাবো ত (নিরব) দেয়ালে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে, ৪ টা বাজে, তারপর আবার নিরবের দিকে তাকিয়ে, ভাই এক কাজ কর।(তুলি) শোন, এখন ত ৪ টা বাজে আর ১ ঘন্টা পড়েই একদম সকাল হয়ে যাবে, তুই আর এক টা ঘন্টা চেপে রাখ হুম ভাই। (তুলি) আপু, কি বলো তুমি?? ১টা ঘন্টা ত দুরের কথা। ১ সেকেন্ড ও টিকবে না।(নিরব)
আরে শোন টিকবে টিকবে। আর তুই আমার কথা অমান্য করছিস, থাম কাল সকাল হোক তারপর তোরে দেখাইতেছি মজা, আব্বুকে বলবো (তুলি কথা বলেই চলেছে,) নিরবের ১ এর বেগে মুখের অবস্থা খারাপ হয়ে গিছে, আপু চুপ যাও। নইলে কিন্তু খারাপ হবে। আরে খারাপ ত হবেই, কাল তোরে বাবার কাছে নালিশ দিয়ে মাইর খাওয়ামু।(তুলি) একটু পর, তুলি আর কথা বলতে পারে না, গন্ধে নাকটা চেপে ধরে, এটা কি হলো রে??গন্ধ আসে কত্তে??(নাক চেপেই কথাটা বলে তুলি) আহ, কি শান্তি। আপু তোরে আগেই কইছিলাম চল আমারে নিয়া যা, নিলি নাতো, এবার কাল তোর নিজের কথা ভাব। মানে?? কি করছিস তুই??(তুলি) নিচের দিকে তাকাও আপু…(নিরব) তুলি নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর বিছানার কিছুটা অংশ পানি জাতীয় কিছুতে ভেজা। তারমানে, তুই??(তুলি নিরবের দিকে রেগে গিয়ে) হ আপু, ছেড়ে দিয়েছি।( দুষ্ট হাসি দিয়ে দৌড় দিলো) তুলি নিজেও দৌড়ে গেলো, কিন্তু তার আগেই নিরবের রুমের দরজা লক করা হয়ে গিছে।
পাশাপাশি ২ রুম। ডান পাশের টা তুলির আর বা পাশের টা নিরবের। আর ২ জনের রুম ছেড়ে কিছুটা দক্ষিণে, ওদের বাবা নিজাম মাহবুবের রুম। আজ রাত্রে সনি আটে, আহট দেখে নিরব(১৩ বছর, কিন্তু এতটা লাম্বা হয়েছে যে মনে হই ওর বয়স ২১) ভয়ে রুমে থাকতে পারেনি। তুলি এবার অনার্স ২য় বর্ষে। বাবা ও বাসায় নেই। থাকলে বাবার ঘরে থাকতো ও। অগত্য উপায় না পেয়ে তুলির রুমেতেই নিরবের ঠাঁই হলো। তুলি চাইছিলো নিচে ঘুমাতে, কিন্তু নিরব এতটা ভয় পেয়েছিলো যে এক বিছানাতে মাঝখানে বালিশ দিয়ে রাত টা পার করার সিদ্ধান্ত নিলো।কিন্তু হ্রামি নিরবটার জন্য তুলির ঘুমের ১৩ টা বেজে গেছিলো, একটু পর পর ভয় পায় আর ঘুমন্ত তুলিকে ডেকে, আপু, ও আপু, জেগে আছো??(নিরব) উত্তর যদি না নেয় তুলি ত যতক্ষণ না উত্তর নিবে ততক্ষণ অবধি ডাকতে থাকবে।
তুলি বাহির থেকে নিরবের ঘরের দরজাতে কয়েকটা লাথি দিলো, তোরে আমি খুন করবো, ভিলেন মিশা সওদাগর, ডিপজল, আর….(তুলি) আর শাকিব খান, দেব, জিত(দরজার, ওপাশ থেকে নিরব) ভিলেনের মধ্যে নায়কদের টানলি কেন??(তুলি) কারন আমি আমার কাছে নায়ক, তুমার কাছে ভিলেন। আহ আপু, তোমার কি ভাগ্য দেখছো?? তুমি একসাথে ভিলেন আর নায়কের আপু(নিরব হেসে দেয়) এদিকে তুলি আর কয়েকটা লাথি দিয়ে, বেডের কাছে চলে আসে। ইসসস কি গন্ধ। তুলি বেড থেকে বালিশ টা নিয়ে, ফ্লোরে চাদর বিছায়ে শুয়ে পড়লো। সকালে, আপু চল।(নিরব) কোথায় যাবো??(তুলি) আমার স্কুলে আজ স্পর্টস। আমি খেলা দিবো ৩ টা। তুমি দেখবা না??(নিরব) নাহ, দেখবো না। আমার ঠেকা পড়ছে যেতে। উনার খেলা আর আমি যাবো হুম বলেই মুখ বাকা করলো) নিরব কিছু মনমরা হয়ে গেলো তারপর স্কুলে চলে গেলো। যাওয়ার পথে ভাবতে লাগলো, আম্মু বেচে থাকলে নিশ্চয়ই আসতো। আপু বুঝলো না কেন?? ও থাকলে আমি শক্তি পেতাম, সাহশ পেতাম(নিরব)তুলি যত দ্রুত পেরেছে নিজের হাতের কাজ শেষ করেছে। ওর নিজের কলেজে একটা জরুরি কাজ আছে কিন্তু নাহ আজ যাবে না কলেজে।
নিরবের স্কুলে, দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হউয়ার আর কয়েকমিনিট বাকি, নিরব লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, ওর চোখ শুধু ওর আপুকেই খুজছে। স্যার ১০ থেকে উল্টো গুনতে শুরু করলো, তখনি তুলি নিরবের সামনে বাঁশের বেড়ার আড়ালে থেকে ওকে ডাক দিলো। নিরব তাকিয়ে দেখে ওর আপু এসেছে, ও এতটা খুশি হয়েছে যে পেছনের সবজনকেই অনেক পেছনে ফেলেই ও ১ম হই। ২য় খেলা লং জাম্প। তুলি নিরবকে বারন করেছে লং জাম্প দিতে, কিন্তু নিরবের একি কথা ও দিবেই। একপর্যায়ে তুলি রাগ করে চলে আসতে নেয়, কিন্তু নিরবের জোরাজুরি তে আর আসতে পারে না। তাই অনিচ্ছা সত্তেও থেকে যায়। ওদিকে ২ বার জাম্প হয়ে গিছে দেয়া, এইবারি ফাইনাল জাম্পদিতে হবে। নিরব যেই কয়বার জাম্প দিয়েছে ততবার তুলি মনে মনে দুয়া ইউনুস পড়তে থেকেছে। ৩য় বারের লং জাম্পে নিরব ১ম না হলেও ২য় হই। ১ম হতে পারেনি কারন ওখানে ইঁদুরের গর্ত ছিলো হইতো আর যার মধ্যে পা গিয়ে ওর ১ম হউয়াটা ভেস্তে যায়।
নিরবের পড়ে যাওয়া দেখে তুলি দৌড়ে যায়, নিরব কিছু হইনি এমন ভাব করে উঠে পড়ে। তোর কিছু হইনি ত নিরব??(তুলি) আরে নাতো, কিছু হলে উঠে দাড়াতে পারতাম বলো??(নিরব) তুলি চিন্তা করলো তাও ত ঠিক। ৩য় নাম্বারের খেলা ছিলো ৪০০ মিটার দৌড়। নিরব পাশেই একটা চেয়ারে বসে ছিলো। তুলি এসে নিরবকে ডেকে, ভাই তোদের গ্রুপের(নিরব লাম্বা জন্য A গ্রুপে বড়দের সাথে খেলার সুযোগ পেয়েছে) খেলা শুরু হবে। চল আ, আপু…(,নিরব) তুলি পেছনে নিরবের দিকে তাকিয়ে, নিরব, ভাই আমার। তোর কি হইছে?? চোখে পানি কেনো তোর নিরব??(তুলির চোখে মুখে ভয়। তুলির কলিজার টুকরা ভাই নিরব। ওর একটু কষ্টে তুলি কষ্ট পায় তার ৫ গুন।) নিরব ওর পা সামনে তুলির দিকে আগায়ে দিলো। নিরবের পা দেখে তুলির চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। পুরো কালসিটে পড়ে গিছে আর একটা পা ই ২ টো হয়ে গিছে এমন মনে হচ্ছে।
তুলির চোখের পানি পড়ছে নিরবের পায়ের উপর, আপু কি করছো এটা??(নিরব) তুলি নিরবের দিকে তাকায়ে, ভাই, তোর কষ্ট হচ্ছে বল??(তুলি) নিরব দেখলো আপুকে সত্য বললে আপু আরো কান্না করবে তাই হালকা হেসে, একটুও না। তবে আপু৷ এই দৌড়টা আমি দিতে পারবো না আপু তোর কোনো দৌড় আর দিতে হবে না। তুই চল বাসায় চল…(তুলি) আপু আমার প্রাইজ??(নিরব) ওইটা আমি স্যারকে বলে দিবো, রেখে দিতে পড়ে এসে নিয়ে যাস। নিরব আর কিছু বললো না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে তুলির কাধে ভর দিয়ে বাসায় চলে এলো। গ্রামের মেঠো পথ ২ দিন পর পর ট্রাক এসেই পথ গুলোর ১২ টা বাজায় দেয়, জায়গায় জায়গায় এমন গর্ত হয়ে গিছে যে ভ্যানচালক আর অটোচালক রা ট্রাক ড্রাইভার দের ১৪ গুষ্ঠিদের কেও গালি দিতে থাকে। নিরব হেসে দেয় এগুলো শুনে, তুলি নিরবের মাথায় টুকা দিয়ে, চুপ একদম। নিরব তখন মুখে আংগুল দিয়ে, চুপ নিরবকে আবার তুলি প্রশ্ন করে, ভাই, ব্যাথা করছে??(তুলি) তুলির দিকে নিরব তাকিয়ে, ওর চোখেতে পানি চলে আসে। নিরবের চোখে পানি দেখে তুলি ভাবে হইতো নিরবের ব্যাথা করছে, ভ্যানচালক কে থামতে বলে।
এই রাস্তাতে গাড়ি চালানোর সময় এমনিতেই ভ্যানচালক দের মন মেজাজ ভালো থাকে না, তারপর আবার তুলির কথায় মেজাজ চরম বিরক্তের পর্যায়ে চলে যায়। কিন্তু তুলি সেগুলোর কোন কিছু তোয়াক্কা না করে, প্রায় ৩ মিনিটের পথে ফেলে আসা ডাক্তারের দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে আসে। দৌড়ানোর কারনে হাঁপাতে থাকে তুলি। নিরব তুলির কাজ দেখে চুপ করে আছে। আর মায়ের কথা ভাবছে, আম্মু কি আমায় এমন করে ভালোবাসতো??(নিরব)রাত্রে পা’ য়ের ব্যাথার কারনে নিরবের শরীরে জ্বর এসে যায়। সারারাত নিরবের মাথায় জলপট্টি দেয় তুলি। নিরব কিছুটা চোখ খোলার চেষ্টা করলে দেখে তুলির চোখ ফুলে গিছে আর লাল হয়ে গিছে। নিরব হালকা হাসি দেয়। আর মনে মনে ভাবে, এত ভালোবাসা ছেড়ে এত সহজে যেতে চাই না মালিক। সকালের দিকে নিরবের জ্বর কমে যায়। আবার দুষ্টমিতে মেতে উঠে দু ভাই বোন। প্রতিদিন সকালে রান্নার কাজ শেষ করে তুলি নিরবকে রেডি করে দিয়ে স্কুলে পাঠায় তারপর ও নিজে কলেজে যায় আপু, এখন ত আমি একাই পারি রেডি হতে,,, বড় হয়ে গেছি না হুম (নিরব) ওরে আমার বড় ভাই আসছে।
ত দাদাভাই, আপনাকে যদি আমি রেডি করে না দেয় আপনার চুলের যে তেরেনাম কাটিং দিবেন নে, সেটা দেখে পুরো মেয়েরা ক্রাস খাইয়া যদি আমার বাবার এই একটা ঘরে এসে উঠতে চাই তখন কি হবে শুনি?? এত বড় ক্ষতিত আর হতে দিতে পারি না তাই না(তুলি হেসে দেয়) নিরব নিজেও হেসে দেয়, আপু। তুমিও না। হই হইছে আর লজ্যা পায়তে হবে না, আইছে আমার লজ্যাবতী (তুলি) আপু, ব্যাকরণে ভুল করছো কিন্তু লজ্যাবতী মেয়েরা হই, আমরা হলাম লজ্যাশীল পুরুষ। (নিরব হেসে দিলো) আমার ভাইটা দেখি অনেক চিক্কিত হয়ে গিছে(তুলি) আপু চিক্কিত না, শিক্ষিত বলো।(কিছুটা ভাব নিয়ে) হইছে হইছে৷ এখন যাও। স্কুলের দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। হ্যা আপু, আসি বলে চলে যেতে নেয় নিরব কিন্তু পেছনে ফিরে, আপু টিভির রুমের সুইচে হাত দিস না। প্লাকে সমস্যা হচ্ছে। শর্ট দিচ্ছে কিন্তু। আর আজ ত বাবার আসার কথা, বাবাকে বলিস ম্যাকানিককে সাথে আনতে।(নিরব) আচ্ছা বলবো, এখন যা।(তুলি) আপু, (নিরব) তুলি পেছনে তাকিয়ে, কি হয়েছে আবার??(,তুলি) কপাল টা দেখিয়ে, চুমু দিবে কে??(নিরব) তুলি অবাক হয়ে, কাজের ব্যাস্ততায় ভুলেই গিছে। হালকা হেসে তুলি নিরবের কপালে চুমু দেয়।
নিরব পরম মমতায় সেই আদর গ্রহণ করে, তারপর চলে যেতে থাকে, কিন্তু যেতে যেতেও বলতে থাকে আপু, প্লাকে কিন্তু হাত দিবি না আপু। তুলি পাগল বলে হেসে দেয়। কলেজের বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে তুলির আজ অনেকটা লেট হয়ে গিছে। রাস্তাতে ভ্যানে উঠতেই বাবার সাথে দেখা। বাবা, তুমি কেমন আছো??(আনন্দে চোখ উজ্জ্বল হয়ে গিছে তুলির) নিজাম মাহবুব মেয়ের মাথায় হাত রেখে অনেক ভালো মা। তুই কেমন আছিস?? আর নিরব টা?? অনেক ভালো আছি বাবা। নিরবের পায়েতে একটু প্রব্লেম হইছে, আজ খোড়াইতে খোড়াইতে স্কুলে গিছে জানো বাবা। (তুলি) কি হইছে মা?? ওই জাম্প করতে গিয়ে, পা মচকে গিছে(তুলি) আরো হাজার টা কথা বলতে বলতেই বাসায় আসে বাবা আর মেয়ে। গেটে ঢুকেই তুলি আগে নিরবকে ডাকে, কিন্তু নিরবের কোন সাড়া পায় না তুলি।
সব ঘর খোলা তারমানে নিরব বাড়িতেই আছে, কিন্তু আমার ডাকে উত্তর দিলো না কেন??(জোরেই বললো তুলি) আবার হইতো মজা করছে মা(নিয়াজ মাহবুব) তুলির মনটা কেমন যেনো করছে, প্রত্যেক টা ঘর ও খুজলো কিন্তু পেলো না নিরবকে। হঠাত কিছু একটা মনে পড়তেই ও দৌড় দেয়। নিয়াজ মাহবুব অবাক হয়ে যায়। তুলি এমন করছে কেনো?? তুলি দৌড়ে টিভির ঘরের সামনে গিয়েই, থ হয়ে যায়। বাবা নিয়াজ মাহবুব নিজের চোখে যখন ছেলেকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে, তখন নিজেকে সামাল দিতে না পেরে পড়ে যেতে নেয়।তুলি দৌড়ে গিয়ে নিরবকে জাপটে ধরে। নিরবের মুখ থেকে গ্যাজ বেরোয়ে গিছে। পুরো শরীর কালো হয়ে গিছে।তুলিরআহাজারিতে পাশের বাড়ির সবাই ততক্ষণে এসে পড়েছে।বাবা এম্বুলেন্স ডাকো না কেনো, ও বাবা, তাড়াতাড়ি করো। (তুলি) নিয়াজ মাহবুব বুঝে গিছেন তার ছেলে আর নেই, মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে, ধৈর্য ধর মা। বলতেই উনি কেঁদে দিলেন। তুলি পাগলের মতো হয়ে যায়। কয়েকবার জ্ঞান ও হারায়। জ্ঞান ফিরতেই ওর আহাজারি আর কান্নায় ভারি হয়ে উঠে আশপাশ।
কিছুসময় আগেঃ নিরবের আজ কেমন যেনো ভাল্লাগছে না তাই স্কুল থেকে আগেই বাসায় চলে এসেছে। মন ভালো না থাকার কারন, ক্লাসের একটা ছেলে ওর মাকে নিয়ে বকা দিয়েছে। যার জন্য মারামারি ও করছে। মুখেতে নিরবের দাগ দেখে বোঝায় যাচ্ছে ছেলেটা জোরেই থাপ্পড় দিয়েছে নিরবকে। টিভির রুমেতে বসে এসব চিন্তা করতে করতে ভুলেই গেছিলো প্লাকে প্রব্লেম আছে। সুইচ দিলেই শর্ট লাগছে। মন ভালো করার জন্য যেই মাত্র সুইচ দিয়েছে আর অমনি শর্ট লেগে যায় নিরবের গায়ে। প্রায় অনেক্ষণ সুইচের সাথে লেগে ছিলো ওর শরীর তারপর ছিটকে পড়ে ফ্লোরে।
প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে হইতো বাঁচানো যেতো কিন্তু তুলি আর বাবা আসে প্রায় আধাঘন্টা পরে আর তারপর ত আজ ৩ দিন হচ্ছে নিরবকে কবর দেয়া হয়েছে বাড়ির পাশে কবরস্থানে। মায়ের পাশেতেই শোয়ানো হয়েছে নিরবকে। তুলির চোখেতে আর পানি নেই। হইতো শুকে গিছে। শুধু সারাক্ষণ নিরব নিরব বলে। আর মাঝে মাঝে পাগলের মতো নিরবকে খুজে,ভাই, কই তুই?? নিরব ভাই আমার। ভাই আয় না, আমরা একসাথে ভুতের নাটক দেখবো। তোকে আর ভয় দেখাবো না আমি। নিরব, ভাই আমার, আয় না ভাই তুলির ডাক ব্যর্থ হয়ে বার বার ওর কাছেই ফিরে আসে৷ প্রতিউত্তর পায় না তুলি। কারন উত্তর দেয়ার মানুষ টা যে আর নেই।