পাগলি মেয়ে ও পাগল ছেলে

পাগলি মেয়ে ও পাগল ছেলে

গল্পটি হলো নিশাত ও রাজের। দুজনেই ঢাকার একই কলেজে পড়ে। তাদের নিয়েই আজ আমি গল্প লিখব। রাজ আজকে ঘুম থেকে দেরী করে উঠেছে। তাই সে তাড়াতাড়ি ফ্র‍েশ হয়ে কলেজে গেল। তাড়াহুড়া করে ক্লাশে ঢুকতেই একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেল।

মেয়েটি রেগে গিয়ে বলল, মেয়ে:চোখে দেখেন না। (রেগে গিয়ে) রাজ এক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ সে দেখতে অপরুপ সুন্দরী।যা রাজ আগে কখনো দেখেনি।)

মেয়ে:কী হলো কথা বলছেনা কেন? রাজ sorry, কি বলছিলেন যেন?

মেয়ে:অদ্ভুত তো। এখন দেখছি তো কানেও শুনতে পাননা। এই বলে মেয়েটি চলে গেল।

প্রথম দেখেই মেয়েটিকে নিয়ে রাজের মনে এক অনুভূতি জেগে উঠল। সে ভাবল মেয়েটিকে তো আগে কখনো এখানে দেখেনি। সে কী কলেজে নতুন? একটু পরে স্যার এল।

ক্লাশে এসেই স্যার বলল, স্যার:নতুন কোনো ছাত্র‍ী এখানে এসেছে? মেয়েটি:স্যার, আমি। (দাঁড়িয়ে) স্যার:নাম কি তোমার?

মেয়েটি:নিশাত।

স্যার:আচ্ছা। তুমি বস। ও তাহলে এই মেয়ের নাম নিশাত। তার রুপের সাথে নামটি মানিয়েছে(রাজ মনে মনে বলে)। দুপুরে সবাই ক্যান্টিনে আড্ডা দিচ্ছে।রাজ আর নিশাতও সেখানে ছিল।

হঠাৎ রাজ নিশাতের পাশে এসে বসল। রাজ sorry.

নিশাত: আপনি? আমাকে কেন sorry বললেন রাজ:সকালের জন্য।

নিশাত: I am also sorry. রাজ:বাদ দিন। আমরা কী friend হতে পারি?

নিশাত: কেন নয়! ঠিক সেদিন থেকে তারা খুব ভালো বন্ধু। একসাথে যাওয়া-আসা, একসাথে আড্ডা, একটু ঝগড়া। এভাবে কেটে গেল ৪মাস। আর আস্তে আস্তে রাজ নিশাতকে খুব ভালোবেসে ফেলল। সে নিশাতকে ছাড়া থাকতে পারত না।

কিন্তু নিশাত তাকে friend ছাড়া কিছুই ভাবত না।একদিন রাজ ঠিক করল নিশাতকে প্রোপজ করবে। তাই নিশাতকে সে কলেজের ক্যান্টিনে ডাকল। তাই নিশাত বিকেলে হলুদ শাড়ি পড়ে সেখানে গেল। রাজ দেখেই অবাক হয়ে গেল।

নিশাতকে খুব সুন্দরী লাগছে।

রাজ: একটা কথা বলার জন্য তোমাকে ডেকেছি

নিশাত: বলো।

রাজ: আমি তোমাকে ভালোবাসি। নিশাত:ঠাসস…….। রাজকে একটা চড় মেরে নিশাত চলে গেল।

তারপর থেকে আর তাদের কথা হয়নি।রাজ কলেজে আসলেও নিশাত আসত না। সে ভেবেছিল নিশাতকে sorry বলবে। ১মাস হয়ে গেল।

হঠাৎ একদিন নিশাত কলেজে এসে সবাইকে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। একথা শুনে রাজ অনেক কেদেছিল। বাসায় এসে রাজ শোনে তারও নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।রাজের মতের প্রয়োজন নেই তার বাবার। এসব কথা শুনে সে অস্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।

সে বিয়ের দিন অবধি নিজেকে ঘরে বন্ধি করে রাখে আর নিশাতের সাথে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু পারে না দেখতে দেখতে রাজের দিন চলে এল। রাজ বিয়ে করল কিন্তু কাকে সে বিয়ে করল সে নিজেও জানে না।

কারণ বউয়ের মুখ সে আগে কখনো দেখেনি আর দেখবেই বা কি করে সে যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল তারও হয়ত বিয়ে হয়ে গেছে অন্য জনের সাথে। বউও আগে কখনো রাজের মুখ দেখেনি। বাসর রাতে রাজ ঘরে ঢুকে দেখে মেয়েটি ঘমটা মাথায় দিয়ে খাটে বসে আছে। তাই রাজ অনিচ্ছাকৃত মেয়ের ঘমটা তুলল তার মুখ দেখার জন্য।

রাজ: একি, নিশাত তুমি! (অবাক হয়ে)

নিশাত: তুমি! (জড়িয়ে ধরে)

রাজ: আমি ভাবতেই পারছিনা তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।

নিশাত: তুমি জাননা আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। তবুও তুমি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে এলেনা কেন? (কাঁদতে কাঁদতে)

রাজ: তার মানে তুমিও আমাকে ভালোবাস? নিশাত:হ্যাঁ।এতটুকুও বোঝ না।

রাজ : আমার পাগলি। (জড়িয়ে ধরে) নিশাত:আমার পাগল। এইভাবে সুখী হক নিশাত ও রাজের মতো হাজারও পাগলি আর পাগলের জীবন।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত