#পুলিশ_গার্লফ্রেন্ড !!!

#পুলিশ_গার্লফ্রেন্ড !!!

Writer : Pantha Shahria !!!

– পড়ালেখা শেষ করে এখন দিনরাত ,
বাপের মুখের বকা খাচ্ছি …।
এখনকার জামানাতো আপনারা আমার
থেকে ভালো করে জানেন ।
সরকারী কোন চাকরি হইলেই আমাগো
সোনার দেশের মানুষ গুলো ।
ঠিক সোনার দামের মতো টাকা
চায় ।
আমার বাপ ও দিতে রাজি কিন্তুু ভাই
আমার ছোট থেকে ওই সব চাকরির
কোন শখ নাই ।
আজাইরা কোন মানুষ এর কথা শুনতে
আমি মোটেও রাজি না ।
যেখানে কাজ টাই আমার রাজি না ,
আমার বাপরে কত করে বললাম ,
যে আব্বা আমারে যেই টাকা দিয়া
চাকরি দিবা সেই টাকা গুলা আমারে
দাও ।

তারপর দেখ কেমন ফটাফট বড়লোক
হয়ে যাই ।
কিন্তুু কে শুনে কার কথা ,
আমার ভাই কোন গফ ও নাই ,
আর বিয়ে করার কোন প্লান ও নাই ,
যে চাকরির জন্য এত্ত টেনসন করমু ।

তাইতো এখন খালি সারাদিন টো টো কইরা
ঘুরে বেড়াই ।
ঐযে আছে না বাঁদর যেমন সারাদিন
এখান থেকে ওখানে আবার ওখান থেকে
এখানে , ঠিক তেমন ।
চুল আর দাঁড়ি গুলো ও হয়েছে ঠিক
বাঁদর এর মতো ।
আমার বাপরে কইলাম যে আব্বা ১০০ টা টাকা
দাও চুল কাটমু ।
কী কইল জানেন … না থাক ওইটা আপনারা
সবাই জানেন …আরে ভাই কমন ডাইলগ
কী এইবার বুচ্ছেন তাই তো ।

কিন্তুু আর যাই হোক দেখতে কিন্তুু মোটে ও
খারাপ লাগতেছে না ।
পুরাই শাপিক খান … না না তার থেকে ও
ভালো হি হি হি ।

– কী আর করার প্রতিদিনের মতো সেই স্কুল
লাইফ এর সাইকেল টা নিয়ে বিকেলবেলা
ঘুরতে বের হচ্ছি ।
– তো রাজা মশাই কোথায় যাওয়া হচ্ছে ( আব্বা ) ।
– কেন জানো না রাজ্য শাসন এ যাচ্ছি ।
– হুমমমমমম , যান যান আপনার তো আবার
মেলা কাজ ।
– সেটা তো জানোই , নতুন করে বলার কী আছে ।
– আচ্ছা তোর কী কোন প্রেমিকা ও নাই হ্যা , তোর
বয়স এর ছেলেদের কম করে হলে ও একটা প্রেমিকা
আছে , আর তুই কী বলতো , ভালোবাসার
মানুষটার জন্য সবাই কী না কী করছে ,
তোর ছোট সজীব ও কেমন একটা চাকরির জন্য
ছোটাছুটি করছে ।

– আচ্ছা যার হিসি চাপে সেই তো হিসি করার
জন্য ছোটাছুটি করে তাই না , এর মধ্যে
আমাকে টানার কী আছে ।
– আচ্ছা তার মানে তুই প্রেম বিয়ে
কিচ্ছু করবি না আর চাকরি ও করবি
না ।
– আমারে কী পাগল পাইছো যে বিয়ে
করমু , আচ্ছা বাদ দাও আগে বড়লোক
হইয়া নেই তারপর ওইসব চিন্তা ।

তারপরে সাইকেলটা নিয়ে বের হয়ে পরলাম ।

– নদীর পার ধরে সাইকেল চালাইতাছি ,
আর গান গাইতাছি , নিজেরে কেমন রাজা
রাজা মনে হচ্ছে ।
হঠাৎ কই থেকে একটা মেয়ে
এসে আমার সাইকেলটার
আগে পরে গেল ।
জোরে ব্রেক করার ফলে ধপ করে
পরে গেলাম ।

– ওই ওই মাইয়া কিউট পোলা দেখলে
মাথা ঠিক থাকে না তাই না ,
যাদের ডাইলগ তাদেরকেই দিলাম হি হি হি ।
– এই যে আপনার সাহস তো কম না
নিজের ভালো চাইলে তারাতারি কেটে পরেন ।
– ওলে বাবা সাহরিয়া ওই সব হুমকিতে
ভয় পায় না ,
ভালই ভালই আমার সাইকেল আর আর পা
ঠিক করে দিন , না হলে কানের গোরাই
দিমু একটা ।
– ওই পোলা তোমার সাহস তো কম না ।
– এই সব তো শুধু ট্রেইলর পুরু সাহস
তো পরেই আছে হু হা হা হা ।
– তোর দাঁত বের করে হাঁসা বন্ধ করছি দাঁড়া ।
– ওই…. ফাঁকা রাস্তাই নিজেই একটা অপরাধ করে
আবার আমাকেই তুই তুকারি করছেন ।
সাহস তো কম না ।
নেহাত ভালো ছেলে তাই । তা না হলে ।
– ওই তা না হলে কী হুমমম ,
রফিক সাহেব তারাতারি রাস্তাই আসেন ।
– বাবা রে বাবা আমি তো ভয় পেয়ে গেছি ।
মেয়েটার দিকে তাকাই দেখি রাগে খালি ফুলতিছে ।

হঠাৎ একটা পুলিশ আসলো ।
– জ্বী …. ম্যাডাম বলেন ।
– আমি তো হা করে আছি , বিনা কারণে
ফেঁসে গেলাম না তো আবার ।
– রফিক সাহেব এই বেয়াদপ আর ওর সাইকেলটাকে
থানাই নিয়ে চলেন ।
– ম্যাডম ও ম্যাডাম এই শিশুর মতো ছেলেটাকে
কী না নিয়ে গেলে হয় না বলেন ,
বাচ্চা মানুষ ২ একটা ভুল তো হবেই তাইনা ।
– বাচ্চা মানুষ বলেই তো গাড়িতে করে নিয়ে
যাচ্ছি ।

কী আর করার ,
লোকে বলে না মেয়ে আর পুলিশ এর খপ্পরে
পরেছ তো মরেছ ।
– আমার কপাল তো দিগুণ খারাপ তাই
মেয়ে + আবার পুলিশ , কপালে কী আছে
একমাত্র আল্লাহ্‌ যানে ।

আর যাই হোক মেয়েটা কিন্তুু ঝাক্কাস ।
আমার সাইকেল টা কে একটা রুমে ,আর
আমি মেয়েটা সামনা সামনি লকাপের
মধ্যে আছি ।
মেয়েটা একটা টেবিলে বসে কী যেনো
করছে ,
আমার আবার কথা না বললে পেট
ব্যাথা করে ।
দূর লকাপেই তো আছি মেয়েটার সাথেই
কথা বলি ।

– ও ম্যাডাম হ্যালো …
– কেমন রাগী ভাবে তাকালো ,
এই জন্যই মনে হয় পুলিশ এর চাকরিটা পাইছে ।
– আচ্ছা ম্যাডাম আপনার নাম কী ?
– রিয়া ……।
– বাহ আমার নামের সাথে বেশ মিলতো
সাহ+রিয়া=সাহরিয়া ।
আমার নাম সাহরিয়া ।

কী যেনো লিখছেই তো লিখছে ,
আমি যে একটা মানুষ কথা বলছি
ওনার কোন কেয়ার নাই ।
না হওয়ারই কথা ,একে তো
সুন্দরী তাঁর ওপরে আবার থানার হেড ।

সুন্দরী হলেই তো মাটিতে পা পরে না
কী যে ঝামেলাই পরলামরে ভাই ।
– ও ম্যাডাম আমাকে ছেঁড়ে দেন না ,
আপনাকে প্রথম এ চিনলে কী অমন করতাম ।
আর আপনে বলেন দোষ কী আমার একা ।
– ওই আপনে এত্ত কথা বলেন কেন ।
– কথা না বললে আমি থাকতে পারি না তো ,
কেমন বাচ্চা বাচ্চা ভাবে বল্লাম ।
এবার কী ভেবে যেন একটু হাসলো ।
– মুজনু মিয়া বাচ্চাটাকে এখানে নিয়ে
আসেন ।
– ওকে ম্যাডাম …।
বলে বাইরে নিয়ে আসলো ।
– নাম কী ?
– সাহরিয়া ।
– বাবার নাম ?
– ইকবাল হোসেন হাবিব ।
– মায়ের নাম ?
– আমার মা নাই ।
– আচ্ছা তোমার বাবার ফোন নাম্বারটা দাও ।
– হি হি হি আমার বাবা জীবনে ও এখানে নিতে আসবে
না ।
– ওই দাঁত বন্ধ করে নাম্বার দাও ।

নাম্বার দিলাম ।
– হ্যালো . আঙ্কেল আপনার ছেলে
কে সিনিয়র পুলিশ অফিসার এর সাথে
বেয়াদবি করার জন্য থানাই নিয়ে আসা
হইছে … আপনে এসে ওকে নিয়ে যান ।
– ওই শয়তান কে তো আমি কোন দিন নিয়ে আসব না
ওখানেই ওকে রেখে দিন , তাও যাতে একটু মানুষ
হয়ে ফিরে আসে ।
– আচ্ছা ঠিক আছে , এই যে সাহরিয়া তোমার
বাবা কী বলল শুনলে তো ।
– হুমমমমম ।
– এখানেই রাখব নাকি বাড়ি যাবে ।
– আমি বাড়ি যাবো ।
– এবারের মতো ছেরে দিলাম নেক্সট যেন
এমন বেয়াদবি না করো কেমন , তা হলে আর ছাড়া
পাবা না বুঝলা ।
– হুমমমমমমমমমম ওকে ।
– যাও এবার ।
– এক দৌড়ে চলে আসলাম ,
কে যেন বলল বেয়াদপ পোলা একটা ।

যাক বাবা আজকের মতো বাঁচলাম …।
বাসাই এসে ভাতের সাথে বকা খেয়ে
শুয়ে পরলাম ।
– পরেরদিন সকাল সকাল রাস্তাই ব্রাশ করতে করতে
ক্রিকেট খেলছি পিচ্চি গুলার সাথে ।
– সাহরিয়া ভাই এইবার কিন্তুু জোরে মারলে
তুমি আউট ।
– ওকে ওকে বল কর , বল মারলাম
আর বলটা গিয়ে রিয়ার গায়ে লাগলো ,
মানে কালকের ওই পুলিশ মেয়ে ।
বলটা নিয়ে আমার দিকে কেমন রেগে আসলো ,
আর কেমন কিউটুস ও লাগছিল হি হি হি ।
– এটা কী হল শুনি ।
– না মানে আমার দোষ নাই , বলটা
তোমার গায়ে লাগছে ওকে বলো ।
বলেই ব্যাটটা নিয়ে দৌড় দিলাম ।
পরে একটা পিচ্চির কাছে থেকে শুনলাম ।

ও নাকি গতকাল রাতে আমাদের পাশের বাসাই ভাঁড়া
আসছে ।
– দূর মেজাজ টা কেমন লাগে দেখে দেখে এই মেয়েকেই
আসতে হবে ।

– বিকেলে ছাঁদে বসে বসে গিটার বাজাইতেছি আর গান গাইতেছি ।
– বাহ বেশ ভালো গান গাও তো ।
– পিছনে তাকাই দেখি রিয়া ।
এই মেয়েকে দেখলেই কেমন ভয় লাগে
না জানি কখন জেলে পাঠাই দেই ।
– আচ্ছা সকালের ঘটনার জন্য ও কী
থানাই নিয়ে যাবা ।
– হা হা আরে না না ।
এর পরে টুকটাক কথা , তারপরে অনেক
দুষ্টুমি করলে ও কিছু বলে না ।
এখন আমি আর রিয়া অনেক ফ্রী ।
– ওই সাহরিয়া কাল আমাকে ঘুরতে নিয়ে
যাবা কিন্তুু ।
– আচ্ছা ওকে ।

আমি আর রিয়া ঘুরতেছি হঠাৎ কয়েকটা ছেলে
রিয়েকে উদ্দেশ্য করে বাজে কথা বলল ।
– রিয়া সাথে থাকাই অনেক সাহস হয়ে গেছে ,
রিয়া তুমি থাকো আমি দেখতেছি ।
– গিয়ে ওই ছেলে কে ঠাসসসসসসসসস করে একটা
দিলাম , জীবনের ফাস্ট কাউকে এমন চর
দিছি ।
সব পোলাপান আমার দিকে আসতিছে ।
আমি তো ভয় এ শেষ । রিয়া ও আমার সামনে
আসলো ।
– ওদের মধ্যে একজন বলল ভাই মেয়ে টা থানার
এস আই ।
পোলা গুলো শুনে কেমন দৌড়ে পালাই গেল ।

– আরে তুমি আসতে গেলে কেন আমি একাই
সব গুলারে ।
– কী করতে সেটা ভালো করেই বুচ্ছি
প্রথম দিন ।
সেদিন অনেক ঘোরাঘুরি করে সন্ধাই বাসাই
আসতেছি ।
– রিয়াদের বাসার সামনে এসে বল্লাম ।
রিয়া আমাকে আমাদের বাসার গেট অব্দি
দিয়ে আসবে ।
– ওই কেন ।
– না মানে আমার ভুতের জন্য ভয় করে ।
– এত্ত বড় একটা ছেলে তুবু ভয় করো
ঠিক আছে চলো ।
– এই তো এসে গেছি ।
– ওকে এবার যাও কেমন পিচ্চি বাবু ।
– আচ্ছা টাটা কেমন ।
– বলে বাসাই চলে গেলাম ।
যাবার পর থেকেই মশার জ্বালা শুরু ।
তাই ভয়ে কয়েল নিতে গেলাম ।

– কয়েল নিয়ে আসতেছি , কই থেকে
জানি একটা কুকুর চিল্লাইতেছে ,
আমি তো ভয়ে দিছি একটা দৌড় ।
জোরে দৌড়ে আসার ফলে একটা
মাইক্রোর সাথে ফটাস করে ধাক্কা
খাইলাম ।
মাথাটা কেমন ঝিম ঝিম করল
তার পরে আর কিচ্ছু মনে নাই ।

– যখন জ্ঞান ফিরল দেখলাম রিয়া আমার
পাশে বসে আছে , আর কেমন ফুফাই ফুফাই
ক্যানতেছে ।
বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে ।
– আমি উঠে বসার চেষ্টা করতেই
রিয়া আবার আমাকে শুইয়ে দিয়ে ,
আর বকা দিতে সুরু করল ।
– ওই নিজের দিকে তো কোন খেয়াল থাকে না ,
কোন দিন কী একটু ভালো ভাবে চলতে
পারো না হুমমমমম ।
– আচ্ছা তুমি কেমনে জানলা ।
– আঙ্কেল আমাকে সব বলছে ।
– আচ্ছা আমি কয়দিন ধরে এখানে আছি ।
– তিন দিন ধরে বেয়াদব , আচ্ছা
কেমনে এক্সিডেন্ট করলা শুনি ।
– আরে আমার কোন দোষ নাই জানো
ওই হারামি কুত্তা চিল্লানি দিছে আর আমি দৌড়ানি
দিয়েই তো আজ এখানে ।

– হবেই শয়তান যে একটা ।
আচ্ছা চাকরি করবা না ক্যান বলো ।
– ওই সব আমার ভালো লাগে না ।
– আচ্ছা বিয়ে করলে কী করবা ।
– হা হা হা দূর বিয়েই করব না আমি ।
– ওকে আমি গেলাম আমার কিছু
কাজ আছে ।
– কেমন রিয়ার চোখে পানি টলমল
করছে , আমি জানি ও আমাকে ভালবেসে
ফেলেছে ।
ও হাত ধরে টান দিলাম আচ্ছা তুমি আমার
গার্লফ্রেন্ড হবা ।
– দূর শয়তান ।
– একটা কথা বলব থানাই
নিয়ে যাবা না তো ।
– না বলো ।
– আচ্ছা একটু জরাই ধরবা প্লিজ ।
বলার সাথেই জরাই ধরল ।
আহা কী শান্তি চাকরিটা মনে হয় আর করা
লাগবে না ।
– ওই কী বল্লা ।
– না মানে সবসময় তোমার সাথে থাকার
কোন চাকরি থাকলে করব ।
– ঠিকআছে আমার গাড়ির ড্রাইভার এর পদ টা
দিবো কেমন ।
– অক্কে … ওই ছারলা কেন জরাই ধরো ।

এই যে আপনার চুপি চুপি পইড়া চলে যান …
নো ডিস্টাব তা হলে কিন্তুু থানাই ধইরা নিয়া যাইব হি হি হি !!

>>সমাপ্ত<<
>>The End<<

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত