চোর.!!

চোর.!!

গল্প : চোর.!!

Writer : Pantha Shahria.!!

– আহা কী শান্তি, মনে হয় এই জন্যই কবিরা বলেছিলেন। ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। যাক হিসি দেওয়া কমপ্লিট, এখন ভালই ভালই ফোনটা নিয়ে কেটে পড়লেই সব কাজ শেষ।

পেঁটের জন্য কী না কী করতে হয়। আর আমার চুরির দিকটা বেশ ভালই লাগে অল্প সময়ে

অনেক টাকা।

সবার একটা প্রতিভা থাকে, আমার ও মেলা প্রতিভা আছে।

তার মধ্যে অন্যতমটা হচ্ছে, আমাকে দেখতে অনেকটা বোকা বোকা আর অনেক সুইট কেউ ভাঁববেই না যে সাহরিয়া একটা চোর, হ্যা আমার নাম সাহরিয়া।

সব মেয়েরাই কেমন আমার প্রতি একটু দূর্বল, একটুতেই মিল হয়ে যায় কেমন করে।

আর আমার টার্গেটে থাকে সব মেয়েরাই, আসলে মেয়েরা একটু বোকা হয় তো তাই হি হি হি।

সেই অনেকক্ষণ থেকে দেখছি একটা মেয়ে একা বসে আছে।

আর তার সামনে একটা আইফোন, আমার টার্গেট আইফোনটা চুরি করা। বেশ ভালই বিক্রি হবে।

কিন্তুু আমার একটা ভাল দিক আছে যাদের ফোন চুরি করি, তাদের ঠিকানাই সিম আর মেমুরি কার্ডটা পাঠিয়ে দিই।

সাহরিয়া চোর হতে পারে কিন্তুু খারাপ না।

– হ্যালো আপু একটু বসি কেমন।

– হুমমমম বসেন।

– হি হি আপনি না অনেক সুইট,অন্য কেউ হলে তো বকা শুরু করে দিত।

– তাই বুঝি।

– হুমমমম, আচ্ছা আপনার বয়ফ্রেন্ড এর জন্য ওয়েট করছেন তাই না।

– না না আমার বয়ফ্রেন্ড নাই, একটা ফ্রেন্ড আসবে তার জন্য।

– আমার ও একটা ফ্রেন্ড আসবে,

আচ্ছা আপনার ফ্রেন্ড এর নাম কী।

– মহুয়া।

– সত্যি, আমার ফ্রেন্ড এর নাম ও মহুয়া, ফেসবুকে পরিচয়,দাঁড়ান ওর

ছবি দেখাচ্ছি।

এমনি এদিক ওদিন খুঁজতে লাগলাম।

– আচ্ছা এনি প্রবলেম।

– হুমমমম আমার ফোনটা পাচ্ছি না।

– কীইইইই কই রাখছিলেন।

– এই তো পকেটেই, এখন বাসা থেকে ফোন দিয়ে বন্ধ পেলে অনেক বকা বকি করবে।

– তাহলে কীইইইই করবেন এখন।

– থামেন বাহিরে গিয়ে কারো ফোন থেকে বাসাই ফোন করে আসছি।

– আরে বাহিরে যাবেন কেন আমার ফোন থেকেই করেন।

– এই তো টোপ গিলে নিয়েছে, আচ্ছা ঠিক আছে দ্যান, এই যা এখানে তো তেমন নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না কী করি এখন।

– বাহিরে গিয়ে কথা বলে আসুন ওখানে নেটওয়ার্ক পাবে।

– হুমমমম ঠিকআছে, যাক আজকের মতো দশহাজার ইনকাম হয়ে গেল।

মেয়ে গুলা ও কেমন বোকা হি হি বোকা বোকা দেখেই বিশ্বাস করে গেল।

কী করমু ভাই বলেন পেঁটটা তো চালাইতে হবে।

ও চাকরি বাকরি করার কথা বলছেন এই সময়ে আর আমাদের দেশে তো এটা কালো গোলাপ

পাওয়ার মতো।

সবার মতো এই মেয়েটার কাছে ও সিম মেমুরি একটা পিচ্চির হাতে পাঠাই দিলাম।

অনেক কয়েকদিন ভালই চলছিল।

হঠাৎ রিফাদ মাম্মা ফোন করে বলল।

– সাহরিয়া একটা ভাল মেয়ে আছে।

– দূর মাম্মা আমি করি চুরি, মেয়ে দিয়ে কী করমু।

– আরে সালা মেয়েটার বাপ অনেক বড়লোক, আর মেয়েটা ও এক বাপের এক মেয়ে।

অনেক সহজ সরল, একবা পটিয়ে নিতে পারলে, অনেক টাকা পাবি।

– বাহ্ জীবনের প্রথম এই একটা ভাল খবর দিলে।

নাম ঠিকানা পাঠাই দাও আর হ্যা যদি কথা মতো না হয় তোমার প্রথমে ওইটা ফাঁটামু। মনে থাকে যেন।

– আগে তো গিয়ে দেখ।

– হুমমমম নাম ঠিকানা দাও।

– নাম অধরা, ঠিকানা……….,

আর আমাদের বাসার একটু দূরে যে কলেজটা আছে ও খানে পড়ে।

– যে নাম কইলা, অধরা, ধরা দিবে তো হুমমমম।

– আগে যা তারপরে দেখা যাইব।

চটপট কাজ নেমে পড়লাম।

কথা মতো কলেজের একটু সামনে দাঁড়াই আছি।

– হায় হায় চিনমু কেমনে, রিফাদ মামারে ফোন দিলাম।

ঐ মামা চিনমু কেমনে ।

– সব থেকে দামি গাড়িতে যেই মেয়ে উঠবে সেই।

– হুমমমম ঠিকআছে।

দূর মেলা গাড়ি আছে তো সব গুলো ভালই।

কেমনে বুঝমু কোনটা দামি গাড়ি।

– এই যে ভাই এখানে সব থেকে দামি গাড়ি কোনটা হবে একটু বলতে পারেন।

– ঐ মিয়া গাড়ির দাম শুনে কী করবেন।

– আমার শশুরের কাছে ওমন গাড়ি যৌতুক নিমু তোর কোন সমস্যা।

কইতে কইছি কবি না হলে বল পারবি না, এত কথা ক্যান।

– ঐ লাল এর মতো কালার ঐটার হতে পারে।

– ভাইজান কিছু মনে করিয়েন না, আমি ও ভাবছিলাম ঐটাই।

আপনার আর আমার কীইইইই মিল হি হি হি।

একখ এই মেয়েরে কেমনে পটামু এমন বড়লোক মেয়েদের মেলা বডিগার্ড থাকে, কেমনে যে

কীইইইই করি।

এর মধ্যেই সামনে থেকে একটা পরির মতো মেয়ে আসল, এই প্রথম কোন মেয়েকে দেখে এমন হচ্ছে।

বাহ্ এসে ঐ গাড়িটাতে ইউঠল। কন্ট্রোল সাহরিয়া পা পিছলানো যাবে না।

চুরি করার চুরি করে কেঁটে পড়তে হবে।

– দূর চলেই তো গেল কী যে করি। গাড়ির কাছে গিয়ে দেখি একটা কলম পড়ে আছে।

যাক কথা বলার মতো একটা উপাই পেয়ে গেছি।

এখন যা করার রাতে করতে হবে।

বাসার ঠিকানা ও জানি কোন প্রবলেম নাই।

রাত নয়টা বাজে, আমি অধরাদের বাসার সামনে।

যেভাবেই হোক বাসাই টুকতেই হবে।

এ বাড়ির মানুষ কী ঘুমাই না নাকি।

যেই ঘরের লাই জ্বালানোই থাকবে ওই ঘরেই অধরা থাকবে। আস্তে আস্তে সব ঘরের লাইট অফ হয়ে গেল, একটা ঘর বাদে।

হা হা পাইয়া গেছি।

কিন্তুু যামু কেমনে ভিতরে, ওই তো ওখান দিয়ে যাওয়া যাবে, চোরের মতো আস্তে আস্তে ভিতরে গেলাম, বাহ্ অনেক সুন্দর রুম তো, আবার থাই লাগানো।

ওরা বাবা আবার এসি ও আছে।

অধরার জানালার কাছে গিয়ে দেখি ভিতরে বই নিয়ে পড়তিছে।

জানালাই ঠক ঠক করা দেখে এদিকে তাঁকিয়ে চিৎকার দিতে চাইল,

আমি ইশারাই না করাই কিছু করল না।

জানালার সামনে এসে।

– ঐ আপনি কে হুমমমম, আর এই রাতে এখানে কীইইইই করছেন।

– না মানে আপনি কলেজ থেকে বাসাই আসার সময় গাড়িতে উঠতে গিয়ে, এই যে আপনার কলম।

ফেলে আসছিলেন।

– বাহ্ একটা কলমের জন্য একটা মেয়ের বাসাই এত রাতে, কীইইইই হুমমমম।

– থাক আর বলতে হবে না,

আপনি আমাকে খারাপ ভাবছেন এই তো, আচ্ছা গেলাম আমি।

বলেই নিচে লাফ দিছি, ওহহহহহ বাবারে ঘটনা ছাড়াই তো

ঘটনা ঘটে গেল।

পায়ে খুব লাগছে, প্লান করা জিনিসটা কেমন সত্যি হয়ে গেল, এমনিতে ও ব্যান্ডেজ করে কালকে অধরার কলেজের সামনে গিয়ে বসে থাকতাম।

খালি প্লানটা একটু সত্যি হয়ে গেল।

রাস্তাই খুঁরে খুঁরে হাঁটতেছি, না মেয়েটা দেখতে খুব মিষ্টি।

পরের দিন প্লান মাফিক ওদের কলেজের সাইটে একটা টং দোকানে বসে আছি, আর ভাবছি প্লানটা কাজ করবে তো।

সামনে দেখি অধরার গাড়ি আসতেছেকিন্তুু একদম ভিতরে চলে গেল।

অনেকক্ষন পর অধরাকে বাইরে বের হতে দেখে ।

আমি নিজেই ওকে না দেখার ভান করে খুঁরে খুঁরে হেঁটে যাচ্ছি।

দূর ডাক ও দেই না একটু, না প্লানটা মনে হয় কাজে আসল না।

একটু পরে হঠাৎ কারো ডাক।

– এই যে শুনছেন।

– হুমমমম বলেন।

– কালকে রাতে আপনিই আমার রুমে গেছিলেন তাই না ।

– রুমে যাই নাই জানালাই গেছিলাম।

– হুমমমম তো পায়ে কীইইইই হয়েছে।

– ঐ যে কালকে লাফ দিছি আর এই অবস্থা।

– আপনি না সত্যি একটা পাগল।

– হুমমমম, না হল একটা কলেমের জন্য কীইইইই রাতে কারো বাড়িমে ঢুকে পড়ি।

– হুমমমম, আচ্ছা এখন কই যাবেন।

– বাসাই, কেন।

– না এমনি শুনলাম।

– একটা কথা বলব।

– হুমমমম।

– আপনার কাছে পনের টাকা হবে।

– হা হা হা পনের টাকা কেন।

– না মানে বাসাই যাবতো টাকা

নাই, আর এমন হেঁটে যেতে কষ্ট

হচ্ছে।না না আমি বাসাই গিয়েই দিয়ে দিব।

– এই নেন ধরেন।

– না না একশো না পনের টাকা দিন।

– আরে আমার কাছে তো খুরচা নাই।

– ওকে, কিন্তুু দিব কেমন

করে, পায়ে ও লাগছে না হলে রাতে গিয়ে দিয়ে আসতাম হি হি।

– না না লাগবে না।

– কিন্তুু না দিলে আমার কেমন যানি লাগে।

আপনার ফোন নাম্বার দেন আমি ফ্লেক্সি করে দিব নি, না না নিশ্চিন্ত থাকতে পারে পরে ডিস্টার্ব করব না।

– ঠিকআছে নিন।

– না মানে আমার ফোনতো বাসাই তাই লিখে দিবেন প্লিজ।

– হুমমমম ধরেন।

– আচ্ছা এখন আমি গেলাম

তাহলে।

বাসাই এসেই ফ্লেক্সি দিয়ে

দিলাম।

তার পরে ফোন দিলা।

– সরি।

– বাহ্ ফোন ধরেই সরি।

– না মানে ফ্লেক্সি পাইছেন।

– হুমমমম।

– ওকে তা হলে রাখলাম, বলেই কেঁটে দিলাম। হি হি সব প্লান মতো এগুচ্ছে।

রাতে অধরার ফোন, আমি জানতাম ফোন দিবে।

– হ্যালো কে বলছেন।

– আচ্ছা মানুষ তো আপনি, সকালে কথা বললেন রাতেই ভুলে গেলেন।

– না মানে আপনার নাম্বারটা ডিলিট করে দিছিলাম যদি ভুলে ফোন চলে যায়, আর আপনি ভাববেন ডিস্টার্ব করছি।

– হুমমমম বলছে আপনাকে। ওই আপনার নাম কীইইইই ।

– আমার নাম সাহরিয়া, আপনার।

– আমি অধরা।

এভাবেই আল্প কয়েক দিনেই আপনি থেকে তুমি, আর অধরা ও আমাকে অনেক বিশ্বাস করে।

ভাল ও বাসে আমি সিওর।

আমার ও কেমন ওর প্রতি দূর্বলতা কাজ করে।

না না আমি তো একটা চোর, আল্পের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

এখন আমরা খুব ফ্রি।

– আচ্ছা অধরা তোমার বাবা কীইইইই করে।

– আমার বাবা আরমির কর্নেল।

– কীইইইইইইইই।

– হুমমমম, কেন আগে জানলে কথা বলতে না।

– না জীবনে ও না।

– কীইইইই বললা।

– হি হি কিছু না, দাঁড়াও একটা ফোন করে আসি।

এসেই রিফাদ মামারে ফোন।

– হ্যালো, মামা বল।

– সালা, কুত্তা, হারামি, তোরে কাছে পাইলে আমি তোর প্যান্ট খুঁইলা তোর ইয়ে কাঁইটা ফেলতাম।

জানস ঐ মেয়ে কে আরমির কর্নেল এর মাইয়া, যদি জানে আমি ওর মাইয়ার সোনা হাতামু,

তাইলে আমাকে ঐ ঠান্ডা পুকুরে ঢুবাই মাইরা ফ্যালাব, যদি ধরা খাই না তোর নাম ও বলে দিমু,

বলেই ফোনটা রেখে দিলাম।

না যা করার তারাতারি করা লাগবে।

– অধরা একটা কথা যে তোমাকে কেমনে বলব, আবার খুব লজ্জা ও লাগছে।

– আরে গাধা বলে ফেল, কীসের লজ্জা।

– না মানে আমার মা একটু অনুষ্ঠানে যানে তো তার গয়না গুলো পাশের বাড়ির আন্টি নিয়ে গেছে, এখন গয়না কই পাই বলতো।

– আরে আমার অনেক গয়না আছে, ওগুলোই দিও মাকে।

– আরে না ছি ছি তোমার জিনিস কেমন করে নেই।

– আরে বাবা দুইটা দিনতো আর তোমার মা মানে তো আমার মা তাই না।

– ওকে, একটু চিন্তা থেকে বাঁচলাম জানো।

– দূর গাধা, কখন নিবা।

– আজকে বিকেলে দিও।

– হুমমমম ঠিকআছে।

তার পরে বিকেলে গয়না গুলো নিয়ে চলে আসলাম, নিজেকে কেমন অপরাধি মনে হচ্ছে।

যে মেয়ে আমাকে এত্ত বিশ্বাস করে তাকে এভাবে ঠকালাম, ও জীবনে তো আর কাউকে এত্ত বিশ্বাস করবে না।

এ সব ভাবতে ভাবতে রিফাদ মামার কাছে সব আনলাম।

– মাম্মা এত্ত গয়না কম করে হলে ও বিশ লাখ হবে।

– আমরা তো বড়লোক রে।

– না আমরা এ সব নিমু না, যার জিনিস তাঁকে দিয়ে দিমু।

– কী বলিস মাম্মা তুই পাগল হলি নাকি।

– হুমমমম আমি পাগল, কারো বিশ্বাস এভাবে নষ্ট হতে দিব নারে।

সাহরিয়া চোর হতে পারে বিশ্বাস ঘাতক না।

তার চারদিন পরে অধরা কাছে সব পাঠিয়ে দিলাম।

মনে হয় এ কয়দিনে সব জানা যানি হয়ে গেছে।

একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটছি, হঠাৎ একটা গাড়ি এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেল।

এখন অধরাদের বাসার সোফাই বসে আছি।

– অধরা মা আয় তো এই সেই ছেলে কী না।

– দেখলাম পাগলিটা মনে হয় এ কয়দিন অনেক কেঁদেছে, চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।

কিছু বলল না শুধু কাঁদছে।

– কুকুরের বাচ্চা বলেই অধরার

বাবা আমাকে জোরে একটা চর দিল, আমা ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছিল।

আরো অনেক মারতেছে।

– বাবা সাহরিয়া কে মের না বাবা ও আমার সব জিনিস ফেরত দিয়ে দিছে বাবা।

– তুই উপরে যা মা, আমি ওকে দেখছি।

হারামির বাচ্চাদের এই সব কাজ, বলছে আর তার বেল্ট খুলে মারতেছে, আমি কিছু বলি নি

শুধু অধরার দিকে চেয়ে ছিলাম।

– বাবা আমার জন্য ওকে ছেঁরে দাও বাবা প্লিজ।

– হুমমমম, শোন আজকের জন্য বেঁচে গেছি, ঘার ধরে বাহিরে ফেলে দিয়ে গেল।

উঠে মুখে হাত দিয়ে দেখি অনেক রক্ত বের হচ্ছে।

চলে আসছিলাম, অধরার রুমের দিকে তাঁকিয়ে দেখি ও জানালা দিয়ে দেখছে আর খুব কাঁদছে।

কখন ও ভাবে নাই তার বিশ্বাস করা মানুষটা এমন হবে।

অধরাকে কিছু বলার আছে আমার, তাই তার কলেজের সামনে দাঁড়াই ছিলাম।

– অধরা একটু শুনবা।

– চলেই যাচ্ছে।

– জীবনের শেষ বার একটা মিনিট শোন প্লিজ।

– হুমমমম।

– আমি যানি আমি চোর, অনেক কে ঠকিয়েছি, অনেকের ফোন চুরি করছি করো গয়না,

সব করতাম একটু ভাল খাবার আর ভাল থাকার জন্য জানো, অনেক চাকরি খুঁজেছি কেউ দেই নি।

কুকুরের মতো তাঁরিয়ে দিয়েছে।

তোমাকে ও ঠকিয়ে গয়না নিছিলাম, বিশ্বাস করো তোমাকে প্রথম দিন দেখান পর থেকেই তোমার প্রতি কেমন দূর্বলতা কাজ করত।

সব হয় তো মন গড়া নাটক ছিল, কিন্তুু এর মধ্যে একটা সত্যি আছে আমি তোমাকে ভালবাসি, আমি জানি এটা বলে আর লাভ নাই, তোমার বিশ্বাস টাই তো ভেঁঙ্গে দিছি।

এটাও আমার কোন প্লান হতে

পারে।

জানো অধরা একটি বার ও

তোমাকে ঠকাতে

চাই নাই কী থেকে

যে কী হয়ে গেল কিচ্ছু

বুঝলাম না।

হুমমমম ভাল থেক,

আর ভূলে যেও এই বিশ্বাস ঘাতক

কে।

সাহরিয়া নামক কোন একটা

চোর কে তুমি বিস্বাস

করে ছিলে।

ভাল থেক।।

– চোখ দুটো মুছতে মুছতে

চলে যাচ্ছিলাম।

– পিছন থেকে কেউ কেঁধে হাত

দিয়ে টেনে ধরল।

– কই যাও।

– যানি না।

– আমাকে ছেরে থাকতে পারবা।

– মাথা নারালাম শুধু।

তখনি আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল।

যাকে ভালবাসি তাঁকে ভুলে থাকি কেমন করে হুমমমম।

– আবার যদি বিশ্বাস ঘাতকতা করি।

– করো চোক মিথ্যা বলে না বুঝলা।

– হুমমমম পাগলি, অনেক অনেক ভালবাসি জানো।

– আমি ও তো খুব ভালবাসি, বাবা মারার সময় খুব কষ্ট হচ্ছিল তাই না।

– হুমমমম একটু, এখন একটা পাপ্পি দাও তাহলে।।।।

হি হি হি হি।।।।

 

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত