ইচ্ছা আত্ম তৃপ্তির বিষয়। সবার মাঝে ছোট-বড় অনেক ইচ্ছা বসবাস করে। প্রায়ই সবার মতো, ইচ্ছার পূর্ণতা জীবনের সফলতা। দরিদ্র পল্লীর সেই কিশোর ছেলেটির যেমন কিছু ইচ্ছা থাকে তেমনি সুউচ্চ অট্টালিকায় বসবাসকারী সাহেব পদবীধারী ব্যক্তি ও তাদের সন্তানদেরও রয়েছে কিছু ইচ্ছা।
অর্থ নামক বস্তু সব সাধের পূর্ণতা দিতে না পারলেও এক আধটু সাধ নিশ্চয়ই মিটিয়ে থাকে। এদিক থেকে পিঁছিয়ে আছে হত দরিদ্র পরিবারের কিশোর-কিশোরী। আজ তারা বস্তিতে বসবাস করে বলে তাদের নিম্ন চোখে দেখে কিছু নিম্ন মানবমনের লোকে। তাই তাদের অকালে অজস্র শ্রমের মাঝে প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে। সুযোগটা যদি আমাদেরকেও দিতে, তবে হয়ত কিছু করে দেখাতাম। যদি এটা আমার ও আমাদের অধিকার। কিন্তু আমরা আজ অধিকার বঞ্চিত। আমাদের বাধ্য করতেছে শিশু শ্রমে। যদি “শিক্ষা” নামক অধিকারটা আমার পেতাম, তবেই দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণের ন্যায় শিক্ষা অস্ত্রের মাধ্যমে ইচ্ছা কুড়াতাম দেশের জন্যে। বদলাতাম আমাদের ইচ্ছা গুলোও। যদিও বয়স হয়নি ১৪ তারপরও দিন শেষে পাচ্ছি মুজুরী। এটা কখনও আত্মতৃপ্তিরর বিষয় হতে পারে না। হতে পারে অবহেলার, জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করার বিষয়।
সুউচ্চ প্রাসাদে বসবাস কারী শিশু যখন বাড়তি ইচ্ছা পূরণ করছে। এই বাড়তিটুকু কী ওদের দেয়া যায় না। তাদের শ্রম থেকে বিচ্যুত করে শিক্ষার অধিকার দিলে দেশের কতই বা ক্ষতি হত? যেখানে বসে আছে অসংখ্য বেকার। যাদের নিস্তব্ধতা ও কর্মহীনতা দেশকে ভারী করছে।
তাই দরিদ্র পরিবারের এমনকি ষোড়শ সন্তান হলেও তাদের মুক্ত মনে খেলতে, পড়তে ও বুক ভরে শ্বাস নিতে দাও। দাও তাদের শিক্ষা। তাদের শ্রমস্থলে বেকারদের অনুপ্রবেশ ঘটনা হোক। তবেই বাজনা দিয়ে খাজনা আদায় হবে।