বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড যে কিনা ক্লাস সিক্স এ পড়ে সে আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদছে।
– ভাইয়া!! ও রাগ করে ফোন অফ করে দিয়েছে।
— মাঝে মাঝে ঝগড়া ঝাটি তো হবেই। মন খারাপ করার কিছু নাই।
– জানিনা। কিন্তু ও বলছে যে ও মরে যাবে। একগাদা ট্যাবলেট কিনসে খাওয়ার জন্যে।
চোখ বড় করে পাশের বেডের ফ্রেন্ডের দিকে তাকালাম।
মোবাইল লাউডে আছে; দোস্তও শুনছে সব। এই কথা শুনে পকেট থেকে বিশটা সিভিট বের করে হাসলো আমার ফ্রেন্ড। আমিও কন্ঠে তেল ঢাললাম,,
— হুম। দেখলাম বিশটা ট্যাবলেট কিনেছে। কিজন্যে কিনছে তা তো জানি না। এখন বুঝলাম।
– ভাইয়া! আপনি ওকে ঠেকান! ও মরে যাবে!!
— আরে ও তোমার সাথে ঝগড়া করছে। ওর মরে যাওয়াই উচিত!!! মেয়ের কান্না বাড়লো।
– ভাইয়া ওকে থামান ভাইয়া। ও মরে গেলে আমার কি হবে!??
প্রেমের গভীরতায় টাশকি খেলাম। বন্ধু আমার আসমানে দিকে চাইয়া বুকের বাম পাশে হাত রাইখা অভিনয় কইরা বুঝাইতেছে তার স্বর্গীয় প্রেম!!! মনে মনে বন্ধুর প্রেমে ইর্ষান্বিত হয়ে উঠলাম। ফোনে আগুন আরো উশকে দিলাম।
— আরে না না। ও মরবে না। টেনশন নিও না।
– ভাইয়া! আপনি বুঝতেছেন না। ওর মোবাইলে লাস্ট কল আমার! লাস্ট মেসেজ আমার। ফেসবুকে লাস্ট মেসেজ আমার।
হোয়াটস এ্যপে লাস্ট চ্যাট হইসে আমার সাথে। এখন যদি ও মরে যায় তাহলে আমি ফাইসা যাবো!
সবাই ভাববে আমিই ওকে আআত্মহত্যা করতে বাধ্য করসি। তারপর কি হবে??
আমার ফাঁসি হবে!! আমাকে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলবে!!!! ভাইয়া!
প্লিজ আপনি ওরে আটকান। ও মরে গেলে আমি ফাইসা যাবো ভাইয়া!
প্লিজ ওরে আটকান!!! আমি মরতে চাইনা ভাইয়া!! আমার অনেক ভয় লাগতেসে!!
ফ্রেন্ডের দিকে তাকালাম। ও রাগে ক্ষোভে বিশটা সিভিট একসাথেই মুখে দিয়ে কটর মটর করে চাবাতে লাগল।
ও মরে যাবে এইটা নিয়ে মেয়ের টেনশন নেই; নিজে ফেঁসে যেতে পারে সেটা নিয়েই যত টেনশন!!
—হায়রে বালুপাসা!!……????????