কিছু সত্যি কিছু কল্পনা

কিছু সত্যি কিছু কল্পনা

জীবন টা অনেক ভালো কাটছিলো ,
সবে মাত্র S.S.C Exam শেষ করেছি , বন্ধুদের সাথে আড্ডা , সারাদিন ঘুরে বেড়ানো,নিউ মার্কেটে সন্ধায় চা ,চটপটির আড্ডা,কলাবাগান বা আমাদের জনপ্রিয় ক্লাব হাউজে বসে লুকিয় সিগরেট টানা , ভালোই চলছিলো জীবন , কিন্তু বলে কথায় আছে না সুখ কপালে বেশি থাকে না, হঠাৎ করেই মা বল্লেল যে মাসির বাসায় থাকতে হবে ঐ খানে কম্পিউটার কোর্স করতে হবে।
এক মূহুর্তের জন্য অসহায় মনে হয়েছিলো , পরোক্ষনে ভাবলাম ভালোই তো হয়েছে , সিলেটে অনেক বন্ধু রয়েছে জুরি থেকে সিলেটে আরো ভালো ইনজয় হবে, তবে বন্ধুদের মনে পরতো খুব , যাই হোক মাসির বাসায় আসলাম, পরের দিন মেসো নিয়ে আম্বরখানা কম্পিউটার র্টেনিং সেন্টারে ভর্তি করালেন , পরের দিন থেকে ক্লাস ,
একটু Excitement ছিলাম, তো ওখানে গেলাম , বসে আছি সবার সাথে পরিচিত হলাম, এমন সময় একজন রমনির আগোমন , আমি ভাবলাম হয়তো ম্যাম হবে, কিন্তু উনি ঠিক আমার পাশে এসে বসলেন , তার কি রূপ তা বলে বুজানো অসম্ভব , নীল ড্রেস,চোখে কাজল ,পাতলা ঠোটে red cherry লিপস্টিক ,
মনে হচ্ছিল স্বর্গ থেকে কোন পরি নেমে এসেছে আমার সামনে , অনেক ক্ষন হা করে তাকিয়ে ছিলাম , তার ডাকে বাস্তবে আসলাম ,
:এই যে মিষ্টার?? (মেয়েটি)
:হকচকিয়ে , হ্যা বলুন!!.(আমি)
:ইলান হা করি কিতা দেখরা,মুখও মাছি ডুকবো নু, আর পুরি দেখসইন না নি কোনও দিন??
:(আমি একটু ভাব নিয়ে) মেয়ে তো দেখেছি তবে পরি দেখিনি কোনদিন, আজ সেই ইচ্ছা পূর্ন হলো!
:যত্তসব🤨
ঐ দিন আর কথা হয় নি , ক্লাস শেষে সোজা মাসির বাসায় , সবসময় মেয়েটির কথা মনে হচ্ছিলো, ওর চোখ দুটো ভুলার মতে নয় ,চোখ বন্ধ করলেই ওকে দেখছি , একেই মনে হয় ভালোবাসা বলে , সারারাত ঘুমাই নি , পরের দিন কোনভাবে নাস্তা করে দৌর , সিলেট শহরের সমস্যা হচ্ছে রিক্সা ওয়ালারা অনেক ভাব নেয় ,
অনেক কষ্টে একটা রিস্কা যোগার করলাম,
সেন্টারে গিয়ে দেখি মেয়ে টা একা বসে আছে, মনে মনে খুশি হলাম, ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে ,মেয়েটির পাশে গিয়ে বসলাম , কিছু টা রাগি ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকোলো সে, অসাধারন লাগছিলো তখন , কিছু ক্ষন নিরব ছিলাম দুজনেই , আমি নিরবতা ভেঙ্গে বল্লাম আপনার নাম টা তো জানা হলো না?
:Nilanjona roy !
:আপনি দেখতে যেমন মিষ্টি আপনার নাম টাও তেমন মিষ্টি ☺
:ধন্যবাদ!
:আমরা কি বন্ধু হতে পারি ?(বলে হাতটা বারিয়ে দিলাম)
সে কি যেনও ভাবতে কিছু ক্ষন তারপর হাত ধরে বল্লো :ওকে , আপনাকে বন্ধু বানানো যায় !!
ওর প্রথম স্পর্শে মনে হলো আমার ভিতর দিয়ে ৪৪০ ভোন্টের Biddut প্রবাহিত হলো ,
তার পর থেকে শুরু হলো বন্ধুত্ব , প্রতিদিন ক্লাস করে ঘুরতে যাওয়া, একসাথে ফুচকা খাওয়া, Sylhet Mc college মাঠে বসে আড্ডা দেওয়া, খুব তারা তারি সময় কাটতে লাগলো , আর আমি ও কে ভালোবাসতে লাগলাম,কিন্তু বলতে পারছি না যদি বন্ধুত্ব নষ্ট হয় এই ভয়ে , একদিন আমি ও আমার মাসি তো বোন যাচ্ছিলাম রিক্সা করে ,ও তখন হয়তো দেখেছে আমাকে , আমি খেয়াল করি নি , ঐ দিন রাতে উনি কল দিলেন না , ও হ্যা আপনাদের বলা হয় নি এর মধ্যে আমরা ফোনেও কথা বলতাম ,
তো ওর কল না আসায় আমিও কল দেই নি , পরের দিন ক্লাস রুমে গিয়ে দেখি ও বসে আছে আমি রুমে যেতেই কিছু টা রাগি ভাবে তাকালো আমার দিকে ,বুজলাম না কিছু , সম্পূর্ন ক্লাস ও কথা বল্লো না , আমি অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনও উত্তর দিলো না, ব্যাপার টা টিক মাথায় ‌ডুকলো না!!
ক্লাস শেষ হবার পর ও যখন চলে যাচ্ছিলো তখন ওর হাত ধরে বল্লাম :কিরে! আমি কি করলাম , যে আমার সাথে রাগ করে আছিস?
:কিছু না ,আমি কে তর?যে তর সাথে রাগ করবো? (সে)
:মানে ,কী?(আমি)
:যা না, ঐ মেয়েটির সাথে ঘুর গিয়ে, আমার সাথে কথা বলার প্রয়োজন নেই!!
:পুরো ব্যাপার টা বুজতে ৫ মিনিট লাগলো, উনি তখন রিক্সা তে উঠে গেছে ! দৌরে গিয়ে আমি ওর পাশে গিয়ে বসলাম আর বল্লাম যে , আরে পাগল ওইটা আমার মাসিতো বোন!!
ও কিছুটা কাদো কাদো হয়ে বল্লো সত্যি তো?
:হ্যা , বাবা, ৩ সত্যি!!(আমি)
তারপর অসাধারন একটা হাসি দিয়ে বল্লো ঠিক আছে।
ওকে ওর বাসায় নামিয়ে আমিও বাসায় চলে আসলাম, কিন্তু একটা কথা বারবার মনে হচ্ছে যে ও কেনও এমন করতো , তাহলে ও কি আমাকে ?? কিছুই মাথায় আসলো না , পরের দিন ছিলও পহেলা বৈশাখ , ওকে সাথে নিয়ে ঘুরবো তা অনেক দিন থেকে প্লেন করা ছিলও, ভাবলাম যাই হবে কাল ওকে মনের কথা বলে দিবও , তো ভাইকে সাথে নিয়ে ২১ টা সাধা গোলাপ কিনলাম,আর কিছু প্লে কার্ড তৈরি করলাম, (সাধা গোলাপ কারন লাল গোলাপ দেবার সাহস ছিলও না ) !!
তো ওকে কল দিলাম কাল সকাল ১০ টায় Shahjalal University of Science and Technology তে আসার জন্য ,
পুরোরাত ঘুম হয় নি এই টা ভেবে ও কি রাজী হবে নাকি বন্ধুতো টা নষ্ট হবে , ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি মনে নেই , সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯ ট বাজে , তারারি উঠে স্নান করে মুখে নাস্তা নিয়ে রোডে , কপাল ভালোর গুনে রিক্স পেয়ে গেলাম , তো কলেজে এসে ওকে খুজছি এমনি তেই আধা ঘন্টা লেট তার উপর মহারানির ফোন বন্ধ, হাটতেছিলাম হঠাৎ ও পিছন থেকে ডাক দিলো , সাধা-লাল শারি, লাল টিপ, চোলে ফুল , মনে হচ্ছিল কোনও দেবির সামনে দারিয়ে আছি ।
:ঐই!(সে)
: (হকচকিয়ে) হ্যা বলো! (আমি)
: এতো দেরি কেনও, হাতে এই গুলো কি ?
:ও হ্যা , দারাও, ( কিছুটা দুরে গিয়ে যাতে ও থাপ্পর পারতে না পারে আর আমি পালাতে পারি)
তো প্লে কার্ড গুলো খুলতে লাগলাম ,

নীলাঞ্জনা প্রথম যেদিন তুমায় দেখি তুমায় ভালো বেসে ফেলি, love at 1st side

বিভিন্ন ভাবে বুজাতে চেয়েছি কিন্তু তুমি বুজো নি, বা বুজেও না বুজার ভান করেছো,

(একটা বুড়ির ছবি দেখিয়ে)
তুমি যদি এমন হয়ে যাও তবুও তুমায় ভালো বাসবো ,

আমি তোমাকে ভালোবাসি( ফুলগুলো দিয়)
মনে মনে খুব ভয় হচ্ছিলো ,যদি থাপ্পর মারে !
ও তখন রাগি ভাব নিয়ে বল্লো এই এদিকে আয় , ভাবলাম যে দৌরে পালাবো কিন্তু কেন জানি পারলাম না , হঠাৎ বুকেপ মধ্যে সজোরে কিসের আঘাত পেলাম , চেয়েদেখি নীলাঞ্জনা আমাকে জরিয়ে কাদছে , তার পর ও বল্লো
:এই কথা বলতে এতো দিন লাগে গাধা!
তুমি বুজতে না যে আমি ও তুমাকে কতটা ভালবাসি।
:তা ভালো যদি বাসো তো বল্লে না কেনও? (আমি)
:এই পাগল, মেয়েরা কখনও আগে বলে না ।
: ওহ্, আচ্ছা এখন ছারো সবাই বিনে টিকিটে সিনেমা দেখছে।
:I don’t care 🤷‍♀️ ,
:i love you pagli 💕
:(শক্ত করে জরিয়ে ধরে) love you 2 বুদ্দু
চলতে লাগলো আমাদের ভালোবাসা , আর আপনারা এবার জান তো , আমাদের এখন প্লেন করতে দিন , এমতি তেই ওর বাবা মানে আমার শ্বশুর মশাই কে প্রতিঙ্গা করেছি উনাকে একটা ফুটবল টিম উপহার দিবো, তার পরিকল্পনা করতে দিন !!…….
(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত