যেই গল্পটা বলতে যাচ্ছি সেইটা একটা দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প। যার কেন্দ্রিয় দুইটি চরিত্র পাগলা(শান্ত) এবং পাগলি(বর্ন)। এটা আমার জিবনেরই একাংশ।
–হ্যালো, কে? শান্ত। ভালো আছিস? আচ্ছা শোন একটা প্রব্লেমে পরেছি। আমার ফোনটা না আজকে হঠাত করে অফ হয়ে গেছে। কি করি এখন বল না। (পাগলি)
–কি বলিস? কিভাবে? (পাগলা)
–সেইটা পরে জানলেও হবে বুদ্ধু। 😫
অনেক ফরমুলা ট্রাই করেও ফোনটা অন হচ্ছে না।
কিছুক্ষন পর,,,,
–ওই শোন তুই কালকে সকালে ঠিক ৯ টায় আমার প্রাইভেটের সামনে দারাইস। রাখি এখন আম্মুর ফোন থেকে কল দিয়েছিলাম লুকিয়ে।বাই
(ওপাশ থেকে কোনো কিছু বলার সুযোগ টুকুও দিলো না)
টুট টুট,,, কেটে গেলো।
ঠিক সময় মতোই পাগলা মানে শান্ত কথামতো জায়গায় দারালো।
দূর থেকে আবছানি মুখ দেখতে পেয়েই সে এগিয়ে গেলো পাগলির দিকে।
ভালো মন্দ কথা না বলেই ফোনটা হাতে ধরিয়ে দিয়েই চলে গেলো।
–ওমা কিরে পাগলি একটু হাসি দিলি না!
— হিহিহি
–এইটা হাসি?
–না কেলানি।
–দে না প্লিজ।
–কান্না করমু কিন্তু, জোর করে হাসা যায়? বলদ
–ঠিক আছে যা। এইবার চালিয়ে নিলাম এই কেলানি তেই।
কাস্টমার সার্ভিস থেকে টানা সকাল থেকে বিকেল অবদি বসে থেকে ফোন টা ঠিক করিয়ে মেয়েটার বাসায় গেলো দিয়ে আসতে।
বাসার ভেতরে না আসার কারনে পাগলিটার খুব গাল ফুলে। আর সেটা পাগলটাও বুঝতে পারলো।কিন্তু ক্লান্ত থাকায় তখন আর কিছু বলে নি।
সে বাসায় গিয়ে আবার ফোন দিলো পাগলিটাকে
টুট ,,,,, টুট,,,,
–বলুন
–কি রে পাগলি কি হইছে রাগ করলি যে
–এমনি রঙ লাগছে।
–উহু এমন করিস না। সোনা ময়না জাদু লক্ষি বাবুনি আমার রাগ করে না। জানস আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম, সেই সকালে গেছি তোর ফোন ঠিক করতে একটু আগে ফিরেই তোর ফোন বেক করতে গেলাম।প্লিজ রাগ করিস না।
— কিহ??? তার মানে তুই এখন কিছু খাস নি সারাদিনে??😡😡😡😡
–না মানে। ওইট তোর শখের ফোন তাই আমি বসে থেকেই,,,,,,,,
–হইছে থাম।আমারে আর ফোন দিবি না।
–ওমা কি কস,এমন করিস না পিলিজ বইন না ভালা,তুই রাগ করলে আমার ভালো লাগে না, জানস না কি?
— কেন? আমি তোর কে হই?
— সেইটা জানিনা তবে তুই রাগ করলে বুকের বাম পাশে খুব ব্যাথা লাগে রে পাগলি।
— (চুপ)
–কি কথা বল?
— (কান্না জরিত কন্ঠে)
কুত্তা বান্দর বিলাই তুই এক্ষুনি যা টইলেটে। গোসল করে খাবি পরে আমাকে নক দিবি।
-এক্ষনি যাচ্ছি বাবুনি।
কিছুক্ষন পর,,,
–বাবু একটা কথা বলবো আজকে।
–বল
–আমি
–হ্যা তুই।
–আসলে আমি,
–আসলে তুই?
–না মানে আমি,
–না মানে তুই (রেগে গিয়ে)
–আমি না খুব ভালোবেসে ফেলছি।
—😡😡😷😷😷
কারে? কে সে? কোন হারামি?
— হারামি বলিস না। আমার খারাপ লাগে।
–অরে বাবা, খুবি ভালো প্রেম জমাইছিস।গুড ভালো থাকিস তোর অই শাঁকচুন্নি কে নিয়ে।
— আই আই আই আই লাভ ইউ।
–কিহ!!!!
–উহুম উহুম,,, আই লাভ ইউ পাগলি।
–জানিনা যা ভাগ
–বলবি না?
–আগে নন স্টপ ফুচকা খাওয়া পরে কমু😜😜
–আগে বল পরে ফুচকা
–উহুম উহুম।ইয়ে মানে,
–মানে মানে কি?
–আই লাভ ইউ টু। কিন্তু কথা দে যে তুই আমার পাশে সব সময়ই থাকবি।
কি? সব ভালোবাসা যে বয়ফ্রেন্ড আর গার্ল ফ্রেন্ডের মাঝে হবে তা কি কোনো শর্তে আছে?
না নেই। হ্যা।
এটা আমার আর আমার একটা পাগলা বন্ধুর প্রেম কাহিনি।হাহাহাহা।।
সব সময় সব বিপদে আর কঠিন সময়ে আমি ওকে আমার পাশে পেয়েছি।এখনও আমার পাশে ও আছে।আমার একটু কিছু হলেই যেন দূর থেকে ওর উপলব্ধি হয়।
খুব খুব ভালো একটা ফ্রেন্ড তুই আমার। আমাকে ফুচকা না খাওয়ালে কিন্তু তোর জিবনে বিয়ে হবে না পাগলা😜😜😜
((এই দুনিয়ায় অনেক সম্পর্ক অনেক পবিত্র আর আত্তিক হয়ে থাকে।যা অন্য কারোর সাথে হয় না।নির্দিষ্ট কোনো ব্যাক্তির সাথেই হয়। হোক সেইটা ছেলে আর হোক সেইটা মেয়ে। বিপদে সব চেয়ে কাছের মানুষ টি কে কাছে পাওয়ার মত সৌভাগ্য সবার হয় না। হয়তো এমন কিছু কিছু ফ্রেন্ড থেকেই যায় সারাজিবন যাদের অবদান ভোলার মত না))
ভালো থাকুক সেই কলিজার
দোস্তরা আর সজত্নে বেচে থাকুক সেইসব পাগলা পাগলির ভালোবাসা