নীলক্ষেতের মোরে রিক্সা থেকে নামতেই ভিজে চুপসে গেলাম, মাথা ও শরীরে আকাশ হতে নিক্ষিপ্ত বরফের অত্যাচার। এ তো ভয়ংকর বৃষ্টিরে বাবা। মোবাইলটা কোনও মতে পকেটে চালান দিয়ে ভোঁ দৌড় মারলাম, গন্তব্য সামনের দোকান গুলোর কোনও চিপা, যার উপর দিয়ে ওই মেঘঘন আকাশটা দেখা যায় না। দৌড়াচ্ছি আর আশেপাশের চিপাগুলো দেখছি, মানুষে টাঁসা, শালা এই দেশের জনসংখ্যা এতো বেশি কেন, ছোটবেলায় পড়েছিলাম…
বিনোদনের যথেষ্ট উপকরন না থাকায় যৌনতাই বিনোদনের উপলক্ষ, কিন্তু এখনতো বিনোদনের অভাব নাই, তাও জনসংখ্যা এতো বেশি কেন? ব্লগে এর উপর ব্যাপক একটা লেখা লিখতে হবে, তার আগে নিজেরে বাচাইতে হবে। একটা দোকানে কিছুটা হালকা অবস্থা মনে হচ্ছে, ওই দিকেই যাই… বাকিটা উপরয়ালার কৃপা।
– এই সরে দাঁড়ান,…… স্টুপিড।
ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম, মোটা কাল ফ্রেমের চশমার ভিতর দিয়ে একজোড়া সরল চোখ, ঠোঁট গুলো রাগে কাঁপছে, গালে হালকা টমেটো মার্কা লালচে চোপ।
– অ্যান্টি কোনও সমস্যা??
– এই ফাজিল ছেলে, আমি দেখতে তোর অ্যান্টির মতো?
– হুম, কি সমস্যা অ্যান্টি?
– আরে বেয়াদপ তো, অ্যান্টি অ্যান্টি করছিস কেন? ভিজা শরীরটা সরা নইলে থাপ্পড় খাবি।
একি মেয়েরে বাবা, সরাসরি তুই তুই করছে। মেজাজটা আরও খিঁচরা হয়ে গেল।
– ওই বেটি, আমি তোর ড্রাইভার লাগিযে তুই তুই করছিস?
“আপু কোনও সমস্যা” বলে একজন নারীবাদী এগিয়ে আসলো। তাকাইয়া দেখি বেটা একটা পালোয়ান। সিচুয়েসন প্রতিকূলে।
– আরে দেখুন না, বেয়াদপটা গায়ে পড়ে অভদ্রতা করছে। বললাম, সরে দাঁড়ান… উল্টা আমার সাথে ফাইজলামি করছে। স্টুপিড একটা।
– এই যে ভাই, মেয়ে মানুষ দেখলে মাথা ঠিক থাহে না? দেইখা তো ভদ্র ঘরের পোলা মনে হইতাছে। সইরা দাঁড়ান এহনি, নাইলে সমস্যা আছে। আইজকালকার পোলাপাইন গুলা যে কি পরিমান ফাজিল হইয়া গেছে।
– আপনি নিজের চরকায় তেল দেন, আমি ঢুকতে পারলাম না, শরীর ভিজে গেছে তো দেখতেই পাচ্ছেন, আর একটু পানির ছিটা লাগছে, এতেই উনার আমাকে স্টুপিড বলতে হবে?
যথাসম্ভব কঠিন আর ভারিক্কি একটা লুক নেবার চেষ্টা করলাম। লাভ হইছে বলে মনে হল না। মেয়ে মানুষ দেখলে যে কেউ হিরো সাজবার চেষ্টা করে, আর এতো একটা পালোয়ান… আমার তিনগুন। তাই সরে দাঁড়ালাম আস্তে করে, একটু অনিচ্ছার ভাব নিয়ে। মেয়েটার দিকেও একটা কঠিন লুক চালান দিয়ে দিলাম, ওইখানেও খুব একটা লাভ হইল না। মাছি মারার ভংগিতে আমারে নদীর ওপারে উড়াইয়া দিল। অগত্যা ভিজা শরীর নিয়া হাদারামের মতো ওইখানে অস্বস্তিকর টাইম পাস করতে লাগলাম। হালকা ঠাণ্ডা লাগছে। শরীরটা একটু কাঁপছেও মনে হয়।
বেশ কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি হালকা হয়ে আসলো। বের হয়ে যাবো কিনা ভাবছি, তখন আবার ওই বেটি খেকিয়ে উঠল- “সরে দাঁড়ান, বের হবো।” যাই হোক, তুই থেকে সরাসরি আপনিতে উন্নীত হইছি। মেয়েটা খারাপ না, মেজাজটা একটু গরম মনে হয়। বাপ মনে হয় গ্রাম্য চেয়ারম্যান… এই ধরনের বাপের বেটিরা একটু এই টাইপ হয়। সরে দাঁড়ালাম।
সামনে দিয়া যখন বের হয়ে গেল, নাকে সেই মানের একটা সুবাস পেলাম। আহা, রাগ ধুয়ে মুছে মিঠা পানি হয়ে গেল। ভালো করে একটু দেখলাম, শ্যামল দেশের সাদা মেয়ে… সুন্দরী তো সেটা পাগলেও বলবে।
ঘুরে জায়গা নিয়ে দাড়াতে যাবো, একসাথে অনেক গুলা হাসির শব্দে পেছনে ফিরে তাকালাম… চেয়ারম্যানের বেটি রাস্তায় ময়লা আবর্জনার মাঝে গড়া-গড়ি খাচ্ছে, একটি কলার খোসা পায়ের চাপে ভর্তা হয়ে ঈদের চাঁদের আকার ধারন করে উনার পতনের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। অনেকের সাথে আমিও চেয়ারম্যানের বেটিকে হেল্প করতে এগিয়ে গেলাম। মেয়ে মানুষ, তাই কেউ হাত দিয়ে তুলতে ইতস্তত করছে… আর বেটির চশমা চোখে নাই, সেও বোধ করি কিছুই দেখতে পারতেছে না। অদ্ভুত সিচুয়েসন।
“দেখি, সরেন তো ভাই, সরেন… ওর চশমাটা দেখুন তো কই”… বলে আমি এগিয়ে গেলাম। মায়া লাগলো দেখে, চশমা ছাড়া মনে হয় কিছুই দেখতে পারছে না, আর সাড়া শরীর তো কাঁদায় যাচ্ছে তাই অবস্থা। মানুষ গোল হয়ে নাটক দেখছে… কেউ কেউ তো শরীর দেখার এতো মজার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। আমি হাতটা হালকা করে ধরে, মুখটা কানের কাছে নিয়ে বললাম…
– অ্যান্টি… আমি, আপনার স্টুপিড… টেনশন করবেন না, কোথাও লেগেছে?
– নাহ, আমার চশমাটা দেখুন না কোথায় প্লিজ… (কাঁদো কাঁদো কণ্ঠ)
একজন চশমাটা এগিয়ে দিল আমার হাতে, একদিকের ফ্রেম ভেঙ্গে গেছে। চশমাটা ওর হাতে দিয়ে একজনকে একটা রিকশা ডেকে দিতে বললাম। ওর দিকে তাকিয়ে দেখি চশমাটা কোনও রকমে পড়ে বোকা বোকা দৃষ্টিতে চারদিকে তাকাচ্ছে… আমার দিকে তাকিয়ে এমন একটা লুক দিল, ওই দৃষ্টিতে এতো মায়া, আমি কয়েকটা পালস মিস করলাম। আস্তে করে হাতটা ধরে ওকে দাড় করালাম।
– আঘাত পেয়েছেন কোথাও?
– কি জানি, আমার কান্না পাচ্ছে…
– রিকশায় করে বাসায় চলে যান, ড্রেসের বাজে অবস্থা…
– আপনি যাবেন আমার সাথে একটু, প্লিজ…
আমি এমনিতেই যেতে চাচ্ছিলাম মনে মনে, বলাতে মনটা লাফিয়ে উঠল… একসাথে রিক্সায় উঠলাম। মানুষজন আমার আর ওর দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। কেন জানি বুকের কোথাও নতুন কিছু সুর বিভিন্ন তাল আর লয় নিয়ে বাজতে শুরু করল। রিক্সার হুডটা তুলে দিলাম, পলিথিনের কাগজটা দিয়ে বাহিরের জগত থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। সমস্যা একটাই, কাদা-ময়লার অতি মিষ্ট সুবাসে আমি আপ্লুত হয়ে রইলাম।
“ভাইজান যামু কোন জাইগায়?”… রিক্সাওয়ালার কোশ্চেনে আবেগের সুরেলা সঙ্গীতে কিছু বেসুরা টান অনুভব করলাম। আমি কাদাকুমারীর দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি উনার কাজল কাল চোখে মেঘের ঘনঘটা, বর্ষণ এই হল বলে, শুধু একটা দমকা হাওয়ার ধাক্কার অপেক্ষা।
– দেখতাসস না তোর ভাবির বেহাল অবস্থা?… চলতে থাক, উনি এখন কোন জাইগায় যাবে তার মুডে নাই, আগে মুড ঠিক হউক…
– আপনি সবসময় এমন ফাইজলামি করেন কেন?… স্টুপিড।
– যাক, কথা বলছেন তাহলে… খোঁচা কামে লাগছে… এখন কই যাবো, ঠিকানা বলে ফেলেন… চোখে তো মেঘের ঘনঘটা দেখতে পারছি… বর্ষণ শুরু হলে আর বলতে পারবেন না।
– আপনি না যাচ্ছে তাই… এই মামা ইস্কাটনের দিকে চলো।
রিক্সা চলছে মামার ইচ্ছের গতিতে, পলিথিনের চিপায় আমরা দুটি নর-নারী নিশ্চুপ বসে আছি। বিশাল কাহিনীর পর একটা সিগারেট ধরাতে মন চাচ্ছে… কিন্তু বুঝতে পারছি না… পাশে বসা কাদাকুমারী আবার খেকিয়ে উঠবে না তো!! ধুর… “ওই মামা… ওই সিগারেটের দোকানের পাশে একটু রাখেন তো”… চাইলাম না কাদাকুমারীর দিকে… ভয়ে নাকি কেন, জানি না।
– মামা, কোথাও দাঁড়াবেন না, সোজা চলেন… (আমার দিকে তাকিয়ে)… আপনি তো অদ্ভুত লোক… নাম কি আপনার?… কি করেন??
– অদ্ভুত লোকটার নাম আকাশ… কি করি??… ওই ঘুরাঘুরি আর কি…
– হুম… বেকার?
– বেকার বলে লজ্জা দিবেন না… আমরাও মানুষ।
ও হেসে ফেলল। এতো মিষ্টি কাদাময় হাসি। মনটা পুরাই বরফের মতো গলে গেল।
– আপনার নামটা কি জানতে পারি?
– নাম দিয়ে কি করবেন?
– ওমা!!… আপনি জানলেন… আমি জানব না??
– নিশি…
আমি তাকালাম ওর দিকে… নিশি !!!… নিশ্চুপ হয়ে গেলাম আমি। প্রেম আমার চোখে মুখে টলটল করছে। এই আমার সমস্যা… সুন্দরী দেখলেই আমার প্রেম হয়ে যায়। আকাশ গার্ল হওয়ার যে কয়েকজন বিরল দুর্ভাগ্যের অধিকারী হতে পেরেছিল তাদের তালিকায় কাদাকুমারী নিশি কে দেখতে পারলাম না। সেই আশা করেও লাভ নেই।
কখন যে ওর বাসার সামনে চলে আসছি টেরই পাইনি। রিক্সা থেকে নামলাম, ভাড়া দিলাম। তাকালাম ওর দিকে, ক্ষণিকের পরিচয় অথচ কতো চেনা মনে হচ্ছে। আমি একটা উত্তম কুমার টাইপ হাসি দিলাম।
– যান তাহলে, বডি গার্ডের কাজ তো শেষ।
– আপনি কি সব সময় এমন ফান করেন? বাসায় চলুন… মার সাথে কথা বলে পরে যাবেন।
– মার সাথে?… কেন, কি করছি আমি?… দেখুন আমি কিন্তু আপনারে ধাক্কা দিয়ে ফেলেনি…
– আপনার ফাইজলামি শেষ হইছে??….. উপরে তাকিয়ে দেখুন বারান্দা থেকে মা আমাদের দেখছেন। তাই, আপনাকে এখন যেতে হবে এবং সুন্দর করে ঘটনাটা বলতে হবে… এবং অবশ্যই… আপনি যে আমার কেউ না… সেটাও সুন্দর করে বলবেন।
আমি উপরে তাকানোর সাহস না করেই ওর পেছন পেছন গেইট দিয়ে বাসায় ঢুকলাম। দারওয়ান চোখ গোল করে সালাম দিল… আমারে না কাদাকুমারীরে আল্লাহ জানে। পেটের ভিতর শিরা-উপশিরা গুলো কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলা শুরু করে দিছে… আজকে কার মুখ দেখে যে উঠছিলাম… মনে হয় রহিমা বুয়া।
ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে বসে আমের জুস খাচ্ছি আর ইন্টারভিউ পর্ব মনে মনে সাজাচ্ছি। “নাম কি তোমার?”… মাথা তুলে প্রশ্নকারীর দিকে তাকিয়ে দেখি মধ্যবয়সী একজন মহিলা। দেখেতে তো সহজ সরল মমতাময়ীই মনে হচ্ছে। দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম।
– জী, আকাশ।
– বসো… ভালো নাম কি?
– সাইফুল আমিন আকাশ।
– বাসা কোথায় তোমাদের?
– জী, ময়মনসিংহ।
– হুম… বাবা কি করেন?
– হাই স্কুলের হেডটিচার।
– মা?
– মেডিকেলে চাকরী করেন।
– কয় ভাইবোন?
মহিলার সমস্যা কি??… পুরা বায়োডাটা জিজ্ঞেস করতেসে… আসল কোশ্চেন কখন শুরু হবে সেই অপেক্ষায় আছি…
– জী, দুই ভাই, এক বোন। আমি সবার বড়, তারপর বোন, তারপর আবার ভাই।
– আচ্ছা, কি করো?
– জী, আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার…
“ইঞ্জিনিয়ার??… ” বা দিকে তাকিয়ে দেখি নিশি… নতুন চশমার ভিতর দিয়ে চোখ গুলো যেন বের হয়ে আসছে… ফ্রেশ হয়ে একটা সাদা ড্রেস পড়ছে… পরীর মতো লাগছে…
– নিশি তুই কথা বলবি না, কোথা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছো?
– বুয়েট থেকে।
– অনেক ভালো, আচ্ছা, বসো… তোমরা কোথা বল… দুপুরে খেয়ে যাবে এখানে।
– জী… না… আমি বাইরে খেয়ে নিতে পারবো।
– খেয়ে যাবে… বললাম না। বসো…
নিশির দিকে তাকালাম… মুখে দুষ্টামি হাসি। পুরাই অস্বস্তিকর সিচুয়েশনে পড়লাম…
– আপনি না বেকার?
– আমি তো বলি নাই, আপনিই তো বললেন… আমি শুধু বলছি… বেকার বলে লজ্জা দিবেন না… আমরাও মানুষ।
– হুম… আপনি ফাইজলামির ওস্তাদ… বুঝা উচিত ছিল।
অনেক কথা হয়। আমি আপনি থেকে তুমিতে নেমে গেলাম… নিশি আমার থেকে চার বছরের ছোট… ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মার্কেটিং এ পড়ছে… থার্ড ইয়ার। হাসা-হাসি, ফাইজলামি চলতে লাগলো আমার… ভালই হইছে… বাইরে আবার যে বৃষ্টি শুরু হইছে… সময়টা খারাপ কাটছে না। দুই দিনের ছুটির প্রথম দিনটা ভালই কাটছে। নিশির মার রান্নার হাত চরম। এই বাসায় ঘর জামাই হইতে পারলে ভালো হইত।
বিদায় বেলা আসন্ন। অ্যান্টিকে খাওয়ানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ দিলাম। নিশির দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম।
– যাই তাহলে… অনেক ভালো একটা দিন কাটল আমার… মনে হয় লাইফের বেস্ট। যে কারনে বাসায় ঢুকলাম, সেই বিষয়ে অ্যান্টি কোনও কোশ্চেনই জিজ্ঞেস করে নাই। ভালই হইছে… আমি যে তোমার কেউ না… সেটা অ্যান্টি দেখেই বুঝচ্ছে… তাই জিজ্ঞেস করেন নাই।
– তাই??…… আপনার তাই মনে হইছে… আপনাকে ভালো লাগছে… তাই কিছু বলে নাই… মার তো ধারনা আপনার সাথে আমি চুটিয়ে প্রেম করছি… আমাকে বলছে… এতো ভালো ছেলের সাথে তোর পরিচয়… বলিসনি কেন?…
হৃদয়ে বিজলিপাত হল একটা… প্রচণ্ড ভোল্টেজে আমি স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকলাম নিশির দিকে। ওই দৃষ্টিতে কি ছিল জানি না… নিশি চোখ নামিয়ে নিল… হাতের নখ খুঁটতে লাগলো। আমি বুঝতেসি কিছু বলতে চাইলে এটাই সময়… কিন্তু কিছুই মাথায় আসতেছে না। কিছুক্ষণ আমতা আমতা করে বললাম…
– একটা ছাতা দিবা, মনে হয় বৃষ্টি হবে… পরে আবার দিয়ে যাবো…
নিশি মুখ তুলে তাকালো… খিল খিল করে হাসি দিল… আমি গলে গেলাম… গলা শুখিয়ে কাঠ হয়ে গেলো…
আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছি… নিশি ভিতরে গেছে ছাতা আনতে… অনন্তকালের অপেক্ষার পর আবার নিশির মূর্তি দেখা গেলো… হাতে একটা গোলাপি ছাতা…
– এটা আমার ছাতা… অনেক পছন্দের… আপনাকে দিচ্ছি… কিন্তু আপনি যে ধরনের মানুষ… এর যত্ন নিতে পারবেন না, আপনার মোবাইলটা দেখি…
আমি মোবাইলটা ওর হাতে দিলাম… কি যেন করল… তারপর ফিরিয়ে দিয়ে বলল…
– ছাতার মালিকের নম্বর আছে ওখানে… ইচ্ছে থাকলে আপনি তাঁকে কল করতে পারেন।
আমি রাস্তা ধরে হাঁটছি… ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে… হাতে একটি গোলাপি ছাতা… পৃথিবীটা অনেক সুন্দর।
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক