সুমি এবার নবম শ্রেণীতে পড়ে।
প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ১টা
ছেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
ছেলেটির নাম সুমন।
সুমন প্রায় ১ বছর ধরে ভালবাসে সুমিকে।
কিন্তু বলতে পারে না।
কারণ সুমি খুব ধনী পরিবারের মেয়ে।
আর সুমন গরিবের ছেলে।
আজ ১৪ ফ্রেব্রয়ারি।
সুমন সাহস করে বললো
আমি আপনাকে ভালবাসি।
জানি আপনি আমায় ভালবাসতে
পারবেন না।
কারণ,আমি গরিব কথা গুলো বলে সুমন
চলে
গেল।
এই ভাবে ১টা বছর চলে গেল।
এখন দশম শ্রেণীতে সুমি।
সে লক্ষ করে আজও সুমন তার জন্য
রাস্তায় অপেক্ষা করে।
সুমি আস্তে আস্তে সুমনের প্রেমে পড়ে
যায়।
তাই সুমি বলে দিলো তার মনের কথা।
দুজনের প্রেম চলতে থাকে ১বছর।
এই ১ বছরের মাঝে দু’জন কখনো একাকি
দেখা করেনি।
কেউ কারো হাত ধরে রাস্তাতেও
চলেনি।
S.S.C পরীক্ষার পড়ে সুমির বিয়ে ঠিক
হয়ে যায়।
কিন্তু,সুমি বিয়েতে রাজি না।
কারণ সুমি সুমনকে ছাড়া আর কাউকে
নিজের স্বামি হিসেবে গ্রহণ করতে
পারবে না।
সুমি ফোন দিলো সুমন কে.
–হ্যালো সুমন
–হ্যা বলো
–তুমি আজ রাতে আমাকে পালিয়ে
নিয়ে যেতে পারবে?
–কেন? হঠাৎ করে কি
হল?
–আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই বলে
সুমি
কেঁদে দিলো।
–কেঁদোনা সুমি আমি তোমাকে
নিয়ে যাব ওরা
ঠিক তাই করলো।
সকালে দুজন বিয়ে করে সুমনের বাসায়
আসলো।
এদিকে সুমির পরিবার সব জেনে গিয়ে
সুমনের
নামে ও তার
পরিবারের নামে মামলা করলো।
সুমির জবান বন্ধির কারণে কোন কিছু
হলো
না সুমন ও তার পরিবারের।
সুমির বাবা সুমিকে উদ্দেশ্যে বলল….
আজ থেকে আমার কোনো মেয়ে নেই।
সুমির নামে ব্যাংকে ২ লক্ষ টাকা ও
জমি
ছিল তা সব তার বাবার নামে করে
দিল।
সুমন সুমিকে বলল যে, সুমির বাবার
টাকার
প্রতি তার কোন লোভ নেই।
ভালো যাচ্ছিলো তাদের জীবন
সংসার ৭ মাস।
সুমি গর্ভবতী তার পেটে ৩ মাসের
বাচ্চা।
একদিন তার কাকা এসে বলে সুমন সুমির
মা
খুব অসুস্থ সুমিকে দেখতে চায় আমি
দু’দিন পর ওকে
দিয়ে যাব।
সুমি বলল আমি সুমন কে ছাড়া যাব না।
সুমন বলে যাও দুদিন পরই তো চলে আসবে।
অনেক বুঝিয়ে রাজি করে সুমিকে।
.
সুমি অনেকক্ষণ ধরে সুমনকে জরিয়ে
ধরে।
সুমন সুমির কপালে চুমা দিয়ে বলে
পাগলী বউ আমার।
তারপর সুমি বাপের বাড়ি এসে যা
হলো তা
কল্পনা করা যায় না।
সুমির বাবা সুমিকে দিয়ে জোর করে
সুমনকে
ছাড়াছাড়ি করিয়ে দেয়।
জোর করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে
অজ্ঞান
করে তার বাচ্চা নষ্ট করে দেয়।
ডাক্তার তার মা-বাবাকে বলে যে
তাকে রেষ্টে রাখতে।
আজ দুদিন সুমি কারো সাথে কথা বলে
না একা একা কাঁদে।
সুমির ভাই বাবা কেউ বাসায় নেই।
সুমির মা পাশের বাসায় গেছে।
সুমি বাসায় একা নিজের রুমের দরজা
দিয়ে
হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখলো এই
পৃথিবীতে আমার আপন বলতে একজন
আছে সে আমার সুমন।
মা তুমি একটা মেয়ে হয়ে আমার
স্বামীর ঘর
ছাড়া করলে?
তুমি এক মা হয়ে আমাকে মা হওয়া
থেকে
বঞ্চিত করতে পারলে।
এতটুকু লিখেই সুমি আত্মহত্যা করে।