– বাবু…
-হুমম..
-ঘুমাও নি কেনো এখনো..!!
– ঘুম আসছে না..।।
-কিছু হইছে…??
-নাতো…।।
-মন খারাপ…??
-আমার বাবুনিটা পাশে থাকলে কি আমার মন খারাপ হতে পারে? এই, তুমি এখনো ঘুমাও নি কেনো?
-আমার বাবুটা ঘুমাতে পারছে না, তাকে রেখে আমি কি ঘুমাতে পারি?
-পাগলী একটা। আমি সারা রাত সজাগ থাকলে তুমিও কি সজাগ থাকবা?
-হুমম থাকব।আমার বাবুটার জন্য আমি সব করতে পারবো। – আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারবে?
-খুব পারবো. তুমি চোখ বুঝো, আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। দেখবা কখন ঘুমিয়ে গেছো টের ই পাবা না।
– আচ্ছা। আমি চোখ বুঝছি।তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে দাও।
-পাগল একটা। ছেলেটি চোখ বুঝে আর মেয়েটি তার সমস্ত ভালবাসা দিয়ে ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। অনেক শুখের কল্পনায় তার সে তার চার পাশ ভড়িয়ে তোলে। কিছুক্ষণ পর
-বাবু -(চুপ)
-ঘুমাইছো?
-(চুপ) এবার মেয়েটি ছেলেটির বুকে জায়গা করে নেয়। আর ভাবে ছেলেটি জানে না যে তার বুকে মাথা না রেখে মেয়েটি ঘুমাতে পারে না। ছেলেটার বুকে মাথা দিয়ে একটি শুখের নিঃশাস ছেড়ে মেয়েটি সপ্নের রাজ্যে হাড়িয়ে যায় তার পাগলটার সাথে।
ছেলেটির ঠোটের কোনায় একটা ছোট্টো হাসি ফুঠে ওঠে। কেনোনা মেয়েটি জানেনা যে সে যদি ছেলেটির বুকে মাথা না রাখে তাহলে ছেলেটির ঘুম আসে না। অর্নব আর অর্নির ভালোবাসার পাখিরা সব সময় এভাবেই মুক্ত আকাসে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। ভালো থাকুক ওদের ভালোবাসারা।