– ঐ দেখ দেখ আজ কাল এর মাইয়া গুলার চয়েজ দেখে প্যান্টে হিসি করতে মন চায়।
– যা কইছস মাম্মা (রাজু)।
– আচ্ছা ওই পোলাডার দিকে একবার তাঁকা।
– কেন।
– ঐ সালা তাঁকাতে কইছি তাঁকাবি।
– হুমমমম দেখছি।
– এবার আমার দিকে তাঁকা।
– হুমমমম তাঁকাইছি।
– এখন ক কারে দেখতে ঝাক্কাস ।
– অবস্যই তোরে।
– হুমমমম এই তো সোনা মোনা গুলো গুলো।
দেখ ভাই ওই পোলার থেকে আমি না হলে ও তো শত ভাগ দেখতে ভাল, তবুও আজ পর্যন্ত কোন প্রেমিকা জুটাইতে পারলাম না।
আর ওই হালাই কত্ত কিউট একটা মাইয়া নিয়া ঘুরতেছে। আসলেই মাইয়াগো চক্ষু বইলা কোন জিনিস নাই।
– নারে ভাই আজকাল চেহারাই কিচ্ছু হয় না সব হয় টাকাই বুঝলি।
– হুমমমম সেইটাই তো দেখতেছি রে ভাই,
– মাম্মা ঐ দেখ হেব্বি ঝাক্কাস একটা মাইয়া।
– তুই খাঁরা আমি আসতেছি।
– তুই সালা আসলেই লুইচ্চা যেই মাইয়ারেই দেখস লাইন মারতে চরে যাস।
– তবু ও তো কপাল খোলে নারে, এবার দোয়া করে দে যাতে তোর ভাবি বানাইতে পারি।
– চুপ সালা হারামি যা।
– শুভ কাজে ওমন করতে নেই, দোয়া করিসরে ওমন একটা মেয়ে তোর ভাবি হবে তোর তো গর্ব হওয়ার কথা হি হি হি।
– যা সালা ভাগ।
– হায় কেমন আছেন।
– ভাল, কিন্তুু আপনাকে তো চিলাম না।
– আমি সাহরিয়া আপনি।
– আমি মিলি।
– আহা কত সুন্দর নাম মনে হয় তার মাঝে মিলাই যাই।
আচ্ছা কাউকে কী খুঁজতেছেন
– হুমমমম আমার বেবিটা খুব দু্ষ্টু কোথায় যে গেল।
– কীইইইই আপনার বিয়ে হয়ে গেছে।
– হুমমমমম একবছর হয়েছে।
– আল্লাহ কপালডারে কী এমন ফাঁকাই রাখবা।
– ওই তো আমার বেবি।
– কোনটা।
– ওই তো আইসক্রিম নিয়ে আছে।
– কীইইইই ওই মুটকু বেটা তোমার বেবি, আমারে কেউ ধর পইরা গেলাম।
– চলেন আমার বেবির সাথে পরিচয় করে দেই।
– মনডা চাইতিছে কষে কানের নিচে দেই একটা, দরকার নাই আপনার বেবি আপনিই যান।
– কীরে মাম্মা এমন ভেটকি মাছের মতো মুখ কইরা রাখছস ক্যান, মাইয়া কী থাপ্পড় দিছে।
– দূর না মাইয়ার বিয়া হয়ে গেছে, ওই মুটকুটার লগে , আমাগো দেশটা শেষরে ভাই।
সব,,,,, সুন্দর মাইয়া এমন টাকা ওয়ালা মুটকুরে বিয়াঁ করলে আমাগো মতন পোলাগো কী হইব,আল্লারে আল্লাহ কী হইব আমার।
আম্মু তোমার এমন কিউট পোলাডার কপালে কোন বউ নেহি।
– ঐ চুপ কর হারামি আর ড্রামা করা লাগব না, চল বাসাই যামু।
– হুমমমম চল, কপালেই কোন মাইয়া নেহি সারাদিন অলিতে গলিতে ঘুরলেই হইব।।
– ঐ বাসার সামনে এত জিনিস পত্র কেন।
– তুই আর আমি এক সাথেই ছিল আমি কেমনে জানমু।
– হুমমমম সেটা ঠিক, আচ্ছা তুই যা কালকে কলেজে আসিস।
– হুমমমম আসমু নে।
– আব্বাই মনে হয় উপরের তলা ভাড়া দিয়ে দিছে।
আজ পর্যন্ত যত লোকের কাছে বাসা ভাড়া দিছে,
একটা লোকের ও মাইয়া নাই যে একটু টাংকি মারমু হি হি।
আব্বই মনে হয় আমার কথা ভাইবা কোন মেয়ে ওয়ালা দেখে বাসা ভাড়া দেয় না।
এই সব ভাবতে ভাবতে ভিতরে যাচ্ছি।
হঠাৎ একটা মহিলা বলল।
– এই ছেলে তোমার নাম কীইইইই ।
– আহা দেখতে ভালই, ওনার মেয়ে থাকলে ও ঝাক্কাস হবে।
হইয়ে মানে আন্টি আমার নাম সাহরিয়া।
ঐ যে হাবিবুর সাহেব আছে না ওনার ছেলে।
– ও আচ্ছা.. বাবা আমাদের সাথে তো কোন ছেলে নাই একটু হেল্প করবা।
এর মধ্য আমার গুনধর বাপ হাজির,
– ঐ শয়তান তোর তো কোন কাজ নাই, যা হেল্প কর।
– হুমমমম যাচ্ছি।
দূর ভাল লাগে না যত ঝামেলা আমার।
সব জিনিস পত্র উপরে নিয়ে গেলাম।
দুই হাতে দুইটা ব্যাগ দুই ঘারে
দুইটা ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছি।
রুমে ঢুকতেই আমার চোখ তো কপালে উঠে গেছে। একটা মেয়ে চশমা পড়া, সোফাই বসে আছে।
সাইটে আন্টি ছিল।
– আন্টি ঐটা কে।
– ওটা আমার মেয়ে সাদিয়া।
– ও আচ্ছা,
আন্টি চলে গেল।
এই তো সুযোগ পাইছি।
– হি হি হাই, আমি সাহরিয়া, তোমাদের সব জিনিস নিচ থেকে টেনে টেনে উপরে আনছি হুমমমম সত্যি।
– কোন কথা বলছে না শুধু তাঁকাই আছে।
মনে হচ্ছে একটা পরী আমার দিকে তাঁকাই আছে।
– ঐ কিছু বলেন।
– কোন কথা নাই।
– বুঝি তো তোমাদের মতো মেয়েদের শুধু দেমাগ।
তারপরে রেগে চলে আসলাম।
রুমের বাহিরে আসতেই আন্টি বলল।
– সাহরিয়া কিছু মনে করে না।
– হায় হায় সব শুনে ফেলছে নাকি।
– আসলে সাদিয়া কথা বলতে
পারে না।
– না না আন্টি কিছু মনে করি নাই, আমি গেলাম এখন।
– না না কিছু তো খেয়ে যাও।
– না আন্টি অন্য একদিন।
– ঠিকআছে সন্ধাই আসবা কেমন।
– হুমমমম ঠিকআছে।
বলে চলে আসলাম।
নিজের উপরের খুব রাগ হচ্ছে। না জেনে পরীটাকে কষ্ট দিলাম। তারপরে ফ্রেস হয়ে শুয়ে আছি, সন্ধাই সাদিয়া দের বাসাই গেলাম।
দরজাই নক করতেই সাদিয়া দরজা খুলে দিল। মেয়েটা কেমন ছলছল করে তাঁকাই থাকে, একদম মন কারানো তাঁকানো।
– আরে সাহরিয়া আরো বাবা ভেতরে আস।
– হুমমমম আন্টি।
– সাদিয়া তোরা গল্প কর আমার হাতে একটু আছে আমি সেরে আসতেছি।
– সরি তখন না আমি বুঝতে পারি নাই, সত্যি সরি, আচ্ছা কান ধরতেছি দেখ সরি।
কেমন জানি হেঁসে উঠল।
আমি ও হি হি হি করে হেঁসে উঠছি।
আমাকে ইশারাই বসতে বলে রুমে চলে গেল। আর দুইটা খাতা আনল। একটা আমাকে দিল।
– আচ্ছা তোমার নাম খুব সুন্দর সাদিয়া।
– তোমার নাম ও।
– দূর আমার না ভাল না কেমন পচাঁ।
– না না ভাল।
– আচ্ছা ছাঁদে যাবা।
– হুমমমম যাব।
– তুমি না খুব কিউট।
– তুমি ও কিউট।
– দূর একদম না আমি অনেক বাজে।
– না না কিউট।
– আচ্ছা চলো ছাঁদে যাব।
– হুমমমম।
– দাঁড়াও আন্টিকে বলে আসি।
আন্টি আমরা একটু ছাঁদে গেলাম।
– চলো আন্টিকে বলছি।
এর পরে ছাঁদে চলে গেলাম খাতা আর কলম নিয়ে।
– সাদিয়া তোমার প্রেমিক কী করে।
– আবার কেমন করে তাঁকাই আছে, তারপরে কী যেন লিখল।
– আমাকে দেখে সবাই প্রথমে প্রপোজ করতে আসে তারপরে যখন শোনে আমি কথা বলতে পারি না সবাই চলে যায়।
– আমি যাব না পাগলি আমার মুখ
দিয়া কথা বলবা তুমি( মনে মনে বলছি)।
দূর ওদের কথা বাদ দাও কালকে ঘুরতে যাবে।
– হুমমমম, তোমার প্রবলেম হবে না তো।
– দূর পাগলি কিচ্ছু হবে না।
হাঠাৎ রাজুর ফোন।।
– সাদিয়া একটু দাঁড়াও আমার একটা ফ্রেন্ড ফোন দিছে।
– হুমমমম হারামি ফোন দেওয়ার সময় পাস নাই।
– কেন।
– মাম্মা আমি একটা পরী পেয়ে গেছি কালকে সবাই আসবি কিন্তুু।
– হুমমমম আমি কইতাছি সবাইরে।
– এবার রাখি কেমন।
দেকি সাদিয়া আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আছে।
– ঐ সাদিয়া কালকে যাবা তো আমার সাথে।
– হুমমমম যাব।
– সত্যি তো।
– হুমমমম রে পাগল সত্যি।
তাহলে চলো এখন যাই কালকে রেডি হয়ে থেকো সকালে।
তারপরে সাদিয়াদের বাসাই খেয়ে দেয়ে চলে আসলাম।
ঘুমাই ঘুমাই সাদিয়া পরীটাকে নিয়েই সপ্ন দেখতেছি।
কেমন ঠান্ডা একটা হাতের স্পর্শে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
তাঁকাই দেখি সাদিয়া,
একটা শাড়ি পড়ে এসেছি, সাদিয়াকে দেখে তো আমি হা করে তাঁকাই আছি।
ইশারাই বলল।
– ঐ যাবা না।
– হুমমমম একটু দাঁড়াও।
– তারাতারি রেডি হয়ে চলে আসলাম।
– আমার দিকে তাঁকাই সাদিয়া কেমন
হঁসছে।
– নিচে তাঁকাই দেখি প্যান্টের চেইন লাগাই
নাই, হায় হায় কিছু দেখে নি তো,
না না দেখেতে পাবে না হি হি হি।
– হুমমমম চলো হয়ে গেছে।
– ঐ খেয়ে যা, মেয়েটা নতুন আসছে
কিছু খেতে দে।
– না না বাবা লাগবে না এইটা তো
তার ও বাড়ি, হায় হায় মুখ ফসকে
বলে ফেলছি।
সাদিয়া চলো চলো।
যাক তবু কিছু বোঝে নাই।
রাস্থা দিয়ে দুইজন পাশাপাশি হাঁটছি ।
সবাই হা করে তাঁকাই আছে,
তার পরে আমাদের আড্ডা খানাই পৌঁছে
গেলাম,
সবাই হা করে আছে।
– ভাই পুরাই তো পরী।
– চুপ ব্যাটা।
– কীরে কথা বলে না কেন।
– আস্তে আস্তে বললাম
ও কথা বলতে পারে না।
– ও তাইতো বলি এমন মেয়ে আবার
তোরে পাত্তা কেন দিবে।
– সাদিয়ার হাত ধরে ওখান থেকে চলে
আসলাম।
না হলে ওরা অনেক কথা বলত,
আমি আমার পরীটাকে কষ্ট
দিতে চাই না।
সাদিয়া খাতা বের করে বলর।
– ঐ চলে আসলা কেন।
– এমনি, আমি থাকলে কী যথেষ্ট না।
– হুমমমম তুমি থাকলেই হবে।
– সাদিয়া চলে তোমাকে একটা জায়গায়
নিয়ে যাব।
– চলো।
– আমার মন খারাপ হলে এখানে এসে বসে থাকে।
– ওয়াও,,, সাহরিয়া তুমি খুব ভাল,
আমাকে কেউ তোমার মতো এমন
বুঝেনাই, আমার মা ছাড়া।
– হি হি হি পাগলি।
প্রায় সন্ধা হয়ে গেছে।
না মেয়েটাকে আমি হাঁরাতে চাই না,
যে যাই বলুক আমার এই মেয়েটাকেই
চাই।
– সাদিয়া একটা কথা বলি।
– হুমমমম বলো।
– সাদিয়া আমি তোমাকে ভালবাসি,
কেন ভালবাসি সেটা জানিনা,
করুনা করছি না সত্যি,
আমি তোমাকে হাঁরাতে চাই না,
আমি সত্যি তোমাকে ভালবেসে ফেলছি।
একটু ভালবাসার সুযোগ দিবা
প্লিজ।
খুব ভালবাসব তোমাকে, একটা
সুযোগ দিবা সাদিয়া একটা।
– কিছুই বলছে।
– ভালবাসতে পারবা না তাই না,
আমি খুব খারাই তাই না, ঠিকআছে।
– চলো বাসাই যাব।
– হাঠাৎ মেয়েটা আমাকে এসে জরাই ধরল,
আর খুব কাঁদছে, সে ও আমার মতো
একজনের জন্য হয়তো অপেক্ষা করত।
যে তাঁকে বুঝবে ।
– খুব ভালবাসবরে পাগলি, একদম
এই বুকের মাঝখানে রাখব।
তারপরে দুইজন হেঁটে হেঁটে বাসার
দিকে আসতেছি।
এমন একটা পরী থাকলে আর কী
লাগবে কিচ্ছু না।।।।।
হি হি হি পরীতো একটা পেয়ে
গেলাম।।।।।
>>সমাপ্ত<<
>>The End<<